ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জের নদনদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর উপচে পড়া পানিতে পৌর শহরে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক শ মানুষ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জেলায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব নতুনপাড়া, মরাটিলা, শান্তিবাগ ও নবী নগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাঁটুসমান পানি জমেছে এসব এলাকায়। প্রায় সব ঘরেই পানি ঢুকেছে। অনেকের রান্নাঘরে পানি ঢোকায় খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
মরাটিলা এলাকার বাসিন্দা রিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার ঘরে কোমর পানি। ঘরের চুলা দুদিন হলো বন্ধ। পানির দুর্গন্ধের মধ্যেই কষ্ট করে কোনো রকম ঘরে থাকছি। ছেলেমেয়ে কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারছে না।’
একই এলাকার সবিতা রানী দে বলেন, ‘পানি আইয়া বিপদের মধ্যে আছি। রান্নাবান্না সব বন্ধ, বাজারের গাড়িও আয় না। আর এর মধ্যে গিয়া কর্তা অনেক কষ্ট করি বাজার থাকি হোটেলের খাবার আনিয়া খাইরাম।’
পানির মধ্যেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জে ২২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যোগাযোগপথ ও আঙিনা প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে হাঁটুসমান পানি থাকায় ২৮টিতে সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের অনেক স্কুলে পানি ঢোকায় পরীক্ষা দিতে এসে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষা দিতে আসা তন্ময় সেন বলেন, ‘ঘরের কাপড় পরেই হাঁটুপানির মধ্যে হেঁটে পরীক্ষা দিতে যাই। কেন্দ্রে গিয়ে সেই পোশাক পরিবর্তন করি।’
তাহিরপুর ভ্রমণ না করতে প্রশাসনের অনুরোধ
ঢলের পানির কারণে এ দুর্যোগের মধ্যে পর্যটকদের তাহিরপুর উপজেলা ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ অনুরোধ জানান।
সেখানে তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে তাহিরপুরের প্রতিটি নদনদী, হাওর ও খালবিল কানায় কানায় পানিতে পূর্ণ।
এ দুর্যোগের সময় নদী ও হাওরের পানিতে প্রচুর ঢেউ হচ্ছে যা চলাচলকারী নৌকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি অসংখ্য বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটছে। তাই এ সময়ে নদী ও হাওরে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ করেন তিনি।
ভ্রমণ করলেও এ সময় পর্যটকদের সতর্কতা অবলম্বনসহ লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা সঙ্গে রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও রায়হান কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমরা বর্তমানে হাওরে ভ্রমণে না আসতে অনুরোধ জানিয়েছি। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কর্তৃপক্ষ যা বলছে
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘শুক্রবার সুরমার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তবে এটি বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা কম। তবে ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। একই সঙ্গে নদনদীর পানি আরও বাড়তে পারে।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার্তদের সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করছি।’
আরও পড়ুন:রাজশাহী নগরীতে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মহানগর হাকিম আদালত-১-এর বিচারক রেজাউল করিমের আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে আনিম ওরফে আনিন ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২২ বছর বয়সী আনিমের বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানার মিরের চক সাধুর মোড়ে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম জানান, রোববার রাতে হেতেমখাঁ এলাকায় ১৭ বছরের মো. সনি হত্যার ঘটনায় সোমবার বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন সনির বাবা রফিকুল ইসলাম পাখি।
নয়জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে তিনি এই মামলা করেন। মামলার পর সোমবার রাত ১টার দিকে বালিয়াপুকুর এলাকা থেকে আনিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, দুপুরের পর আনিমকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আনিমকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।
অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল বলেন, ‘এই হত্যার পেছনে কিশোরদের দুটি গ্যাংয়ের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নিহত সনির নামে মারামারির দুটি মামলা আছে। এগুলো চলতি বছরের ঘটনা।
‘আসামিদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দুই গ্রুপের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শিগগিরই সব আসামি ধরা পড়বে।’
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে রোববার রাত ৯টার দিকে তৈয়বুর ও সনিকে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। হেতেমখাঁ এলাকায় তারা দুজনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে ব্যবসায়ী গাজী আনিসের আত্মাহুতির ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক গোলাম হোসেন খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবারের ঘটনার পর থেকে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ফোন নম্বরও বন্ধ।
প্রসাধনসামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি হেনোলাক্সে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত না পেয়ে হতাশায় সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দেন ৫০ বছর বয়সী ব্যবসায়ী গাজী আনিস। মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক জানিয়েছিলেন আনিসের মুখমণ্ডলসহ শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
স্বজনরা জানান, গাজী আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামে। তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন বিশ্বাস মারা গেছেন। ছয় ভাইয়ের মধ্যে আনিস তৃতীয়।
গাজী আনিস সবশেষ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছিলেন। আবার অংশীদারত্বে ব্যবসা করছিলেন। হেনোলাক্স কোম্পানিতে তিনি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এই টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানান স্বজনরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করেই গাজী আনিস নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আশপাশের মানুষ দৌড়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে তার শরীরের অনেকটা দগ্ধ হয়।
উদ্ধারকারীদের একজন স্বদেশ বিচিত্রার রিপোর্টার। তিনি বলেন, ‘বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
‘হাসপাতালে আনার পথে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। দগ্ধ ব্যক্তি জানান, তিনি হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। ওই কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে চার মাস আগে তিনি মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। সেই হতাশা থেকে তিনি গায়ে আগুন দিয়েছেন।’
গাজী আনিসের ভাই গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। তিনি হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই টাকা উদ্ধারে চেষ্টা করে আসছিলেন।’
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক গোলাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, আত্মহত্যার চেষ্টাকারী আনিস হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। ওই টাকা উদ্ধারে দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।’
পাওনা টাকা উদ্ধারে গাজী আনিস দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে গত ২৯ মে তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন। সেখানে তিনি জানান, ২০১৬ সালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার মো. নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্রে ২০১৮ সালে তিনি এই টাকা হেনোলাক্স গ্রুপে বিনিয়োগ করেন।
গত ৩১ মে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সব শেষ স্ট্যাটাস দেন গাজী আনিস। সেখানেও হেনোলাক্সের মালিক মো. নূরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিচার দাবি করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও কামনা করেছিলেন তিনি।
ওই স্ট্যাটাস থেকে জানা গেছে, গাজী আনিস নামে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম মো. আনিসুর রহমান। নিজের লেখা নিয়ে উচ্চ ধারণা পোষণ না করলেও নিজেকে কবিতাপ্রেমী মানুষ বলেও দাবি করেছেন আনিস।
তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী ভাই বোন বন্ধু। আমি মো. আনিসুর রহমান (গাজী আনিস) একজন কবিতা প্রেমিক মানুষ। নিজে হয়তো ভালো কবিতা লিখতে পারি না, কিন্তু আমি ভীষণ ভাবে কবিতা ভালবাসি।’
