রাজধানীর উত্তরা পূর্ব জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় স্কুটারচালক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ লোকমান হোসেন শরীফ। তার বয়স ৪৫ বছর।
তার বাড়ি চাঁদপুর সদর জেলায়। বর্তমানে উত্তরখান মাদারবাড়ি এলাকার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার তিনজন মেয়ে রয়েছে।
নিহতের ভাগিনা মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমার মামা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকালে উত্তরা জসিমউদ্দিন রোড এলাকা দিয়ে স্কুটারে যাওয়ার সময় স্টার লাইনের বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে আমার মামা গুরুতর আহত হন। তাকে উত্তরা জাহানারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উত্তরা জাহানারা হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
প্রধান সড়ক ধরে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার থেকে ধোলাইখাল হয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। একই গন্তব্যে আরও তিন কিলোমিটারের বেশি পার্শ্ব রাস্তা।
ওই ৬ কিলোমিটারের মতো রাস্তা ইজারা নিয়ে বসানো হয়েছে পশুর হাট। এতে এ দুই রাস্তা দিয়ে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
পশুর হাটটি রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে শুরু হয়েছে। এটি ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালের পাশাপাশি নারিন্দা, গোপী মোহন বসাক লেন, রথখোলা মোড়, নাসির উদ্দিন সর্দার রোড, ঋষিকেশ রোড, বেগমগঞ্জ বাজার, গেণ্ডারিয়া রোড ও মুরগিটোলা মোড় হয়ে দয়াগঞ্জ মোড় পর্যন্ত বসেছে।
রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতের সামনে বাঁশে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু ও ছাগল। অনেক জায়গায় বাঁশ দিয়ে পুরো রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ। এতে তৈরি হয়েছে যানজট। আর মাইকে সারা দিনই চলছে উচ্চ আওয়াজে পশু বিক্রির ঘোষণা।
পশুর হাটের কারণে যাত্রাবাড়ী থেকে সদরঘাট রুটে চলাচলকারী একমাত্র গণপরিবহন (বাহাদুর শাহ পরিবহন) বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা।
কোরবানির এ হাটে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসা হচ্ছে। ট্রাকগুলো রাস্তার ওপর দীর্ঘক্ষণ রেখে দেয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
বিকল্প রাস্তা না থাকায় যানজটের দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রাবাড়ী থেকে সদরঘাটগামী লোকজন। যেখানে দয়াগঞ্জ মোড় থেকে রায়সাহেব বাজার আসতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট, সেখানে ১ ঘণ্টায়ও এ পথ পার হওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী, রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসার কথা ঈদের চার দিন আগে, কিন্তু এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাটে আসতে শুরু করেছে পশু। এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।
নবাবপুর রোডের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দোকানের সামনে গরুর হাট বসিয়েছে। গরুর প্রস্রাব-পায়খানার গন্ধ আর হাটের মানুষের ভিড়ে ব্যবসার একদম ১২টা বেজে গেল।’
ইংলিশ রোডে দাঁড়িয়ে নোমান নামের এক লঞ্চযাত্রী বলেন, ‘আমি সদরঘাট যাব, কিন্তু লঞ্চ মিস করে ফেলছি। অন্য সময়ে যাত্রাবাড়ী থেকে ইংলিশ রোডে হেঁটে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। একটু হেঁটে একটু রিকশায় প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। গরু, গরুর ট্রাক আর হাটের মানুষের ভিড়ে হাঁটাও কষ্টকর।’
নারিন্দার বাসিন্দা মো. জারীফ জাওয়াদ বলেন, ‘আমার বাসার দরজায় গরু বাঁধা। গাড়ি বের করতে পারি না।
‘রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। সারা দিন মাইকে পশু বিক্রির ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। এতে এলাকাবাসী বিরক্ত।’
একই এলাকার দোকানদার মো. তুহিন বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে গরু বেঁধে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরে অনুরোধ করায় সরিয়ে নিয়েছেন।’
এ এলাকার আরেক বাসিন্দা অনিক হোসেন বলেন, ‘এলাকার রাস্তা আর ফুটপাত ব্যবহার করতে পারি না। রাস্তায় শুধু পশুর বর্জ্য।’
সিটি করপোরেশনের কাছে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান তিনি।
হাটের ইজারাদার মো. আনোয়ার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের আমরা সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। ঈদের দিন পর্যন্ত এ হাট চলবে। আমাদের ভলান্টিয়াররা আছেন; তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।’
