× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
5 people lost their lives in the storm across the country
google_news print-icon

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

কালবৈশাখী
কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছবি: নিউজবাংলা
কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বগুড়ায় দুজনের এবং ঝিনাইদহ, কক্সবাজার ও দিনাজপুরে একজনের প্রাণহানি হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে শনিবার ভোর থেকে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে পাঁচজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বাড়ি-ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অনেক এলাকায় গাছ উপড়ে রাস্তায় পড়ে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। কিছু কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বগুড়া

বগুড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে দেয়াল ও গাছ চাপায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

কাহালু উপজেলার মাছপাড়া ও শাজাহানপুরের বৃ-কুষ্টিয়ায় শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন মাছপাড়ার ৪৫ বছর বয়সী মো. শাহিন ও কুষ্টিয়ার ৫১ বছর বয়সী আব্দুল হালিম।

স্থানীয়দের বরাতে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন জানান, শনিবার ভোর ৪টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। সে সময় একটি গাছ উপড়ে শাহিনের বাড়ির ওপর পড়ে। গাছের ভারে মাটির দেয়াল ধসে শাহিনের মৃত্যু হয়।

শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঝড়ে একটি গাছ ভেঙে হালিমের বাড়ির ওপর পড়ে। তিনি ছোট ডালগুলো কেটে সরাচ্ছিলেন। সে সময় গাছের মূল কাণ্ড তার ওপর পড়লে হালিম গুরুতর আহত হয়।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভোরে বগুড়ায় এই মৌসুমের সর্বোচ্চ গতিবেগে ঝড় হয়েছে।

বগুড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানান, ভোর ৪টা থেকে ৪টা ৪ মিনিট পর্যন্ত বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এই মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ। বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ মিলিমিটার।

ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিঘ্ন ঘটেছে বিদ্যুৎ সরবরাহে।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে শনিবার সকাল ৬টার দিকে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ১০ মিনিটের মতো ঝড়-বৃষ্টিতে তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে শৈলকুপা উপজেলার কুলচারা গ্রামে বজ্রপাতসহ হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। সে সময় বাড়ির পাশের মাঠে বেগুন তুলতে যান গোলাম নবী ও রুপসী খাতুন দম্পতি। ঝড় শেষে স্থানীয়রা তাদের অচেতন অবস্থায় মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন।

তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রুপসীকে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বামীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জোবাইদা ইসলাম বলেন, ‘বজ্রপাতের হিস্ট্রি নিয়ে দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’

সদর উপজেলার ডেফলবাড়িয়া গ্রামে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের দুটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।

ঝড়ে আম, লিচু, কলা, পানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে।

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

কালীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুত গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ মিনিটের ঝড়ে আমাগের সব শ্যাষ করে দিয়ে গেছে। গাছপালা ভাঙ্গে গেছে। কারেন্টের পোল ভাঙ্গে গেছে। গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ ছিল। আমাগের ম্যালা ক্ষতি হয়েছে।’

একই উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে খুব ঝড় শুরু হয়। আম্পানের সময় যে ঝড় হয়েছিল আজকে তেমন ঝড় হয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। আম, লিচু, কলার বাগানের খুব ক্ষতি হয়েছে।’

কালীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ বসাক জানান, ঝড়ে বিদ্যুতের ২২টি খুঁটি ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে ৩৩ কেভি লাইনের ওপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় মেরামতের কাজ চলছে। কতক্ষণ লাগবে বলতে পারছি না। তবে বিকেলের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।’

কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে।

৪০ বছর বয়সী মৃত আব্দুস শুক্কুরের বাড়ি চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২ নম্বর শান্তিনগর এলাকায়।

হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, শুক্কুর তার ইজিবাইকের ব্যাটারির কানেকশন ঠিক করছিলেন। সে সময় ঝড় শুরু হলে তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্য ইজিবাইক থেকে নামেন। সে সময় একটি গাছ তার ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

দিনাজপুর

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে আলতাফ হোসেন নামের ৪৫ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চিরিরবন্দর উপজেলার ৭ নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের আতারবাজার কাকপাড়ায় শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাতে চিরিরবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেম উদ্দিন জানান, দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে আলতাফ বাড়ির পাশের মাঠে যান গরু আনতে। সে সময় বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

