× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Sakku who was expelled for standing in the polls said he had left the BNP
google_news print-icon

ভোটে দাঁড়ানোয় বহিষ্কার, সাক্কু বললেন, ‘বিএনপি ছেড়েছি’

ভোটে-দাঁড়ানোয়-বহিষ্কার-সাক্কু-বললেন-বিএনপি-ছেড়েছি
বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন গত দুইবার জয় পাওয়া সাক্কু। সাম্প্রতিক ছবি
নিউজবাংলাকে সাক্কু বলেন, ‘আমি যে দলের রাজনীতি করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এই দলের একটা পোস্টে থাইক্যা নির্বাচন করছি, এহন আবার নির্বাচন করব। দল তো নির্বাচনে আইত না। আমার কিছু কাম বাহি আছে। এই কুমিল্লার মানুষ আমারে পছন্দ করে। আমি নির্বাচিত হইলে আমার যে আর কিছু কাজ বাকি আছে, হেইডি আমি শেষ করমু। আমার দলের নেতা-কর্মীরাও চাইতাছে আমি যেন নির্বাচনটা করি।’

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত অমান্য করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় গত দুই বারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তার দলীয় সব পদের পাশাপাশি প্রাথমিক সদস্যপদও কেড়ে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে এখন থেকে দলের নেতাকর্মীদেরকে তার সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ না রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে সাক্কু নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তিনি ভোট করতে নিজেই দল থেকে নিজেই অব্যাহতি নিয়েছেন। দলের নেতা-কর্মীদের চাওয়ার কারণেই তিনি দলীয় সদস্যপদ ছেড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।

বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু সাক্ষরিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কুকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।’

শৃঙ্খলাবিরোধী কী কাজ তিনি করেছেন, সেটি বিএনপির বিবৃতিতে জানানো হয়নি। তবে এটি যে সাক্কুর ভোটে দাঁড়ানো সংক্রান্ত, সেটি নিশ্চিত করেছেন দলটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা।

বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত আছে বিএনপির। তবে কুমিল্লায় আগামী ১৫ জুন আওয়ামী লীগ বিএনপির লড়াই হতে যাচ্ছে ভিন্ন এক আমেজে।

গত জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও এভাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াই হয়েছিল পরোক্ষভাবে। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোটে লড়েন। বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাকে জেতাতে পারেননি। টানা তৃতীয় জয় পান আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী।

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আরফানুল হক রিফাতকে। তিনি লড়বেন নৌকা নিয়ে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছেন সাক্কু, যার মার্কা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।

বিএনপি ভোট বর্জন করায় দলটির মার্কা ধানের শীষ কেউ পাবেন না। ফলে সাক্কুকে এবার বেছে নিতে হবে অন্য মার্কা। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে সাক্কু বলেন, ‘আমি যে দলের রাজনীতি করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এই দলের একটা পোস্টে থাইক্যা নির্বাচন করছি, এহন আবার নির্বাচন করব। দল তো নির্বাচনে আইত না। আমার কিছু কাম বাহি আছে। এই কুমিল্লার মানুষ আমারে পছন্দ করে। আমি নির্বাচিত হইলে আমার যে আর কিছু কাজ বাকি আছে, হেইডি আমি শেষ করমু। আমার দলের নেতা-কর্মীরাও চাইতাছে আমি যেন নির্বাচনটা করি।’

সাক্কুর পদত্যাগপত্র

বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তি জারির দিনই দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি রাবেয়া চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান সাক্কু।

রাবেয়া চৌধুরী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাক্কুর পদত্যাগপত্রটির অনুলিপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সাক্কুর তিনে তিন

সাক্কুর মধ্যে বিশেষ কিছু যে আছে, তা এরই মধ্যে স্পষ্ট। তিনি ২০০৫ সালে যখন পৌরসভার মেয়র হিসেবে জেতেন, তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তার দল বিএনপি।