নিজেকে একজন ব্যবসায়ী দাবি করে জীবনে প্রচুর উপার্জন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আনিস লিখেছেন, ‘আমার রোজগারের সবচেয়ে বড় অংশ স্থানীয় স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ এবং অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি, সেইসাথে নিজেও সুখী স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সৎ জীবন যাপন করেছি।’
দীর্ঘ স্ট্যাটাসে উঠে আসে হেনোলাক্সের মালিকের সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্ক গভীর হওয়ার বিভিন্ন দিক।
আনিসুর রহমান লিখেছেন, ‘২০১৬ সালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার মো. নূরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের সাথে আমার সখ্যতা এবং আন্তরিকতা গড়ে উঠে। আমি কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি এবং কুষ্টিয়া শহরেই বসবাস করি।’
কাজেকর্মে ঢাকায় যাতায়াত করতে হতো আনিসকে। যার মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত দম্পতির সঙ্গে তার সখ্য আরও গভীর হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আনিস লিখেছেন, ‘তবে প্রতিমাসেই নিজের প্রয়োজনে ঢাকা এলে তাদের সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হতো এবং উপহার বিনিময় ও ভালো রেস্তোরাঁয় আমরা একসাথে খাওয়া-দাওয়া করতাম এবং বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতাম। যেহেতু আমি স্বাচ্ছন্দ্য দিনযাপনে অভ্যস্ত এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী নিজস্ব গাড়িতেই সব সময় যাতায়াত করি। আমি মো. নুরুল আমিন এবং ফাতেমা আমিনের সঙ্গে নিজের খরচায় দেশের বাইরেও একাধিকবার বেড়াতে গিয়েছি।’
বিদেশে বসেই ওই দম্পতি তাকে হেনোলাক্সে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে স্ট্যাটাসে।
তিনি লেখেন, ‘২০১৮ সালে কলকাতা হোটেল বালাজীতে একইসাথে অবস্থান কালে উনারা আমাকে হেনোলাক্স গ্রুপে বিনিয়োগের এবং যথেষ্ট লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে বলে জানান। আমি প্রথমে অসন্মতি জ্ঞাপন করলেও পরবর্তীতে রাজি হই এবং প্রাথমিক ভাবে এককোটি টাকা বিনিয়োগ করি। পরবর্তীতে তাদের পীড়াপীড়িতে আরও ছাব্বিশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করি (অধিকাংশ টাকা ঋণ হিসেবে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে নেয়া)।’
১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলেও সেটির প্রমাণ সাপেক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো কাগজপত্র না থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন আনিস।
তিনি লিখেছেন, ‘বিনিয়োগ করার সময় পরস্পরের প্রতি সম্মান এবং বিশ্বাসের কারণে এবং তাদের অনুরোধে চূড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তি করা হয়নি তবে প্রাথমিক চুক্তি করা হয়েছে। বিনিয়োগ-পরবর্তী চূড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র সম্পাদন করার জন্য বারবার অনুরোধ করি, কিন্তু উনারা গড়িমসি করতে থাকেন।
‘একপর্যায়ে উনারা প্রতিমাসে যে লভ্যাংশ প্রদান করতেন সেটাও বন্ধ করে দেন এবং কয়েকবার উনাদের লোকজন দ্বারা আমাকে হেনস্তা ব্ল্যাকমেইল করেন এবং করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে লভ্যাংশ’সহ আমার ন্যায্য পাওনা তিনকোটি টাকার অধিক।’
প্রতিকার চেয়ে কুষ্টিয়ার আদালতে মামলাও করেছিলেন মো. আনিসুর রহমান। মামলার কাজ আদালতে চলমান থাকলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি অবশ্য উল্লেখ করেননি।
স্ট্যাটাসটি লেখার দুদিন আগে অর্থাৎ ২৯ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও এ ঘটনার প্রতিকার চাওয়ার বিষয়টিও যোগ করেন স্ট্যাটাসে। আনিস দাবি করেন, এ বিষয়ক তথ্য তুহিন আহমেদ ও রাজু হামিদের কাছে রয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বরও শেয়ার করেছেন তিনি।
স্ট্যাটাসের শেষ দিকে এসে তিনি লিখেছেন, ‘ভীষণ মানসিক নিপট খরায় আমি উল্লেখিত তথ্যাদি উপস্থাপন করলাম। আমার সামনে বিকল্প পথ না থাকায় ফেসবুকেও সবাইকে জানালাম।
‘আমি এই প্রতারক দম্পতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করছি। সেইসাথে যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী তারাও সোচ্চার হবেন বলে আশা করছি।’
ব্যক্তিজীবনের তিন কন্যার পিতা আনিস। বড় মেয়ে মেধা রহমান আঁচল এইচএসসি পরীক্ষার্থী, মেজো মেয়ে প্রতিভা রহমান অহনা এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট মেয়ে জয়িতা রহমান অবনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে বলেও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সবাইকে জানান আনিস।