রাস্তার ওপর হাট বসানোতে ভোগান্তির বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ধোলাইখাল হাট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির বলেন, ‘আমাদের ভলান্টিয়াররা কিছু সময় রাস্তা বন্ধ রাখছে। আবার খুলে দিয়েছে। আমরা তো সারা বছর মানুষকে কষ্ট দিইনি, দুই-তিন দিন কষ্ট করবে মানুষ।’
ধোলাইখাল হাটের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, ‘এই অবস্থায় এ রোডে গাড়ি চলা মুশকিল। গাড়ি ঢুকলে গাড়ি সাইড দিতে আমরা মাইকিং করি। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন করি।’
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। বিক্রি শুরু হবে আমাদের নির্ধারিত তারিখ থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ ভোগান্তিতে পড়লে থানা কিংবা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। আমরা কারও যাত্রাপথ বন্ধ করতে হাট বসাইনি। অসুবিধার কথা জানিয়ে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হোসেন আলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘ইজারা দিয়েছে সিটি করপোরেশন। তারা কেন রাস্তায় দিয়েছে তারাই বলতে পারবে। আমার ওয়ার্ডের অধীন অংশে আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।’
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মামুনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাট আমরা নিজেরাই দেখতেছি। স্পেসিফিক কোনো দায়িত্ব নাই। আমাদের ডিউটি বাই টার্ন এখানে যাচ্ছে; ওরাই ওটা মেইনটেইন করতেছে।’
‘রাস্তার দুই পাশ দুটি থানার অধীনে পড়েছে। এক পাশে ওয়ারী আর অন্যপাশে সূত্রাপুর। সামনে আবার গেণ্ডারিয়া আছে। ওখানে গেণ্ডারিয়া থানাও দেখছে। কিছুটা অংশ ওয়ারী থানায়ও পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরুর হাট হলে একটু তো যানজট হবেই। পুরান ঢাকায় আসলেই জায়গার সংকট।
‘তারপরও গাড়ি চলাচল অব্যাহত আছে। রাস্তা বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
আরও পড়ুন:পুরান ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে উমেষ দত্ত সড়ককে ৫০ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে নগরীর বকশীবাজারে সড়ক প্রশস্তকরণে উচ্ছেদের কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আমাদের পুরাতন ঢাকার চকবাজার, বকশীবাজার এলাকার রাস্তা অত্যন্ত সরু। এসব সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। ৪০ ফুট মূল সড়ক এবং দুই পাশে ৫ ফুট করে ১০ ফুট ফুটপাত হবে। সব মিলিয়ে ৫০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা আমরা পুরাতন ঢাকার মানুষকে উপহার দেব।’
খেলার মাঠে পশুর হাট প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘আমরা খেলার মাঠে হাটের অনুমতি দিইনি। এবার হাটের সংখ্যাও আমরা কমিয়ে দিয়েছি। মাত্র ১০টি হাট হবে। হাটগুলোতে যদি ইজারাদার শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশৃঙ্খলা হোক আমরা সেটা কামনা করব না।
কোরবানির পশু জবাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু জাজেস কোয়ার্টার ও অফিসার্স কোয়ার্টারের জন্য আমরা তিনটি স্থানে পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করছি। ওয়ার্ডভিত্তিক কোনো স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে না। এলাকাবাসী তাদের মতো করেই পশু জবাই করবেন, আমরা দুপুর ১২টায় পশুর বর্জ্য সরাতে কাজ শুরু করব।’
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাতের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলমান, সেখানে সবাইকে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানান মেয়র।
এর আগে মেয়র পূর্ব নন্দিপাড়ায় ৫৬তম এসটিএস এবং ধানমন্ডি ৭ নম্বরে নায়রী রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেন।
এ সময় মেয়রের সঙ্গে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু খুলে যাওয়ায় ঢাকার সঙ্গে ২১ জেলার নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ চালু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভোগান্তি যেমন কমেছে, তেমনি বাড়ি ফেরার সময়ও কমেছে কয়েক ঘণ্টা।
এতে চাপ বেড়েছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমে গেছে গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে দক্ষিণবঙ্গমুখী বাস চলাচল।
বুধবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ঈদযাত্রায় তা তেমন একটা বাধা তৈরি করতে পারেনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বাসের অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে।
টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসেছে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। সতর্ক আছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) টিমও।