নওগাঁ

নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ আম এখনও অপরিপক্ক এবং মাটিতে পড়ে ফেটে গেছে। ছোট ও মাঝারি সাইজের এসব আম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ২৯ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ টন। শুক্রবার রাতের ঝড়ে প্রায় ৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমির কাঁচা আম ঝড়ে পড়েছে।

নওগাঁর ১১ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় পোরশা ও সাপাহারে।

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

সাপাহার উপজেলার মানিকুড়ি এলাকায় শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ঝড়ে পড়া আম কুড়িয়ে এনে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখছেন শ্রমিকরা।

উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের আম চাষি মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ৮০ বিঘা জায়গার ওপর দুইটা আমের বাগান আছে। শুক্রবার রাতের ঝড়ে দুই বাগান মিলিয়ে প্রায় ১০০ মণ আম ঝরে পড়েছে। এটা মোট আমের চার ভাগের এক ভাগ।

‘ঝরে পড়া কাঁচা আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পরিপক্ক অবস্থায় বাজারে তুললে কমপক্ষে ৫০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি হতো।’

পোরশা উপজেলার নিতপুর এলাকার আম চাষি তোজাম্মেল হোসেন জানান, তার ১২০ বিঘার বাগানে ৮০ শতাংশের বেশি আম্রপালি জাতের গাছ। গাছ ছোট হওয়ায় ঝড়ে এসব গাছের আম কম ঝরেছে। তবে আশ্বিনা, নাক ফজলি ও ল্যাংড়া জাতের বড় গাছের ২০ শতাংশ আম পড়ে নষ্ট হয়েছে।

বদলগাছী আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, শুক্রবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, মান্দা ও ধামইরহাট।

পত্নীতলায় ২ হাজার ২৫০ হেক্টর, সাপাহারে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর, পোরশা ১ হাজার ৫০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৪৭৫ হেক্টর ও নিয়ামতপুরে ৪৮০ হেক্টর জমির কাঁচা আম ঝরে গেছে। বাকি ছয় উপজেলা মিলিয়ে ঝরেছে ১০০ হেক্টর জমির আম।

এ ছাড়া নওগাঁয় ৫০ হেক্টর জমির কলা ও ৫০ হেক্টর জমির বিভিন্ন শাকসবজিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে বেশ কিছু ঘরের চাল। গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক জায়গায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আলমডাঙ্গা-হালসা লাইনের ওপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গাছ ভেঙে পড়ে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে গাছ অপসারণের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

আলমডাঙ্গায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। আধ ঘণ্টার ঝড়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঝড় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, মেহেরপুরের গাংনী হয়ে কুষ্টিয়ার দিকে আঘাত হানে। তবে ওই সময় বাতাসের গতিবেগ মাপা হিসাব করা যায়নি। বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৭ মিলিমিটার।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কালিদাসপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামসহ আশপাশের অনেক গ্রামের আধা-পাকা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের চাল। বড় বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে রাস্তায় পড়েছে। এতে যান চলাচল হয়ে যায়।’

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার আক্কাস আলী জানান, শ্রীরামপুর ও জগন্নাথপুর এলাকায় চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ভেঙে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) আলমডাঙ্গার আবাসিক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, খুঁটি উপড়ে পড়েছে বা ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মহিলা কলেজপাড়া এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে।

‘ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড় থামার পর থেকে লাইন মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। মেইন লাইন চালু হয়ে গেছে। তিনটা ফিডারের মধ্যে এখন শুধু বাজারের ফিডার বন্ধ আছে। খুব শিগগিরই এটাও চালু হবে।’

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নূর (ইউএনও) জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর, হারদি ও ডাউকি ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছের ডাল পড়ে প্রায় দেড়শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালিদাসপুর ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭ জন সামান্য আহত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ইউএনও বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। এই তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের মাধ্যমেও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।’

খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে ঝড়ো হাওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা পর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ফলের বাগান ও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগের খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান, ঝড়ো হাওয়ায় ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।

