× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Hajj package announcement
google_news print-icon

হজে যেতে ন্যূনতম খরচ চার লাখ ৬২ হাজার

হজে-যেতে-ন্যূনতম-খরচ-চার-লাখ-৬২-হাজার-
এ বছর যারা হজ করতে যাবেন তাদের ২০২০ সালের তুলনায় খরচ করতে হবে এক লাখ টাকারও বেশি। ফাইল ছবি
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা বেশি। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ হবে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা বেশি।’

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সর্বোচ্চ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। আর সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।

বুধবার সচিবালয়ে হজসংক্রান্ত এক সভা শেষে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার দুটি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।’

তিনি আরও জানান, এ বছর যারা হজ করতে যাবেন তাদের ২০২০ সালের তুলনায় খরচ করতে হবে এক লাখ টাকারও বেশি।

হজের খরচ বাড়ল লাখ টাকার বেশি

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিল হজ কার্যক্রম। এবার যারা হজ করতে যাবেন তাদের পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় খরচ করতে হবে এক লাখ টাকারও বেশি। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা বেশি।

আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ হবে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা বেশি।

‘২০২০ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার। এ বছর এই প্যাকেজটি রাখা হয়নি। ২০২০ সালে ঘোষিত ৩টি প্যাকেজে নিবন্ধিত হজযাত্রীরা ২০২২ সালে ঘোষিত ২টি প্যাকেজের যেকোনো একটিতে স্থানান্তর করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।’

এর বাইরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্যাকেজে যেতে ইচ্ছুকদের খরচ হবে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার দুটি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবেন।’

হজের খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার ছিল ২৩ টাকা। আজকে সেই হার ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এটিও প্যাকেজের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া সৌদি আরব সব খাতের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ ও কর অন্তর্ভুক্ত করেছে। মোয়াচ্ছাছার খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। প্যাকেজের মূল্যবৃদ্ধি জন্য এই কারণগুলোও দায়ী।

‘২০২০ সালে যেসব নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে ২০২২ সালে নিবন্ধন চূড়ান্ত করবেন না অথবা হজে যেতে পারবেন না তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে এবং তারা বিধি মোতাবেক প্রদত্ত অর্থ ফেরত পাবেন।’

ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজের হজযাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার মিটারের মধ্যে এবং দ্বিতীয় প্যাকেজের হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন।

‘প্রতিটি হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। হজ এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো এজেন্সির কাছে বিমানের টিকিট কেনার অনুমতি দেয়া হবে না। কোনো এজেন্সিকে কোনো অবস্থাতেই ৩০০-এর বেশি টিকিট দেয়া যাবে না।’

এ বছর যারা হজ করতে যাবেন তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন হবে ঢাকায়

এ বছর ঢাকা থেকে যেসব হজযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন তাদের শতভাগের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশ প্রান্তেই শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ৩১ মে ফ্লাইট শুরু হবে, তবে এতে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফ্লাইট সূচি করে জানালে আমরা ব্যবস্থা করব। আমরা এখনও আলোচনা করছি।

‘এবার শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশনই ঢাকায় হবে। আমরা ডেডিকেটেড ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বদ্ধপরিকর। বিমান এ ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে এবার হজযাত্রীদের সঙ্গে অন্য যাত্রীদের পরিবহন করা হবে না। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসকেও একইভাবে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এটাকে যাতে বাস্তবে রূপ দেয়া যায়, এ জন্য আমরা সরাসরি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তও তাদের জানানো হবে। এটা যেন এবার করা যায় এ জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’

তিনি বলেন, ‘যারা ৬৫ বছর বয়সের বেশি তারা যেতে পারবেন না। আগে যারা নিবন্ধন করেছিলেন তাদের মধ্যে এদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ৫৩ হাজার যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আর ৪ হাজার যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। এরই মধ্যে কোটা ফুল হয়েছে।

‘এবার হজ করবেন মাত্র ১০ লাখ। অন্যান্য বছর হজ করেছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এ কারণে বাড়িভাড়া নিয়ে এ বছর কোনো সমস্যা হবে না। আমরা কাছাকাছি বাড়িভাড়া দিতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

