বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ইদানীং উঁচু গলায় কথা বলছেন। প্রেস ক্লাবের সামনে বড় বড় কথা বলছেন। নিজেরা সমাবেশ করে মারামারি করছেন। আমরা এখনো মাঠে নামি নাই; কিন্তু যদি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয় আমরা মাঠে নামব। যারা উঁচু গলায় কথা বলেন, কী হলে তারা গর্তে ঢুকবেন, সেটা আমরা ভালো করেই জানি।’
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মিলনায়তনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সে সময় ছোট বোন শেখ রেহানাসহ জার্মানিতে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণেই বেঁচে যান তারা।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেলে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার আগে বিদেশে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এক দিন আগেই এই আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায় প্রমুখ।
সভায় তথ্যমন্ত্রী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের টাকা পাচার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘পি কে হালদারের টাকা পাচারের ঘটনা এবং গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি এ নিয়ে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তিনি নিজে তো চোরদের মুখপাত্র। কারণ তার দলের চেয়ারম্যান এতিমের টাকা লোপাটের দায়ে দণ্ডিত আসামি। তিনি কালো টাকাও সাদা করেছেন।
‘মির্জা ফখরুলের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টাকা পাচার ও লোপাটের আরেক দণ্ডিত আসামি। তার টাকা পাচারের বিষয়ে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারেক রহমানের ভাই এবং খালেদা জিয়ার আরেক ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর টাকা পাচারের ঘটনা সিঙ্গাপুরে উদ্ঘাটিত হয়েছে। আর তাদের দল বিএনপির আমলে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যার অর্থ দাঁড়ায়, তারা বিশ্বচোর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।’
পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলের নৈতিক অধিকার বিএনপি নেতাদের আছে কি না তা ভেবে দেখতে বলেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘যখন বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে টাকা দিল না, বিএনপি নেতারা নানা সমালোচনা করল। কিন্তু কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংক হেরে গিয়ে প্রমাণিত হলো দুর্নীতি হয়নি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের টাকায় সেতু করার ঘোষণা দেয়ার পর বিএনপি নেতারা বলল, কাজ শুরু করতে পারবে, কিন্তু শেষ করতে পারবে না।
‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সেই সেতুর ওপর দিয়ে বিএনপি নেতারা যাতায়াতের আগে যেন জনগণের কাছে মাফ চেয়ে নেয়।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে।’
জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাতারাতি সব পাল্টে গেল। তখন জেলায় জেলায় বাকশালের গভর্নররা ছিলেন। সংসদে এমপিরা ছিলেন। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করল না। বঙ্গবন্ধুর কন্যারাই এর প্রথম প্রতিবাদ করলেন। বিচারের দাবিতে দেশ-বিদেশে জনমত গড়ে তোলেন। অবশেষে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দীর্ঘ সংগ্রামের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেন। সে সঙ্গে তিনি দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ শুরু করেন। যার কারণে আজ মানুষের আয় বেড়েছে, অর্থনৈতিক সামর্থ্য বেড়েছে। সার্বিকভাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণ হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারিগরি দিক যাচাই ও ভোটদান বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার আয়োজিত মতবিনিময়ে যোগ দেয়নি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
‘নতুন করে একই কথা বলার জন্য মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করা প্রয়োজনীয় নয়’ উল্লেখ করে সিপিবির পক্ষ থেকে কমিশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
দলটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ইভিএম আমাদের দেশের সব মানুষের জন্য সহজবোধ্য নয় এবং সবাই এটির যথাযথ ব্যবহার করতে পারেন না। এই পদ্ধতি এখনো বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেনি। অধিকাংশ ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ইভিএমে ভোটদান পদ্ধতির বিরোধিতা করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘ইভিএম একটি মাইক্রো কন্ট্রোল প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়, ইভিএম নিম্নতর স্তরে নিয়ন্ত্রণ না করেও নির্বাচন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কিংবা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ উচ্চতর স্তরের কমসংখ্যক প্রযুক্তিবিদের সহায়তায় কারচুপি করা যায়।
‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ইভিএম এখনও কোনো জালিয়াতি নিরোধক নয়। যান্ত্রিক ত্রুটির যুক্তিতে ইভিএমের মতো আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে কারচুপির ঝুঁকিকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না।’
চিঠিতে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান রাজনৈতিক বিবেচনায় ইভিএম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়। এটিকে সামনে এনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য বিষয়কে গৌণ করে ফেলার সুযোগ নেই। আমরা ইতোপূর্বে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে আমাদের কথা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি।
‘পুনরায় বলতে চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য করার জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থাসহ নির্বাচনকে টাকা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত করতে ব্যবস্থা নিন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে সিপিবির ৫৩ দফা প্রস্তাবকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিন।’
সিপিবির চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না তা প্রমাণিত। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় তদারকি সরকার গঠন, তার কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট করা এবং নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে মতামত দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:সাংগঠনিক শক্তিতে ভর করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। আর মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার বিনিয়োগ হিসেবে প্রচারে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।
