× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Amur called on everyone in the A League to work in unity
google_news print-icon

আ.লীগের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান আমুর

আলীগের-সবাইকে-ঐক্যবদ্ধভাবে-কাজ-করার-আহ্বান-আমুর
ঝালকাঠিতে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আমির হোসেন আমু। ছবি: নিউজবাংলা
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের শক্তি বাড়াতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমু।

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু ও আনিসুর রহমান, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির।

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বলেই বিচারহীনতা দূর হয়েছে: আমু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Conspiracy afoot Many unseen forces are at work Tariq Rahman

ষড়যন্ত্র চলছে, অনেক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে: তারেক রহমান

ষড়যন্ত্র চলছে, অনেক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মাঠে থাকলে বা থাকতে পারলে নির্বাচন যতটা কঠিন হতো, তার চেয়েও আগামী নির্বাচন বেশি কঠিন হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মাঠে থাকলে বা থাকতে পারলে নির্বাচন যতটা কঠিন হতো, তার চেয়েও আগামী নির্বাচন বেশি কঠিন হবে। এখানে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং অনেক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বুধবার ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা যাদের ভাবতাম তারা মাঠে নেই বা মাঠে দুর্বল, আল্লাহর ওয়াস্তে এ কথা মন থেকে সরিয়ে দিন।

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, আপনি যেহেতু এ দলের প্রতিনিধি, আপনার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন। ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল কিংবা স্বেচ্ছাসেবক দল- যা-ই হোন না কেন, আল্লাহর ওয়াস্তে এটা একটু চিন্তা করুন যে বহু ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলতে আমাদের ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হবে। আমাদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে, আচরণ সেরকম হতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিশিরাতের নির্বাচনে, ব্যালট চুরির নির্বাচনে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ম্যান্ডেটে। আমরা সেই নির্বাচনে বিশ্বাস করি, যেখানে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে, স্বচ্ছভাবে, সুন্দরভাবে, নিরাপদে, নিরাপত্তার সঙ্গে ভোট দেবে।

‘সেটা অর্জন করতে হলে আপনাদের অনেক কিছুর পরিবর্তন করতে হবে। আপনাদের আচরণ, চলাফেরা, কথাবার্তা পরিবর্তন করতে হবে। বারে বারে আমি বলছি- আপনারা জনগণকে সঙ্গে রাখুন, জনগণের সঙ্গী হোন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা কেউ ক্ষমতায় যাব না। আপনারা কেউ কিন্তু ক্ষমতায় যাবেন না। আপনারা মানুষের সমর্থন পেলে দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবেন। মানুষ আপনাদের ক্ষমতা দেবে না, মানুষ আপনাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে।

‘পার্থক্যটা বুঝতে হবে। ক্ষমতায় ছিল পলাতক স্বৈরাচার। ওরা জনসমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়নি। ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় ছিল। আমরা দেশ পরিচালনার সুযোগ পেতে চাই জনগণের সমর্থন নিয়ে।’

বিএনপির এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে ১৫ বছরে আমাদের দেশের ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়ে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যেই তা আবিষ্কার করা গেছে। এর মানে ভেতরে আরও অনেক কিছু আছে। দেশের কয়েক বছরের বাজেটের সমান টাকা চলে গেছে।

‘পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। মানি লন্ডারিংয়ের টাকা আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একটা সামঞ্জস্যের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার জন্য একটা ব্যবস্থা করতে হবে।

‘ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লোকাল ফোরামের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু করেছে। আমরা অবজারভ করব, তারা সেটা কতটুকু করতে পারে। যদি পারে তাহলে ভালো, আমরা সেটাকে স্বাগত জানাবো। আর কী পারে সেটা দেখে জনগণ যদি আমাদের ভোট দিয়ে দেশসেবার সুযোগ দেন; তাহলে বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বন্দোবস্ত করেই ছাড়ব।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আন্তর্জাতিক ফোরামের সহযোগিতা নেব। তবে এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে যে প্রাইভেট সংস্থাগুলো আছে; তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। আমাদের দেশের সম্পদ (পাচার হওয়া টাকা) দেশের মানুষের সম্পদ যে এনে দিতে পারবে; আমরা তার সঙ্গেই কথা বলব, বসব।’

আরও পড়ুন:
দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশবাসী স্বৈরাচার বিদায় করেছে, এবার দেশ গড়ার পালা: তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: তারেক রহমান
সংসদ ও সরকার গড়ার পথে ইসি গঠন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP also wants election roadmap along with national unity
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ড. মোশাররফ

জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে নির্বাচনি রোডম্যাপও চায় বিএনপি

জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে নির্বাচনি রোডম্যাপও চায় বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করা হয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মিলে আমরা মোকাবিলা করব। আর জনগণ রোডম্যাপ পেয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র এখন দেখতে পাচ্ছেন সেসব করার কেউ সাহস পাবে না।’