করোনার কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি। প্রতি বছর সাধারণত ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ হজ পালনের অনুমতি পান। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে সৌদি সরকার এবার বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে এ বছর সাড়ে ৫৭ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুতে অনিশ্চয়তা
হজযাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নতুন নির্দেশনা
সহজের প্রকৌশলী যেভাবে টিকিট কালোবাজারিতে
হজ ফ্লাইট ৩১ মে থেকে
হজ ব্যবস্থাপনায় দুই কমিটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Millions of devotees meet in Brahmaputra on Ashtami Tithi

অষ্টমী তিথির স্নানে ব্রহ্মপুত্রে লাখো পুণ্যার্থীর মিলনমেলা

অষ্টমী তিথির স্নানে ব্রহ্মপুত্রে লাখো পুণ্যার্থীর মিলনমেলা লগ্ন শুরুর পর থেকেই গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে আসতে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। ছবি: নিউজবাংলা
নদে স্নান করতে আসা সবিতা রানী বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে, ভগবানের কাছে সেই প্রার্থনা করেছি। এছাড়া সবার উপরে আমরা মানুষ। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে যেন একে অপরের আত্মীয় হিসেবে বসবাস করতে পারি, সেটিও কামনা করেছি।’

ব্রহ্মার সন্তুষ্টি লাভ ও পাপমোচনের উদ্দেশ্যে অষ্টমী তিথিতে স্নান করার জন্য লাখো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে। হিন্দু ধর্মীয় মতে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জগতের সব পবিত্র স্থানের পুণ্য এসে ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হয়। এ সময় ব্রহ্মপুত্রের জল স্পর্শমাত্রই সবার পাপমোচন হয়। আর এ জলে স্নান করলে মোক্ষলাভ হয়।

মঙ্গলবার পবিত্র মন্ত্র উচ্চারণ শেষে স্নানকালে ফুল, ধান, দূর্বা, বেলপাতা, হরিতকি ইত্যাদি দেকতার উদ্দেশে নদের জলে অর্পণ করেন পুণ্যার্থীরা। এদিন ভোর ৪টা থেকে স্নানের লগ্ন শুরু হয়। আর পূণ্য স্নানের এই লগ্ন শেষ হয় বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিটে।

আয়োজকরা জানান, লগ্ন শুরুর পর থেকেই গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদের সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কামারজানি বন্দর ও ফুলছড়ির উপজেলার অতিপরিচিত বালাসীঘাট ও তিস্তামুখঘাটে আসতে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই সব স্থান পূর্ণার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। লোকজ মেলার আয়োজনে এ স্নান উৎসবে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়। দিনব্যাপী কামারজানি বন্দর, বালাসীঘাট ও তিস্তামুখঘাটের ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও সব ধর্মের বিভিন্ন বয়সের বিনোদনপ্রেমী হাজারো মানুষ অংশ নেন।

অষ্টমী তিথির স্নানে ব্রহ্মপুত্রে লাখো পুণ্যার্থীর মিলনমেলা

এ সময় ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসীঘাটে পরিবারসহ ঘুরতে আসা বেসরকারি কোম্পারিতে চাকরিরত শামীম হায়দার বলেন, ‘আমার মেয়ে রিয়া মনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী আর একমাত্র কন্যাকে নিয়ে মেলায় আসছি। পূজা-অর্চনা দেখলাম, মেলা ঘুরলাম, ভালো লাগল।’

নদে স্নান করতে আসা সবিতা রানী বলেন, ‘আজকের এই দিনে ব্রহ্মপুত্রে স্নান করলে ভগবান সব পাপ মোচন করে দেন। আমি প্রতি বছরই এই দিনে এখানে স্নানে আসি।’

এসময় জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে সবিতা বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে, ভগবানের কাছে সেই প্রার্থনা করেছি। এছাড়া সবার উপরে আমরা মানুষ। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে যেন একে অপরের আত্মীয় হিসেবে বসবাস করতে পারি, সেটিও কামনা করেছি।’

স্নান উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই মহা অষ্টমী স্নানে অংশ নিতে ব্রহ্মপুত্র নদে লাখেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। সড়ক ও নৌপথে নারী-পুরুষ পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নিতে আসেন। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে এ বছর ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর ওপর লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় বাহারি পণ্য, শিশুদের খেলাধুলার হরেক রকম জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে।’