যশোর

যশোর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৬টা ৫ মিনিট থেকে প্রায় ১৫ মিনিট কালবৈশাখী ঝড় হয়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩২ নটিক্যাল মাইল। বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।

এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলা। অনেক বাড়ির চাল উড়ে গেছে, গাছ ভেঙে পড়েছে। ক্ষতগ্রস্ত হয়েছে মৌসুমি ফল ও ফসল।

সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের নাটুয়াপাড়া গ্রামের তানিয়া বেগম বলেন, ‘সকালে ঝড় শুরু হলে অনেক গাছ ভেঙে পড়ে। আমাদের বাড়ির বড় একটি শিশু গাছ ভেঙে আমার গরু মারা গেছে। টিনের বাড়িগুলোর চাল উড়ে গেছে।’

কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৫ প্রাণ, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

একই এলাকার হোসেন উদ্দিন জানান, তার বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ায় তিনি আহত হয়েছেন।

এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিকী বলেন, ‘সদর উপজেলায় আমাদের ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৭টি গ্রামের মধ্যে ১২টি গ্রামের চিরচেনা পরিবেশ বদলে গেছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ইউপি সদস্যরা কয়েকজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।’

মেহেরপুর

মেহেরপুরে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গাংনী উপজেলার বামন্দী, তেতুলবাড়িয়া, মঠমোড়া ও গাজীপুর ইউনিয়ন।

গাংনীতে শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হয় ঝড়। প্রায় ১০ মিনিটের ঝড়ের সঙ্গে কয়েক মিনিট শিলাবৃষ্টিও হয়। জায়গায় জায়গায় উপড়ে পড়ে গাছ, ছিঁড়ে যায় বৈদ্যুতিক তার।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোগলবাড়িয়া, বাওট ও আকুবপুর গ্রাম। উড়ে গেছে কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল। আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আমচাষি মো. কুতুব বলেন, ‘ভোরে হঠাৎ ১০ মিনিটের ঝড়ে আমার বাগানের অনেক আম পড়ে গেছে। আর ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই আম পাকা শুরু হতো। এই আমগুলো এখন নামমাত্র দামে বিক্রি করতে হবে।’

সড়কে গাছ পড়ে ভোর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিল।

বাসচালক মো. গোলাম বলেন, ‘আমি ভোরবেলা গাড়ি নিয়ে আকুবপুরে ঢুকতেই ঝড় শুরু হয়। রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে ছিলাম। এরপর গাছ সরানো হলে জেলা শহরে আসি।’

পল্লীবিদ্যুতের বামন্দী শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক হানিফ রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার অফিসের আওতাধীন প্রায় ১২টা পোল ভেঙে চার ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’

ফসলের ক্ষতির বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শামসুল হক জানান, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই জানা সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বগুড়ার আসাফ-উদ দৌলা নিয়ন, ঝিনাইদহের সোহাগ আলী, কক্সবাজারের মুহিববুল্লাহ মুহিব, দিনাজপুরের কুরবান আলী, নওগাঁর সবুজ হোসেন, চুয়াডাঙ্গার জহির রায়হান সোহাগ, খাগড়াছড়ির নুরুচ্ছাফা মানিক ও মেহেরপুরের সোহেল রানা।

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ে উপড়েছে গাছ, উড়ে গেছে ঘরের চাল
পীরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৩ গ্রাম
কালবৈশাখীতে বিসিক শিল্প পার্কে ২০ শ্রমিক আহত
খুলনায় বৃষ্টিতে স্বস্তি
কালবৈশাখী ঝড়ে মিন্টো রোডে পড়ল গাছ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Air Force Chief inaugurated the next development program in Feni

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।

অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ransom claims by abducting students of Barisal University

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে দুষ্কৃতিকারীরা।

পরে মুক্তিপণ না পেয়ে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ রেখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে মাদারিপুরে সকাল ৮টার দিকে বাস থেকে নামলে অপহরণের শিকার হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. আসাদ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।

