× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
How are those senior leaders?
google_news print-icon

কেমন আছেন সেই সব জ্যেষ্ঠ নেতা

আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী এবং তোফায়েল আহমেদ। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
তাদের বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। শারীরিক অসুস্থতা তাদের চলাফেরাকে সীমিত করে ফেলেছে। তবু তারা যথাসাধ্য দলে এবং সরকারে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেন। রাজনীতির ফাঁকে তারা বই পড়েন, লেখালেখি করেন। এলাকায় ভোটারদের খোঁজখবর রাখেন।

বয়স বাড়লেও রাজনীতিতে সক্রিয়তা ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। শারীরিক অসুস্থতা বাধা না হয়ে দাঁড়ালে সরকারি দায়িত্ব এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকেই প্রাধান্য দেন তারা। রাজনীতির পাশাপাশি দু-একজন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজেদের ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন।

রাজনীতির ফাঁকে তারা বই পড়েন, লেখালেখি করেন। নিজের কাজ নিজে করাই তাদের দৈনন্দিন কর্মসূচি।

শাসক দলের এ রকম চার নেতার সাম্প্রতিক জীবনযাপনের খোঁজ নিয়েছে নিউজবাংলা। এরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ ছাড়াও জাতীয় সংসদের উপনেতার পদটি তার। তিনি বর্তমানে ছোট ছেলে শাহতাব আকবরকে (লাবু) সঙ্গে নিয়ে ধানমণ্ডিতে থাকেন। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেয়া প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের বর্তমান বয়স ৮৭।

সাজেদা চৌধুরীর একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র নিউজবাংলাকে জানান, অসুস্থতা এবং বয়সজনিত জটিলতার কারণে অনেক দিন তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না। করোনা শুরু হওয়ার আগে থেকেই তার মধ্যে স্মৃতিভ্রম দেখা দেয়। অনেক কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্য এলোমেলো হয়ে যায়।

সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালতা ও সদরপুর) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অসুস্থতার কারণে নির্বাচনি এলাকার খোঁজখবর রাখেন ছোট ছেলে শাহতাব আকবর চৌধুরী।

শাহতাব আকবর নিউজবাংলাকে জানান, তার মা এখন ধীরগতিতে হলেও হাঁটাচলা করতে পারছেন। নিজে অফিসে যেতে না পারলেও সংসদ উপনেতার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের আনা কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। শাহতাব জানান, সংসদসংক্রান্ত কাজে মাকে সাহায্য করেন তিনি। পাশাপাশি মায়ের হয়ে এলাকা দেখভালের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

আমির হোসেন আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু আছেন দলের সংসদীয় বোর্ডেও। পাশাপাশি ১৪ দলের মুখপাত্র এবং সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

আওয়ামী লীগের একসময়ের ‘মিস্টার ডিসিশন’ হিসেবে পরিচিত এ নেতার দলে প্রভাব এবং জৌলুস কমে যায় এক-এগারোর পরে। সে সময় পর্যন্ত তার দৈনন্দিন রুটিন ছিল ছকে বাঁধা। প্রতিদিন সকালে নাশতা সেরে আরাম কেদারায় বসতেন। বাড়িতে দেখা করতে আসা নেতা-কর্মীরা তার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতেন।

৮০ বছর বয়সী এ নেতা এখন কদাচিৎ বাড়িতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর তা এক প্রকার বন্ধই হয়ে গেছে।

তার একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আমির হোসেন আমু অতি ভোরে উঠে নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করেন। সাধারণত সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে তার দিন শুরু হয়। সকালে বেশ কয়েকটি দৈনিকে চোখ বোলান তিনি। এরপর নাশতা সেরে বিশ্রামে যান। রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে তাতে অংশ নেন। অবশ্য তার বেশির ভাগই ভার্চুয়ালি। ১৪ দলের বৈঠক পরিচালনা করেন। দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।

গত মার্চে তিনি ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় জনতা পার্টির এক থিংক ট্যাংকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ে তার প্রকাশ্য রাজনৈতিক উপস্থিতি।

এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি ফোনে অথবা ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রক্ষা করেন। করোনার প্রকোপ কমে আসার পর নিজের নির্বাচনি এলাকা ঝালকাঠির নলছিটিতে যাওয়া শুরু করেছেন। মাসে অন্তত একবারের জন্য হলেও তিনি নির্বাচনি এলাকায় যান।

দৈনন্দিন ব্যস্ততা নিয়ে আমির হোসেন আমুর কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে জানান, সরকার ও দলীয় দায়িত্ব পালন করতেই সময় চলে যায়। এলাকার জনগণের খোঁজখবর রাখেন নিয়মিত। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনি এলাকার অবকাঠামো, যোগাযোগ, বিভিন্ন ভাতা বণ্টনের কাজ তদারকি করতে হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এসব নিয়ে নির্দেশনা দিতেই সময় পার হয়ে যায় তার।

তোফায়েল আহমেদ

তোফায়েল আহমেদ দলের উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংসদীয় বোর্ডের সদস্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি তিনি। এই মুহূর্তে কিছুটা অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চিকিৎসা শেষে ঈদের কয়েক দিন আগেই দেশে ফিরে নিজ নির্বাচনি এলাকা ভোলা ঘুরে এসেছেন তিনি।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই তার অসুস্থতায় ভোগার কথা জানা গেছে। স্ট্রোক করার কারণে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এ নেতা। ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, ধীর হলেও চলাফেরা করতে পারছেন।