দক্ষিণবঙ্গগামী সাকুরা পরিবহনের বুকিং মাস্টার আলামিন হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদযাত্রায় যাত্রীর চাপ ভালোই আছে। কোনো গাড়িতে সিট খালি যায় নাই। গাড়ির বুকিং ফুল গেছে। তবে গাড়ির ট্রিপ কমে গেছে। কারণ পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে বেশিরভাগ যাত্রী সায়েদাবাদ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যেতে চাচ্ছে।
‘পদ্মা সেতু দিয়া সময় কম লাগতেছে। কিন্তু পাটুরিয়া-আরিচা দিয়ে ফেরি খালি থাকলেও সময়টা বেশি লাগায় যাত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে আগ্রহী বেশি। সায়েদাবাদ থেকে যাত্রীর চাপ বেশি।’
সাকুরা পরিবহনের বুকিং মাস্টার মতো একই সুরে কথা বলেন দক্ষিণবঙ্গগামী সোহাগ পরিবহনের বুকিং মাস্টার ফয়সাল আহমেদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন কোনো টিকিট নেই৷ যারা আগেই টিকিট কেটেছে তারাই যাচ্ছে। গাড়ি সব সিডিউল টাইমেই যাচ্ছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে। কারণ যাত্রীরা পদ্মা সেতু হয়েই যেতে আগ্রহী।’
সাড়ে তিন বছর পর দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন প্রবাসী বাংলাদেশী মনিরুল ইসলাম মিন্টু। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নড়াইল ফিরছিলেন তিনি। মিন্টু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক ভালো লাগতেছে। ফ্যামিলির সবাইকে এক সঙ্গে পাইছি। এখন নড়াইল যাচ্ছি। গ্রামের বাড়ির সবাইকে নিয়ে ঈদ করব।’
ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটে ঈদযাত্রার আলাদা কোনো চাপ নেই বলে জানান গাবতলী টার্মিনালের হানিফ কাউন্টারের সহকারী ম্যানেজার মো. শামীম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কখনো ঈদযাত্রায় তেমন চাপ ছিল না এই রুটে। যাত্রী যখন এসে টিকিট চায় তখনই পায়।’
ঈদুল ফিতরের সময় ঈদযাত্রার প্রথম দিনে বেশ কয়েকটি বাসের সিট খালি গেলেও ঈদুল আযহার সময় সে তুলনায় ভিড় বেড়েছে গাবতলী বাস টার্মিনালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের দিন ও আগে পরে সাতদিন মোটরসাইকেল বন্ধ করে দেয়ায় এই চাপ আরও বাড়তে পারে। টিকিটের হাহাকার এবং চাহিদা যোগান দিতে মহাসড়কে দুর্বল আনফিট বাস নেমে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর কসাই গলির একটি চাতলা ভবনের সেনেটারি ফিটিংসের কাজের সময় নিচে পড়ে নামের মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মিস্ত্রির নাম মো. ইমন। তার বয়স ২০ বছর।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা পৌনে ১২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা বজলুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে সেনেটারি ফিটিংসের কাজ করে। আজ সকালে কামরাঙ্গীরচর আবু সাঈদ বাজার কসাই গলির একটি চারতলা ভবনের সেনেটারি ফিটিংসের কাজ করার জন্য উপরে ওঠে।
‘সকালে বৃষ্টির পানি মেঝেতে জমে থাকায় চারতলা থেকে পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:স্বজনরা দেশের বাইরে, তিনি একাই থাকতেন দেশে। দুই সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার পর তাকে নিজ বাসায় পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে। পুলিশ যখন উদ্ধার করে তখন গায়ে পোকা কিলবিল করছিল।
তার নাম ইকবাল উদ্দিন আহমেদ। পেশায় চিকিৎসক। রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি নম্বরে কল পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে বাহিনীটি।
মঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে বড় মগবাজার ২২৭ নম্বর গ্র্যান্ড প্লাজা বাড়ির সাত তলার নিজ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করার পর ময়নাতন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সিদ্ধেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মোফিজুর রহমান বলেন, ৭২ বছর বয়সী ইকবালের স্ত্রী-মেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। তাদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে কোনো যোগাযোগ হচ্ছিল না। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পেয়ে রাতে ওই বাসা থেকে ডা. ইকবাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘অর্ধগলিত মরদেহে পোকা ধরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
ইকবাল উদ্দিনের মেয়ের জামাই আরিফুর রহমান সিদ্দীক বলেন, ‘আমার শ্বশুর-শাশুড়ি (হাবিবা বেগম) ও মেয়েকে নিয়ে সৌদি আরব থাকতেন। তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন। এজন্য গত ৫ থকে ৬ বছর আগে তিনি দেশে চলে আসেন। এরপর থেকে বড় মগবাজারের বাড়িটির নিজ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে । এরপর থেকে ফোনের রিং হলেও আর যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।’