আসাদের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় চাচা মারা যাওয়ায় আজ ভোরে ৬টায় বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মাদারিপুর পর্যন্ত যান বাসে। বাস থেকে নেমে মাদারিপুর নেমে ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতেছিলেন এমন সময় মাইক্রোবাসটি তাকে ঝিনাইদহে পৌঁছে দিবে বলে উঠিয়ে নেয়। উঠিয়ে নেয়ার পর অপহরণকারীরা পরিবারের সঙ্গে ০১৫১৮৪৯৫৬০৯ নম্বর থেকে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি পরিবারের মাধ্যমে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেন, প্রশাসনের তৎপরতার খবর পেয়ে অপহরনকারীরা তার সব কিছু রেখে তাকে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে আসাদের সহপাঠী রাফিদ হাসান জানান, আসাদের চাচা মারা যাওয়ায় ও আজ ভোরের দিকে বরিশাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, পথিমধ্যে এই ঘটনার শিকার হন ।

এ বিষয়ে আসাদের বাবা বলেন, আসাদের বড় চাচা গতকাল রাতে মারা যাওয়ায় আজকে ভোরে বাড়ি আসার পথে মাদারিপুর থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ওর মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। পরে অন্য একটি বাসে করে আসাদ বাড়ি ফিরছে বলে জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি বলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বরিশাল থেকে ঝিনাইদাহ বাড়ি যাওয়ার পথে মাদারিপুরে আটকিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে, এমন ঘটনা জেনে সাথে সাথে মাদারিপুর পুলিশকে কল করি। শিক্ষার্থী এখন নিরাপদে আছে সে বাড়ি ফিরতেছে শিক্ষার্থী এবং পরিবারের সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The death of a young man in Daulatpur

দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২২ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসেম আলী দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের মৃত আছান শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন একটি ভবনে ইট ভেজাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক মোটরে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন হাসেম আলী। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shabbi Student Rape Proctor is the head of the three member committee

শাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: প্রক্টরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি

শাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: প্রক্টরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে শনিবার এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো সাইফুল ইসলাম এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক বেলাল শিকদার।

এসব তথ্য জানিয়ে শাবি প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট দেবো। এর সাথে আরও কেউ জড়িত কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী বাদি হয়ে সিলেটের কতোয়ালি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থ’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

আদনান ও পার্থকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় তদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা দু'জনই শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার শান্ত তারা আদনান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের অনুসারী ছিলেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসীূচতে তাকে দেখা গেছে। আদনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড দল ‘নোঙর’-এরও সদস্য ছিলেন।

অপরদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক শিক্ষার্থী স্বাগত দাস পার্থ গত বছরের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছিলেন বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। তার ফেসবুকে প্রোফইলেও জুলাই আন্দোলনের সমর্থনে ছবি যুক্ত রয়েছে। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, পার্থ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তবে তিনি তেমন সক্রিয় ছিলেন না।

এদিকে, পার্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যসংগঠন ‘দৃক থিয়েটার’-এর কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ এবং বিশ্ববিদ্যালের শৃঙ্খলা-বডি সূত্রে জানা যায়- গত ২ মে সন্ধ্যারাতে সহপাঠী শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাস পার্থের সঙ্গে শহরের কনসার্টে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে তারা ওই ছাত্রীকে সুরমা এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন আদনান এবং পার্থ। একইসাথে এই ঘটনার ভিডিও এবং মেয়েটির নগ্ন ছবি ধারণ করেন। পরে ওইসকল ভিডিও ও নগ্ন ছবি দেখিয়ে আদনান এবং পার্থ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এবং ঘটনা জানাজানি করলে ভিডিও ও ছবি অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করলে প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ আদনান এবং পার্থকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। এরপর প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা শেষে তাদেরকে থানায় পুলিশ হেফাজতে নেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। বর্তমানে অপরাধীরা পুলিশ হেফাজতে আছে এবং মামলার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।'

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, 'প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হচ্ছে।'