এই ভোটের চার বছরের মাথায় জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয় ঘটে যায় বিএনপির। কুমিল্লা সদর আসনে গো-হারা হেরে যান দলের প্রার্থী। ১৯৭৩ সালের পর প্রথমবারের মতো নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয় পান আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশন হয় কুমিল্লা। দল ক্ষমতায়, এই অবস্থায় ২০১২ সালে করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে উন্নয়নের স্বার্থে জনগণ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেবে- এমন আশা পূরণ হয়নি ক্ষমতাসীনদের জন্য। দলের ডাকসাইটে নেতা আফজল খান হেরে যান ৩৫ হাজার ভোটে।

পরের নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান আরও নড়বড়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচালের আন্দোলন ও পরের বছর সরকার পতনের আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফেরার পর জাতীয় রাজনীতিতে দাপট তৈরি হয় আওয়ামী লীগের। তবু সাক্কুর হাত থেকে কুমিল্লা দখলে নিতে ব্যর্থ হয় তারা।

২০১৭ সালে দলীয় প্রতীকে প্রথম ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে। সীমা তার বাবার তুলনায় ভোট পেয়েছেন বেশি। ব্যবধান কমাতে পারেন অনেকটাই। সাক্কু জয় পান ১১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।

তবে এবার সাক্কুর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছেন বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: মনোনয়নপত্র নিলেন আ.লীগের রিফাত
মেয়র যে-ই হোক, আপনারা সহযোগিতা করবেন: নগরবাসীকে সাক্কু
কুমিল্লা নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার
কুমিল্লায় আ.লীগের ‘ভূত’ বিএনপির ঘাড়ে
প্রথম পরীক্ষার আগে কঠিন প্রস্তুতি সিইসির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Yunus Centers information on UNESCO award is misleading Education Minister

ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী

ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত
এই বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কো থেকে যে ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে প্রচার করা হয়েছে, তা প্রতারণামূলক এবং সর্বৈব মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ ধরনের মিথ্যাচার দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।

বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, ইউনেস্কো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ ধরনের কোনো সম্মাননা প্রদান করেনি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গজনভি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ইসরায়েলের ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের তাকে ‘ট্রি অফ পিস’ সম্মাননা স্মারক দেন।’

ভাস্কর হেদভা সেরও নিশ্চিত করেছেন যে, এটি ইউনেস্কোর সম্মাননা বা পুরস্কার নয়। এটি গজনভি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত একটি পুরস্কার।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইউনেস্কো সদর দপ্তরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করব। ড. ইউনূস ও ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সেটি অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। সেটি আমাদের দেশের জন্য মানহানিকর- এ তথ্যও জানাব।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পীর দেয়া পুরস্কারকে ড. ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানকরও বটে।

‘ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে এটি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। ইউনূস সেন্টারকে অনুরোধ করব যে, এভাবে এ ধরনের ভয়াবহ মিথ্যাচার প্রচারণা থেকে তারা যেন বিরত থাকে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটি সঠিক নয় এবং ইউনুস সেন্টার কর্তৃক দাবিকৃত সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

এ ধরনের সংবাদ প্রচারকে ‘প্রতারণামূলক ও পরিকল্পিত মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ইউনূস সেন্টারকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিশিয়াল ওয়েব পেইজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

“ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এই বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।

“১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এই সম্মাননা দেয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেখানে ইউনেস্কোর কোন অফিশিয়াল প্রতিনিধিই ছিল না। অধিকন্তু, ইউনূস সেন্টার কর্তৃক দাবিকৃত সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “ড. ইউনুসকে ‘ট্রি অফ পিস’ নামক একটি ভাস্কর্য স্মারক/সম্মাননা প্রদান করেন ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের। মিজ হেদভা নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘ট্রি অফ পিস’ প্রদানে ইউনেস্কোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

“নিজামী গনজবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের ড. ইউনুসকে এটি প্রদান করেন। মিস হেদভা সের ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কূটনীতি বিষয়ক গুইউইল অ্যাম্বাসেডর, কিন্তু ইউনেস্কোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি নন এবং ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার/সম্মাননা দেয়ার এখতিয়ারও রাখেন না।

“সুতরাং, উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত এবং প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করে তার নিন্দা জানাচ্ছে।

“বাংলাদেশ ইউনেস্কোর অন্যতম সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ইউনেস্কোর মতো জাতিসংঘের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং সুখ্যাতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহার থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইউনূস সেন্টারকে সতর্ক করা হলো।”

এই বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সহযোগীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, যেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

এ ছাড়াও আয়কর আইন লঙ্ঘনের জন্য তার ব্যক্তিগত আয়কর দাবি আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং, তিনি যতদিন আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত না হন, ততদিন তাকে কোনো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার কিংবা সম্মাননা প্রদান সমীচীন নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশে ইউনেস্কোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, কেউ যাতে ইউনেস্কোর নামের অপব্যবহার কিংবা অপপ্রয়োগ না করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেস্কোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেস্কো সদর দপ্তরকে অবহিত করা হবে।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Charge formation against 453 people including Amir Khosru in Chittagong
বিস্ফোরক আইনে মামলা

মামলার ৯ বছর পর আমীর খসরুসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

মামলার ৯ বছর পর আমীর খসরুসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন বুধবার চট্টগ্রামে সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার শুনানি শেষে বেরিয়ে আসেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বন্দর নগরের কাজীর দেউড়িতে নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পুলিশ।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে ৯ বছরেরও বেশি সময় আগে দায়ের হওয়া এক মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুল আরেফিনের আদালত এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম ও জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. শাহাদাত হোসেন এবং আবুল হাশেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দ আদালতে ‍উপস্থিত ছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবীদের একজন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আসামিদের নির্দোষ দাবি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।’

আসামি পক্ষের আরেক আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মামলা। বাদী পক্ষ অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারেনি।’

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বন্দর নগরের কোতোয়ালি থানায় কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডাকে ২০ দলীয় জোট। সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা।

এ সময় আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করে।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আদালতে বিস্ফোরক আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয়। পুলিশের ওপর হামলার মামলাটি চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

আরও পড়ুন:
ক্ষমতা দখল করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে নেয়া হয়: আমীর খসরু
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, জোনায়েদ সাকিসহ আহত ৫০
মূল আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট, ফেঁসে গেছেন পুলিশ কর্মকর্তা
আরও দুই মামলায় জামিন পেলেন আমীর খসরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh is under the grip of racists not fascists Fakhrul

ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল

ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল বুধবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা দেশকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে। একটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আরেকটি ভাগ হচ্ছে বিরোধী দল। এই অবস্থা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তারা নিজেরাই একটা সাম্প্রদায়িক অবস্থা তৈরি করেছে।’

ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘যারা বিএনপি করে তাদের ঘর-বাড়ি, জমি এবং ব্যবসা পর্যন্ত দখল করে নেয়া হচ্ছে।

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় বিদস উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গোটা দেশ ও রাষ্ট্রকে সরকার গিলে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমরা সংগ্রাম ও লড়াই করছি। বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি, বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে।

‘এ অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষ বসে থাকতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী মানুষ। স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায়। এটা বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র এবং তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। গ্রাম-গঞ্জে চায়ের দোকানে বসে তারা রাজনীতির কথা বলে। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’

ফখরুল বলেন, ‘সংগ্রাম ও আন্দোলনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও জোরদার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করছে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেছে, কিন্তু সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, দেশে জনগণের অধিকারকে প্রয়োগ করতে দেয়া হয় না। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ১৫ বছর ধরে নির্বাচনকে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

‘গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং আমরা যারা গণতন্ত্র, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশের অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার কথা বলেছি, তাদের ওপর নেমে এসেছে চরম দমন-পীড়ন ও নির্যাতন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি। বাংলাদেশ এখন বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে। বিএনপি যারা করে তাদের ছেলে-মেয়েদের চাকরির সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এটা বর্ণবাদ ছাড়া কিছু না। আর দেশকে তারা দুটি ভাগে ভাগ করেছে। একটা ভাগ হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আরেকটি ভাগ হচ্ছে বিরোধী দল। এই অবস্থা তৈরি করে তারা নিজেরাই একটা সাম্প্রদায়িক অবস্থা তৈরি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতা উদযাপন করার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। এই আলোচনা সভার সভাপতি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। জাতির বীরবিক্রমকে এই সরকার কারারুদ্ধ করে। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?