মঙ্গলবার ওই বাড়ির কেয়ারটেকার সার্ভিস চার্জের জন্য ওই বাসায় গিয়ে তাকে অনেক ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে এরপর থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বাসার বাথরুমে উপুর হয়ে পড়েছিল মরদেহ।
পুলিশের ধারণা, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার।
আরও পড়ুন:ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনের পয়োবর্জ্য সরাসরি লাইনে ফেলা যাবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, এসব অভিজাত এলাকায় প্রতিটি ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে।
বুধবার দুপুরে ৩৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নুরের চালায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পয়োবর্জ্যের সংযোগ স্টর্ম সুয়ারেজে দেয়া যাবে না। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পয়োবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায়ও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক ছাড়া শুধু রাস্তা করলে হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য রাস্তা নির্মাণের পূর্বে ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। নূরেরচালার সুতিভোলা খালের পাড় থেকে নূরেরচালা বাজার মসজিদ পর্যন্ত ১ হাজার ৪২২ মিটার ড্রেনেজের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষ হলেই রাস্তার কাজ করা হবে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নে আতিকুল বলেন, ‘এই শহর শুধু মেয়রের নয়, এ শহর শুধু কাউন্সিলরের নয়, এই শহর সবার শহর। সিএস পর্চা অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করে আমরা খালগুলোকে উদ্ধার করব।
‘মহানগর জরিপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করলে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না, জলাবদ্ধতায় এই ঢাকা ডুবে যাবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ এগিয়ে চলেছে। খালগুলো উদ্ধারের পর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলব।’
সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আতিকুল বলেন, ‘আমরা জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সমস্যার সমাধানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই রাস্তার কার্যক্রম করছি। শহরের রাস্তাগুলো ২০ ফিট প্রশস্ততার কম হলে সেখানে সিটি করপোরেশন কোনো ধরনের অর্থায়ন করবে না, কোনো ধরনের রাস্তা নির্মাণ করবে না।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা, পানি নিষ্কাশন ও খাল খননের জন্য সরকার ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় নূরেরচালা মসজিদ থেকে সুতিভোলা খাল পর্যন্ত ১ হাজার ৪২২ মিটার পানি নিষ্কাশন নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ১২ ঘণ্টায়
এবার ঈদে কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় পরিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ জন্য সব প্রস্তুতি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় পরিষ্কারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে।'
ঢাকা উত্তরের কয়েকটি অঞ্চলে কাউন্সিলরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোরবানির স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:প্রসাধনসামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি হেনোলাক্সের মালিক নুরুল আমিনের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত ৪ জুন পাওনা টাকা না পেয়ে আত্মহত্যা করেন ব্যবসায়ী গাজী আনিস।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
হেনোলাক্সে বিনিয়োগ করা অর্থের কিছু অংশ গাজী আনিসকে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন৷ এ জন্য জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ঢাকায় এসে অবস্থান করছিলেন আনিস।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ৪ জুন আনিসের পাওনা টাকার আংশিক পরিশোধের জন্য চেক দেয়ার কথা ছিল নুরুল আমিনের। কিন্তু এদিন তাদের কাছ থেকে ওই চেক না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত আনিস প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার রাতে আমিন-ফাতেমা দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য গেল ২৬ জুন থেকে গাজী আনিস ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে একাধিকবার আলোচনার পর গাজী আনিসকে ৪ জুলাই আংশিক টাকা পরিশোধের জন্য চেক প্রদান করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন আমিন দম্পতি। সারা দিন অপেক্ষার পর তাদের কাছ কাঙ্ক্ষিত চেক না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গাজী আনিস।’