গাইবান্ধা শনি মন্দিরের পুরোহিত সুমন চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পঞ্জিকামতে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে সনাতন ধর্মের নারী-পুরুষরা পাপমোচনের আশায় পবিত্র অষ্টমী স্নানে অংশ নেন। ভোর থেকেই বিপুল সংখ্যক হিন্দু পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান সেরে দেবীর পূজার্চনা করেন। এদিন পাপমোচনের প্রার্থনার পাশাপাশি সকলেই আমরা দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনাও করে থাকি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Probable date of Qurbani Eid announced in Saudi

সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সে হিসাবে এখানে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

সৌদি আরবে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী এবার (২০২৪ সালে) ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ তারিখ।

বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সে হিসাবে এখানে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

ধর্মমতে, মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির নির্দেশ দেন। আদেশের পর তিনি সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন। এতে আল্লাহ খুশি হন এবং হযরত ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়ে যায়। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করে থাকেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The long vacation is over but the mood is not over in the capital

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরছেন নগরবাসী। কমলাপুর রেল স্টেশন (বাঁয়ে), ফাঁকা ঢাকা ও সদরঘাট লঞ্চঘাটের সোমবারের চিত্র। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি ছিল কম। নগরীর রাস্তাঘাটও ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ভিড় কেবল বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে।

ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ মিলিয়ে লম্বা ছুটি শেষ হয়েছে রোববার। সোমবার ছিল ছুটি শেষের প্রথম কর্মদিবস। রাজধানীর বাস ও রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে নগরে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে অফিস-আদালত এখনও স্বাভাবিক সময়ের চিত্র ফিরে পায়নি।

চিরচেনা রূপে ফেরেনি ঢাকা শহরও। রাস্তার পাশের বেশিরভাগ দোকান, শপিং মল বন্ধ। সোমবার রাজধানীর রাস্তায় খুবই কমসংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। যানজট তো দূরের কথা, নগরীর অধিকাংশ রাস্তাই ছিল ফাঁকা।

সোমবার সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি ছিল কম। একইভাবে সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা।

ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোলাকুলির মাধ্যমে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।

সকালে মালিবাগ, শান্তিনগর, গুলশান, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর ও শাহবাগ এলাকায় স্বল্পসংখ্যক বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও যানবাহনের জটলা দেখা গেছে কেবল বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশন ঘিরে।

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি
দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে নগরে ফিরছে মানুষ। সোমবার কমলাপুর রেল স্টেশনের চিত্র। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

বেসিরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আবু রায়হান বললেন, ‘রাজধানীতে এখনও ঈদের আমেজ পুরো মাত্রায়। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাস্তায় কোনো যানজট বা বিশৃঙ্খলা নেই। রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলশানে পৌঁছতে মাত্র ৬ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে।’

সদরঘাটে নগরে ফেরা মানুষের ভিড়

রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সোমবার ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা যায়। লম্বা ছুটি শেষে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করায় এদিন যাত্রীর চাপ ছিল লক্ষণীয়। তবে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়নি।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের সবলঞ্চ ডেকে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভেড়ে। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েও কিছু লঞ্চ ঢাকার এসে পৌঁছায়। চাঁদপুর, ভোলা, ইলিশা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোও ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দেশের ৩১টি নৌপথে নিয়মিত ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তা দ্বিগুণের বেশি করা হয়েছে। ঈদের আগে-পরের প্রায় ১৫ দিন ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭৫টিরও বেশি লঞ্চ যাতায়াত করেছে।

আগে ঢাকা থেকে ৪১টি নৌপথে লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌযান চলত। নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে অনিয়মের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলগামী ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে।

সোমবার দুপুরের পর থেকে গ্রিন লাইন-৩ ও সন্ধ্যার পর পারাবত-৯, ১০, ১২ ও ১৮; মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা-২ ও ১০; সুরভী-৮ ও ৯; অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯; সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর থেকে সদরঘাটে এসে পৌঁছায়।

মানামি লঞ্চের চালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এবার ঈদের আগে যেমন যাত্রীর চাপ ছিলো পরে তেমন হচ্ছে না। সরকারি ছুটি শেষ হওয়ায় অনেকেই এখন ঢাকা ফিরছে। তবে একসঙ্গে সবাই আসছে না। এজন্য উপচেপড়া ভিড় নেই।’

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি
স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। সোমবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকার চিত্র। ছবি: মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আকবর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, ‘এমভি টিপু-১৩ লঞ্চের টিকিট পেয়েছিলাম। তবে লঞ্চে অনেক মানুষের ভিড় ছিলো। ঠিকভাবে ঢাকায় আসতে পেরেছি এটাই অনেক।’

