× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Two hundred leaders left Olis party to criticize Jamaat affiliated BNP
google_news print-icon

জামায়াত-সংশ্লিষ্টতা, বিএনপির সমালোচনায় অলির সঙ্গ ছাড়লেন ২০০ নেতা

জামায়াত-সংশ্লিষ্টতা-বিএনপির-সমালোচনায়-অলির-সঙ্গ-ছাড়লেন-২০০-নেতা
২০১৯ সালের ১৭ মে এলডিপির ইফতারে আমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হন জামায়াত নেতারাও। ছবি: সংগৃহীত
উনি বলতেন, জামায়াতকে পছন্দ করেন না। কয়েক দিন আগে দেখি আবার জামায়াতের সেক্রেটারির সঙ্গে উনি মিটিং করছেন। এখন আপনি কী করবেন: এলডিপির পদত্যাগী সহসভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী।

অলি আহমদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার গড়া এলডিপি থেকে সরে গেছেন দুই শতাধিক নেতা-কর্মী, যাদের মধ্যে আছেন একজন সহসভাপতি এবং একজন যুগ্ম মহাসচিবও।

তাদের অভিযোগ, অলি আহমদ বিএনপি থেকে বের হয়ে যে কথা বলে এলডিপি গঠন করেছিলেন, সেই লক্ষ্য থেকে তিনি বিচ্যুত হয়েছেন। তার দলে গণতন্ত্র নেই। তিনি নিজের মনমতো কাজ করেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পদত্যাগকারী এলডিপির সহসভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এবং যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদ্দিনের যৌথ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগের বিষয়টি জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের ভাষ্য, তারা বড় বড় রাজনৈতিক দলে যোগদানের প্রস্তাব পেয়েছেন। শিগগিরই পছন্দসই দলে যোগ দেবেন।

অন্যদিকে এলডিপির দাবি, যারা পদত্যাগ করেছেন তারা দুষ্কৃতকারী।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা অলি আহমদ ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একটি আসনে জিতলেও এক জামায়াত নেতার কাছে অন্য একটি আসনে হেরে যান। ওই আসনটি বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একপর্যায়ে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সে সময় তিনি জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীদের দল আখ্যা দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানের বিপরীতে অবস্থান নেন।

সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখেন অলি আহমদ। স্বাধীনতাবিরোধী উল্লেখ করে জামায়াতেরও কঠোর সমালোচনা করতে থাকেন নিয়মিত।

একপর্যায়ে বিএনপি সরকারের শেষ বছরে ২০০৬ সালে এলডিপি নামে দল গঠন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে যোগ দেন। তবে জরুরি অবস্থা জারির পর ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়, তাতে আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি এলডিপির।

ওই নির্বাচনে অলি নিজেদের প্রতীক ছাতা নিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে নির্বাচিত হন নিজের শক্তিতে। তবে পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন। পাশাপাশি জামায়াতের পক্ষেও কথা বলতে থাকেন।

এলডিপি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আবু জাফর সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছিল না। যে কারণে আমরা পদত্যাগ করেছি। আমাদের বড় বড় দলের পক্ষ থেকে অফার রয়েছে। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা কোন দলে যোগ দেব।’

ক্ষমতাসীন বলয় থেকে এখনো কোনো অফার পাননি বলে জানান তিনি।

পদত্যাগী এই নেতাদের দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে এলডিপি বলেছে, তারা সরে যাওয়ায় দল পূতপবিত্র হয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘এতেই অলি আহমদের মানসিকতা ফুটে ওঠে। রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। আমরা পদত্যাগকারীরা যদি দুষ্কৃতকারী হই, অলি সাহেবও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তা হলে তিনিও কি দুষ্কৃতকারী? এটা আমার প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, ‘অলি আহমদের বয়স হয়েছে। আমাদের জন্য তিনি দোয়া করবেন। তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি।’

অলির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ

পদত্যাগকারীদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে অলি আহমদের নেতৃত্বে বিএনপি থেকে বের হয়ে এলডিপির আত্মপ্রকাশের পর থেকে দলটির সঙ্গে সক্রিয় হন তারা। দল প্রতিষ্ঠার কেটে গেছে দীর্ঘ ১৬ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেমন উত্থান-পতন এসেছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে ক্রমাগত ‘অবস্থান পরিবর্তন’ করে গেছেন অলি আহমদ।

