× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The father of the JU student refused to admit suicide
google_news print-icon

আত্মহত্যা মানতে নারাজ জাবি শিক্ষার্থীর বাবা

আত্মহত্যা-মানতে-নারাজ-জাবি-শিক্ষার্থীর-বাবা
অমিতের গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা।
বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অমিত ছোটবেলা থেকে শান্ত। কারও সঙ্গে কোনো ঝগড়া বা মারামারি করতে শুনিনি। অবসরে ভালো ছবি আঁকত। এ বছরই অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে বছরখানেক দেরি হয়ে গেল।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র অমিত কুমার বিশ্বাসের মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে দুর্ঘটনা ও পরে আত্মহত্যার প্রসঙ্গ এলেও তা মানতে চাইছেন না তার স্বজনরা। তারা বলছেন, অমিত ছোটবেলা থেকে শান্ত, ভদ্র ও সৃজনশীল প্রকৃতির। তাকে কখনও চরম হতাশা বা বিষণ্নতায় ভুগতে দেখেনি ঘনিষ্ঠজনেরা।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের শিকার বা হলের কোনো পূর্ব ঘটনার জের ধরে সুপরিকল্পিতভাবে অমিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন নৌবাহিনীতে কর্মরত তার বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস।

নিহত অমিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের (২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে শহীদ রফিক-জাব্বার হলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। পরে বিকেলে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে অমিতের বিছানার নিচে একটি চিরকুট পান তার রুমমেটরা। সেখান থেকেই তার আত্মহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি। অজান্তেই নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোট বোন- সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

চিরকুটের সঙ্গে অমিতের হাতের লেখার মিল পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদসহ তার বাবা অজয় কুমার বিশ্বাসও।

তবে এই চিরকুট অমিতকে দিয়ে জোর করে লিখিয়ে কেউ পূর্বপরিকল্পনা করে তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন অজয় কুমার বিশ্বাস। ময়নাতদন্ত শেষে ছেলের মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে মুঠোফোনে নিউজবাংলার কাছে এমন সন্দেহের কথা জানান অজয়।

অজয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অমিত ছোটবেলা থেকে শান্ত। কারও সঙ্গে কোনো ঝগড়া বা মারামারি করতে শুনিনি। অবসরে ভালো ছবি আঁকত। এ বছরই অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে বছরখানেক দেরি হয়ে গেল।’

অজয় জানান, ঈদের ছুটি শেষে গত ৭ মে খুলনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ওঠে অমিত। ঘটনার দিন দুপুরে এক বন্ধুর সঙ্গে হলের বাইরে দুপুরের খাবার খান তিনি। কিন্তু বিকেলে তার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলেন, ‘আঙ্কেল অমিত দুর্ঘটনায় পড়েছে। আপনারা দ্রুত ঢাকায় আসেন।’

রাত ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছে অজয় জানতে পারেন তার ছেলে অমিত আর নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র ছেলে হিসেবে খুব আদরে ছিল অমিত। আমি চাকরিতে থাকি বলে যা দরকার মায়ের কাছ থেকে চেয়ে নিত সে। এবার ঈদের ছুটিতে বাসায় এসে আমাকে বলল- বাবা এবার তো আমার পড়াশোনা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিসিএস প্রস্তুতি নেব। হলে গিয়েই কিছু বই কিনব।

‘অমিতের আত্মহত্যা করার তো কোনো কারণ দেখছি না। এবার ঈদে বাড়িতে গিয়েও খুব হাসিখুশিতে ছিল। তার মধ্যে কখনও কোনো চরম হতাশা বা বিষণ্নতায় ভুগতে দেখেনি। কী কারণে এটা হলো বুঝতে পারছি না।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুর দিকে হলে ওঠার সময় সিনিয়রদের কাছে র‌্যাগিংয়ের শিকার হওয়া কিংবা কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতার জের ধরে অমিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন সন্দেহ অজয়ের। তিনি বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, তাকে ছাদে নিয়ে কেউ ধাক্কা মারতে পারে। এর আগে জোর করে তার হাত দিয়ে এই চিরকুটটি লেখানো হয়েছে বলে ধারণা করছি। অধিকতর তদন্ত করে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য আমরা ভার্সিটি ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস নৌবাহিনীতে কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে খুলনার বোয়ালখালী উপজেলার খালিশপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন। অমিতের মা সিমা রাণী বিশ্বাস গৃহিণী। অমিত ছাড়াও টিনা বিশ্বাস নামে অজয় ও সিমা দম্পতির ২০ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছেন।

এদিকে অমিতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার গ্রামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের পাঁচকাঠিয়া গ্রামের বিশ্বাসপাড়ায়। বুধবার দুপুরে অমিতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পাকা বোরো ধান কাটা বন্ধ রেখে তার স্বজনরা বাড়ির প্রধান ফটকে জটলা বেঁধে অমিতের মরদেহ আসার জন্য অপেক্ষা করছেন। অমিতের নানান গুণাবলি নিয়ে কথা বলছিলেন তারা।

শিলা বিশ্বাস নামে অমিতের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক কাকিমা বলেন, ‘অমিত ছোটবেলা থেকে ভদ্র আর শান্ত। এলাকায় এলে সবার সঙ্গে দেখা করে। ও আত্মহত্যা করতে পারে না। ওর কিসের অভাব?’

