টাঙ্গাইলের আশেকপুরে সেফটিক ট্যাংকের কূপ খননের সময় মাটি চাপা পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আশেকপুর ইন্দারাপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাসাইল উপজেলার কাশিল পালপাড়া এলাকার অনাথ পালের ছেলে ৩০ বছরের নিধন পাল ও ঝুটু পালের ছেলে ৩৫ বছরের আনন্দ পাল।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) শামীম হোসেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, সকালে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেফটিক ট্যাংকির জন্য মাটির খননের কাজ করছিলেন ওই দুজন। কূপের জন্য ১০ ফিট খনন করা হলে মাটি চাপা পড়ে তারা নিহত হন। পরে স্থানীয়দের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে মাটি তুলে তাদের উদ্ধার করে।
তবে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আশেকপুরে নির্মাণাধীন ভবনে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় মাটি চাপা পড়ে ওই দুই যুবক নিহত হন।’
ওসি শামীম হোসেন বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সহপাঠীরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম ধ্রুব চন্দ সাহা। তার বয়স ১৫ বছর।
সে ওই এলাকার মাদব চন্দ্রের ছেলে। ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত সে।
আটক স্কুলছাত্ররা হলো ইয়াসিন, পিয়াস, অজয় দাস ও মো. নিপন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত ধ্রুবর সঙ্গে তার ক্লাসের কয়েকজন সহপাঠীর বিরোধ ছিল। রাতে ধ্রুব এই এলাকায় গেলে তার পাঁচ থেকে সাতজন সহপাঠী স্কুলের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে অন্ধকার স্থানে পেয়ে তারা ধ্রবকে ছুরি দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে।
ধ্রুব চিৎকার করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে পালিয়ে যায় সহপাঠীরা। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধ্রুবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত ধ্রুবর বাবা মাধব চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি ও ভাগবাটোয়ারা হয়েছে।
উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইউনিয়নের ছতুরা শরীফ গ্রামের কয়েকটি পরিবারের লোকজন শিয়ালের মাংস ভাগবাটোয়ারা করে।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ও ধরখার ফাঁড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিয়ালের মাংস নিয়ে পালিয়ে যান লোকজন।
এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে না পারলেও দড়িতে বাঁধা জীবিত একটি শিয়াল উদ্ধার করে জঙ্গলে মুক্ত করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ছতুরা শরীফ গ্রামের একটি বেগুনক্ষেত থেকে দুটি শিয়াল ধরা হয়। ওই সময় কসবা উপজেলার ভাদুইর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আসলাম ও ফোরকান ওই গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে তন্তরবাজার এলাকায় একটি শিয়াল জবাই করেন।
এরপর সেই মাংস ভাগবাটোয়ারা ও বিক্রি করা হয়।
শিয়ালের মাংস কেনা এক ক্রেতা বলেন, ‘বাত, ব্যথা কিংবা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিয়ালের মাংস রান্না করে খাওয়ার বিকল্প নেই। এসব ক্ষেত্রে শিয়ালের মাংস অব্যর্থ ওষুধ। এই কথা বিশ্বাস করে অনেকেই শিয়ালের মাংস কিনে নেন।’
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ তুলেছেন ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই স্কুলছাত্রী।
ভুক্তভোগী জানান, কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর কাছে তিনি প্রাইভেট পড়তেন। সেই সুযোগে প্রথমে ফোন নম্বর নিয়ে পরে তার সঙ্গে ফেসবুকে যুক্ত হন প্রধান শিক্ষক।
এর পর থেকে প্রায়ই ভুক্তভোগীকে ফোন করে লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেন দুখীরাম। একপর্যায়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে উত্তেজক মেসেজ দিতে থাকেন তিনি। এমনকি মেসেজে ও ভিডিও কলে শরীরের গোপন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি দেখতে চাইতেন তিনি।
ওই স্কুলছাত্রী বলেন, ‘যখন আমি একা থাকতাম তখন স্যার আমার ওড়না ধরে টানাটানি করতেন। আমি এগুলো সহ্য করতে পারতাম না। ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু জানাইনি। পরে সহপাঠীদের জানালে তারা এর প্রতিবাদ করতে বলে।’
এ বিষয়ে ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক দুখীরাম দুই বছর আগে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। ছাত্রীর সঙ্গে এই ঘটনা শুনে আমরা সবাই হতভম্ব। ফেসবুকে গোপনে তিনি কখন কী করেছেন তা আমরা জানি না। আমরা স্যারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ফেসবুক হ্যাক করে কেউ এমনটি করেছেন বলে দাবি করেন।’
এদিকে প্রধান শিক্ষকের পাঠানো মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের কচুয়ায় এম এম মনির নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কচুয়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রোহান সরকার এই দণ্ডাদেশ দেন।
ওই সময় চিকিৎসকের চেম্বার সিলগালা করে দেয়া হয়।
বাগেরহাট জেলার সহকারী কমিশনার রোহান সরকার বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিয়েই তিনি নিজেকে এমবিবিএস পাস দাবি করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি সাইনবোর্ডে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখেছেন সেটিও ভুয়া।