রাজধানীর মিরপুরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে মঙ্গলবার কাফরুল থানা এবং ৪, ১৪, ১৬ ও ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এমন মত ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘এ বছরের শেষের দিকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হবে। আর আগামী বছরের শেষের দিকে হবে জাতীয় নির্বাচন। সুতরাং নতুন যারা দায়িত্বে আসবেন তাদের ওপর এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বর্তাবে। সেই দায়িত্ব সবাইকে নিয়ে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
‘ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ইউনিট, থানা ও ওয়ার্ডের সম্মেলন করেছে। নতুন নেতৃত্ব এই কাজ সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাহলে সংগঠন শক্তিশালী ও গতিশীল থাকবে। আর তা আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে সহায়ক হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘যারা দুর্দিনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, সেই কর্মীদেরকে কমিটিতে স্থান দিন।’
তিনি বলেন, দেশে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে সেই সেতু নির্মাণ ও উদ্বোধন করেছেন। আজ সারাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বিএনপি-জামায়াত সেই উন্নয়ন দেখতে পায় না। তাই সেসব উন্নয়ন মানুষের সামনে বার বার তুলে ধরতে হবে।’
সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফা।
আরও বক্তব্য দেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
দ্বিতীয় অধিবেশনে থানা এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী আগ্রহীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের তৃতীয় পর্বে অংশ নেয়া ১০টি দলের মধ্যে সাতটি ‘হ্যাঁ’ এবং তিনটি ‘না’ বলেছে।
কোনো কোনো দল ৩০০ আসনেই ইভিএমের ব্যবহারের পক্ষে বলেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির ইভিএম যাচাইয়ের মতবিনিময় সভায় দলগুলোর এমন অবস্থান উঠে আসে৷
ইভিএম সংক্রান্ত তৃতীয় দফায় ১৩ টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রথম দফায় অনুপস্থিত দল গণফোরাম সময় চাওয়ায় তাদের আজ আবার সভায় উপস্থিত থাকার সুযোগ দেয় ইসি।
এই ১৪ টি দলের মধ্যে ১০ টি এ সভায় অংশ নেয়। তবে এলডিপি, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ আলোচনায় আসেনি।
যেসব দলগুলো ইভিএমের পক্ষে, তারা হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা, তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।
অন্যদিকে ইভিমের বিপক্ষে বলেছে গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাপ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
যারা বিপক্ষে তারা কী বলছেন
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে খুব সহজেই জালিয়াতি করার অনেক ম্যাকানিজম রয়েছে। ই ভোটিং পদ্ধতিতে প্রোগামিং পরিবর্তন করে জালিয়াতি করার সুযোগ থেকেই যায়।’
ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ‘ইভিএমে জনগণের কোনো আস্থা নেই৷ রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির যন্ত্র। অনেক দেশ ইভিএম থেকে সরে এসেছে।’
সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সভা প্রধান আবু লায়েন্স মুন্না বলেন, ‘দেশের আশি শতাংশ ভোটার গ্রামে বাস করে। তাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।’
ইভিএমের পক্ষে যারা
ইভিএমের পক্ষে, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার না করে ক্ষেত্র প্রস্তুতের পক্ষে জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম পরিচিত করানো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এই মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করা ঠিক হবে না। স্থানীয় নির্বাচনসহ পেশাজীবীদের ভোটে ইভিএম পরিচিত করা হোক।’
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন শ আসনেই ইভিএমে ভোট করার মত। তিনি বলেন, ‘মেশিন যদি ঠিকঠাক থাকে, ভালো সার্ভিস দেবে।’
বিকল্প ধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ইভিএম চাই। তবে প্রশ্ন হলো এই প্রযুক্তিতে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে কি না? সবগুলো বুথে ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা আছে কি না।’
ইভিএমকে উন্নত প্রযুক্তি বলে মনে করেন ওয়াকার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইভিএম ব্যবহারের আগে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট করলে গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।’
তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাদপুরী বলেন, ‘সবাই যেহেতু ইভিএম বিষয়ে একমত না। এ জন্য কমপক্ষে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে।’
তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিন শ আসনেই ইভিএম চায় আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে এসেছে, আমার মনে হয় অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছে। আমরা সবার কথা শুনেছি। ইভিএম নিয়ে বিরুদ্ধেও বলেছেন দুয়েকজন। এটাই তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেনই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’
৩০০ আসনে নির্বাচন করতে ইসি সক্ষম কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্যাট ইজ দ্যা ডিসিশন অব ইলেকশন কমিশন। এটা তাদের এখতিয়ার।’
আরও পড়ুন:তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিএনপির রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝখানে ডুবে গেছে। তাই প্রথমে তারা আবোল-তাবোল বলেছিলো আর এখন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। আমি আশা করবো, তারা তাদের রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝখান থেকে উদ্ধার করতে পারবে এবং অতীতের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে জনগণের কাছে যাবে।’
রাজধানীর নন্দীপাড়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সবুজবাগ থানার ৭৪ নং ওয়ার্ডের ইউনিটসমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেড় বছর পরে জাতীয় নির্বাচন। এখন বিএনপিকে দেখা যায় না, মাঝেমধ্যে গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে চায় আর চোরাগোপ্তা মিছিল করে। আইনগতভাবেই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই সেজন্য তারা নির্বাচনে যাবে কি না, সে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে। তবে যতো কথাই বলুক, আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নেবে এবং নির্বাচনের আগে গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘সংসদে বিএনপি নেতারা বলেছেন, শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। আমরাও চাই আপনারা শক্তিশালী হোন। কিন্তু তারা একে একে যেসব আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়, সে কারণে তারা শক্তিশালী হতে পারে না। আশা করবো তারা আত্মহননের সিদ্ধান্ত পরিহার করে নিজেরা শক্তিশালী হবে, দেশের গণতন্ত্রকেও শক্তিশালী করবে।’
