প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ ও সত্যম রায় চৌধুরী।
গণভবনে সোমবার বিকেলে সাক্ষাৎকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতার জীবন নিয়ে নির্মীয়মাণ তথ্যচিত্র ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, গৌতম ঘোষ ও সত্যম রায় চৌধুরীর সামনে তথ্যচিত্রটির রূপরেখা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। কলকাতায় ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও কষ্টের দিনগুলোর কথাও বর্ণনা করেন তারা।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাতে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা পাওয়া জাতির পিতার দুই কন্যার আলোচনায় উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখে জাদুঘরের প্রতিটি কোনায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা দেখেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন গৌতম ঘোষ ও সত্যম রায় চৌধুরী। সেখানে বিভিন্ন নিদর্শন দেখে বঙ্গবন্ধু আজও জীবন্ত বলে তাদের কাছে অনুভূত হয়েছে বলেও জানান তারা।
‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটিকে ‘মহান ইতিহাস’ বলেও তারা উল্লেখ করেন। জানান, বাঙালির মহান নেতার জীবন ও কর্মের ওপর ডকুমেন্টারি তৈরি করে তারা গর্বিত।
গৌতম ঘোষ ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে ৩০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছেন। তাতে কলকাতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ তুলে ধরা হচ্ছে।
৪ এপ্রিল কলকাতার মওলানা আজাদ কলেজের একটি শ্রেণীকক্ষে শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে তথ্যচিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন গৌতম ঘোষ। ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে বঙ্গবন্ধু যখন সেখানে পড়াশোনা করতেন তখন এর নাম ছিল ইসলামিয়া কলেজ।
আরও পড়ুন:লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা ছিল। তবে তা হয়নি। তাই এবার কি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ভারতীয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়? এমন প্রশ্ন উঠতেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সায়ন্তিকা এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি লেখেন, “আমার ফ্যান, আমার মিডিয়া বন্ধুরা দয়া করে আমার বিয়ে নিয়ে কোনো ভুয়া খবর ছড়াবেন না। এমন খবরের কোনো সত্যতা নেই। আমার জীবনে যদি কখনও এমন মুহূর্ত আসে তাহলে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তা সবাইকে জানাব।”
এর পরই অভিনেত্রী লেখেন, “সোশাল মিডিয়ায় আমাদের আলোচনা করার জন্য এর থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। আমি এমন খবরের তীব্র নিন্দা করি আর সংবাদমাধ্যম ও ডিজিটাল পোর্টালকে এমন ভুয়া খবর না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।”
কয়েকদিন আগে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত না হওয়ায় রটে যায়, সায়ন্তিকা নাকি তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তবে স্পষ্ট কথায় সায়ন্তিকা বলেন, “টিকিট না পেয়ে মনখারাপ হয়েছে। এতদিন কাজ করেছি। কিন্তু আমি ইস্তফা দিচ্ছি না। ভুয়া একটা প্রচার হয়েছে। আমি কোথাও যাচ্ছি না। দলেই থাকছি। প্রচারে যাব। যদি কিছু হয় দলকে বলব। হয়তো আমার নেতৃত্ব ভবিষ্যতে আমার কথা মাথায় রাখবেন। একটা আশা তো আমিও করেছিলাম।”
এর আগে বিয়ে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সায়ন্তিকা বলেন, “আমি যদি বাঁকুড়ায় ২৪ ঘণ্টা পড়ে থাকি কোথা থেকে প্রেম করব? পাত্র খোঁজার সময়টাই নেই।” বাংলাদেশি নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে সম্পর্কের রটনাও ফুৎকারে উড়িয়ে দেন নায়িকা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ মারা গেছেন। সোমবার রাতে ঢাকার গ্রিন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
খালিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী ও উপস্থাপক তানভীর তারেক। তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর খালিদ অসুস্থ বোধ করেন। বাসা থেকে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
দীর্ঘ মিউজিক ক্যারিয়ারে সংখ্যার দিক থেকে সমসাময়িক শিল্পীদের তুলনায় কম গান করলেও নিজের গাওয়া প্রায় প্রতিটি গানেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন খালিদ। আশি ও নব্বইয়ের দশকে গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি।
‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’- এমন বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতার হৃদয়ে জায়গা করে নেন খালিদ।
গোপালগঞ্জে জন্ম নেয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সালে গানের জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন জনপ্রিয় ব্যান্ড গ্রুপ ‘চাইম’-এ। মাঝে কিছুদিন প্রবাসে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাতেই বসবাস করছিলেন কণ্ঠশিল্পী খালিদ।
আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অভিনেতা মাহমুদ কলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
রোববার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নিপুণ।