‘তার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তার চেম্বরটি বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। তিনি কখনও চিকিৎসা সেবা দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।’
পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে লাইভে এসে দেশব্যাপী সমালোচিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনকে দলীয় অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।
ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিছিলে দেখা যায় তাকে।
শহরের ভূষণ স্কুল রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিকেলে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। সুমন এমপির ৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের বক্তব্য নিজের ফেসবুকে লাইভ দেন।
এরপর একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে স্লোগান দিতেও দেখা যায় সুমনকে। ভিডিওতে দেখা যায় কালো রঙের পাঞ্জাবি পরে আছেন সুমন।
ছাত্রলীগের সমালোচিত এই নেতা আবারও দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল দুপুরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এ সময় পরীক্ষার হলে বসেই ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি লাইভ করেন সুমন। পরে তার এই লাইভটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর এ ঘটনা তদন্তে ৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর সোহরাব হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
দলের এক নেতা বলেন, ‘ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করা নেতা দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া লজ্জাকর। দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন নেতা দরকার নাই।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আজকে বিএনপি গণতন্ত্র নিয়ে, ভোট নিয়ে নানা কথা বলছে। অথচ তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ভোট নিয়ে প্রহসন করে গেছেন, গণভোট আয়োজন করে ভোট নিয়ে তামাশা করে গেছেন। রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মৌলবাদের উত্থান ঘটিয়েছেন তিনি।’
এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন লিটন। রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
লিটন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অনেক মিল রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে বিমানবন্দরে যেমন মানুষের ঢল নেমেছিল, তেমনি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের দিনেও বিমানবন্দরে মানুষের ঢল নেমেছিল। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাকে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ক্ষমতায় এসে তিনি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এই সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনার মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করবেন, তাই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবে না, কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু মানুষের মুখের হাসি ফোটানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন তারই সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপউপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপউপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল ইসলাম।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে ট্রেনের বগির টয়লেট থেকে একজন বীর মুক্তিযদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেসের একটি বগির টয়লেট থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া নিউজবাংলাকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭৪ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুল আজিজ শেখ। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার লক্ষনদিয়া গ্রামের মৃত আমীর উদ্দিন শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।
রেল পুলিশের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, মুক্তিযোদ্ধার ভাতা সংক্রান্ত কাজের জন্য সোমবার রাত ৮টার দিকে দ্রুতযান এক্সপ্রেসে করে দিনাজপুরের ফুলবাড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন আজিজ শেখ। ট্রেনটি মঙ্গলবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনের একটি বগির টয়লেটে মরদেহ দেখতে পেয়ে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
দুপুরের দিকে পুলিশ বিজিবির সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আব্দুল আজিজের ছেলে রাশেদ শেখ মিঠু মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবা সর্বশেষ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চাকরি করতেন। সেখান থেকে অবসর ভাতা তোলেন তিনি। এজন্য প্রায়ই ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে ফুলবাড়ী যেতে হয় তাকে। সোমবার ট্রেনে করে সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি।’
দিনাজপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘মৃত আব্দুল আজিজের সঙ্গে থাকা ভোটার আইডি কার্ড দেখে তার পরিচয় আমরা শনাক্ত করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য