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমদ মন্নফী উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। এছাড়া সহ সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন এবং আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের অন্তর্গত সব থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও গতিশীল করতে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অচিরেই নতুন কমিটি গঠনে উদ্যোগ নেবেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে চান বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বিশ্বাস করেন, বিএনপি এখন না করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে আসবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিএনপি আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফিরে গেছে এবং বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ভোট হলে তারা সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না।
ওবায়দুল কাদের অবশ্য মনে করেন বিএনপি এই অবস্থানে থাকবে না। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলে, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসে। আমি একটা কথা বলি, নির্বাচন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা বিএনপির অধিকার। সরকারের সুযোগ বিতরণ না। এটা একটা সুযোগ নয় যে, সরকার বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে তারা আসবে, আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’
বিএনপির মতো একটা বড় দল বাইরে থাকবে এটা চান না বলেও জানিয়ে রাখলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুতেও (বিএনপিকে) দাওয়াত দিয়েছি। দেখেন আমাদের একটা পজেটিভ এটিচিউড আছে। সে কারণে আমরা তাই করি। তারা (বিএনপি) নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। হয়তো শেষ বেলায়। ঘোলা করে খাবে আরকি।’
ভোট বর্জনের আগাম ঘোষণা নিয়ে কাদের বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে শুনি ফখরুল সাহেব বলেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। ইলেকশন তো এই সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার একটা কর্তৃত্বপূর্ণ স্বাধীন ভূমিকা ফর ক্রেডিবল, ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশন। যে যে সহযোগিতা, ফ্যাসিলিটিজ দরকার, সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আমরা আগেও দিয়েছি, এখনো আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে।’
বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথাও বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
৩০০ আসনেও ইভিএমে আপত্তি নেই
নির্বাচন কমিশনের এই সংলাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দলগুলোর মনোভাব জানা।
আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই ইভিএমের পক্ষে বলে আসছে, ওবায়দুল কাদের যেই অবস্থানের কথা আবার তুলে ধরলেন।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিস্কার এবং স্পষ্ট। মন থেকে চাই, চেতনা থেকে চাই। ৩০০ আসনে ইভিএম হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা সাপোর্ট করি।’
‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে আসছে, আমার মনে হয় অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছে। ইভিএম নিয়ে বিরুদ্ধেও বলেছেন দুয়েকজন। এটা তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’
৩০০ আসনে নির্বাচন করতে কি ইসি সক্ষম?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দ্যাট ইজ দ্যা ডিসিশন অব ইলেকশন কমিশন। এটা তাদের এখতিয়ার।’
ভোটারদের মধ্যে ইভিএমের জনপ্রিয়তা আছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘আমরা যখন দেখেছি একটা ইউনিয়নের ইলেকশনে রাজশাহীর একটা ইউনিয়ন একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের, সেখানে দিনের আলোও ঠিক মতো যায় না। ঠিক এই রকম একটা জায়গাতেও তো ইভিএমে ইলেকশন হয়েছে। অংশগ্রহণ ছিল বিশ্বাসযোগ্য না এ রকম। প্রচুর উপস্থিতি এবং মহিলারা পর্যন্ত লম্বা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে। কাজেই ইভিএম অজনপ্রিয় এ কথা বলার আর এখন কোনো প্রয়োজন নেই।’
সংলাপে ১৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রন জানানো হলেও চারটি আসেনি। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, এলডিপি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ আলোচনায় আসেনি।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অংশ নেয় তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাপ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও গণফোরাম।
তিন দফার বৈঠকে ৩৯ নিবন্ধিত দলকে আমন্ত্রণ জানায় নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ টি উপস্থিত হয় সংলাপে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় করা টাকা ২০৫৭ সালের মধ্যে উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘যানবাহনের আদায়কৃত টোল থেকে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকার প্রদত্ত ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সে হিসাবে ২০৫৭ সালের মধ্যে সেতুর জন্য ব্যয় করা অর্থ উঠে আসবে।’
একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সোমবার এ তথ্য জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী জানান, সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় দুটি সেতু থেকে টোল আদায় করা হয়। সেগুলো হলো যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু। ওই সেতুগুলোতে স্বয়ংক্রিয় ওজন স্কেলের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
যেসব ট্রাক ওজন স্কেলের নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য বহন করে থাকে, সেসব যানবাহনকে সেতুতে চলাচল করতে দেওয়া হয় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একই দলের শামসুল হক টুকুর আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, সেতু বিভাগের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নির্দেশনা পাওয়া গেলে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য