গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্বশুর-জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জের দরবস্ত ইউনিয়নের সাবগাছি গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন, সাবগাছি গ্রামের ছায়েদ মিয়া ও তার জামাই সাজু মিয়া।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ র ম শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, বিকেলে ছায়েদ ও সাজু বাড়ির উঠানে ধান ছাড়ানোর কাজ করছিলেন। সে কাজের জন্য বাড়ির ভেতরে রাখা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি মেশিন উঠানে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। অসাবধানতায় যন্ত্রটির বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শ লেগে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরে পরিবারের লোকজন তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও আরিফ।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি ও তার নাতি নিহত হয়েছেন।
ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল সড়কের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ৭৩ বছরের আব্দুল মান্নান ও তার ৮ বছরের নাতি জুনায়েদ হোসেন। তাদের বাড়ি উপজেলার কাজীপুরা গ্রামে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, কামারখন্দ উপজেলার দশসিকা গ্রামে এক আত্মীয়ের কুলখানিতে যাওয়ার জন্য নাতি জুনায়েদকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল মান্নান। ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন পারাপার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:পদ্মা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার একটি ঘাটের পন্টুনও পানিতে ডুবেছে। এতে এসব ঘাট দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এতে যানবাহন পারাপারে ধীরগতি হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে মহাসড়কে। দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে প্রতিটি যানবাহনকে ফেরি পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৬-৭ ঘণ্টা। দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে যাত্রী ও গাড়িচালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা দর্শনা ডিলাক্স (ডিডি) পরিবহনের চালক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের গাড়িটি মধ্যরাতে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। পরে জানতে পারি পন্টুনে পানি ওঠায় দুটি ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। ৭ ঘণ্টা সিরিয়ালে আটকে থেকে ফেরিতে উঠেছি।’
ফেরির অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক হামিদ মিয়া বলেন, ‘খুলনা থেকে ছেড়ে এসে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ঘাট এলাকায় আসছি। এখনও ফেরি পার হতে পারিনি। রাতে বৃষ্টি ও বাতাসের মধ্যে এই ট্রাকেই কাটাইতে হইছে। আমাদের কষ্ট-ভোগান্তির শেষ নাই।’
ঘাট বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তির কথা জানালেন আরেক ট্রাকচালক আকবর হোসেন। বলেন, ‘এই নদী পার হতে গেলে আমাদের সারা বছরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুনি এখানে সাতটি ঘাট, এখন তো তিনটি ঘাট চলতেছে। ঘাট আরও বাড়াইলে কী হয়?’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দৌলতদিয়ায় সাতটি ঘাটের মধ্যে চারটি চালু ছিল। হঠাৎ পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোর থেকে ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুনের ওপর পানি উঠতে থাকে। এ ঘাট দুটি বন্ধ করে দেয়ায় চালু আছে আর দুটি। এদিকে সকাল ১০টার পর বন্ধ থাকা ৬ নম্বর ঘাটটি চালু করা হয়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদ্মার গেজ পাঠক সালমা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে; যা বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ি বৃষ্টির ফলে উজানে পানি বেড়ে সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। উজানের পানির প্রভাবে পদ্মার পানি গত দুই দিনে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। উজানের পানি পদ্মাসহ কয়েকটি নদী হয়ে সমুদ্রে নামার ফলে এ পানি বৃদ্ধি।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়ার দুটি ও পাটুরিয়ার একটি ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এ নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজট তৈরি হয়েছে।
এই নৌরুটে বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দৌলতদিয়ার ঘাট দুটি দ্রুত সংস্কার করে যানবাহন পারাপারের উপযোগী করা হবে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ৬ নম্বর ফেরিঘাটটি চালু করা হয়েছে। বন্ধ ঘাট দুটি চালু হলে যানবাহনের সিরিয়াল কমে যাবে।’
আরও পড়ুন:বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে শিগগিরই সংলাপে আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঢাকা জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় সিইসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেকগুলো কাজ আমাদের করতে হবে। আজকে ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্বোধন করা হয়েছে। আমরা সংলাপ করেছি। আলোচনা করে আমরা কমিশনাররা পরে সিদ্ধান্ত নেব। তারা বিভিন্ন জায়গায় আছেন। আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করব। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব।
