মানিকগঞ্জের শিবালয়ের যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে আহসান হাবিব নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শিবালয়ের জাফরগঞ্জের নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আহসান হাবিবের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি কুনপাড়া গ্রামে। তিনি সাভারের আশুলিয়া এলাকার নাসা গার্মেন্টেসের জেনারেল ম্যানেজার (ওয়াশিং) পদে কর্মরত ছিলেন।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি তার খোঁজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গোসল করার একপর্যায়ে নদীর শ্রোতে ভেসে ডুবে যান তিনি। এখনো তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূকে বাবার বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নালিতাবাড়ী পৌর এলাকার কালিনগর মহল্লায় বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় রহুল আমিন নামের এক যুবক ও তার ভাবিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৫ বছরের রহুল মাদক সেবন করতেন বলে জানা গেছে।
১৮ বছরের দিতি খাতুন কালিনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলা করেন মুছা মিয়া।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘আসামিদের আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।’
স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকার খাইরুল ইসলামের সঙ্গে দিতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে তার বাবার বাড়ি কালিনগর রেখে খাইরুল কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান। এ সময় রাহেলার ডাক শুনে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে রহুল দা দিয়ে দিতির মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা উপজেলায় দিতির মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহেলাকে আটক করে ও রহুল আমিনকে খুঁজতে থাকে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই ঘটনাস্থলে পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে।’
এ ঘটনায় দিতির মা মনোয়ারা বেগম জানান, রাতের খাওয়া শেষে তারা ঘুমাতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাহেলা এসে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। দিতি দরজা খোলা মাত্রই রহুল তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাহেলাও চলে যান। তখন পুলিশে খবর দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে তারা আমার মেয়েডারে মারল আমরা জানি না। আমার মেয়ের খুনিদের বিচার চাই।’
এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও ওসি বাদল।
ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে দ্রুতই আমরা আসল ঘটনা উদ্ধার করতে পারব।
‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।’
আরও পড়ুন:বরিশালের আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিদ্যানন্দপুরেও এগিয়ে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে বিদ্যানন্দপুরের একটি কেন্দ্রে ৮৯ জনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ মিল না হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রের ভোট কবে নাগাদ হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আন্ধারমানিক ও বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বুধবার।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোটের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের নাসির উদ্দিন খোকন ৪২১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার বিপরীতে নৌকা প্রতীকের আলাউদ্দিন কবিরাজ ৩৬০১ ভোট পেয়েছেন।
এই ইউনিয়নে শতকরা ৫৭ দশমিক ৭৫ ভাগ ভোট পড়েছে।
বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত হয়েছে। তবে সেখানে ৩২৫৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের শাহে আলম মীর এবং দ্বিতীয় অবস্থানে ২৩৪২ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের জব্বার খান।
বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা নারী-পুরুষ মিলিয়ে বারো হাজার ৯৫ জন এবং আন্ধারমানিকে সতের হাজার ৫১৩ জন ভোটার রয়েছে।
আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ১২ জুন দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
এর আগে ১৩ জুন নির্বাচন কমিশন এই দুই ইউনিয়নে নির্বাচনী পরিবেশ না থাকায় ১৫ জুন নির্ধারিত ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন:সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লাগাওয়ের জহুর আলীর মাটির ঘর বন্যায় একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে মাটির বেড়া; উড়ে গেছে টিনের চালাও।
পানি নামার পর এখন ঘর মেরামতের কাজ করছেন জহুর।
তিনি বলেন, ‘একজন কিছু টিন দিয়ে সহায়তা করেছে। বাকি টাকা ধারকর্য করে জোগার করে ঘর মেরামত করছি। ঘর ঠিক না করলে তো খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।’
চলমান বন্যায় ঘর হারিয়েছেন জহুরের মতো অনেকেই।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে সিলেটের ১৩ উপজেলায় ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটি আংশিক, কোনোটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত।
সিলেট সিটি করপোরেশনের হিসাবে নগরে এই সংখ্যা প্রায় এক হাজার। সব মিলিয়ে সরকারি তথ্যেই জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ৪১ হাজারের বেশি।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
‘বন্যায় যারা ঘর হারিয়েছেন, তাদের ঘর সরকারি উদ্যোগে মেরামত করে দেয়া হবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, ‘নগরে হাজারখানেক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা আমরা প্রস্তুত করছি। এরপর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’
বন্যায় ঘর হারা সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজার এলাকার লায়েক মিয়া বলেন, ‘সরকার থেকে কখন ঘর বানিয়ে দেয়া হবে আর আমরা কখন ঘরে উঠবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। তার আগে আমরা কোথায় থাকব? আমাদের তো থাকার কোনো জায়গা নেই এখন।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনসহ ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৩০ লাখ লোক পানিবন্দি ছিলেন। সবশেষ পাওয়া তথ্যের হিসাবে, জেলার ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
টানা কয়েক দিন কমার পর বুধবার থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের প্রধান নদ-নদীর পানি। বুধবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়েও। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে থেকে ‘শত বছরের’ পুরোনো মূর্তিসহ বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন জব্দ করেছে পুলিশ।
ভারতের কলকাতা থেকে আসা গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাস থেকে বুধবার রাত ১টার দিকে এসব মালামাল উদ্ধার করে পদ্মা দক্ষিণ থানা পুলিশ।
এ সময় অবৈধভাবে মূল্যবান মূর্তি পরিবহনের দায়ে জসিম উদ্দিন নামের এক বাসযাত্রীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলকাতা ছেড়ে আসা গ্রীন লাইনের বাসটিতে অভিযান চালিয়ে শত বছরের পুরোনো মূল্যবান ৩টি সিংহের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কারুকাজ করা ১টি কলস, বিভিন্ন ধরনের পুরাকীর্তিসহ দুটি ভিডিও ক্যামেরাও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এসব মূল্যবান পুরাকীর্তি পরিবহনের অভিযোগে জসিম উদ্দিনকে আটক করা হয়। এসব পণ্যের কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। উদ্ধারকৃত মালামাল পদ্মা দক্ষিণ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এসপি আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘মূর্তিগুলো কষ্টি পাথরের হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে পরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:জাতীয় নারী দলের ফুটবলার রিতুপর্ণা চাকমার ছোট ভাই পার্বন চাকমা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে বুধবার দুপুর ১টার দিকে মারা যান পার্বন।
১৭ বছরের পার্বন চাকমা কাপ্তাই কর্ণফুলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছয় ভাইবোনদের মধ্যে পার্বনই একমাত্র ভাই। ছোটবেলায়ই তারা তাদের বাবাকে হারান।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করতে গিয়ে পার্বন বিদ্যুতায়িত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈকত আকবর (আরএমও)বলেন, ‘পার্বন চাকমাকে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়।’
ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে পার্বনের মরদেহ পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:আসন্ন কোরবানি ঈদে যশোরে চাহিদার চেয়েও পশুর সরবরাহ বেশি বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর। এতে কোরবানির পরও জেলায় ৪ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি হওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জেলার পশু খামারিরা। পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে তাদের ব্যয় বেড়েছে অনেক। সেই অনুযায়ী দাম না পেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে যশোর জেলায় গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজার ১৮৮টি। এর মধ্যে গরু ২৭ হাজার ৯৫৫টি, ছাগল ৬২ হাজার ৬৭৬টি ও ভেড়া ৫৫৭টি।
বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৯৫ হাজার ৭১০টি পশু। এর মধ্যে গরু ২৯ হাজার ১৭০, ছাগল ৬৫ হাজার ৯৮৩ এবং ভেড়া ৫৫৭টি। উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৫২২টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২১৫টি গরু আর ছাগল ৩ হাজার ৩০৭টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর আরও জানিয়েছে, যশোরের ৮ উপজেলায় মোট ২১টি পশুহাট রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে এই হাটগুলোতে মোট ২৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ পশু যেন হাটে বিক্রি না হয়, তার দেখভাল করবে এই টিমগুলো।
যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের খামারি জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি কোরবানির জন্য ৫টি গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন। প্রতিদিন একটি গরুর পেছনে তার ব্যয় হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা।
গতবার চাহিদা অনুযায়ী পশু বিক্রি করতে পারেননি দাবি করে তিনি বলেন, ‘করোনা না থাকায় আশা করছি এবার ভাল দামে গরু বিক্রি করতে পারবো।’
অভয়নগর উপজেলার মশরহাটি গ্রামে রয়েছে পরশ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ২০২টি গরু। কোরবানির পশুহাটে গরুগুলো বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যিকভাবে গরু লালন-পালন করি। আমাদের খামারের সব গরু দেশি প্রজাতির। ক্রেতাদের পছন্দ হবার পর আমরা দরদাম করে গরু বিক্রি করব।’
খামারিরা জানিয়েছেন, গত দুই বছর করোনার মধ্যে কোরবানি ঈদ হয়েছে। ফলে লকডাউনসহ অর্থনৈতিক কারণে কোরবানি কম হয়েছে। পশু বিক্রি কম হওয়ায় খামারিদের লোকসানও গুণতে হয়েছে। এ বছর করোনামুক্ত ঈদ হওয়ায় তারা আশায় বুক বেঁধেছেন।
খামারিরা আরও জানান, অধিকাংশ খামারি নিজেদের গচ্ছিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি বিনিয়োগ করে কুরবানির পশু পালন করছেন। আবার অনেকের রয়েছে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ। চাহিদার উদ্বৃত্ত থাকায় দেশি পশুতেই এবার কোরবানি হবে। কিন্তু সেটির প্রভাব দামের উপরে পড়ে কিনা তা নিয়েও দুশ্চিন্তা রয়েছে।
এদিকে, পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় গরু ছাগল লালন পালনে খরচও অনেক বেড়েছে। ব্যাপারীরা ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু ছাগল দেখছেন। কিন্তু তারা দাম বলছেন চাহিদার তুলনায় কম। ফলে দাম নিয়ে শঙ্কা থাকলেও খামারিরা আশা করছেন, পুরোদমে হাট শুরু হলে ভাল দাম পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, ‘যশোর জেলায় এবার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে গরু-ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। ইতোমধ্যে কোরবানির পশুহাট শুরু হয়েছে। জেলার হাটগুলোর জন্য ২৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সুস্থ ও সবল পশু ক্রয়-বিক্রয়ে সহযোগিতার জন্য এই টিমগুলো হাটে কাজ করছে। আমরা খামারিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করছি।’
আরও পড়ুন:নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি, তবে নিহত দুজনই পুরুষ।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ গ্রামের নামাপাড়া বাজার এলাকায় দুটি কাভার্ড ভ্যান একটি আরেকটিকে অভারটেক গিয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন পুরুষ পথচারী নিহত হন। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।’
ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।’
মন্তব্য