জাতীয় ঐক্যের ডাকের সঙ্গে বিএনপি একমত। তবে সেসঙ্গে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চায়। নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ হয়ে গেলে আর কেউ ষড়যন্ত্র করার সাহস পাবে না বলে মনে করে দলটি।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এর আগে তার নেতৃত্বে বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

‘জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করা হয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রকেও এদেশের ছাত্র-জনতা মিলে আমরা সবাই মোকাবিলা করব।’

ড. মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ওয়াদাবদ্ধ। তাই আমরা বলেছি অতি দ্রুত সংস্কার সাধন করে নির্বাচনের জন্য একটা রোডম্যাপ দিতে। জনগণ রোডম্যাপ পেয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করার সাহস পাবে না।’

বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এই ডিসেম্বরে লাখো মানুষের শাহাদাতের বিনিময়ে গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য স্বাধীনতা পেয়েছে। আজকের এই বিজয়ের মাসে আমাদের সবার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব এই দেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পতিত সরকার বিদেশ থেকে যে ষড়যন্ত্র করছে সেই ফ্যাসিস্ট, পতিত সরকারের বিরুদ্ধে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন।’

বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছি যে জনগণ যেমনিভাবে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে, তাদের এবং তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের ষড়যন্ত্রকে সেভাবে এদেশের ছাত্র-জনতা সবাই মিলে মোকাবিলা করব।’

আরও পড়ুন:
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি  
দ্বিকক্ষ সংসদ, উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টিসহ সংবিধান সংস্কারে ৬২ প্রস্তাব বিএনপির 
দ্বন্দ্ব-সন্দেহ নয়, ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে নজর বিএনপির
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Support peacekeeping forces in diplomatic missions in India
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রিজভীর আহ্বান

ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নিন

ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নিন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলছেন। কিন্তু ভারতেই তো বাংলাদেশের মিশনগুলো অরক্ষিত। তাই বাংলাদেশে নয়, ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার। একইসঙ্গে কাশ্মীর, আসাম, মনিপুরেও শান্তিরক্ষী পাঠানো প্রয়োজন।’

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নিতে অন্তর্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। সূত্র: ইউএনবি

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘উগ্রবাদীরা ভারতের বিজেপির উস্কানিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নিষ্ক্রিয় উপস্থিতিতে আগরতলার কুঞ্জবনে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে তাতে আগুন দেয়া, পতাকার খুঁটি ভাঙচুর ও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ অবস্থায় অন্তর্বতী সরকারের উচিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা চাওয়া। মানুষদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আগরতলায় কূটনৈতিক মিশনে এহেন নজিরবিহীন হামলা ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন, ১৯৬১-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

‘ভারত সরকার হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও অতীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের আগ্রাসী হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, যা আরও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।’

রিজভী বলেন, ‘ভারতের হিন্দুদের বলব- আপনাদের বন্ধুত্ব তো হাসিনার সঙ্গে। সেই বন্ধুত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যে শত্রুতায় নেমেছেন, সেটা সৎপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ নয়। হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে আপনাদের বন্ধু হাসিনা আপনাদের কাছে আশ্রয় পেয়েছে। তাকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন।

‘মনে রাখবেন, বাংলাদেশ লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, দিল্লির দাসত্ব করতে নয়। বরং যিনি সেবাদাসী হতে চেয়েছিলেন, সেই দাসী এখন আপনাদের পদতলে।

বিএপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি পাগল হয়ে গেছে বিজেপি সরকার ও উগ্রবাদীরা। মরিয়া হয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলছেন।

রিজভী বলেন, ‘ভারতেই তো বাংলাদেশের মিশনগুলো অরক্ষিত। মিশনের একজনকে আমরা ভিডিওতে ভাইরাল হতে দেখেছি, কী বেদম প্রহার করা হচ্ছে! তারপরও মমতা ব্যানার্জি বলবেন, বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার না ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার?’

একই সঙ্গে কাশ্মীর, আসাম এবং মনিপুরেও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করেন রিজভী।

মমতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আগে নিজের দেশ সামলান। শান্তিরক্ষী বাহিনী আপনার দেশ ভারতে মোতায়েন করুন। বিশেষ করে কাশ্মীর, আসাম ও মনিপুরে। নরেন্দ্র মোদির এক দশকের শাসনামলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ক্রমশ কমে আসছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) মুসলিমবিরোধী বলে অভিযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করেছে মোদি সরকার। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়েছে রামমন্দির। একাধিক রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে মুঘল আমলের বিভিন্ন নাম ও স্মৃতিচিহ্ন।’

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগগুলো তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা।

‘ভারতের পরিকল্পনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখা’

