বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক শ্রমিক-মালিকদের মধ্যে আছে দুই পক্ষ। সে দুটির পক্ষে গিয়ে আবার মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন বরিশালের সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী।
এসব যানবাহনের লাইসেন্স দেয়া ও চাঁদাবাজির ইস্যু নিয়ে সোমবার পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করেছেন তারা। বিষয়টি আলোচিত হয়েছে নগরজুড়ে।
ইজিবাইক শ্রমিকদের ইস্যু নিয়ে মেয়র সাদিকের এই সমাবেশকে অনেকেই আগামী নির্বাচনে অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে। আলোচনা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে এই পেশাজীবীদের হাতে রাখতে চান সাদিক আব্দুল্লাহ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে শওকত হোসেন হিরণ নগরীতে ২ হাজার ৬১০টি ব্যাটারিচালিত হলুদরঙা ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেন। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ১২ হাজারের মতো।
সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার পর সেই ২ হাজার ৬১০টি ইজিবাইকের লাইসেন্সের নবায়ন বন্ধ রাখেন। পুলিশ নানা সময় ইজিবাইক রাস্তায় আটক করে। যখনই হলুদ ইজিবাইক আটক হয়, তখনই মহাসড়ক অবরোধ করেন চালকরা।
পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। নগরীতে কত রিকশা চলে, সংখ্যাটি সঠিকভাবে কেউই বলতে পারে না। তবে ধারণা করা হয়, এই সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি।
ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা কয়েক বছর ধরেই নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পায় পুলিশের কাছ থেকে।
ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক-মালিকদের এখন দুটি সংগঠন হয়েছে বরিশাল নগরীতে। একটির নাম বরিশাল জেলা ও মহানগর (ইজিবাইক) ব্যাটারিচালিত অটো শ্রমিক সংগঠন এবং অপরটি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ।
এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা মনীষা চক্রবর্তী। অপর সংগঠনের পেছনে রয়েছেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
পাল্টাপাল্টি সমাবেশে সাদিক আব্দুল্লাহ ও মনীষা চক্রবর্তী বিপরীত সংগঠনের প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন।
সোমবার বিকেলে সমাবেশের দিন নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় ভরে যায়। সেখানে বরিশাল জেলা ও মহানগর (ইজিবাইক) ব্যাটারিচালিত অটো শ্রমিক সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
সেখানে তিনি ব্যাটারির রিকশা চালানোর জন্য সিটি করপোরেশনের বদলে বিআরটিএর অনুমোদন চেয়ে আবেদনের সমালোচনা করেন।
সাদিক বলেন, ‘যখন তারা বোঝছে আমি ইজিবাইকের পারমিশন দিচ্ছি, এখন ওই দলের লোকজন টাকা খাইবে কেমনে? তাই বিআরটিএর পারমিশন চাইয়া একটা নাটক শুরু করছে। চলাচলে পারমিশন দেওয়ার কথা শুইনা তারা লাফ দিয়া পড়ছে, এর আগে তো তারা বিআরটিএর অনুমোদন চাইল না।
‘যারা ব্যাটারিচালিত রিকশা আর ইজিবাইক থেকে টাকাপয়সা উঠায়, তারা শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে। হাজার হাজার লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়। বাসদের নেতারা মাটির ব্যাংকে টাকা উঠাইয়া এখন এত প্রোগ্রামের টাকা পায় কই। হয় শ্রমিকদের চুষে খায়, নইলে দেশের বাইরে থেকে টাকা আসে। বিএনপির সাথে এখন অতিবামরা যুক্ত হইছে।’
মেয়র বলেন, তিন মাসের মধ্যে ইজিবাইকগুলোকে লাইসেন্স দেয়া হবে সিটি করপোরেশন থেকে। দেয়া হবে চালকদের প্রশিক্ষণ ও পোশাক।
এসব বিষয়ে মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার যদি এত টাকার লোভ থাকত, তাহলে লোভনীয় চাকরি ছেড়ে সংগ্রামের পথ বেছে নিতাম না। যেখানে আওয়ামী লীগ নেতাদের মদদে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের ওপর হামলা ও প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের দিকে অভিযোগ তোলা চোরের মায়ের বড় গলা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
মেয়র সাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির পাল্টা অভিযোগও আনেন মনীষা। বলেন, ‘বরিশালের ইজিবাইক শ্রমিকদের বাসদ এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংগঠিত করেছে আর ক্ষমতাসীন দল এই চাঁদাবাজদের মদদ দিয়েছে। কাজেই মেয়রের এই বক্তব্য কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষপ্রসূতই নয়, তার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও হাস্যকর।’
পুলিশ বলছে সিটি করপোরেশন নবায়ন না করায় নগরীতে চলা সব ইজিবাইক অবৈধ। এসব রিকশা আটক হলে মহাসড়ক অবরোধ অথবা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তদবির আসে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘অবৈধ যেসব যানবাহন রয়েছে সেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত আটক করছি। মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা যায় এসব আটক নিয়ে। তবে সব বিষয় মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’
আরও পড়ুন:ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির চলমান পদযাত্রার পরবর্তী সময় ও স্থান চূড়ান্ত করেছে দলটি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রোববার দুপুর ২টায় যাত্রাবাড়ী থেকে পদযাত্রা শুরু হবে, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহবায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
পরদিন সোমবার দুপুর ২টায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হবে পদযাত্রা, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মুগদা স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করবে বিএনপি, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীতে পদযাত্রা করে বিএনপি। বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে এটি শেষ হয়।
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির বেশ কিছু অর্থ দাঁড় করিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব মানে দাঁড় করান।
বক্তব্যের শুরুতে রাজশাহী নগরীতে জনতার ঢল নেমেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসভাস্থলের ধারণক্ষমতার ১০ গুণ বেশি মানুষ বাইরে বসে আছেন।