মাহমুদ কলিকে পাশে নিয়ে তিনি জানান, নিজে লড়বেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়ে, সঙ্গে সভাপতি হয়ে একই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মাহমুদ কলি।
অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর পরই নিপুণের সঙ্গে কে থাকছেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত নাম এলো শিল্পী সমিতির সাবেক সভাতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলানো এক সময়ের আলোচিত নায়ক মাহমুদ কলির।
আগামী ২৭ এপ্রিল হতে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মাহমুদ কলি ও নিপুণের প্যানেলের বিপক্ষে লড়বে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের প্যানেল।
আরও পড়ুন:
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। এ সময় এসেও টেলিভিশন নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
ওটিটিতেও তাকে দেখা গেছে ভিন্ন এক রূপে। তার অভিনয় মুন্সিয়ানার প্রমাণ তিনি এখানে আরও তীব্রভাবে দিয়েছেন।
আর এমন সময় তাকে ঘিরে চুক্তি ভঙ্গ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। খবর ইউএনবির
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৪টি নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অপূর্ব। ৫০ লাখ টাকার এ চুক্তিতে অগ্রিম ৩৩ লাখ টাকা নিয়েছেন এই তারকা, তবে নাটক শেষ করেছেন মাত্র ৯টি। পরে আলফা আই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তা পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় সবার প্রত্যাশা অপূর্ব কী বললেন, তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি জানে। তারা যা বলার বলবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা কথাবার্তা এ মুহূর্তে বলতে চাই না। এসব আমি কথা বললে আইনি প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আমার আইনজীবী জানিয়েছেন। তাই যা বলার তারাই বলবেন।’
অপূর্বের এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ফেসবুকে পোস্টে অপূর্ব প্রসঙ্গে লেখেন।
তার কিছু অংশ হলো, ‘কাউকে ছোট করে, অসম্মানিত করে কেউ কখনই বড় হতেই পারে না কোনোদিন। ফেইসবুকে প্রকাশ্যে তো অবশ্যই নয়। আর ফেইসবুক কখনই আদালত না যে এখানেই সবকথা বলতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কথা। প্রহেলিকার মতো বলতেই চাই, চোখে যা দেখা যায় তা আসলে দেখা যায় না।’
আরও লেখেন, ‘আর ইন্ড্রাস্ট্রি কখনোই একা একা এগোয় না। সব্বাইকে নিয়েই সামনে এগোয়। আর অপূর্বর ১৬ থেকে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার টানা ধরে রাখাও এমনি এমনি হয়নি। পাশাপাশি এও বলতে চাই, আমার খারাপ সময়ে বা দুঃসময়ে কে আমার পাশে থাকল না, তা আমি মাথায় রাখি না কখনই। বরং আমার প্রিয়জনদের জন্যে শুভ কামনা আমার মন থেকে সবসময় আসে।’
অভিনেতা খালেদ মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘অপূর্ব ভাইকে ভালোবাসি। অপূর্ব ভাই সুপারস্টার ছিলেন, সুপারস্টার আছেন এবং সুপারস্টার থাকবেন। সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে রাজার মতো ফিরবেন প্রিয় অপূর্ব ভাই।’
পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন লেখেন, ‘অপূর্বর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সত্যি বলতে, অপূর্বকে আমরা খুব ভালো চিনি। এই কাজ ওকে দিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই অভিযোগটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিশ্বাস্য! অপূর্ব, তুমি একা নও। আমরা তোমার পাশে আছি।’
আরও পড়ুন:ভারতীয় সিনেমার বরেণ্য অভিনেত্রী মধুবালার জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘মধুবালা’।
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দরী ও লাস্যময়ী নায়িকা হিসেবে পরিচিত মধুবালাকে নিয়ে শুক্রবার সিনেমা তৈরির ঘোষণা এসেছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচ্য ছিল মধুবালার বায়োপিক তৈরি হচ্ছে; নেপথ্যে ছিল একটি ইউটিউব ভিডিও। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই ভিডিওটি নকল।
তবে এবার খবর আর মিথ্যা নয়। প্রয়াত অভিনেত্রী মধুবালার বায়োপিক তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্মাতারা শুক্রবার এই সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন।
পরিচালক জসমিত কে রিন এই সিনেমা পরিচালনা করবেন। এর আগে তিনি আলিয়া ভাট অভিনীত ‘ডার্লিংস’ পরিচালনা করেছিলেন।
এই সিনেমার ঘোষণা দিয়ে নির্মাতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘মধুবালার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে আমাদের পরবর্তী সিনেমা ঘোষণা করতে পেরে আমরা গর্বিত। বলিউডের বৈগ্রহিক অভিনেত্রীর চিরকালীন আবেদন ও অজানা আখ্যান জানতে প্রস্তুত হন।’
১৯৪২ সালে ‘বসন্ত’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন মধুবালা। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘চলতি কা নাম গাড়ি’, ‘কালা পানি’ ছবিগুলি। তবে দুবছর পরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুঘল এ আজ়ম’ ছবিতে আনারকলি চরিত্রে তার অভিনয়কে ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে মনে করেন অনেকে।