রিজভী বলেন, ‘ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অসংখ্য নির্মমতার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত…। সেসব নিয়ে দেশটির কোনো সংকোচ বা অনুশোচনা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের মাস্টারপ্ল্যানের পরিস্থিতিতে তারা অযাচিত উদ্বেগ-উগ্রতা প্রকাশ করছে। সেই পরিস্থিতি কিছুই না, দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

‘কিন্তু ভারতের মাস্টার প্ল্যানের অংশ হচ্ছে- বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করো, বাংলাদেশ যাতে সঠিকভাবে চলতে না পারে…। এটাই হচ্ছে তাদের আন্তর্জাতিক মাস্টার প্ল্যান এবং এখানে বাইরের একটি দেশ জড়িত বলে বাংলাদেশের জনগণ মনে করে।’

ভারতকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত। কিন্তু শত্রুতা করতে চাইলে সেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মেনে নেবে না। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবেন না।’

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবৈধ কর্মে লিপ্ত থাকার অপরাধে ইসকন থেকে বহিষ্কারের উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘চিন্ময়কে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কি শিশুর ওপর অত্যাচারকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়? এটা তো বড় প্রশ্ন দেশের মানুষের। চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইসকনই করেছে।’

‘দেশের সব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান- যারাই নিরাপত্তাহীন মনে করেন তারা সরকারকে জানান। সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লাভ নেই।

‘জন্মভূমির প্রতি অনুগত থাকুন। এই মৃত্তিকায় যদি আপনার জন্ম হয় এই মৃত্তিকার প্রতি এই মাটির প্রতি আপনি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। বিজেপি ভারতকে ধর্মীয় উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ভারতের মতো উগ্রবাদী কোনো ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র ভেবে কত কিছু দিয়েছে। কিন্তু ভারত সীমান্তে রক্ত, লাশ আর আগ্রাসন ছাড়া কিছু দেয়নি।’

‘বাংলাদেশে অস্থিরতার অপচেষ্টা বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে’

রিজভী বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো কিছু ধর্মীয় উগ্রবাদী ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ভারতের চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে ও উসকানিতে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান- এই উগ্রবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করুন।

‘ভারতের সাধারণ জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু চরম উগ্রবাদী বিজেপি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষ এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও সম্মান-আত্মমর্যাদা রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে।’

আরও পড়ুন:
আমরা একটি এজেন্ডা নিয়ে বসে থাকতে পারি না: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা জেনেভা কনভেনশনের বরখেলাপ: বিএনপি
ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demonstration of the Islamic movement against the attack on the Bangladesh mission

বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বায়তুল মুকাররমের সামনে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বাংলাদেশ মিশনে হামলার তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতনের খবর পেয়েছি। আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এ ধরনের আচরণ সহ্য করব না।’

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ ও মিছিল করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। আমাদের ১৫ কোটি মানুষের শক্তিশালী ৩০ কোটি হাত সাম্যের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই হামলার তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতনের খবর পেয়েছি। তারা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এই ধরনের আচরণ সহ্য করব না।’

সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। ভারতীয় মন্ত্রীদের আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। মুসলিম, খ্রীষ্টান, হিন্দু সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।’

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ভারত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশে সংঘাত উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে।’

ভারত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মুকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকা হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে গত সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা।

আরও পড়ুন:
আমরা একটি এজেন্ডা নিয়ে বসে থাকতে পারি না: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tariq Rahman calls on the countrymen to remain calm
আঞ্চলিক উত্তেজনা

দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের

দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অংশীজনদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা কোনো দেশের স্বার্থে আসবে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক শ্রেণীর ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী উস্কানিমূলক অপপ্রচারের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক উত্তেজনায় দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল (এক্স ও ফেসবুক)-এ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বাংলাদেশকে ঘিরে ভারতীয় গণমাধ্যমে উস্কানিমূলক ও রাজনৈতিক বক্তব্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা এই বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তারেক রহমান এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি করেন, ‘ভারতীয় ভাষ্যকাররা অপতথ্যের ধূম্রজাল সৃষ্টি করে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

‘আগরতলায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলা বিভ্রান্তির ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার প্রমাণ। এ ধরনের ঘটনা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও গভীর করার ঝুঁকি তৈরি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে ঠিক কী কারণে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলেন, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে এবং কেন বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য- তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অংশীজনদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা কোনো দেশের স্বার্থে আসবে না।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং নেতৃবৃন্দ থেকে মুক্ত হয়ে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

তারেক রহমান শেখ হাসিনার প্রস্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ভারতে তার ফ্লাইটের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় সম্প্রীতি ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘বাংলাদেশ মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের দেশ ছিল এবং থাকবে। এদেশে জাতি, বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত রয়েছে।’