ওই সময় তিনি বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশে উপস্থিতির সঙ্গে আজকের জনসমাগমের তুলনা করেন।
বিএনপির সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর, ৩০ ডিসেম্বর ও ১১ জানুয়ারি সরকারের পতন ঘটাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
ওই সময় বিএনপির পদযাত্রার বেশ কিছু অর্থ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এখন পদযাত্রা…পদযাত্রা মানে শেষ যাত্রা, পদমযাত্রা মানে অন্তিম যাত্রা, পদযাত্রা মানে পেছন যাত্রা, পদযাত্রা মানে মরণযাত্রা। মরণযাত্রা শুনেছেন না? ওই মরণযাত্রা হচ্ছে বিএনপির।’
রাজধানীর বাড্ডা থেকে শনিবার পদযাত্রা শুরুর আগে দেয়া বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা না হলে ক্ষমতাসীনদের পালিয়ে যেতে হবে।
ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যায় না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশ পালিয়েছেন।
আরও পড়ুন:রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে রোববার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জনসভায় যোগ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সকালে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে বেলা সোয়া ৩টার দিকে জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।
গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চে উঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। পরে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তার জনসভাস্থল। রাজশাহী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রোববার সকাল ৮টার দিকে মাঠে ঢুকতে শুরু করেন, যেটি দুপুরের আগেই ভরে যায়।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাজশাহী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয়, যাতে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা জনসভা পরিচালনা করছেন।
সভার শুরুতে চারটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রেজোয়ানুল হক পিনু মোল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নেতা তন্ময় শর্মা পবিত্র গীতা, খায়রুল বাসার টোটন বাইবেল পাঠ এবং শ্রাবণী বড়ুয়া ত্রিপিটক পাঠ করেন।
সভার শুরুতেই বক্তব্য দেন নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন জলিল জয়। এরপর একে একে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভাস্থল ভরে যাওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন আশপাশের এলাকায়। িনগরীর ১৩টি পয়েন্ট লাগানো হয়েছে বড় পর্দা, যেগুলোতে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে জনসভা।
জনসভাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে। সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও র্যাব তল্লাশি চালিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের। জনসভাস্থলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আগমনের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে তার জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ।
রাজশাহী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রোববার সকাল ৮টার দিকে মাঠে ঢুকতে শুরু করেন। দুপুরের আগেই পুরো মাঠ ভরে যায়।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাজশাহী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয়, যাতে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা জনসভা পরিচালনা করছেন।
সভার শুরুতে চারটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রেজোয়ানুল হক পিনু মোল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নেতা তন্ময় শর্মা পবিত্র গীতা, খায়রুল বাসার টোটন বাইবেল পাঠ এবং শ্রাবণী বড়ুয়া ত্রিপিটক পাঠ করেন।
সভার শুরুতেই বক্তব্য দেন নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন জলিল জয়। এরপর একে একে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভাস্থল ভরে যাওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন আশপাশের এলাকায়।
নগরীর ১৩টি পয়েন্ট লাগানো হয়েছে বড় পর্দা, যেগুলোতে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে জনসভা।
জনসভাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে। সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও র্যাব তল্লাশি চালিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের।
জনসভাস্থলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভাস্থল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) রোববার সকাল থেকে জড়ো হতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে এসে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমনের বেশ আগে থেকেই জনসভাস্থলে নেতা-কর্মীদের সমাগম শুরু হয়।
রাজশাহী ও আশপাশের জেলা থেকে বাসে এসে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যান নেতা-কর্মীরা।
জনসভাস্থল খুলে দেয়া হয় সকাল ৮টার পর, যার আগে মিছিল নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশের ফটকে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতা-কর্মীর জটলা দেখা যায়।
বিভিন্ন নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে বর্ণিল টি-শার্ট ও টুপি পরে আসেন জনসভায়। তাদের স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ দেখা যায়।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেছে।
‘বিভাগের আট জেলা থেকে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী এতে যোগ দেবেন। বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠবেন।’
প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্যারেড পরিদর্শন করবেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজশাহী।
সকালে জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ এবং দুপুরে শহরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেখানে রাজশাহীর ৩২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে রাজশাহীতে চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। তাকে স্বাগত জানাতে নগর ও জেলাজুড়ে ৪৪টি তোরণ তৈরি করা হয়। জনসভাস্থলের আশেপাশের সড়কগুলোকে সংস্কার করে চকচকে করা হয়।