বিয়েসূত্রে কিশোর কুমারের সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছিলেন মধুবালা। কিন্তু মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তার জীবনাবসান হয়।
মধুবালার বায়োপিকে নামভূমিকায় কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। অনুরাগীদের একাংশের মতে,এই চরিত্রে আলিয়া ভাট শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হতে পারেন। যদিও নির্মাতারা আনুষ্ঠানিকভাবে কার নাম ঘোষণা করেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বেশ ভালো ছিলেন সাদি মহম্মদ। ১৯৭৩ সালে বাবা-মায়ের ইচ্ছায়ই ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। কিন্তু যে ছেলেটি বাংলাদেশের রবীন্দ্রসংগীত জগতের কিংবদন্তি তারকা হবেন তার তো প্রকৌশলে মন বসার কথা নয়।
সুতরাং, ১৯৭৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে শান্তিনিকেতনে সংগীত নিয়ে পড়তে চলে যান সাদি মহম্মদ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেই থেকে গানের জগতে পথচলা এই কিংবদন্তির।
সেই মানুষটি শত অভিমান বুকে নিয়ে চলে গেলেন নীরবে। এই সংগীত সাধকের হাত ধরে আজ অনেক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ছড়িয়ে আছে দেশ-বিদেশে। সেই মানুষের এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়াটা শোকের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে ভক্ত-শুধানুধ্যায়ীদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে জানাজা শেষে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সাদিকেসমাহিত করা হয়েছে সাদি মহম্মদকে।
সাদি মহম্মদের মা মারা যান গত বছর। মা হারানোর বেদনা কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি। এরপর অনেকটাই নীরব হয়ে যান তিনি।
সাদি মহম্মদের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। তার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা সলিমউল্লাহর বাড়িতে নিয়মিত বৈঠকে আসতেন দলের শীর্ষ নেতারা। বঙ্গবন্ধু-পুত্র শহীদ শেখ কামালও সেখানে আসতেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তাজমহল রোডের সেই বাড়িতে সেজ ছেলে সাদি মহম্মদের আঁকা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান বাবা সলিমউল্লাহ। মূলত সেই পতাকা ওড়ানোর সূত্র ধরে একাত্তরের ২৬ মার্চ অবাঙালি বিহারি ও পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে বাড়িটি।
পুড়িয়ে দেয়া হয় তাদের পুরো বাড়ি। গুলি করে হত্যা করা হয় সাদি মহম্মদের বাবা সলিমউল্লাহকে। পরে তার বাবার নামেই ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়।
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচিতি থাকলেও আধুনিক গানও গেয়েছেন সাদি মহম্মদ। এ ছাড়াও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
বর্ষা ও বসন্তের গান ভীষণ পছন্দ করতেন সাদি মহম্মদ। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র, উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের সিনেমা ছাড়াও হলিউডের ‘দ্য বাইসাইকেল থিফ’, ‘রোমান হলিডে’ ছিল তার পছন্দের তালিকায়। এ ছাড়া বই পড়তে ভালোবাসতেন।
লোকসভা নির্বাচনের দলীয় প্রার্থিতালিকায় নিজের নাম না থাকায় তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী-নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রোববার তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে আনন্দবাজারসহ একাধিক গণমাধ্যম তথ্য দিয়েছে।
এদিন সবাইকে চমক দিয়ে ব্রিগেড থেকে লোকসভা ভোটের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তাতে নাম নেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা।
বাঁকুড়া লোকসভা থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন সায়ন্তিকা। রোববার ব্রিগেডের মঞ্চে যখন প্রবেশ করেন, তখন বেশ চনমনেই দেখাচ্ছিল তাকে।
মঞ্চে আরও যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন জানান, অভিষেক প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করতেই দেখা যায়, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অরূপ চক্রবর্তীকে। এর পরই হতাশায় মুখ ঢেকে যায় সায়ন্তিকার।
প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পর র্যাম্পওয়াক সেরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এ দিনের সভা শেষ করা হয়। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেননি তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তার আগেই ফোনে কথা বলতে বলতে মঞ্চ থেকে নেমে যান সায়ন্তিকা।
ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট না পেয়ে অর্জুন সিংহও হতাশ, ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যেই তা জানিয়েছেন অর্জুন। কিন্তু তিনি জাতীয় সঙ্গীত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত মঞ্চ ছাড়েননি।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে হেরে যান তিনি। তবে ভোটে হারলেও অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও করা হয় তাকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া লোকসভা থেকে টিকিট পাবেন বলে নিশ্চিত ছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু শেষমেশ প্রার্থী করা হয়নি তাকে। তার পরই এই পদক্ষেপ।
মন্তব্য