‘আমরা অচিরেই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বা আলোচনায় বসার আহ্বান করব। তবে কবে তা ঠিক করে বলতে পারছি না। হয়তো দুই-এক মাসের মধ্যে এটা হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
৫০ বছর বয়সী গ্রেপ্তার আব্দুল মনসুর নগরীর চরকালীবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার দুপুরে দপ্তরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার সুবর্ণচর ঘুঘুরাকান্দি এলাকা থেকে মনসুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পরিবারের সঙ্গে শিশুটি যে বাসায় ভাড়া থাকত তার পাশের কক্ষে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন মনসুর। গত ১৭ মে শিশুটি নিজ ঘরে বসে পড়ছিল। এ সময় মনসুর তাকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুর চিৎকারে তার মা এলে মনসুর পালিয়ে যান।
র্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় বলেন, ‘এ ঘটনায় শিশুর বাবা পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় মনসুরকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর থেকেই পলাতক মনসুর। তাকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত অভিযান চালাই।
‘বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনসুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
মোল্লাতেঘড়িয়ায় শুক্রবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৫৫ বছরের মসলেম শেখের বাড়ি শহরতলীর বাড়াদি পশ্চিমপাড়ায়। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এএসআই ফারহানা এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় রিকশাচালক সোহেল জানান, ভোরে নামাজের পরপর ওই ভ্যানচালক ভ্যান নিয়ে মোল্লাতেঘড়িয়ায় মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে সড়কে ছিটকে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দুই পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের ঘোষেরহাট এলাকার মিয়ারবাজারে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার মাহবুবুল আলমের মেয়ে ২৪ বছরের ফাতেমা আলম ও একই উপজেলার হোসেন পাটওয়ারীর ছেলে ২৫ বছরের আবদুল্লাহ। তারা দুজনই পরীক্ষা দিতে হাজীগঞ্জ থেকে অটোরিকশায় করে চাঁদপুর আলআমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাচ্ছিলেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ।
স্থানীয় বেলায়েত গাজী জানান, হাজীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী অটোরিকশা ও হাজীগঞ্জগামী পিকআপটি ঘোষেরহাট এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফাতেমা আলম মারা যান।
অটোরিকশায় থাকা তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আবদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত আবদুল্লাহ নামের যুবককে হাসপাতালে আনার পর মারা যান। আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।’
ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মরদেহ দুটি থানায় আনা হয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর চালকরা পালিয়েছেন। তবে যান দুটি জব্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের পাঁচ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. শাহীদুল ইসলাম ওই আদেশ দেন।
বদলি হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিসের জাফর মিয়া, তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন।
এর আগে গত ১৬ মে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার।
অভিযোগ ওঠা ওই পাঁচজনকে বদলি করার পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার দায়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. শাহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন বলেন, ‘স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার রেল প্রশাসনকে না জানিয়ে পুলিশে সাধারণ ডায়েরি করেছেন যা রেলওয়ে আইনের পরিপন্থী। কেন তিনি ওই কাজ করলেন সেজন্য তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এর আগেও ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে কিছু তথ্য ছিল। এ কারণে তাদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে। স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে।’
১৬ মে করা সাধারণ ডায়েরিতে খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার উল্লেখ করেন, খুলনা আইডব্লিউ অফিস স্টাফ, দুইজন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ ৫ জন কর্মকর্তা ও আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সরাসরি টিকিট কালোবাজারীর সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নামে ভুয়া টিকিটের চাহিদা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন।
টিকিট না পেলে বহিরাগতদের ডেকে এনে সংঘবদ্ধ হয়ে মাস্টারকে হেনস্থা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তাদের টিকিটের চাহিদা এতোটাই বেড়েছে যে টিকিট না পেলে স্টেশন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধর করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পাঁয়তারা করছেন।
প্রকৃত পক্ষে রেলের কোনো ভিআইপি টিকিট সংরক্ষিত নেই। কিন্তু ওই পাঁচজন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ওই কাজে লিপ্ত রয়েছেন বলে তিনি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফেঅনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবির আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরিটি তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য