ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে দরপত্র জমা দেয়ার সময় আটক করা হয়েছে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই)। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তরের পাশাপাশি অভিযোগ দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে।
অভিযুক্ত পুলিশের নাম কামরুল হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
নগর ভবনের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, ব্লক-এ, ব্লক-বি, ব্লক-সি এর বেইজমেন্টগুলোতে কার পার্কিংয়ের দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল।
এএসআই কামরুল এ সময় দরপত্র জমা দিতে যান। উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনার পর তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ। কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘টেন্ডার ফেলে’ আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই দীপক বালা নিউজবাংলাকে বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে দুপুরের পরে আমাদের কাছে কামরুলক হাসানকে হস্তান্তর করা হয়। সিনিয়র স্যাররা বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শুনেছি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে আমি জানি না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে আটক করা হয়েছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বনানী থেকে তাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, আমিনুল ইসলাম খান ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের ও তার স্ত্রী ফাহামিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এই আদেশ দেন। সূত্র: বাসস
এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক টি এম জোবায়ের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ-সংশ্লিট মেজর জেনারেল টি এম জোবায়েরের বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে বিভিন্ন পদে চাকরি প্রদান ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রদর্শনপূর্বক কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং লন্ডনে ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ডে বাড়ি ক্রয়সহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান।
অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরকে সাত দিনের রিমান্ড পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাছান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে অবস্থান নেন।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে শনিবার রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান মো. আবুল কালাম আজাদ। এর আগে তিনি একই কার্যালয়ের সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে আবুল কালাম আজাদ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়।
এ সময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ পুলিশের দেড়শ’ বছরের পুরনো আইন সংস্কারসহ এটিকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার সেসব নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বেঁধে দেয়া সময় তিন মাসের মধ্যে সব পর্যায়ের মানুষের মতামত নেয়া হবে। প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি করে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হবে।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। তিন মাস পর সুপারিশ পেলেই শুরু হবে পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠন ও সংস্কারের কাজ।’
এর আগে গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা এবং মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান। এছাড়া কমিশনে আরও থাকবেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর ক্যাডার আবু মুছা ওরফে কিলার মুছাকে কক্সবাজারের কলাতলী বিচ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর ৪ আগস্ট প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলার অন্যতম আসামি এই সন্ত্রাসী। আবু মুছা সদর উপজেলার দত্তবাড়ী মহল্লার মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে।
আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দায়ের হওয়া এসব মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১২, সদর কোম্পানির অপারেশন টিম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ সদর থানার তিনটি হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় পলাতক আসামি আবু মুছা ওরফে কিলার মুছাকে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় র্যাব-১২ ও র্যাব-১৫ এর একটি দল কক্সবাজার শহরের কলাতলী বিচ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১২, সদর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার বিএন এম আবুল হাশেম সবুজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামি বিগত সময়ে সাবেক এমপির প্রধান ক্যাডার হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এছাড়াও গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হামলা চালানোর কথাও সে স্বীকার করেছে।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আবু মুছা আরও জানান, বর্ণিত হত্যা মামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে তিনি বেড়াচ্ছিলেন।
সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি হেনরীর এই ক্যাডার কক্সবাজারে আত্মগোপনে থেকে সুযোগ বুঝে সীমান্ত দিয়ে দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন:নওগাঁর মান্দায় একটি ঘর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের ভারশোঁ পশ্চিমপাড়া গ্রামে থেকে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিথর অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন ওই গ্রামের আতাউর রহমান (৭২) ও তার স্ত্রী মারুনি বিবি (৬৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান।
প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে নিহতদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার গভীর রাতে আতাউর রহমানের মেয়ে কাজলি বিবি আমাকে ফোনে জানায়, তার বাবা আত্মহত্যা করতে পারেন। বিষয়টি জরুরিভাবে দেখার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন।
‘কাজলি বিবির এমন সংবাদে আশাপাশের লোকজনকে নিয়ে আতাউরের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকির পরও তাদের কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর দুইজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের সময় মারুনি বিবির মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
‘সেখানে মৃত্যুর পরে তাদের দাফন কীভাবে হবে এবং কোথায় টাকা রাখা আছে, এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আতাউর রহমান আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ চারজন আহত হওয়ায় হয়েছেন।
আহত চারজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত চারজন হলেন চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান (৬৫), মুক্তার হোসেন (৩৭), শাকিল (২৩) ও হামিম (১৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গজারিয়া উপজেলা বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের ফজলুল করিমের সঙ্গে প্রতিবেশী বাসেত মিয়ার বিরোধ চলছিল। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত রজমান মাসে ফজলুল করিমের ভাতিজা সজিব চায়নিজ কুড়াল দিয়ে বাসেত মিয়াকে কুপিয়ে জখম করেন।
আহত বাসেতকে হাসপাতালে নিয়ে যান আরেক প্রতিবেশী নুরুজ্জামান। এ ঘটনায় নুরুজ্জামানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল ফজলুল করিম ও তার স্বজনরা।
ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের সজিব, জাহাঙ্গীর, ফজলুল করিম, নান্নু, বাবু, রবিউল আউয়াল, হাসানসহ আরও কয়েকজন বগি দা, রামদা, ছুরি নিয়ে হামলা করে নুরুজ্জামানের ওপর। এ সময় তারা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই মুক্তার এবং পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।
হামলাকারীরা নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ওই সময় আহত লোকজনের চিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঝগড়ার মধ্যে ছিলাম না। আর এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিও না। সন্ত্রাসীরা শুধু শুধু আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।
‘আমি শুধু একজন আহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার অপরাধ। সন্ত্রাসী সজীব বগি দা দিয়ে কোপ দিয়ে আমার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।’
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তাদের হাসপাতালে আগত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আহত লোকজনের মধ্যে নুরুজ্জামান ও মুক্তার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।
অন্যদিকে মুক্তার হোসেনের গায়ের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহত অপরজন হামিমকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা সবাই পলাতক।
‘এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য