করোনা সংক্রমণ তলানিতে নেমে আসার পর আবার তা ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় দেড় মাস পর প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের সংক্রমণের তথ্য দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, বুধবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫১ জন। আগের দিন এই সংখ্যাটি ছিল ৩৩ জন।
গত এক সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণ হঠাৎ করেই বাড়ছে। এখনও সংখ্যায় অনেক বেশি হয়নি বলে সেটি আলোচনায় আসছে না। তবে গত ৪ মে যেটি ছিল কেবল ৪ জন, সেটি প্রায় প্রতি দিনই বেড়ে চলছে।
২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি রোগী শেষবার পাওয়া যায় গত ২৬ মার্চ। পর দিন তা ৫০ এর নিচে নামার পর দিন ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ১০ এর নিচে নেমে আসে। করোন সংক্রান্ত যে সাবধানতাগুলো এতদিন মানুষ মেনে আসছিল, সেগুলো এখন তার সেভাবে পালন করা হচ্ছে না বললেই চলে।
নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই সবচেয়ে বেশি ৪৫ জন। বাকিদের মধ্যে একজন রংপুর, একজন খুলনা, একজন কুষ্টিয়া এবং চারজন সিলেট জেলার বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৬৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৯।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯১ জন। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও করোনায় টানা ২২ দিনে কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা ধরা পড়ার পর এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ হাজার ১২৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে প্রাণঘাতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। সে সময় দেশে মৃত্যু হারও ছিল বেশি।
এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে আসার পর তুলনামূলক দুর্বল ওমিক্রন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ।
২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:গত ২৪ ঘণ্টায় আট জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩০ জন। শনাক্তদের মধ্যে ২২ জনই ঢাকা বিভাগের।
বুধবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা বিভাগ ছাড়া নেত্রকোনোয় তিন জন, কক্সবাজারে দুই জন; ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও খুলনাতে এক জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এ সময়ের মধ্যে কারও মৃত্যু সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে মৃত্যু সংবাদ না দেয়ায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩০ জনে রয়ে গেল। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩২৮ জনে।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ৬১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।
পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৫ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ১ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:গত ২৪ ঘণ্টায় চার জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৩০ জনই ঢাকা বিভাগের।
মঙ্গলবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা বিভাগ ছাড়া শুধু কক্সবাজারে চার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এ সময়ের মধ্যে কারও মৃত্যু সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে মৃত্যু সংবাদ না দেয়ায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩০ জনে রয়ে গেল। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৮ জনে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ৩২৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৮ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ১ হাজার ৩৮৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দুই মাস পর একের বেশি মৃত্যু দেখল দেশ। এর আগে গত ৩০ মার্চ দুই জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময়ে দেশে করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩১ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৬ জন। জয়পুরহাটে দুই জন ও ময়মনসিংহে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এক জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
নতুন করে একদিনে দুই জনের মৃত্যুর তথ্য আসায় দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩০ জনে দাঁড়াল। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৪ জনে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ৬৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৩ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ১ হাজার ১৫৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ।
২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।
এ সময়ে কারও মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার এক জনের মৃত্যুর তথ্য আসে। টানা এক মাস পর আসে এই মৃত্যুর সংবাদ। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এক জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল অধিদপ্তর।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম, পাবনা ও ভোলাতে এক জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন মৃত্যুর সংবাদ না থাকায় দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১২৮ জনে রয়ে গেল। সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৩ জনে।
রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৭৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৭ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৯৬৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ।
২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়ে এক মাস মৃত্যুশূন্য দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এক জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
শুক্রবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫০ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই শনাক্ত হয়েছেন ৪৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৮।
নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪৫ জন। রাজশাহীতে দুইজন; নওগাঁ, জয়পুরহাট ও সিলেটে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৩১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২১ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫৭৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে।
এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ২৯ দিন মৃত্যুশূন্য দেশ। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮। নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার ৩১ জন ও গাজীপুরের দুজন। এ ছাড়া দিনাজপুর ও কক্সবাজারে একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৮৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৬ জন। এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৫৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে।
এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য বিশ্বব্যাংক প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে মন্ত্রিসভা।
সভার বিস্তারিত তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘কোভিড নিয়ে কিছুটা আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে রিসেন্টলি বাংলাদেশের বিষয়ে একটি রিভিউ হয়েছে। এখানে খুবই ভালো রেসপন্স এবং দে আর ভেরি হ্যাপি। এ জন্য তারা বাংলাদেশকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার, এটা ৯৪৫ মিলিয়ন ডলার তারা অ্যালোকেট করেছে।
‘তারা বাংলাদেশের কোভিড কার্যক্রমের জন্য খুবই সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য।’
সচিব বলেন, ‘আমরা তো নিজেরাই প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন বা অন্যান্য সহায়তা সরকার দিয়েছে। এর বাইরেও প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করেছি। এত বড় একটি জনগোষ্ঠীকে যে ভ্যাক্সিনেটেড করা গিয়েছে এটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড খুব অ্যাপ্রিসিয়েটেড হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই টাকা বিশ্বব্যাংক ঋণ হিসেবে দেবে। আমাদের নেক্সট ইয়ারের প্রোগ্রাম ক্যারি আউট করার জন্য এই ডলার অ্যালোকেট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে এক্সপেরিয়েন্সটা সেটা সারা পৃথিবীতে প্রচার করতে চায়। যেহেতু আমাদের প্রাইমারি হেলথ সিস্টেম খুব স্ট্রং, ইপিআই কার্যক্রম… জাপানেও একটি বড় পত্রিকায় এটা নিয়ে বড় করে রিপোর্টিং হয়েছে। তারাও রিকমেন্ড করেছে, বাংলাদেশের মডেলটা নিয়ে অন্য জায়গাগুলোতে ব্যবহার করা যায়।’
সচিব বলেন, ‘ইনিশিয়ালি অনেকের মধ্যে একটা আনসার্টেইনিটি ছিল। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার যখন অ্যাস্ট্রেজেনেকার জন্য পে করে, তখন অনেকেই এটা নেগেটিভভাবে নিয়েছে। তখনও কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যাস্ট্রেজেনেকাকে অনুমোদন দেয়নি। তখন বাংলাদেশ কিন্তু চুক্তি করে ফেলেছে।
‘এবং কোভ্যাক্স থেকে আমরা ব্যাপক একটি সহায়তা পেয়েছি। এটা মোর দেন ২০ হাজার কোটি টাকা। এগুলো কিন্তু আমরা বিনা পয়সায় দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য