কৃষ্ণ ও পলাশ কান্তি বিশ্বাস নামে দুই চাচাতো ভাইও অমিতের আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে পারছেন না। পলাশ বলেন, ‘অমিত ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরপর খুলনা নৌবাহিনী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। সে সৃজনশীল মানুষ। সময় পেলে ভালো ছবি আঁকে। আশা করি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর আসল কারণটি বেরিয়ে আসবে।’

তারা জানান, অমিতের মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে রাতেই স্থানীয় হাজীরহাট শ্মশানে তাকে দাহ করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
ছাদ থেকে পড়ে নয়, ‘আত্মহত্যা’ করেছেন জাবি শিক্ষার্থী
ফেনীতে আত্মহত্যা বাড়ার নেপথ্যে ‘বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক’!
অভাবে গৃহবধূ, দেনায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Two children drowned in Chawai river

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চাওয়াই নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ফাইল ছবি
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’

মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sixth and seventh wives quarrel with their husbands

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়ি কোলাজ: নিউজবাংলা
সাথী জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।

৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।

সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।

তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।

সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।

তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।

সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
বর এলো ঘোড়ায় চড়ে, কনে গেল পালকিতে করে
মায়ের অন্যত্র বিয়ে, শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে, অশান্তিতে ছোট বউকে নিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
দ্বিতীয় বিয়েতে কর ৫ হাজার, চতুর্থ বিয়ে করলে ৫০ হাজার
বিয়ের দিন বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে কনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The body of a young man who fell into the pipe of an abandoned tubewell was recovered

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Manikganj student died after falling from madrasa roof

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত ফাইল ছবি
মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়।

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার নামের এক ছাত্রী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৭ বছর বয়সী মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছিল, কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two land office officials were injured in an attack by land robbers in Sherpur

শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত

শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত সার্ভেয়ার শহীদুল। ছবি: নিউজবাংলা
আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।

শেরপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ঘটনার পর হামলাকারীরা ‘ভূমিদস্যু’ বলে অভিযোগ করেছেন আহত কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নন্দীবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত দুই কর্মকর্তা হলেন- সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শহীদুল ও কামারেরচর ভূমি অফিসের নায়েব শহীদুল ইসলাম।

শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে শহরে ফেরার পথে শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীবাজার এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি ওই দুই কর্মকর্তার গতিরোধ করেন। এ সময় সার্ভেয়ার মোটরসাইকেলটি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিত পেছন থেকে তাদের দুজনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিতে থাকে এবং একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সার্ভেয়ার শহীদুলের মাথায় আঘাত করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়রা তাদের শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আহত সার্ভেয়ার শহীদুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

আহত সার্ভেয়ার ও নায়েব বলেন, লসমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়া ও তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন এ হামলা চালান। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের নামে শেরপুর সি আর আমলী আদালতে জাল দলিল তৈরি করে ভূমি জালিয়াতি করায় সরকার পক্ষের একটি মামলা চলছে। এরই জেরে তারা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন:
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত
১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, নারীকে পেটানোর অভিযোগ
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সিডনির হামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Saree lungi for eight rupees

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ‘ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা
ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

কুড়িগ্রামে শতাধিক দুস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ভ্রাম্যমাণ এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং দুই টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার দুপুরে এসব শাড়ি, লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে।

আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।’

লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, ‘৬৫ বছর বয়সে কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান (একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি কিনলাম। খুব খুশি নাগছে।’

ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “‘ফুল’ দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মাকে নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।

‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র আট টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

আরও পড়ুন:
পাঁচ বছর ধরে দুই শতাধিক মুসল্লির ইফতার আয়োজন করছে মসজিদটি
রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর
ভুটানের রাজা আসবেন কুড়িগ্রামে
যার হাত ধরে কুড়িগ্রামের টুপি মধ্যপ্রাচ্যে
একুশে পদকের পর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The maximum temperature of the season in Chuadanga is 42 7 degrees

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ প্রচণ্ড গরম মাথায় নিয়ে কাজে নামতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার লোকজনকে। ছবি: নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

অতি তীব্র দাবদাহের মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

সীমান্তবর্তী জেলাটিতে শুক্রবার বেলা তিনটায় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জেলায় অতি তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।

তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগী। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।

পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। তা ছাড়া অতি গরমে নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষিকাজ করা যাচ্ছে না।

‘ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানে বেশি সেচ লাগছে, কিন্তু সেচ পাম্পে ঠিকমতো পানিও উঠছে না।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।

তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
নতুন করে ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’

মন্তব্য

p
উপরে