মন্তব্য

পটুয়াখালীতে একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার

র‍্যাবের অভিযানে ০৫ টি ডাকাতি, ০২ টি অস্ত্র আইনের মামলাসহ মোট ০৯ টি মামলার আসামী জলিল ডাকাতকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-১, র‍্যাব-৮ এবং সিপিএসসি, র‍্যাব-৬, খুলনার যৌথ আভিযানিক দল।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী) এবং র‌্যাব-৬, সিপিএসসি (খুলনা) এর যৌথ গোয়েন্দা ও অভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ জুন ২০২৫ ইং তারিখ বিকেল আনুমানিক ১৭৪৫ ঘটিকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ডাকাতি মামলার মূল হোতা মোঃ আঃ জলিল খাঁন (৪০), পিতা- আলী আকবর খাঁন, সাং-হোসনাবাদ, থানা- বেতাগী, জেলা- বরগুনা’কে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ গিয়াস উদ্দিন একজন প্রবাসী, যিনি সৌদি আরব থেকে ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং দেশে ফেরেন। গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ গভীর রাতে, আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকায় তার মঠবাড়িয়া থানাধীন বাড়িতে একদল সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালায়। ১০-১২ জনের এই ডাকাত দল বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারা ঘরের মালামাল ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা ওই সময় ঘর থেকে প্রায় ৩,৫০,০০০ (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নগদ, ২৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি স্মার্টফোন এবং ১টি ল্যাপটপসহ মোট আনুমানিক ৪৫,২০,০০০ (পঁয়তাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পরপরই র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২১ জুন ২০২৫ তারিখ বিকালে পরিচালিত অভিযানে মোঃ আঃ জলিল খাঁনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sherpur is popular in Sherpur

শেরপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা

আনন্দে মেতে উঠে সব বয়সী মানুষ
শেরপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা

কৃষকের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। কিন্তু নানা কারণে এ খেলাটি দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে শুকনো মৌসুমে শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়ে থাকে এ খেলা। শেরপুর সদরের চরশেরপুর নাগপাড়ায় মই দৌড় খেলার আনন্দে মেতে উঠে কৃষক সহ সাধারণ মানুষ।

শেরপুর জেলার কৃষকদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা। শুকনো মৌসুমে মাঝে মাঝেই জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। যেখানেই আয়োজন করা হয় এ মই দৌড় খেলা, সেখানেই হাজির হয় হাজার হাজার বয়স্ক, যুবক শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাকে অনেকেই এখনো দেখেই নি। নতুন করে এ খেলা দেখে তারা খুব আনন্দ পেয়ে থাকে। যে এলাকায়ই ষাড়ের মই দৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় সেখানেই উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। ১৯ জানুয়ারি এমনই এক খেলার আয়োজন করে উৎসবে মেতে উঠে শেরপুর সদরের চরশেরপুর নাগপাড়া এলাকার মানুষ।

একটি মইয়ে ৪টি ষাড় গরু থাকে। আর এরকম দুটি করে মই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অনেক সময় নির্ধারিত দাগের বাইরে চলে যায় ষাড়ের মই। এতে আউট ধরা হয় ওই মইকে। এখানে থাকে দুজন মইয়াল। আরো থাকে ৩ জন ধরাল। রেফারীরর বাশিঁ ফুকানোর সঙ্গে সঙ্গেই মইগুলোর ষাড়েরা দৌড়ানো শুরু করে। যে মই বিজয়ী হয় তখন তারা মেতে ওঠে আনন্দে। আর চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশুর উল্লাস ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ খেলা দেখাতে পেরে ময়ালরাও অনেক খুশি।

গ্রামবাংলার ষাড়ের দৌড় খেলা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে জানান দিতে নাগপাড়ায় প্রথমবারের মতে এ খেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের আগ্রহের কারণে পরবর্তীতেও আয়োজন করা হবে ঐতিহ্যবাহী ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। এমনটাই জানালেন আয়োজকরা।

বিভিন্ন স্থান থেকে ৮টি মই দৌড় দল এ খেলায় অংশ গ্রহণ করে। এতে জামালপুর জেলা ইসলামপুরের চন্দনপুরের হাবু বেপারি চ্যাম্পিয়ন হয়।

খেলাশেষে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করবে ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহানুর রহমান সাইম, শিক্ষক আসমত আলীসহ আরো অনেকে।

আয়োজক আসমত আলী বলেন, ‘এ খেলার প্রতি কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের আগ্রহ আছে, তাই আমরা প্রতিবছর এ খেলার আয়োজন করব।’

মন্তব্য

p
উপরে