এতে বলা হয়, ‘নিয়মিত বিরতিতে রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টানোর কারণে ইতোমধ্যে দলের প্রতিষ্ঠালগ্নের জ্যেষ্ঠ নেতারা তার নেতৃত্ব ত্যাগ করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে এই ধারা থেকে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ সরে আসেননি, বরং দিনে-দিনে একটি সুপরিচিত রাজনৈতিক দলকে তিনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রপন্থি মানুষেরা যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকর গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার সংগ্রামে সক্রিয়, তখনও অলি আহমদ তার নেতৃত্বের পুরো ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এলডিপিকে একটি রহস্যজনক রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যবহার করছেন।’

অলির বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ না করে জামায়াতের সঙ্গে মেলামেশার প্রতিও ইঙ্গিত করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক হয়ে ১০ বছর ধরে জোটবিরোধী কার্যক্রম করেছেন। অবস্থান নিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও একটি বিশেষ দলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা দেখা গেছে চরমমাত্রায়, যা এলডিপির রাজনৈতিক আদর্শ ও লক্ষ্যকে দলিত-মথিত করে ফেলেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এলডিপি একটি হাস্যকর প্রতিক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।’

কোন দলের বিষয়ে ইঙ্গিত করছেন- জানতে চাইলে আবু জাফর সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বলেন, 'উনি বলতেন, জামায়াতকে পছন্দ করেন না। কয়েক দিন আগে দেখি আবার জামায়াতের সেক্রেটারির সঙ্গে উনি মিটিং করছেন। এখন আপনি কী করবেন?’

অলি আহমদকে কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বলেও উল্লেখ করা হয় এতে। বলা হয়, “দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অলি আহমদ চূড়ান্ত অর্থে ‘কর্তৃত্ববাদী ও আত্মঅহংকারে’ নিমগ্ন একজন মানুষ। অথচ জাতীয়তাবাদী শক্তির আধার হিসেবে শত শত তরুণ-যুবক ও রাজনীতিক তার নেতৃত্বের ছায়াতলে এসেছিল। কিন্তু দিন যত বয়েছে, তার পরিবর্তিত রূপ দেখে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছে, ভেঙে পড়েছে।

“তিনি তার মনমতো দলীয় পদ ব্যবহার করেছেন, বাঁটোয়ারা করেছেন। নিজের মনমতো পদে বসিয়েছেন, পদ থেকে সরিয়েছেন। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ন্যূনতম যে অঙ্গীকার থাকে, তা তিনি স্পষ্টরূপে দীর্ঘদিন ধরে ব্যত্যয় করে এসেছেন।”

অলি বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয়তাবাদী ঘরানার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি হচ্ছে এই চেতনার সূতিকাগার। কিন্তু মতের অমিলের কারণে বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি নিয়মিত বিষোদ্গার অলি আহমদের নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নতুন একটি জোট গঠনের প্রচেষ্টা করছেন, যা স্পষ্টত জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি প্রশ্নবিদ্ধ অঙ্গুলিহেলনের নামান্তর।’

যা বলছে এলডিপি

অলির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর পদত্যাগের ঘটনায় দলটির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন রাজ্জাকের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতেও এসেছে।

এতে বলা হয়, ‘অলি আহমদ বীর বিক্রম ও ডক্টর রেদোয়ান আহমদ এ দলের মূল আকর্ষণ। তাদের নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এলডিপি আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী।’

এতে বলা হয়, পদত্যাগকারী বেশ কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের কাছে অর্থের বিনিময়ে এলডিপি সভাপতির নকল করে পদ বিক্রি করে আসছেন। বিষয়টি কর্নেল অলি আহমদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এই নেতাদের দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। তাছাড়া এরা অনেকেই দুই বছর যাবৎ দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেন না।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এরা এলডিপি থেকে বিদায় নেয়ায় এলডিপি পূতপবিত্র হয়েছে। সারা দেশে এলডিপির লাখ লাখ নেতাকর্মী। যারা দল ছেড়েছে এদের চলে যাওয়ায় দলের কিছু যায় আসে না। এলডিপি থেকে অতীতে যারা বিদায় নিয়েছে তারা কেউ রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি, এরাও পারবে না।’

আরও পড়ুন:
সংলাপে যাবে না এলডিপি, দাবি জাতীয় সরকারের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dialogue of Khilafat Majlis with the National consensus commission

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার সংলাপে খেলাফত মজলিস নেতারা। ছবি: পিআইডি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল ও এ বি এম সিরাজুল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম এবং প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ জানিয়ে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত জুলাই সনদ: আলী রীয়াজ
২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ ঘোষণা
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক বিকেলে
বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ জাতীয় কবির নাতি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The BNPs governments neutrality on national unity demands neutrality

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চায় বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চায় বিএনপি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ইউএনবি
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মূল অগ্রাধিকার হলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

