সরকারের সমালোচনা করার আগে দেশের অগ্রগতি ও প্রান্তিক মানুষের বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা দেখে আসতে সমালোচকদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার সকালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।
বক্তব্যে করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে তৈরি মন্দা ও খাদ্যসংকট মোকাবিলায় ব্যক্তিজীবন থেকে সরকারের কর্মসূচি—সবখানে অপচয় বন্ধের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আবাদযোগ্য এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে, সেটা নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বসে অনেকে সমালোচনা করেন। তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, সারা বাংলাদেশেটা আপনারা একটু ঘুরে দেখুন, পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে, কতটা এসেছে। গ্রাম পর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে সেটা জানতে পারবেন।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে দেশে সংবাদমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন সবাই কথা বলতে পারেন। টকশো করতে পারেন।
‘অবশ্য আমি জানি, অনেক কথা বলার পরে বলবেন, আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না, কিন্তু যখন টকশোতে কথা বলেন, কেউ আপনার মুখ চেপে ধরে না বা গলা টিপে ধরেনি।’
সবাই যার যার ইচ্ছামতো কথা বলতে পারছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে আমি বলব, আগে বাংলাদেশটা একটু ঘুরে আসেন। গ্রাম পর্যায়ে যান, সেখানে মানুষ কোন অবস্থায় আছে, সেটা দেখে এসে তার পরে কথা বললে, আপনারা হয়তো জানতে পারবেন।’
বিদ্যুৎ ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় নিয়ে সমালোচনাকারীদের জবাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এখন হয়তো অনেকে সমালোচনা করে, এটা করা হচ্ছে কেন বা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন করা হলো। এত টাকা খরচ হয়েছে।
‘খরচের দিকটা শুধু অনেকে দেখেন, কিন্তু এই খরচের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ যে কত লাভবান হবে, আমাদের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখবে, আমাদের উন্নয়ন গতিশীল হবে, মানুষের জীবন পরিবর্তন হবে, সেটা বোধ হয় তারা বিবেচনা করেন না। এটা হচ্ছে খুব দুঃখজনক।’
মন্দা মোকাবিলায় কমাতে হবে অপচয়
করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে গোটা বিশ্বজুড়ে মন্দা ও খাদ্যের অভাব দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সে জন্য সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বিশ্বব্যাপী একটা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে। এমনকি খাদ্যের অভাবও দেখা দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দেশে যেহেতু আমাদের জমি আছে, মানুষ আছে, আমি ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না।’
দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, নিজের খাদ্য উৎপাদন করা, নিজের খাদ্য সাশ্রয় করা এবং নিজের খাদ্যকে ব্যবহার করা বা আমাদের যা আছে সবগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে।
‘আমাদের পানি ব্যবহারে, আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে, আমাদের খাদ্যশস্য ব্যবহারে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমরা জানি কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে বা এর একটা ধাক্কা যেসব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যার ফলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে।
‘কাজেই সেটা যেন আমাদের দেশে না হয়, সে জন্য আমাদের দেশের মানুষকে, প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার, সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট নির্ধারণ
এসডিজি পর্যালোচনা করে লক্ষ্য নির্ধারণের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাই মিলে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
লক্ষ্যপূরণে সরকারের অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেও অপচয় ঠেকাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা নীতি সহায়তা এবং অর্থের জোগান অব্যাহত রাখব, তবে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অপচয় রোধ নিশ্চিত করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০-এর আগেই আমরা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।’
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় এসডিজি পর্যালোচনা প্রয়োজন বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেব, সেগুলো নির্দিষ্ট করা দরকার। যেগুলো আমরা ইতিমধ্যে অর্জন করেছি, সেগুলো ধরে রাখা এবং আগামীতে আমরা কী কী অর্জন করব, কারণ এখনকার প্রেক্ষিত যথেষ্ট পরিবর্তন হয়ে গেছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেখানে ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের নিতে হবে। কোনো রকম অপচয় যেন না হয়। অপচয় পরিহার করে সুষ্ঠু অর্জন যেন আমরা করতে পারি বা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
‘সে ক্ষেত্রে যে সমস্ত পদক্ষেপগুলো আমাদের আশু করণীয় বা এই মুহূর্তে করতে হবে, সেগুলো যেমন চিহ্নিত করতে হবে, আবার যেগুলো হয়তো এখনই প্রয়োজন নেই, একটু দীর্ঘমেয়াদি, সেগুলো আমাদের বেছে নিতে হবে। সেভাবে যদি আমরা পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারি, তাহলে আমি মনে করি আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরাও সমানভাবে অংশীদার বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ সম্মেলনে সবার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বেসরকারি খাতের বিকাশে তার সরকারের নেয়া পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের বেসরকারি খাতেরও দায়িত্ব রয়েছে।
এসডিজি বাস্তবায়ন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজি একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ পরিক্রমার সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে। এসডিজি প্রণয়নের প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
‘আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা জাতিসংঘের কাছে মোট ১১টি অভীষ্টের প্রস্তাব করেছিলাম। এর মধ্যে ১০টি অভীষ্টই জাতিসংঘ হুবহু অনুসরণ করে।’
২০১৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সব মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দলিল এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রণয়ন করেছি। সর্বশেষ গৃহীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাকে পরিপূর্ণভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নে কাজও আমরা শুরু করেছি।’
দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, এটা শুধু আমরা শহরভিত্তিক বা রাজধানীভিত্তিক করিনি। আমাদের লক্ষ্য একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থাৎ গ্রামভিত্তিক, সাধারণ গ্রামের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ে থাকা একটা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি যাতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে, আমরা আমাদের সব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
‘বাংলাদেশের সব মানুষ বা পরিবারগুলোকে সম্পৃক্ত করেই আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন। আমরা আমাদের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করেছি একেবারে গ্রামভিত্তিক। অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গ্রামভিত্তিক হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
সরকারের নেয়া পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর মানসিক বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বিকাশের উদ্যোগ দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকে আমি লক্ষ রাখি। এ কারণে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি, যেন যত্রতত্র ইন্ডাস্ট্রি করে আমাদের পরিবেশ দূষণ করতে না পারে। বিনিয়োগ আকর্ষণ করাও আমাদের লক্ষ্য। চাষ উপযোগী ভূমি রক্ষা করাও আমাদের লক্ষ্য।’
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের খসড়া প্রণয়ন করেছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যার রূপকল্প হলো জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা অর্জন এবং বাংলাদেশের পরিকল্পিত অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া।’
২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে সারা দেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার তিনটি গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে ৬৪০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছি। ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে আমরা ঘরে করে দেব।’
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিশ্ব দরবারেও সমাদৃত হয়েছে জানিয়ে টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম ৫ বছরে এসডিজি অর্জনে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি করেছে।
‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক আমাদেরকে এসডিজিস গ্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে।’
আরও পড়ুন:দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।
অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’
‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’
আরও পড়ুন:সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি
সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’
জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’
সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।
‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’
জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।
বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ‘নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগ দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নভোটেল এথেন্স হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।
মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।
এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহ্বান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাথে বৈঠকে জানিয়েছেন যে, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতাদের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
মন্তব্য