নগরীর সড়কদ্বীপগুলো ঝেড়ে-মুছে রঙিন করা হয়। নগরজুড়ে প্রজাপতি ও রাজকীয় সব সড়কবাতি লাগানো হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে নগরীতে। এসব ব্যানারে সরকারের উন্নয়নচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে ২২০টি মাইক ও ১২টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। এ ছাড়াও সমাবেশের জন্য ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও পায়খানার ব্যবস্থা থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও নগরীর চারটি প্রবেশদ্বারসহ প্রতিটি কোণে ছয় সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু জনসভাস্থলের নিরাপত্তায় তিন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য থাকছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।’
থাকছে বিশেষ ট্রেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী জনসভা উপলক্ষে পশ্চিম অঞ্চলে রেলওয়েতে চালু করা হয়েছে সাত বিশেষ ট্রেন। রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ট্রেনগুলো রাজশাহীতে আসবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে সাতটি বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো নাটোর স্পেশাল, সিরাজগঞ্জ স্পেশাল, জয়পুরহাট স্পেশাল, সান্তাহার স্পেশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল, রহনপুর স্পেশাল ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্পেশাল ট্রেন।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীর নেতারা রাজশাহীতে
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে এরই মধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছে গেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীর নেতারা। শনিবার বিকেলে রাজশাহী পৌঁছান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু শনিবার বলেন, ‘প্রায় ১৫-২০ জন কেন্দ্রীয় নেতা এরই মধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমরা জনসভা শুরু করব। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের পর সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠবেন।’
আরও পড়ুন:পাঁচ বছর পর রোববার রাজশাহী সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানকার ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের জনসভা। এ জনসভাকে সামনে রেখে নতুন সাজে সেজেছে রাজশাহী নগরী, থাকছে বিশেষ ট্রেনও। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে রাজশাহীতে চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। তাকে স্বাগত জানাতে নগর ও জেলাজুড়ে ৪৪টি তোরণ তৈরি করা হয়েছে। জনসভাস্থলের আশেপাশের সড়কগুলোকে সংস্কার করে চকচকে করা হয়েছে। নগরীর সড়কদ্বীপগুলো ঝেড়ে-মুছে রঙিন করা হয়েছে। নগরজুড়ে প্রজাপতি ও রাজকীয় সব সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। এসব ব্যানারে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
জনসভা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবেন। বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি। এখানে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন , ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে ২২০টি মাইক ও ১২ টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। এছাড়াও সমাবেশের জন্য ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও পায়খানার ব্যবস্থা থাকবে। ’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও নগরীর চারটি প্রবেশদ্বারসহ প্রতিটি কোণে ছয় সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু জনসভাস্থলের নিরাপত্তায় তিন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য থাকছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।’
থাকছে বিশেষ ট্রেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী জনসভা উপলক্ষে পশ্চিম অঞ্চলে রেলওয়েতে চালু করা হয়েছে সাত বিশেষ ট্রেন। রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ট্রেনগুলো রাজশাহীতে আসবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে সাতটি বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হল-, নাটোর স্পেশাল, সিরাজগঞ্জ স্পেশাল, জয়পুরহাট স্পেশাল, সান্তাহার স্পেশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল, রহনপুর স্পেশাল ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্পেশাল ট্রেন।’
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ হেলালের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রেনগুলো বেলা ১২টা থেকে একটার মধ্যেই রাজশাহীতে পৌঁছাবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীর নেতারা রাজশাহীতে
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে এরইমধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছে গেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীর নেতারা। শনিবার বিকেলে রাজশাহী পৌঁছেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, প্রায় ১৫-২০ জন কেন্দ্রীয় নেতা এরই মধ্যে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমরা জনসভা শুরু করব। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের পর সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠবেন।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে পরিদর্শন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৪ বছরে পুরো দেশের মতো রাজশাহীও বদলে গেছে। দেশের বৈপ্লবিক উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। উন্নয়ন-অর্জনের বদলে যাওয়া দৃশ্যপটের ওপর গুরুত্ব দিয়েই প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আর এক বছর বাকি। তাই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। নৌকায় আবারও মানুষের সমর্থন ও ভোট চাইবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, বড়-বড় দেশগুলো পৃথিবীতে যুদ্ধ বাধিয়ে আমাদের মত ছোট-ছোট দেশগুলোকে সমস্যায় ফেলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শক্ত হাতে দেশের হাল ধরেছেন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, উন্নত দেশগুলোর চেয়েও বাংলাদেশের মানুষ সংকটের মধ্যেও ভালো আছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য