কোনো মহল যাতে অযাচিত রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ‘সর্বোচ্চ মাত্রার’ নিরপেক্ষতা চেয়েছে বিএনপি।

দলটি বলেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা করা স্বাভাবিক, যেমনটি তারা অতীতে করেছে।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশ ও জনগণের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অটুট রেখেই এই জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’

বিএনপির বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, এই ঐক্যের চর্চাকে অবশ্যই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যকে ধ্বংস বা ফাটল ধরায়, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ‘তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ মাত্রার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কোনো মহলের এজেন্ডা যাতে সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়ে যায়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মূল অগ্রাধিকার হলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সকল সংস্কার প্রচেষ্টা বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর কেন্দ্রীভূত, এটাই জাতির প্রত্যাশা।’

আরও পড়ুন:
সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাসের রায় বহাল
খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের আহ্বান খালেদা জিয়ার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League procession

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউএনবি
রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।

মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।

ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।

যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় আওয়ামী লীগ নেতা
দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় আওয়ামী লীগের দোসররা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের
বাংলাদেশে সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না: ট্রাম্প
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Begum Khaleda Zia will return home in mid April

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।’

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।

বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।’

তিনি বলেন, ‘ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই এক দিন এদিক সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।’

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরে হয় তো তিনি দেশে ফিরবেন। এক সাথে দুই জন অবশ্যই যাবেন না এটা আমি বিশ্বাস করি।’

লন্ডন মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দী লিটন, জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখা সভাপতি প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র নেবেন যেভাবে
মুক্তিপণ দিয়েও সন্তানকে জীবিত পেল না পরিবার, তিনজন গ্রেপ্তার
বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু
দিল্লি নয়, ঢাকা থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে অস্ট্রেলিয়া
টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inu Menon Anisul Dipu Moni and Sadek Khan Remand

ইনু, মেনন,আনিসুল, দীপু মনি ও সাদেক খান রিমান্ডে

ইনু, মেনন,আনিসুল, দীপু মনি ও সাদেক খান রিমান্ডে ছবি: সংগৃহীত
ইনু, মেনন, দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের আত্মীয় মো. আলী।

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ইনু, মেনন, দীপু মনির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের আত্মীয় মো. আলী।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন:
বছরের প্রথম দিন ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়
শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাবেক এমপি নদভী রিমান্ডে 
ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা রিমান্ডে
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বরখাস্তকৃত ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বিজি প্রেসের এক কর্মচারী রিমান্ডে, অপরজন কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the future no one dares to commit such a crime Tareq Rahman

ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান

ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার তারেক রহমান লিখেন, ‘এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুক্রবার লিখেন, ‘এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

তিনি লিখেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত কয়েক দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।’

তিনি লিখেন, ‘আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একই সঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে এলাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের।’

তারেক রহমান আরও লিখেন, ‘আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

‘বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।’

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ধর্ষণ: মাগুরার শিশুটির চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড
অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন মামুন
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: ডা. জাহিদ

মন্তব্য

দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে জিসাসের মানববন্ধন

দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে জিসাসের মানববন্ধন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার জিসাসের মানববন্ধনে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। ছবি: জিসাস
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জিসাস সভাপতি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

মাগুরায় আট বছরের শিশুসহ দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারীদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, অনলাইনে হেনস্তার প্রতিবাদ এবং ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) কেন্দ্রীয় কমিটি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার দুপুর দুইটার দিকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জিসাস সভাপতি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এ ছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জিসাস সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হেলাল।

কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণপূর্ত কর্মচারী ইউনিয়ন সভাপতি ও জিসাস সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, জিসাস সহসভাপতি এ কে এম এনামুল হক খান, রমজান আলী তিকো, ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন (মিষ্টি), জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন রাজু, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রন্জিতা কনা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী রিয়া খান, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মালা।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিসাস সহসভাপতি কাজী সুজাউদ্দৌলা সুজা, মহি উদ্দিন হাওলাদার, জিসাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার মাহমুদ, জিসাস প্রচার সম্পাদক দিদারুল ইসলাম মেঘ, জিসাস সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন স্বপন, জিসাসের সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, জিসাস সহ-প্রচার সম্পাদক আহমেদ মেহরান, জিসাস সদস্য খোকা মাহমুদ।

কর্মসূচি সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব জিসাসের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস মল্লিক।

আরও পড়ুন:
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যু: আইএসপিআর
শাহবাগে ধর্ষণের বিচার দাবি ৩০ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে মারধর
নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের নির্দেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মন্তব্য

p
উপরে