৭৮ বছর বয়সী তোফায়েল আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, তিনি ভালো আছেন। বই পড়ে, লেখালেখি করে, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মাধ্যমেই কেটে যায় তার দিন।

সকালে সংবাদপত্র পড়া তোফায়েল আহমেদের নৈমিত্তিক রুটিন। তার সংগ্রহে রয়েছে বিশাল এক গ্রন্থাগার। বনানীতে তার বাসার নিচতলায় এর অবস্থান। রাজনৈতিক ব্যস্ততা না থাকলে দুপুর পর্যন্ত তার গ্রন্থাগারেই কাটে। সেখানে লেখালেখি, বই পড়া দুটিই চলে। কোথাও সাক্ষাৎকার দেয়া কিংবা ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেয়ার কাজটাও তিনি এখানে বসেই করেন। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে নিচতলার অন্য অংশে।

রাজনৈতিক জীবনে বরাবর তিনি নিয়ম মেনে সপ্তাহে দুই দিন করে কাটিয়েছেন নির্বাচনি এলাকা ভোলায় (ভোলা-১)। সাধারণত বৃহস্পতিবার গিয়ে তিনি শনিবার রাতে ঢাকায় ফিরতেন। তবে করোনা মহামারির পর স্বাভাবিকভাবেই তাতে ভাটা পড়ে। আর বয়স বাড়তে থাকায় শরীরও আগের মতো সাড়া দেয় না। এ কারণে এখন আর নিয়মিত যেতে পারেন না। তবে ঢাকায় বসে নিয়মিতই নির্বাচনি এলাকার খোঁজখবর রাখেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইস্যুতে এলাকার জনগণ এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এই বয়সেও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকেন না এ রাজনীতিবিদ। দিবসভিত্তিক কর্মসূচিগুলোতে সশরীরে হাজির থাকতে না পারলেও আলোচনা সভা এবং অন্য বৈঠকগুলোতে যান।

মায়ের নামে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলেছেন তোফায়েল আহমেদ। ২০১৬ সালে তার নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জন্য হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, শিক্ষাবৃত্তিসহ আর্তমানবতার সেবামূলক কাজ পরিচালিত হয়।

বাংলাবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে আজাহার ফাতেমা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এই হাসপাতাল তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ২২ অক্টোবর ১৯৪৩ সালে জন্ম নেয়া তোফায়েল আহমেদের বর্তমান বয়স ৭৮ বছর।

মতিয়া চৌধুরী

দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তিনি। কী সরকারি, কী দলীয়– সব কাজই তিনি যথাসময়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করেন। নিজে উপস্থিত থাকেন।

বয়স ৭৯ হলেও অনুকূল এবং প্রতিকূল দুই ধরনের পরিবেশেই সমানতালে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় মতিয়া চৌধুরী। করোনার মহামারিকালেও দলীয় কার্যালয় এবং কর্মসূচিতে ছিল নিয়মিত উপস্থিতি।

জীবনযাপনে মতিয়া চৌধুরী অত্যন্ত সাদাসিধে। এখনও দেশি কাপড় পরেন, চলেন সাদামাটা। সাজগোজ নেই, তবু পরিপাটি। খাবারদাবারেও নেই বাড়তি কিছু। সাধারণ চালের ভাত, শাকসবজি, ভর্তা আর তরিতরকারিতেই অভ্যস্ত। রাষ্ট্রীয় বা দলীয় কাজের বাইরে সময় পেলেই পত্রপত্রিকা ও বই পড়ে সময় কাটান। সময় পেলে নিজেই রান্না করেন। এ ছাড়া প্রয়াত স্বামী বজলুর রহমানের নামে ফাউন্ডেশন চালান।

তার বাসার পরিবেশও অনাড়ম্বর। তেমন কোনো আসবাব নেই বললেই চলে। ছোট্ট একটা ডাইনিং টেবিল। ছোট ছোট তিনটি রুম। পাঁচ-ছয়জন বসার মতো একটি সাধারণ সোফাসেট। ছোট্ট একটি টিভি। তবে বাড়িভর্তি বইপত্র। প্রত্যেক ঘরে ছড়ানো-ছিটানো বই, দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা।

মতিয়া চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, নিজের সব কাজ নিজে করার চেষ্টা করেন। সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনি এলাকা শেরপুর-২-এ যথাসম্ভব সময় দেয়ার চেষ্টা করেন। করোনাকালেও সেখানে গিয়েছেন। কখনও নিজে না পারলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন। এ ছাড়া নিয়মিত দলীয় কার্যালয়ে যান। যান দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনেও। দলীয় এবং সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার পাশাপাশি দলীয় প্রধানের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
ঝড়ের গতিতে উত্থান, উল্কার বেগে পতন
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ‘নেই’ মোশাররফ
ফরিদপুরে ৬ বছর পর আ.লীগের সম্মেলন কাল
ছাত্রলীগসহ তিন সংগঠনকে সম্মেলনের নির্দেশ
আওয়ামী লীগের যৌথ সভা মঙ্গলবার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Jamaat did not join the consensus commission discussion

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়েতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি। বিএনপি ও এনসিপির মাঝে জামায়াতের জন্য সংরক্ষিত আসনটি মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত ছিল ফাঁকা।

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়ায় নানা রাজনৈতিক দল নানা মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Opposition Party of Chairman of Four Standing Committee in Parliament Salahuddin

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।

বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’

‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’

নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘

এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Tarek meeting is the main event of politics right now Fakhrul

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul is returning home at night after treatment

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP called the budget a one sided void

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’

বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে