বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আজকে বিএনপি গণতন্ত্র নিয়ে, ভোট নিয়ে নানা কথা বলছে। অথচ তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ভোট নিয়ে প্রহসন করে গেছেন, গণভোট আয়োজন করে ভোট নিয়ে তামাশা করে গেছেন। রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মৌলবাদের উত্থান ঘটিয়েছেন তিনি।’
এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন লিটন। রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অনেক মিল রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে বিমানবন্দরে যেমন মানুষের ঢল নেমেছিল, তেমনি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের দিনেও বিমানবন্দরে মানুষের ঢল নেমেছিল। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাকে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ক্ষমতায় এসে তিনি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এই সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনার মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করবেন, তাই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না, কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু মানুষের মুখের হাসি ফোটানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন তারই সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপউপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপউপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল ইসলাম।
গৃহবধূ হত্যা মামলায় প্রথমপক্ষের শ্যালকসহ স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে গাইবান্ধার একটি বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন ব্যাপারির ছেলে সাইফুল ইসলাম ও একই উপজেলার বসন্তেরপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে করিম মিয়া। তারা সম্পর্কে শালা-দুলাভাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্যা কনক নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এজাহারে বলা হয়, সাইফুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই তার প্রথম স্ত্রী পারভীন বেগমের ভাই করিম মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী পারভীন আকতারকে গলা কেটে হত্যা করেন। সেই মরদেহ কয়েকদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত পারভীন আকতারের ভাই আজিজুল রহমান সাঘাটা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন সাইফুল ও করিম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্যা কনক বলেন, ‘হত্যায় অংশ নেয়া দুই জনের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। তবে বাকি তিন আসামি নিরাপরাধ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত।’
আরও পড়ুন:নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বাড়িতে ঢুকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
পুরুলিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তির নাম কামরুল শেখ। আহতরা হলেন জাকির শেখ, মো. ইমরুল শেখ, সবুর শেখ, মনসুর শেখ ও মনজুর শেখ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়াইল কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসমীম আলম।
নিহতের ভাই ও সাবেক মেম্বার বেলাল হোসেন জানান, পুরুলিয়া জামে মসজিদের অর্থের হিসাব নিয়ে গত শুক্রবার স্থানীয় নয়ন সরদার ও আলিম গাজীর সঙ্গে কামরুল শেখ ও ইমরুল শেখের কথা-কাটাকাটি হয়।
এরই জেরে সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে নয়ন, আলিমসহ ১৫ থেকে ২০ জন কামরুলের বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। কামরুলসহ গুরুতর আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শামিমুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই কামরুলের মৃত্যু হয়। আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। তাদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাদের খুলনায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।’
ওসি তাসমীম আলম জানান, ‘কামরুল শেখের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। আমরা অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা করছি।’
চাঁদপুরের কচুয়ায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন।
কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের বায়েক এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার হোসাইন নগর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
কচুয়া সাচার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়া থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন শফিকুল। এ সময় ঢাকা থেকে কচুয়া আসার পথে বায়েক মোড় এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক শফিকুল ইসলাম মারা যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ট্রাকটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ট্রাকচালক পলাতক আছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে স্বজনদের দাবি, এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।
হতাহতরা সবাই সবজি বিক্রেতা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকায় সবজি বাজারে বৃহস্পতিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন।
নিহতদের মধ্যে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ৫০ বছরের ফারুক মিয়া ও মাহমুদাবাদ পাগলাবাড়ির ৪৫ বছরের মো. মাসাকিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে টানপাড়া এলাকার ৩৫ বছরের রিপন মিয়া ও ৫০ বছরের মো. শাজাহানের মৃত্যু হয়।
আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী রহমান মিয়া ও তাহের ব্যাপারীসহ কয়েকজন সবজি বিক্রেতা নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিদিনের মতো ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মাহমুদাবাদ বাজারে সবজির হাট জমে ওঠে। এ হাটে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সবজি বিক্রি করতে আসেন। আজ ভোরে মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান সবজি বিক্রেতাদের অটোরিকশার ওপর উঠে যায়। এতে অটোরিকশার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই সবজি বিক্রেতা চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অন্তত পাঁচজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে আরও দুজন মারা যান।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা জানান, ভোরে ভৈরব ছেড়ে আসা ঢাকামুখী জননী কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ড ভ্যান মাহমুদাবাদ বাজারের পাশে মেশিনঘর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। একই সময়ে ঢাকা থেকে সিলেটগামী আরেকটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে মেশিন গড় এলাকায় রাস্তার পাশে সবজির হাটে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভ্যান দুটি বেশ কিছু দোকান ও অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আজিজুল হক বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে দুটি মরদেহ উদ্ধার করি। আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভৈরব নেয়ার পথে তিনি মারা যান।’
ওসি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আজ ভোরে মহাসড়কের মাহমুদাবাদে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আমাদের নথিতে এখনও চারজনের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়নি। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে আইনি কার্যক্রম চলছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
আরও পড়ুন:টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমার পানি আরও বেড়েছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি বাড়ায় জেলার নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। পৌর শহরের তেঘরিয়া, আরপিন নগর, বড়পাড়া, পূর্ব নতুনপাড়া, হাজীপাড়া, নবীনগর, ধূপাখালি এবং ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে।
তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘ঘরবাড়ি থেকে মাত্র চার দিন হইছে পানি নামছিল। কিন্তু আজকে সকাল থকি আবারও ঘরে বারান্দায় পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। আজকে বৃষ্টি এ রকম হতে থাকলে ঘরেও পানি ডুকতে বেশি সময় লাগবে না, বিপদের মধ্যে মহাবিপদ।’
উত্তর আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা লুকনা বিবি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িত আইলাম দুই দিন অইল। এখন দেখি আবার পানি আইচ্ছে। তিনটা মেয়ে, স্বামী ও শাশুড়ি নিয়া কষ্টের মধ্যে আছি। কাজকাম নাই। মানুষের ঘরে কাজ করিয়া দিন আনি দিন খাই। কিন্তু পানি আইলে আমরা বন্দি।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জ ও মেঘালয়ে বৃষ্টি হওয়ায় সুরমাসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনও সুরমার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক দিন আগে তা ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নববধূকে বাবার বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী পৌর এলাকার কালিনগর মহল্লায় বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় রহুল আমিন নামের এক যুবক ও তার ভাবিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৫ বছরের রহুল মাদক সেবন করতেন বলে জানা গেছে।
১৮ বছরের দিতি খাতুন কালিনগর মহল্লার মুছা মিয়ার মেয়ে।
মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলা করেন মুছা মিয়া।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘আসামিদের আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।’
স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকার খাইরুল ইসলামের সঙ্গে দিতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে তার বাবার বাড়ি কালিনগর রেখে খাইরুল কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান। এ সময় রাহেলার ডাক শুনে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে রহুল দা দিয়ে দিতির মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা উপজেলায় দিতির মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহেলাকে আটক করে ও রহুল আমিনকে খুঁজতে থাকে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই ঘটনাস্থলে পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে।’
এ ঘটনায় দিতির মা মনোয়ারা বেগম জানান, রাতের খাওয়া শেষে তারা ঘুমাতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাহেলা এসে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। দিতি দরজা খোলা মাত্রই রহুল তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাহেলাও চলে যান। তখন পুলিশে খবর দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে তারা আমার মেয়েডারে মারল আমরা জানি না। আমার মেয়ের খুনিদের বিচার চাই।’
এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও ওসি বাদল।
ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে দ্রুতই আমরা আসল ঘটনা উদ্ধার করতে পারব।মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বরিশালের আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিদ্যানন্দপুরেও এগিয়ে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে বিদ্যানন্দপুরের একটি কেন্দ্রে ৮৯ জনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ মিল না হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রের ভোট কবে নাগাদ হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আন্ধারমানিক ও বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বুধবার।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোটের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের নাসির উদ্দিন খোকন ৪২১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার বিপরীতে নৌকা প্রতীকের আলাউদ্দিন কবিরাজ ৩৬০১ ভোট পেয়েছেন।
এই ইউনিয়নে শতকরা ৫৭ দশমিক ৭৫ ভাগ ভোট পড়েছে।
বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত হয়েছে। তবে সেখানে ৩২৫৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের শাহে আলম মীর এবং দ্বিতীয় অবস্থানে ২৩৪২ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকের জব্বার খান।
বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা নারী-পুরুষ মিলিয়ে বারো হাজার ৯৫ জন এবং আন্ধারমানিকে সতের হাজার ৫১৩ জন ভোটার রয়েছে।
আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ১২ জুন দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
এর আগে ১৩ জুন নির্বাচন কমিশন এই দুই ইউনিয়নে নির্বাচনী পরিবেশ না থাকায় ১৫ জুন নির্ধারিত ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য