আরও পড়ুন:গত ১৫ জুন বানের পানি উঠেছিল ফরিদ মিয়ার ঘরে। ২০ দিনেও তা নামেনি। রোদ উঠলে পানি একটু কমে, বৃষ্টি হলে আবার বেড়ে যায়।
ফরিদ মিয়ার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে। মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেন, ‘পানি মনে হচ্ছে চোর পুলিশ খেলছে। দিনের বেলা রোদ উঠলে পানি একটু কমে, রাতের বেলা বৃষ্টি হলে আবার বেড়ে যায়।
‘২০ দিন ধরেই পানির ওপর আছি। পা একেবারে পচে গেছে। নিজেকে এখন জলে বাস করা প্রাণী মনে হচ্ছে।’
সিলেটে সুরমা নদীর দক্ষিণ পাড়ের উপজেলার নাম দক্ষিণ সুরমা। এখানকার অনেকটা অংশ সিলেট সিটি করপোরেশনের আওতাধীন। সিটি করপোরেশন ও উপজেলা মিলিয়ে দক্ষিণ সুরমার ১৪ থেকে ১৫টি এলাকা ২০ দিন ধরে জলমগ্ন হয়ে আছে। দীর্ঘদিনেও পানি না নামায় এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
‘সে সময়ও তেমন পাত্তা দিইনি। এর পরদিনই পানি বেড়ে বুক সমান হয়ে যায়। এতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে থাকা প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ভেসে গেছে। এখন পথে বসার উপক্রম।’
এদিকে এসব এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজম খান বলেন‘, ত্রাণ পর্যাপ্ত বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ তিনি বিতরণ করছেন।’
২০ দিনেও পানি না নামা প্রসঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘নদী, হাওর, বিল, ড্রেন সব পানিতে ভরে গেছে। তাই সড়ক ও বাড়িঘর থেকে পানি নামতে পারছে না। তবে সিটি করপোরেশন ছড়া, খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে অভিযান চালাচ্ছে।’
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘সিলেটের নদ-নদীর পানি সুনামগঞ্জ দিয়ে নামে। সুনামগঞ্জে পানি বেশি থাকায় পানি দ্রুত নামতে পারছে না, আটকে আছে।’
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার গোপরেখী গ্রামের কলেজশিক্ষক গফুর হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত বস্তুটি আসলে বোমা নয়।
র্যাব হেডকোয়ার্টারের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের মেজর মশিউর সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এনায়েতপুর থানা পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেড কোয়ার্টারের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম এসে পরীক্ষা করে দেখেছে যে টেপে মোড়ানো বস্তুটি বোমা নয়। তবে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বোমার আদলে এটা তৈরি করা হয়েছিল।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখার পর পুলিশ স্কোয়াড দিয়ে দুপুর থেকে বাড়িটি ঘিরে রেখে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডকে খবর দেয়া হয়। রাতেই বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াড এসে বস্তুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং সেটি বোমা নয় বলে নিশ্চিত করে।
ওসি আরও বলেন, ‘এই ঘটনাটির তদন্ত চলছে। শিগগির অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে শাহজাদপুরের ঘোড়শাল সাহিত্যিক বরকতুল্লাহ কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ গফুর হোসেনের বাড়িতে বোমাসদৃশ্য বস্তুর সন্ধান পেয়ে সেখানে পাহারা দেয় পুলিশ। সোমবার দুপুর থেকে ‘বোমা’ উদ্ধারের এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তা নিষ্ক্রিয় ও উদ্ধারে ডাকা হয় র্যাবের টিম।
শিক্ষক মোহাম্মদ গফুর হোসেন বলেন, ‘রোববার রাতে একজন আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে প্রথমে খাবারের ঘরে অস্ত্র আছে বলে জানান। পরে তোর সঙ্গে কথা হবে- এমন বলেই লাইন কেটে দেন।
‘সকালে আবার ফোন করে জানান ঘরে টাইম বোমা রাখা আছে। এ অবস্থায় আমি বাড়িতে ফিরে দেখি একটি কার্টনের ভেতর টেপ মোড়ানো অবস্থায় বোমাসদৃশ লম্বাটে কিছু আছে। সোমবার দুপুরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা বাড়িতে আসে।’
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৭২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রাম থেকে সোমবার গভীর রাতে আবদুল গণিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫৫ বছর বয়সী গণির বাড়ি চর বৈশাখী গ্রামে। তিনি শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভাণ্ডারী নির্যাতন মামলার ৮ নম্বর আসামি।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার গভীর রাতে গণিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে। এই মামলার প্রধান আসামি চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেন সানাজকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
নাছিরের ছেলে ইউপি সদস্য মো. রিপন গত রোববার রাতে যুবলীগ নেতা সানাজ ও ইউপি সদস্য তানভীরসহ আটজনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, নাছির এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করতে গেলে সানাজ ও তানভীর চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে না চাইলে তার ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়। কিছুদিন মসজিদের কাজ বন্ধও রাখা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ এবং আদালতে মামলা করেন তিনি।
এরপর গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাছির বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হাট-সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসার পাশে সানাজের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন তার মুখে গামছা প্যাঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
এরপর তার পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। নাছির জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে ঝোপে ফেলে রেখে যায়। জ্ঞান ফেরার পর তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
শনিবার সকালে নাছিরকে ভর্তি করা হয় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। প্রায় দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর রোববার বেলা ২টার দিকে বৃদ্ধের পায়ুপথ থেকে টর্চলাইটটি বের করা হয়।
আরও পড়ুন:উজবেকিস্তানের কারাকালপাকস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ২৪৩ জন। স্থানীয় সময় সোমবার উজবেকিস্তান কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি সোমবার রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর অফিসের কর্মকর্তা আবরর মামাতোভকে উদ্ধৃত করে জানায়, নুকুসে ব্যাপক সংঘর্ষের সময় গুরুতর আঘাতে ১৮ জন মারা গেছে।
উজবেকিস্তানের সংবিধানে কারাকালপাকস্তান প্রদেশকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া আছে। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভ সম্প্রতি সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদটি বাতিলের পরিকল্পনা করেন। প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে স্থানীয় জনগণ।
প্রাদেশিক রাজধানী নুকুসে শুক্রবার বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষুব্ধরা।
উজবেকিস্তানের ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, শুক্রবার বিক্ষোভের সময় ৫১৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের অনেককেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এদিন স্থানীয় সরকারি ভবনগুলো অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
৩ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার মধ্য এশিয়ার দেশটি গত দুই দশকের মধ্যে এমন সহিংস পরিস্থিতি দেখেনি। উদ্ভূত পরিস্থিতে শনিবার সংবিধান সংশোধনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে দেশটির সরকার। কারাকালপাকস্তানে জারি হয় এক মাসের জরুরি অবস্থা।
আরাল সাগরের তীরে কারাকালপাকস্তানে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী কারাকালপাকদের বাস। উজবেকের চেয়ে কাজাখ ভাষার সাবলীল তারা।
আরও পড়ুন:পবিত্র হজ শুরুর আগে শেষ ফ্লাইটে প্রায় ৩০ যাত্রীকে নিয়ে সৌদি আরব গেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বিমান বলছে, চলতি বছরের হজপূর্ব ফ্লাইট সফল হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান এ বছর কোটা অনুযায়ী ২৯ হাজার ৯৯২ হজযাত্রীকে নিরাপদে সৌদি আরব পৌঁছে দিয়েছে।
বিমানের সবশেষ হজপূর্ব ফ্লাইট বিজি-৩১৪১ রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে যাত্রা করে ঝামেলাহীনভাবে জেদ্দা পৌঁছায়।
হজপূর্ব কর্মসূচিতে ৬৭টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট ও ২০টি শিডিউল ফ্লাইটসহ বিমান ৮৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। আর এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করেছে বহরে থাকা নিজস্ব চারটি বোয়িং ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ।
হজ শেষে আগামী ১৪ জুলাই থেকে হজ পরবর্তী ফ্লাইট শুরু করবে বিমান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য