ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ছয় তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল ১৮ মাসে। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ।
পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হলেও ভেতরের দরজা, জানালা, ইলেকট্রিক, পানির লাইন স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজের অধিকাংশই বাকি। চলতি সপ্তাহে ষষ্ঠ তলার ছাদের আংশিক ঢালাই দেয়া হয়েছে।
ধীরগতিতে নির্মাণকাজ চলায় আধুনিক চিকিৎসাসেবা পেতে জেলাবাসীকে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সুবিধাবঞ্চিত রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। একই সঙ্গে সেবা কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসে ছয় তলা এ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কার্যাদেশ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুনে ভবনের কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। ৩৪ মাসেও শেষ করতে পারেনি কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ও জিএম কনস্ট্রাকশন নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছয় তলা এই হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় করোনা মহামারির সময়। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। করোনাকালে শ্রমিক সংকটও ছিল বেশ। এ কারণে কাজের গতি ছিল কম। তবে শিগগিরই ভবনের কাজ শেষ হবে।’
কাজের ধীরগতির মধ্যেই আরও তিন তলা বাড়িয়ে ভবনের নবম তলা পর্যন্ত নকশা ও বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলার কাজের জন্য সম্প্রতি আরও ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সমরজিৎ সিং নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। অসমাপ্ত সব কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হলে আড়াই শ শয্যার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত। সেবার মানও বৃদ্ধি পেত। এখন তো ডাক্তার কম, রোগীর চাপ বেশি, তাই সেবা পেতে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এইচ এম জহিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আধুনিক সদর হাসপাতালটি ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার অনুমোদন পায়। তবে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলেছে চিকিৎসা কার্যক্রম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১০০ শয্যার জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
‘হাসপাতাল কম্পাউন্ডে বর্তমানে ২৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হওয়া দরকার। গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২৫০ শয্যার জন্য দ্রুত জনবল নিয়োগ দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’
চাঁদপুরের কচুয়ায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের বায়েক এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার হোসাইন নগর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
কচুয়া সাচার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়া থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন শফিকুল। এ সময় ঢাকা থেকে কচুয়া আসার পথে বায়েক মোড় এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক শফিকুল ইসলাম মারা যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ট্রাকটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ট্রাকচালক পলাতক আছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে স্বজনদের দাবি, এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।
হতাহতরা সবাই সবজি বিক্রেতা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকায় সবজি বাজারে বৃহস্পতিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন।
নিহতদের মধ্যে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ৫০ বছরের ফারুক মিয়া ও মাহমুদাবাদ পাগলা বাড়ির ৪৫ বছরের মো. মাসাকিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে টানপাড়া এলাকার ৩৫ বছরের রিপন মিয়া ও ৫০ বছরের মো. শাজাহানের মৃত্যু হয়।
আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী রহমান মিয়া ও তাহের ব্যাপারিসহ কয়েকজন সবজি বিক্রেতা নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিদিনের মতো ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মাহমুদাবাদ বাজারে সবজির হাট জমে উঠে। এ হাটে স্থানীয় ব্যবসায়িরা সবজি বিক্রি করতে আসেন। আজ ভোরে মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান সবজি বিক্রেতাদের অটোরিকশার উপর উঠে যায়। এতে অটোরিকশার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই সবজি বিক্রেতা চাপা পরে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অন্তত পাঁচজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে আরও দুজন মারা যান।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা জানান, ভোরে ভৈরব ছেড়ে আসা ঢাকামুখী জননী কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান মাহমুদাবাদ বাজারের পাশে মেশিনঘর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। একই সময়ে ঢাকা থেকে সিলেটগামী আরেকটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে মেশিন গড় এলাকায় রাস্তার পাশে সবজির হাটে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভ্যান দুটি বেশ কিছু দোকান ও অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত ও অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে দুটি মরদেহ উদ্ধার করি। আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভৈরব নেয়ার পথে তিনি মারা যান।’
ওসি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আজ ভোরে মহাসড়কের মহামুদাবাদে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় তিন নিহত হয়েছেন। আমাদের নথিতে এখনও চারজনের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে আইনি কার্যক্রম চলছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
আরও পড়ুন:টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমার পানি আরও বেড়েছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি বাড়ায় জেলার নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। পৌর শহরের তেঘরিয়া, আরপিন নগর, বড়পাড়া, পূর্ব নতুনপাড়া, হাজীপাড়া, নবীনগর, ধূপাখালি এবং ছাতক ও দোয়ারাবাজারা উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে।
তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘ঘরবাড়ি থেকে মাত্র চারদিন হইছে পানি নামছিল। কিন্তু আজকে সকাল থকি আবারও ঘরে বারান্দায় পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। আজকে বৃষ্টি এরকম দিতে থাকলে ঘরও পানি ডুকতে বেশি সময় লাগবে না, বিপদের মধ্যে মহাবিপদ।’