এদিকে নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী র্যাবের কাছে জানান, আনিসের পাওনা মোট টাকার হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত ছিল তাদের। আনিস প্রাপ্য টাকার অনেক বেশি দাবি করেছিলেন। এটি সমাধান না হওয়ায় তারা সেদিন চেক দিতে পারেননি।
আনিসের আত্মহত্যার ঘটনা জানার পর ভয় পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই রাজধানীর কাকরাইলে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে উত্তরায় গিয়ে আত্মগোপন করেন আমিন দম্পতি, জানান র্যাবের মুখপাত্র। পরবর্তীতে মামলা হওয়ার পর গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তাদের দুজনকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়।
আনিসের হেনোলাক্সে বিনিয়োগের বিষয়ে র্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘২০১৭ সালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার মো. নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে গাজী আনিসের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সখ্য এবং আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। আমিন দম্পতি ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলে সেখানে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে একই সাথে অবস্থানকালে আসামিদ্বয় ভিকটিমকে হেনোলাক্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করেন। ভিকটিম প্রথমে অসম্মতি জানালেও পরবর্তীতে রাজি হন এবং প্রাথমিকভাবে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন।
‘পরবর্তীতে তাদের প্ররোচনায় ভিকটিম আরও ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। অধিকাংশ টাকাই ভিকটিম ঋণ হিসেবে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। বিনিয়োগ করার সময় পরস্পরের প্রতি সম্মান এবং বিশ্বাসের কারণে তাদের মধ্যে কোনো চুক্তিনামা হয়নি। বিনিয়োগ-পরবর্তী চূড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র সম্পাদন করার জন্য ভিকটিম বারবার আসামিদ্বয়কে অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামিদ্বয় গড়িমসি করতে থাকেন।
‘প্রথমে কয়েক মাস লভ্যাংশ বাবদ আনিসকে টাকা দিলেও একসময় সে টাকা দেয়াও বন্ধ করে দেন নুরুল আমিন। সবশেষ লভ্যাংশসহ আনিসের ন্যায্য পাওনা ৩ কোটি টাকার অধিক বলে সে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। এর আগে কয়েক দফার চেষ্টায় ৭৪ লাখ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছিলেন আনিস। বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য কুষ্টিয়ায় দুটি মামলার পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন আনিস।
খন্দকার আল মঈন জানান, আনিসের বিনিয়োগের অধিকাংশ টাকা ধার করা ও পাওনাদারদের নিয়মিত লভ্যাংশ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি থাকায়, তারাও আনিসের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এতে দিশাহারা আনিস গত ২৬ জুন থেকে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
ভিকটিম গাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে কুষ্টিয়ায় গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। ভিকটিম সাহিত্য চর্চা করতেন এবং তার বেশ কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
গ্রেপ্তার নুরুল আমিনের উত্থান সম্পর্কে র্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘তিনি ঢাকা বাংলাদেশ হোমিও হল থেকে হোমিও ডিগ্রি (ডিএইচএমএস) অর্জন করেন। এরপর ১৯৮১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় কাদের হোমিও হল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর চাকরি করেন। ওই সময়ে তার একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কথা মাথায় আসলে ১৯৯১ সালে হেনোলাক্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম কয়েক বছর বাজারে প্রসাধনী পণ্যের কোনো প্রতিযোগী না থাকায় একচেটিয়া ব্যবসা করে নুরুল আমিনের হেনোলাক্স।
পরবর্তীতে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামকরণ করেন তিনি। ওই কোম্পানির অধীনে হেনোলাক্স কসমেটিকস যেমন হেনোলাক্স কমপ্লেকশান ক্রিম, হেনোলাক্স স্পট ক্রিম, হেনোলাক্স মেছতা আউট ক্রিম ও হেনোলাক্স হেয়ার অয়েল ও পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে বাজারে হেনোলাক্সের চাহিদা কমে গেলে ২০০৯ সালে সে আমিন হারবাল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৬ সালে হেনোলাক্স ও আমিন হারবালের সব কসমেটিকসের ব্যবসা বন্ধ করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য