তারেক রহমান উস্কানির ফাঁদে বাংলাদেশিদের পা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানান।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার সহকর্মী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য ও কোনো ধরনের উস্কানির ফাঁদে পা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

জাতি যখন হাসিনা-পরবর্তী রাজনৈতিক দৃশ্যপট ও ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক সমস্যা মোকাবিলা করছে, ঠিক সেই সময়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেয়া হলো।

তারেক রহমান বিরোধীদের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার এই অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করে সবার প্রতি শান্তি বজায় রাখা এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে বলেন।

আরও পড়ুন:
শহিদ নাফিজের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: তারেক রহমান
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দাওয়াত
‘দেশনায়ক’, ‘রাষ্ট্রনায়ক’ সম্বোধন চান না তারেক রহমান
বিএনপি শহিদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on Assistant High Commission of Bangladesh Violation of Geneva Convention BNP

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা জেনেভা কনভেনশনের বরখেলাপ: বিএনপি

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা জেনেভা কনভেনশনের বরখেলাপ: বিএনপি ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের সদস্যরা আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আক্রমণ করে। ছবি: বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ
ভারত সরকার ও জনগণের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে, আপনাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে ঘৃণার ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে।’

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উগ্রবাদীদের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।

ফখরুল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের উত্তর আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উগ্রবাদীদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে আক্রমণ করেছে, তা পূর্বপরিকল্পিত বলে ধারণা হয়।

“সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেয়া এবং ভাঙচুর করা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।”

ভারত সরকার ও জনগণের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে, আপনাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে ঘৃণার ব্যবহার উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে।

‘আমরা আশা করব যে, নতুন বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতীয়রা শ্রদ্ধাশীল হবেন ও বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনকালে যে সকল নেতা ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ফিরিয়ে দিয়ে বিচারে সহায়তা করবেন।’

আরও পড়ুন:
প্রমাণ হলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক: ফখরুল
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আশাবাদী ঢাকা
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
তারেকের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাজ্যের পথে ফখরুল 
ভারতের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট, অগ্রহণযোগ্য: নজরুল ইসলাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demonstrations in DU against the attack on the Deputy High Commission of Bangladesh

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ ঢাবি ক্যাম্পাসে সোমবার রাতের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অ্যাকটিভিস্ট জাহিদ আহসান বলেন, ‘আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে খেলা হবে সমানে সমান। কোনো রাজা-প্রজার সম্পর্ক থাকবে না। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।’ 

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সোমবার রাতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ একাধিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অ্যাকটিভিস্ট জাহিদ আহসান বলেন, ‘আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে খেলা হবে সমানে সমান। কোনো রাজা-প্রজার সম্পর্ক থাকবে না। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।’

সমাবেশের একপর্যায়ে সেখানে মিছিল নিয়ে যোগ দেন জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা।

ওই সময় তারা ‘হিন্দু মুসলিম ঐক্য করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, চলবে না চলবে না’, ‘দূতাবাসে হামলা, জগন্নাথ হল মানবে না’ ধরনের স্লোগান দেন। ওই সময় বাকি শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

সমাবেশে জগন্নাথ হলের ছাত্র জয় পাল বলেন, ‘ধর্ম,বর্ণ, জাত-পাত নির্বিশেষে আমরা সকলেই বাংলাদেশি। এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সকলেই এক।

‘বাংলাদেশের সনাতনীসহ সকল নাগরিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসে যে হামলা হয়েছে, সেটির বিরুদ্ধে শুধু জগন্নাথ হল নয়, সকলের উচিত প্রতিবাদ জানানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে আমাদের উদ্দেশে বলা হয়, আমরা নাকি ভারতের দালাল।

‘আমরা যদি ভারতের দালালই হতাম তাহলে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সংহতি জানাতে আমরা এখানে আসলাম কেন?’

পরবর্তী সময়ে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন বিভাজন না করা হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান জয় পাল।

ছাত্রদলের প্রতিবাদ

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভারত সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সহিংস ঘটনার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত অবস্থান উক্ত ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের মৌন সম্মতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।

‘বিগত ২৮ নভেম্বরে কলকাতায়ও একই ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যা একটি বিপজ্জনক পরম্পরা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান, হামলার ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য ভারত সরকার ও রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের ঘটনাগুলো শুধু গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন বলা যাবে না: ভারত
সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয়, আপত্তিকর: আইন উপদেষ্টা
কলকাতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ড. ইউনূসের কুশপুতুল পোড়ানোয় ঢাকার নিন্দা
‘ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়ুন’
দ্বিতীয় টেস্টে সমতা ফেরাতে চায় বাংলাদেশ

মন্তব্য

p
উপরে