উত্তর আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা লুকনা বিবি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িত আইলাম দুইদিন অইলো। এখন দেখি আবার পানি আইচ্ছে। তিনটা মেয়ে, স্বামী ও শাশুড়ি নিয়া কষ্টের মধ্যে আছি। কাজকাম নাই। মানুষের ঘর কাজ করিয়া দিন আনি দিন খাই। কিন্তু পানি আইলে আমরা বন্দি।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জ ও মেঘালয়ে বৃষ্টি হওয়ায় সুরমাসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনও সুরমার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিন আগে তা ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূকে বাবার বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নালিতাবাড়ী পৌর এলাকার কালিনগর মহল্লায় বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় রহুল আমিন নামের এক যুবক ও তার ভাবিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৫ বছরের রহুল মাদক সেবন করতেন বলে জানা গেছে।
১৮ বছরের দিতি খাতুন কালিনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলা করেন মুছা মিয়া।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘আসামিদের আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।’
স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকার খাইরুল ইসলামের সঙ্গে দিতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে তার বাবার বাড়ি কালিনগর রেখে খাইরুল কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান। এ সময় রাহেলার ডাক শুনে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে রহুল দা দিয়ে দিতির মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা উপজেলায় দিতির মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহেলাকে আটক করে ও রহুল আমিনকে খুঁজতে থাকে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই ঘটনাস্থলে পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে।’
এ ঘটনায় দিতির মা মনোয়ারা বেগম জানান, রাতের খাওয়া শেষে তারা ঘুমাতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাহেলা এসে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। দিতি দরজা খোলা মাত্রই রহুল তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাহেলাও চলে যান। তখন পুলিশে খবর দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে তারা আমার মেয়েডারে মারল আমরা জানি না। আমার মেয়ের খুনিদের বিচার চাই।’
এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও ওসি বাদল।
ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে দ্রুতই আমরা আসল ঘটনা উদ্ধার করতে পারব।মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বরিশালের আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিদ্যানন্দপুরেও এগিয়ে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে বিদ্যানন্দপুরের একটি কেন্দ্রে ৮৯ জনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ মিল না হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রের ভোট কবে নাগাদ হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আন্ধারমানিক ও বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বুধবার।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোটের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের নাসির উদ্দিন খোকন ৪২১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার বিপরীতে নৌকা প্রতীকের আলাউদ্দিন কবিরাজ ৩৬০১ ভোট পেয়েছেন।
এই ইউনিয়নে শতকরা ৫৭ দশমিক ৭৫ ভাগ ভোট পড়েছে।
বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত হয়েছে। তবে সেখানে ৩২৫৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের শাহে আলম মীর এবং দ্বিতীয় অবস্থানে ২৩৪২ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের জব্বার খান।
বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা নারী-পুরুষ মিলিয়ে বারো হাজার ৯৫ জন এবং আন্ধারমানিকে সতের হাজার ৫১৩ জন ভোটার রয়েছে।
আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ১২ জুন দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
এর আগে ১৩ জুন নির্বাচন কমিশন এই দুই ইউনিয়নে নির্বাচনী পরিবেশ না থাকায় ১৫ জুন নির্ধারিত ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন:সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লাগাওয়ের জহুর আলীর মাটির ঘর বন্যায় একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে মাটির বেড়া; উড়ে গেছে টিনের চালাও।
পানি নামার পর এখন ঘর মেরামতের কাজ করছেন জহুর।
তিনি বলেন, ‘একজন কিছু টিন দিয়ে সহায়তা করেছে। বাকি টাকা ধারকর্য করে জোগার করে ঘর মেরামত করছি। ঘর ঠিক না করলে তো খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।’
চলমান বন্যায় ঘর হারিয়েছেন জহুরের মতো অনেকেই।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে সিলেটের ১৩ উপজেলায় ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটি আংশিক, কোনোটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত।
সিলেট সিটি করপোরেশনের হিসাবে নগরে এই সংখ্যা প্রায় এক হাজার। সব মিলিয়ে সরকারি তথ্যেই জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ৪১ হাজারের বেশি।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
‘বন্যায় যারা ঘর হারিয়েছেন, তাদের ঘর সরকারি উদ্যোগে মেরামত করে দেয়া হবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, ‘নগরে হাজারখানেক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা আমরা প্রস্তুত করছি। এরপর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’
বন্যায় ঘর হারা সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজার এলাকার লায়েক মিয়া বলেন, ‘সরকার থেকে কখন ঘর বানিয়ে দেয়া হবে আর আমরা কখন ঘরে উঠবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। তার আগে আমরা কোথায় থাকব? আমাদের তো থাকার কোনো জায়গা নেই এখন।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনসহ ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৩০ লাখ লোক পানিবন্দি ছিলেন। সবশেষ পাওয়া তথ্যের হিসাবে, জেলার ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
টানা কয়েক দিন কমার পর বুধবার থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের প্রধান নদ-নদীর পানি। বুধবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়েও। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে থেকে ‘শত বছরের’ পুরোনো মূর্তিসহ বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন জব্দ করেছে পুলিশ।
ভারতের কলকাতা থেকে আসা গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাস থেকে বুধবার রাত ১টার দিকে এসব মালামাল উদ্ধার করে পদ্মা দক্ষিণ থানা পুলিশ।
এ সময় অবৈধভাবে মূল্যবান মূর্তি পরিবহনের দায়ে জসিম উদ্দিন নামের এক বাসযাত্রীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলকাতা ছেড়ে আসা গ্রীন লাইনের বাসটিতে অভিযান চালিয়ে শত বছরের পুরোনো মূল্যবান ৩টি সিংহের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কারুকাজ করা ১টি কলস, বিভিন্ন ধরনের পুরাকীর্তিসহ দুটি ভিডিও ক্যামেরাও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এসব মূল্যবান পুরাকীর্তি পরিবহনের অভিযোগে জসিম উদ্দিনকে আটক করা হয়। এসব পণ্যের কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। উদ্ধারকৃত মালামাল পদ্মা দক্ষিণ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এসপি আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘মূর্তিগুলো কষ্টি পাথরের হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে পরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য