দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের বদলি-বাণিজ্যে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই বদলি বাণিজ্যের হোতা হিসেবে অভিযুক্ত মো. জামাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
হুমায়ুন কবির পল্লব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নার্স বদলি-বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া প্রায় শত কোটি টাকা ফেরত চেয়ে আমরা রিট দায়ের করেছিলাম। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার হোতা জামাল উদ্দিনসহ তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২৬ জুলাই দুদককে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।’
সরকারি হাসপাতালে নার্সদের বদলি বাণিজ্যের নামে শত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এবং টাকা ফেরত চেয়ে গত ১০ এপ্রিল রিট দায়ের করেন ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের’ পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবী।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের অভিযুক্ত মো. জামাল উদ্দিনকে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে হাজার হাজার নার্স কর্মরত আছেন। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পেশাগতভাবে বদলি চাকরির একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু সেই পেশাগত বদলি হয়ে উঠেছে নার্স পেশার একটি আতঙ্কের নাম। প্রত্যেক নার্সকে প্রতিবার বদলির জন্য গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এই বদলি বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের আত্মীয়-স্বজন।
গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর- এই তিন মাসে প্রায় চার হাজার নার্সকে বদলি করা হয়েছে। সেই বদলির মাধ্যমে সিন্ডিকেট প্রায় একশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৪ জন রোগী।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৭ হাজার ১৫৯ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৮ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৫ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৬ হাজার ৭০৬ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫২৯ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ২২৮ জন।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬২ জন। এদিকে নতুন পাঁচজনসহ ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২২ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৫০৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭০২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯৫ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই নারী। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫১৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭০ জন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও বাকি তিনজন নারী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১৪ জন। একই সময়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৮৮৪ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্যের (অ্যাকাডেমিক) দায়িত্বরত অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ প্রদানপূর্বক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়, যা গত ১০/১১/২০২৪ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য পদটি শূন্য রয়েছে।
“এই অবস্থায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮’-এর ধারা ১৩ অনুযায়ী উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় উপ-উপাচার্যগণের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিএসএমএমইউর অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।”
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলমকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম মেটাবোলিক অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার রোগের অগ্রগণ্য গবেষক এবং এই বিষয়ে দেশের পথপ্রদর্শক বিজ্ঞানী। শুধু দেশেই নয়, তিনি এশিয়া প্রশান্ত মহসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ফ্যাটি লিভার রোগ নির্ণয়, ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে অনেক গবেষণাপত্রের সহলেখক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। এ ছাড়াও তিনি স্কোপাস ইনডেক্সিং বিএসএমএমইউ’র একজন নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানী।
অধ্যাপক শাহিনুল আলম এশিয়ান প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (এপিএএসএল), আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (এএএসএলডি), ইউএসএ-জাপান জয়েন্ট মেডিকেলসহ ৭টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
এ চিকিৎসক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন গ্লোবাল ন্যাশ কাউন্সিলের সদস্য। তিনি এমডি হেপাটোলজি কোর্সের কোর্স কো-অর্ডিনেটর এবং একই বিষয়ে কোর্স কারিকুলামের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি বিএসএমএমইউর বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির (আইকিউএসি) সদস্য সচিব এ অধ্যাপক।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য