× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
CPB protests increase oil prices
google_news print-icon

তেলের দাম বাড়ায় সিপিবির বিক্ষোভ

সিপিবি
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিপিবি। ছবি: নিউজবাংলা
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিপিবি। এ সময় মিছিলটি গুলিস্তান নূর হোসেন চত্বরে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাজধানীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিপিবি। এ সময় মিছিলটি গুলিস্তান নূর হোসেন চত্বরে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। নেতাকর্মীরা সেখানেই সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘এই সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার দুর্নীতিবাজ আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সামাজিক দস্যু, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে, এই সরকারের পক্ষে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ৫ ভাগ ও ৯৫ ভাগের রাজনীতি-অর্থনীতি বিদ্যমান। ৫ ভাগের রাজনীতি-অর্থনীতি ৯৫ ভাগকে শোষণ করছে। এই রাজনীতি উল্টে দিতে হবে।’

সেই সঙ্গে বিক্ষোভে পুলিশের বাধায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ব্যারিকেডে ৯৫ ভাগের জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।’

সমাবেশে গণবণ্টন, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা, সরকারি উদ্যোগে বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘অনুনয়-বিনয় করে ব্যবসায়ীদের মন গলানো যাবে না। বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তেলসহ নিত্যপণ্যের আমদানি ও মজুত গড়ে তোলা, টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো, অন্তত তিন কোটি পরিবারকে তেলসহ নিত্যপণ্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরবরাহের দাবি জানান।

টিসিবির বিক্রি বোতলের তেল ১১০ টাকা হলে খোলা তেল ৯০ টাকা লিটারে বিক্রি করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যর্থ বাণিজ্যমন্ত্রীকে এখনও অপসারণ না করে ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, তারা সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের সরকার। এরাই এদের লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, কাজী রুহুল আমীন, জলি তালুকদার, লুনা নূর প্রমুখ।

সমাবেশে দেশে ‘দুঃশাসনের’ অবসান চেয়ে, ব্যবস্থা বদল ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে দেশবাসীকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান নেতারা।

আরও পড়ুন:
২ লাখ ২২ হাজার লিটার তেল মজুত করেছিলেন তিন ব্যবসায়ী
নাটোরে বিপুল সয়াবিন তেল জব্দ, জরিমানা
আগের দামেই টিসিবির সয়াবিন, মিলবে সোমবার থেকে
মজুতদারির সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড
১৫ জেলায় মিলল লুকিয়ে রাখা আরও ২ লাখ লিটার তেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The steps that make the Eid Yatra seamless

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেসব পদক্ষেপ ডিএমপির

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেসব পদক্ষেপ ডিএমপির ডিএমপির লোগো। ছবি: ইউএনবি
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌‘মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এবং ঈদ পরবর্তী তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। আবদুল্লাহপুর থেকে ধউর/আশুলিয়া সড়ক একমুখীকরণ করা হবে। বিআরটি লেন দিয়ে শুধু আউটগোয়িংয়ের যান চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।’

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি রবিবার এমন তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ‌‘মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এবং ঈদ পরবর্তী তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। আবদুল্লাহপুর থেকে ধউর/আশুলিয়া সড়ক একমুখীকরণ করা হবে। বিআরটি লেন দিয়ে শুধু আউটগোয়িংয়ের যান চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।

‘এ ছাড়াও আগামী ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে শুধু ঢাকা মহানগর থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী) সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচলের বিষয়ে বলা হয়, ‘এই সড়কে আশুলিয়া-ধউর-কামারপাড়া-আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকা প্রবেশ করবে এমন যানবাহনগুলো আশুলিয়া-ধউর-পঞ্চবটি হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে গাবতলী/অন্য এলাকায় প্রবেশ করবে।