‘এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনার কথা বলে, সেই চেতনাকে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। সুতরাং এই সরকার একদলীয় সরকার।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না: মঈন খান
বাংলাদেশের মানুষ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না: বিএনপি
ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বিএনপির আহ্বান
নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া: মঈন খান
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির তিনদিনের কর্মসূচি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
5 injured in clash between two groups of Chhatra League in Chittagong College

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
বেঞ্চের ওপর পা তুলে বসার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ লোহার রড ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বেঞ্চের ওপর পা তুলে বসার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ লোহার রড ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ওয়াহিদুল রহমান সুজন, মঈনুল ইসলাম, তৌহিদুল করিম ইমন, জাহিদ ও আমিন ফয়সাল বিদ্যুৎ।

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দীন আকবর বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ‘বেঞ্চে পা তুলে বসা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তেমন বড় কিছু না, চড়-থাপ্পর মেরেছে। কেউ গুরুতর আহত হয়নি। পরে নিজেরাই মিটমাট করে নিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
প্রায় ১১ বছর পর শাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Main obstacle in implementation of BNP democratic ideals Who

বিএনপি গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধক: কাদের 

বিএনপি গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধক: কাদের  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধক বিএনপি। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’

বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়।

‘গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির আহাজারি মূলত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। সেদিন ঘাতক চক্র সেদিন অসহায় নারী, শিশুকেও নির্বিচারে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল।

‘সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? পঁচাত্তরের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।’

কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিলেন।

‘১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেন স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। তার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র!

‘লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের ওপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একইসঙ্গে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিলেন স্বৈরাচার জিয়া। তিনি পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসিত করেন।’ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে।

‘স্বৈরাচার জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেন। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি! নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতাদখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘২০০১-পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এখনও অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: কাদের
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি: কাদের
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বাজার অস্থিরের ষড়যন্ত্রে বিএনপি: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
On March 25 Xiao attacked the Bengalis Prime Minister

২৫ মার্চ জিয়াও বাঙালিদের আক্রমণ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

২৫ মার্চ জিয়াও বাঙালিদের আক্রমণ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে সেও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালিদের ওপরে আক্রমণ করেছিল।’

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও বাঙালিদের ওপর আক্রমণ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন দাবি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে সেও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালিদের ওপরে আক্রমণ করেছিল।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়েছিলেন বলে বিএনপির এক নেতার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে?’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক নেতাকে বলতে শুনলাম, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নাকি পালিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আজকে যে দলটি বড় বড় কথা বলছে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল, তাহলে যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন করা হলো, সেক্টর ভাগ করা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জিয়াউর রহমান ছিল একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী।

‘জিয়াউর রহমান যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো এই প্রমোশনটা কে দিল? আওয়ামী লীগ দিয়েছে৷’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কোথায় ছিলেন?’

ভারতীয় পণ্য বর্জনের অংশ হিসেবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর চাদর পোড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারলাম না। বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়ল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে?

‘আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত। আমি এখন বলব বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।’

কিছু বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যিনি। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকে সময় দেয়া হয়নি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা না করে উল্টো বিরোধিতা করা হয়েছিল। যারা এখন দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না, তারাই জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করেছিল।’

আরও পড়ুন:
স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানিকে সংবর্ধনা
স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পরাজিত শক্তি দেশের অভিযাত্রা স্তব্ধ করতে ওত পেতে আছে: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The reader can never be the announcer of whom

পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: কাদের

পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: কাদের ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। আর কারও কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার।’

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মহান স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আবুল কাশেম, এম এ হান্নান- অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন।

‘প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। আর কারও কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এতো বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

‘আজ আমাদের শপথ- বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিষয়টিকে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।’

বিএনপি নেতাদের ভারতবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। যখন কোনও ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু সামনে আসে।’

আরও পড়ুন:
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি: কাদের
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
সাকিব আওয়ামী লীগের সদস্য, অন্য দলে যাওয়ার বিষয়ে জানি না: কাদের
বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর: কাদের

মন্তব্য

p
উপরে