মনপুরা, হাতিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় এসেছে এমভি তাসরিফ-৮। লঞ্চটির কর্মী আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘লঞ্চে পাঁচ-ছয়শ’ মানুষ এসেছে। ছুটি শেষ হওয়ায় মানুষ ঢাকায় ফিরঠে। আরামের যাত্রা লঞ্চ। এজন্য অনেকেই লঞ্চে করে আসেন।’

ভোলার চরফ্যাশন ও বেতুয়া থেকে ঢাকা এসেছে এমভি টিপু-১৩। লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তেই দেখা যায় ডেকভর্তি মানুষ। অনেকে দাঁড়িয়েও এসেছেন।

ভোলা থেকে আসা যাত্রী মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘কাপড়ের দোকানে কাজ করি। ঈদের আগের দিনও খোলা ছিল। চাঁদ রাতে ঈদ করতে ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ, মার্কেট খুলবে। এজন্য চলে আসলাম।’

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঢাকার সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল। ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়। তবে ঈদের পরে ঢাকার সদরঘাটে ভিড় বাড়লেও আগের মতো নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় থাকলেও ফিরতি যাত্রীর ভিড় ছিলো না। বরিশাল, ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলোর কর্মীরা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছিলেন। অল্পসংখ্যক যাত্রীই লঞ্চে উঠেছেন। বেশ কয়েকটি লঞ্চের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেকের সিট অধিকাংশই ফাঁকা। ভেতরে কিছু মানুষ বসে আছে। কেউ আবার কেবিন নিয়ে দরদাম করছেন।’

ডলার কোম্পানির ২৪টি লঞ্চের মালিক ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ আছে অনেক। কিন্তু সেই অনুপাতে যাত্রী নেই। তাই লঞ্চ কম ছাড়ছে। যেগুলো ছাড়ছে সেগুলোতে ভরেই যাচ্ছে। ঈদের পরও আমরা যাত্রীর চাপ আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়ায় আশা পেয়েছিলাম। তবে ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীর ভিড় নেই।’

সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঈদের পর যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। নিয়মিত লঞ্চগুলোই চলাচল করছে। অতিরিক্ত কোনো লঞ্চের প্রয়োজন পড়ছে না।’

টার্মিনাল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ‘আজ যাত্রীর চাপ আগের থেকে বেড়েছে। পুলিশ, র‍্যাবসহ আনসার সদস্যরা কাজ করছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশিও করা হচ্ছে।’

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সোমবার ঢাকার মতিঝিলের সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: নিউজবাংলা

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১, ১২ এপ্রিল ছিল সরকারি ছুটি। ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল রোববার ছিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি।

তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী ঢাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Baisabi festival of life in the hills begins

পাহাড়ে প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

পাহাড়ে প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে বৈসাবি। ছবি: নিউজবাংলা
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালিত হয়ে আসছে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে যথাক্রমে ‘বৈসু’, ‘সাংগ্রাই’ এবং ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে থাকেন। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

খাগড়াছড়িতে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’। ফুল বিঝুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে নদীর পাড়গুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।

পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হল্লা করে ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদী-খালে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে। এছাড়া ফুল দিয়ে ঘরের প্রতিটি দরজার মাঝখানে মালা গেঁথে সাজানো হয়।

শুক্রবার চাকমা সম্প্রদায় ফুল বিজু পালন করছেন। শনিবার মূল বিজু আর পরেরদিন রোববার পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবেন তারা। এ সময় ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। একইসঙ্গে শনিবার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু, বিযুমা ও বিচিকাতাল পার্বন পালিত হবে ফুল বিজু, মূলবিজু ও বিচিকাতাল নামের নিজস্ব বৈশিষ্টে।

রোববার খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইং উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালী। এসব উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায়।

পাহাড়ে প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

চেঙ্গী নদীতে চাকমা সম্প্রদায়ের সঙ্গে ফুল উৎসর্গে সামিল হয়েছেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ। বৈসাবি উৎসব দেখতে এসেছেন অনেক পর্যটকও।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালিত হয়ে আসছে। সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে যথাক্রমে ‘বৈসু’, ‘সাংগ্রাই’ এবং ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে থাকেন। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে।

বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালির মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরও সুদৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা সকলের।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The largest Eid congregation in memory was held in Sholakia

শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত শোলাকিয়ায় এবার অন্তত চার লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। ছবি: নিউজবাংলা
চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই শোলাকিয়া ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরও দলে দলে মুসল্লি আসতে থাকেন। ময়দানে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মুসল্লি পাশের সড়ক, সেতু, বহুতল ভবনের ছাদসহ অলি-গলিতে নামাজ আদায় করেন।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় স্মরণকালের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ও প্রাচীন এ ঈদগাহে এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত।

চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহে। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন কিশোরগঞ্জ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

শোলাকিয়া ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরু হওয়ার আগে শটগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত শুরু করা হয়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ শটগান চালিয়ে জামাত শুরুর ঘোষণা দেন।

সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই শোলাকিয়া ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরও দলে দলে মুসল্লি আসতে থাকেন। ময়দানে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মুসল্লি পাশের সড়ক, সেতু, বহুতল ভবনের ছাদসহ অলি-গলিতে নামাজ আদায় করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এবার শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন প্রায় চার লাখ মুসল্লি।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা শোলাকিয়ায় এসেছেন। দূরের মুসল্লিরা ঈদের দুয়েকদিন আগেই এসে অবস্থান নেন শোলাকিয়া ঈদগাহের মিম্বর, আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ, হোটেল এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।

দূরের যারা ঈদগাহের মিম্বরে এসে অবস্থান নেন, তাদেরকে ঈদের আগের দিন ইফতার ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করে কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

নামাজ শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর দয়া কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগে থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। নির্বিঘ্নে ঈদ জামাত সম্পন্ন করতে শোলাকিয়া ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। ড্রোন ক্যামেরা, বাইনোকুলারসহ পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, দেড় হাজার পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও মাঠে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হয়। প্রতিটি মুসল্লিকে তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হয়।

ঈদগাহে অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিক্যাল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও মোতায়েন ছিল। এছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত রাখা হয়। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্কাউটস সদস্যরা।

দূরের মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এবার স্মরণকালের বৃহত্তম ঈদজা মাত অনুষ্ঠিত হয়েছে শোলাকিয়ায়।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুজন কনস্টেবল আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক ও আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হন।

ওই হামলার পর থেকেই প্রতি বছর ঈদের দিন শোলাকিয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার।

আরও পড়ুন:
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The whole country is celebrating Eid

দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের কোলাকুলি করছে দুই শিশু। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন।

মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে বৃহস্পতিবার।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন। খবর বাসসের

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।

ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঈদের প্রধান জামাতে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে এক সাথে এবার ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নির্বিঘ্নে চলাচল ও সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি,মন্ত্রিপরিষদের সদস্যব, মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার থেকে ৩ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ খচিত ব্যানার মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শন করা হয়। ঈদুল ফিতরের আগের রাতে সরকারি ভবনসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা সজ্জিত করা হয়।

সারা দেশে বিভাগ বা জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানরাজাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, সেইফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুঃস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকেটে যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় শেষ ঈদ জামাত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর এর জামায়াত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ, হুইপবৃন্দ,মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,সংসদ-সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মুসল্লিরা এই জামায়াতে অংশ নেন। জামায়াত সবার জন্য উন্মুক্ত। জামায়াতে আগ্রহী মুসল্লিদেরকে অংশগ্রহণের জন্য সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আগেই অনুরোধ জানানো হয়।

এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায়।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৮২৮ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতের হিসাবে এটি হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাত। জামাত নির্বিঘœ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

মুসল্লিদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ঈদের জামাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। মাঠে একসঙ্গে তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেয়া হয়। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

আরও পড়ুন:
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না ‘পটু’ ও ‘ডেডবডি’
উৎকণ্ঠায় ঈদের আনন্দ নেই জিম্মি ক্রুদের পরিবারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main congregation of the holy Eid ul Fitr was held at the National Eidgah

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে মুসল্লিরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় এ জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম জামাত। এতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মানুষের সুস্থতা কামনা করা হয়।

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম জামাত। এতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মানুষের সুস্থতা কামনা করা হয়।

ঈদের জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, রাজনৈতিক নেতারা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।

মন্তব্য

p
উপরে