‘এ ছাড়াও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এয়ারপোর্ট টু গাজীপুর আসা ও যাওয়ার লেন দুটিতে শুধু ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য (একমুখী ডাইভারসন) সব ধরনের যানবাহন ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার দিকে চলাচল করবে। বিআরটির ঢাকায় প্রবেশের লেনটি দিয়ে কোনো যানবাহন ঢাকা অভিমুখে (ইনকামিং) আসতে পারবে না। মহাসড়কের অন্যান্য লেনের গাড়ি আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে। বিআরটির ঢাকা অভিমুখী যানবাহনগুলো অন্যান্য যানবাহনের সাথে নরমাল রাস্তায় বা লেনে ঢাকায় আগমন করবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ ছাড়া ঈদযাত্রায় যানবাহনের চলাচল সুগম করার জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য যানবাহনকে যেসব সড়ক পরিহার করতে হবে, সেগুলো হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক (এয়ারপোর্ট টু আব্দুল্লাপুর), ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু সাইনবোর্ড), পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক), ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক (মিরপুর রোড: শ্যামলী টু গাবতলী), ঢাকা-কেরানীগঞ্জ সড়ক (ফুলবাড়িয়া টু তাঁতীবাজার টু বাবুবাজার ব্রিজ), ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক (যাত্রাবাড়ী টু বুড়িগঙ্গা ব্রিজ), মোহাম্মদপুর বসিলা ক্রসিং হতে বসিলা ব্রিজ সড়ক, আবদুল্লাপুর টু ধউর ব্রিজ সড়ক।’

গত ৯ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলের এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে শহীদ মিনারে চার স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার
বড়দিনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ
ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা
পুলিশে ১৫ বছরে ৯০ হাজার নিয়োগ রাজনৈতিক পরিচয়ে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
RAB and APBN Headquarters Inspection Home Advisor

র‍্যাব ও এপিবিএন সদরদপ্তর পরিদর্শন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

র‍্যাব ও এপিবিএন সদরদপ্তর পরিদর্শন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: ইউএনবি
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বাহিনী দুটির কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং অধস্তন ফোর্সদের বাসস্থান, খাবার ও আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং এ সম্পর্কে যত্নবান হওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সরকারি ছুটির দিন শনিবার সকালে এ পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বাহিনী দুটির কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং অধস্তন ফোর্সদের বাসস্থান, খাবার ও আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং এ সম্পর্কে যত্নবান হওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

তিনি বাহিনী দুটির সদস্যদের জনসেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। ওই সময় বাহিনী দুটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পুলিশের টহল কার্যক্রম আকস্মিক পরিদর্শন করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

ওই দিন ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে স্থাপিত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত চেকপোস্ট বা তল্লাশি চৌকির কার্যক্রম ও কয়েকটি থানা ঘুরে দেখেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উপদেষ্টা তার বারিধারার ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হয়ে বনানী মোড়, বিজয় সরণি (নভো থিয়েটার), মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, কলাবাগান, ইডেন কলেজ হয়ে নিউ মার্কেট থানা পরিদর্শন করেন। পরবর্তী সময়ে নিউ মার্কেট থানা থেকে শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, মগবাজার, হাতিরঝিল, পুলিশ প্লাজা হয়ে গুলশান থানা ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শন শেষে গুলশান থানা থেকে ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে বারিধারার বাসায় ফিরে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পথে তিনি আশপাশের কিছু অলিগলিও ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানা ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

রাজধানীসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকারও নির্দেশনা দেন তিনি।

আরও পড়ুন:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হবে বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত: অর্থ উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সেনাবাহিনীকে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dialogue of Khilafat Majlis with the National consensus commission

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার সংলাপে খেলাফত মজলিস নেতারা। ছবি: পিআইডি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল ও এ বি এম সিরাজুল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম এবং প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ জানিয়ে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত জুলাই সনদ: আলী রীয়াজ
২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ ঘোষণা
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক বিকেলে
বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ জাতীয় কবির নাতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The BNPs governments neutrality on national unity demands neutrality

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চায় বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চায় বিএনপি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ইউএনবি
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মূল অগ্রাধিকার হলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

কোনো মহল যাতে অযাচিত রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চেয়েছে বিএনপি।

দলটি বলেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা করা স্বাভাবিক, যেমনটি তারা অতীতে করেছে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশ ও জনগণের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অটুট রেখেই এই জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’

বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, এই ঐক্যের চর্চাকে অবশ্যই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যকে ধ্বংস বা ফাটল ধরায়, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ‘তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ মাত্রার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কোনো মহলের এজেন্ডা যাতে সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়ে যায়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মূল অগ্রাধিকার হলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সকল সংস্কার প্রচেষ্টা বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর কেন্দ্রীভূত, এটাই জাতির প্রত্যাশা।’

আরও পড়ুন:
সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাসের রায় বহাল
খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের আহ্বান খালেদা জিয়ার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Internet traders killed in Gulshan

গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত

গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত প্রতীকী ছবি
মুমূর্ষু অবস্থায় গুলশান থানা পুলিশ সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে সুমন (৩৫) নামের এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের সড়কে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় গুলশান থানা পুলিশ সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, নিহত ব্যক্তি পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে হঠাৎ ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এসআই আরও জানান, সুমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তার মাথা এবং বুকের বাম পাশে গুলি করা হয়েছে।

হাসপাতালে নিহত সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া রুবেল জানান, সুমনের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায়। সুমন স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মিরপুরের ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। মহাখালীর টিভি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে তার ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে।

তিনি বলেন, টিভি গেট এলাকায় ‘একে-৪৭’ গ্রুপের রুবেল নামের এক ব্যক্তি ডিশের ব্যবসা করেন। তার সঙ্গে সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে এবং তিনি মাঝে মাঝে সুমনকে হত্যার হুমকি দিত। ওই পক্ষের লোকই গুলি করেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তিনি।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী সুমনের নামে গুলশান, বনানীসহ কয়েকটি থানায় চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছে, অন্তর্কোন্দল থেকেই এই হত্যাকাণ্ড। ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

আরও পড়ুন:
ইনু, মেনন,আনিসুল, দীপু মনি ও সাদেক খান রিমান্ডে
অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে অর্ধশত গুলি
ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তদের গুলিতে চরমপন্থি নেতাসহ তিনজন নিহত
রাজধানীর যেসব এলাকায় ১৩ ঘণ্টা থাকবে না গ্যাস
পিকআপের ধাক্কায় মা-বাবা নিহত, মেয়ে হাসপাতালে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League procession

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউএনবি
রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।

ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।

যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় আওয়ামী লীগ নেতা
দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় আওয়ামী লীগের দোসররা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The fifth polluted city in the world with unhealthy wind

‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে পঞ্চম দূষিত শহর ঢাকা

‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে পঞ্চম দূষিত শহর ঢাকা
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার ২০ মিনিটে ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে আবারও বাড়িয়ে তুলেছে।

কর্ম ব্যস্ততার শেষ দিনে ঢাকার বাতাস দূষণে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে, নগরীর বাসিন্দাদের জন্য যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার বায়ুদূষণের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার স্থান ছিল তৃতীয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার ২০ মিনিটে ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে আবারও বাড়িয়ে তুলেছে।

আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২১২, ১৯৪ ও ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

বায়ুদূষণে যে স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ুদূষণ। আর প্রথম হচ্ছে রক্তচাপ।

স্বল্প-সময়ের জন্য বায়ুদূষণের কবলে পড়লে অ্যাজমা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকও হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বয়স্কদের আগে থেকেই চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এমন ঝুঁকি বেশি। আর দীর্ঘমেয়াদে বায়ুদূষণে থাকলে হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা আছে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।

বায়ুদূষণের কারণে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কমবয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।

ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জুন কুনিজি বলেন, বায়ুদূষণে শিশুদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুসফুসে ক্ষতি করে এবং মানসিক দক্ষতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিটি শ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা বহুশিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরও পড়ুন:
ভোলা ও নোয়াখালীর সঙ্গে চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের জাহাজ সার্ভিস
ঢাকার ১৯ খাল দখলমুক্ত চলতি বছরেই: রিজওয়ানা
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থে এগিয়ে যাবে: হাইকমিশনার ভার্মা
মাঠে আদালত স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাকা আলিয়া শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

মন্তব্য

p
উপরে