আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘১০০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে বলে সহকর্মীরা জানিয়েছেন। ৩০০ আসনের বিষয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
‘যেটা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অনেকে অনেক ইচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন। তবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারনি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কীভাবে হবে, ইভিএমে কীভাবে হবে, ব্যালটে কীভাবে হবে, কতটা ইভিএমে আর কতটা ব্যালট হবে- এই ব্যাপারটায় কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি পর্যালোচনাধীন।
‘ইতিমধ্যে অনেক সভা করেছি। আগামীতে দু-চারটি সভা হবে। পরে সিদ্ধান্ত হবে। যতদূর সম্ভব স্বাধীনভাবে আমরা ভোটের কার্যক্রম পরিচালনা করব। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক মতামত দিতে পারেন। রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারে। আলটিমেটলি আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, ভোট গ্রহণের পদ্ধতির বিষয়ে।’
ভোটার হওয়ার জন্য মানুষের উৎসাহ আছে, তবে ভোটের মাঠে কেন মানুষ যায় না- এমন প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ভোটার তালিকা প্রণয়ণ করা। যে প্রশ্নটা এসেছে সে বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
ইভিএমের ভোট আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেটা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় আসছে। আমাদের সহকর্মীরা আপনাদের জানিয়েছেন।
‘হয়ত আপনারা বলতে পারেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা বক্তব্য দিয়েছেন। বিভিন্ন দল থেকে বক্তব্য আসতে পারে। আমি জানি না, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন না, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেছেন স্পষ্ট না।’
নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করা হবে। ৭৬ হাজার প্রশিক্ষিত তথ্য সংগ্রহকারী এই কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকবেন। ২০ মে থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে তিন সপ্তাহ।
এর বাইরেও অনলাইনে আবেদন করে ভোটার হতে পারবেন নাগরিকরা। এছাড়া রিভাইজিং অথরিটির কাছে আবেদন করেও ভোটার হওয়া যাবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যে কোনো নাগরিক ভোটার হতে পারবেন।
এর আগে কে এম নূরুল হুদা কমিশন ২০২১ সালে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিলেও সেটি হয়নি। তথ্য সংগ্রহ বাড়ি বাড়ি হবে, নাকি নির্ধারিত কিছু কেন্দ্রে হবে সেই মতপার্থক্যের কারণে ওই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি।
এরপর ভোটার নিবন্ধনে ইসির মাঠপর্যায়ে নির্বাচন অফিসে গিয়ে অফলাইনে ও অনলাইনে পাওয়া আবেদন এবং ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহের সময়ে ১৬ বছর বয়সীদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাদের তথ্য দিয়েই চলতি বছরের মার্চে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। কিন্তু ২০১৯ সালের পর যারা আবেদন করেছেন, তাদের বেশির ভাগের আবেদন ঝুলে আছে।
নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন আর নারী ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। ৪৫৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
আরও পড়ুন:ছাত্রলীগের হামলায় নেতাকর্মী জখমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল ২৬ মে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। পরদিন সংগঠনটি একই কর্মসূচি পালন করবে জেলা ও মহানগরে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার রাতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় ছাত্রদলের নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় হকিস্টিক, রড, রামদা, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘হামলায় ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম, রেহেনা আক্তার শিরীন, শানজিদা ইয়াসমিন তুলি, সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, তন্বী মল্লিক রেহাই পাননি। তাদেরকে সড়কে ফেলে পেটানো হয়েছে। দুজন ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে নির্যাতন করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আহত নেতাকর্মী ও চিকিৎসকদের হয়রানি করছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।’
সংবাদ সম্মেলনে আহত নেতাকর্মীদের তালিকা তুলে ধরেন ছাত্রদলের নেতারা। এ তালিকায় কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক আকতার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম সোহেলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা রয়েছেন।
আরও পড়ুন:কান চলচ্চিত্র উৎসবে ১৯ মে উদ্বোধন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’-এর ট্রেইলার। এটি উদ্বোধন করতে ওই উৎসবে গিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দেশে ফিরে বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেখানে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন-এর ট্রেইলার উদ্বোধন হয়েছে এবং এটি উৎসবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। চলচ্চিত্র উৎসবের নগরী কানের প্রধান প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, আত্মত্যাগ এবং একটি জাতির রূপকার হিসেবে তার যে ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন- সেগুলো তুলে আনা হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আরও বিশ্বনেতাদের জীবন ও কর্মকে আড়াই-তিন ঘণ্টায় তুলে আনা কঠিন। তবু এই চলচ্চিত্রে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন, দেড় মিনিটের ট্রেইলার দেখে একটা চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না। সেজন্য পুরো সিনেমাটা দেখতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই চলচ্চিত্র একটি ডকুমেন্টারি হিসেবেও কাজ করবে।
‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি যে জাতির প্রশ্নে, বাঙালির প্রশ্নে অবিচল ছিলেন সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমিও অধীর আগ্রহে চলচ্চিত্রটি দেখার অপেক্ষা করছি।’
আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের একটি স্টল দেয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা পদ্মা সেতু বিশেষ রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে পদ্মা সেতু নৌকা প্রতীকের বিজয়ের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তিনি মত দিয়েছেন।
রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এ আলোচনা সভায় মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
মায়া বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শুনেই বিএনপির নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এ সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ সেতু নির্মাণ করেছেন। নিজস্ব অর্থে এ সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য বিশাল বিজয়, এটি আমাদের গর্বের সেতু।
‘দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, অগ্রগতি চায়। আর আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ধ্বংসের রাজনীতি করে কেউ মানুষের মন জয় করতে পারবে না। অন্য কাজের পাশাপাশি পদ্মা সেতু হবে ২০২৩ সালের নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের মাইলফলক।’
কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দুষ্ট লোকদের রাজপথে শায়েস্তা করতে হবে। রাজনীতি হবে রাজপথে। তাই রাজপথ দখলে নিতে হবে।’
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মকবুল হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার এ আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য অপরাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। উন্নয়নবিরোধীদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি।
সভায় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, আব্দুল আলীম বেপারি, সৈয়দ নাসির উদ্দিন, ফারুক আমজাদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, মজিবুল ইসলাম পান্না, কামরুল হাসান রিপন, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আরিফুর রহমান টিটু, রফিকুল ইসলাম বিটু, আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি, প্রিন্সিপাল এমএ হান্নান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
সভা শেষে সংগঠনের অসচ্ছল নেতাকর্মীদের অর্থসহায়তা দেয়া হয় এবং রান্না খাবার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় দেশের মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত হলেও বিএনপি নেতাদের বুকে ব্যথা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বুকে এ নিয়ে বড় বিষজ্বালা।
মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের মুখে হাসি দেখলে বিএনপি নেতাদের মুখে শ্রাবণের আকাশের কালো মেঘের ছায়া পড়ে।’
শেখ হাসিনার সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে গণক আখ্যায়িত করেন। বলেন, ক্ষমতার মালিক আল্লাহ আর এ দেশের জনগণ।
ওবায়দুল দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানম, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুসা মাতব্বর।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছেছে ভারতীয় দুটি যুদ্ধ জাহাজ।
মিসাইল করভেট ‘আইএনএস কোরাও’ ও অফশোর পেট্রোল ভেসেল ‘আইএনএস সুমেধা’ নামে জাহাজ দুটি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। ভারতীয় নাবিকদের অভিবাদন জানায় বিএনএস মোংলা নৌঘাঁটির বাদকদল।
নৌঘাঁটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় জাহাজ দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছালে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘বিএনএস আবু উবায়দা’ ও ‘বিএনএস আলী হায়দার’ মোংলা বন্দরের জেটিতে নিয়ে আসে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে জাহাজ ‘আইএনএস কোরায়’ ১৪ কর্মকর্তাসহ ১২১ নাবিক এবং কমান্ডার সুমিত মালিকের নেতৃত্বে ‘আইএনএস সুমেধায়’ ১২ কর্মকর্তাসহ ১১০ নাবিক এসেছেন।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় দুই দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা যৌথ মহড়ায় যোগ দেবেন।
দুই দেশের পারস্পারিক সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক জোরদারে ২০১৮ সাল থেকে এই যৌথ মহড়া হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায়। এই ঘোষণা শুনে শরীয়তপুর সদরে আনন্দ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। নেচে-গেয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে তারা দিন গুনতে শুরু করেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন-ক্ষণ ঘোষণা দেন। এরপর বিকেলে শরীয়তপুর জেলা শহরে আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
শহরের চৌরঙ্গি মোড় ও হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে বের হয় এসব মিছিল। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নাচ-গান করেন মিছিলে অংশা নেয়া লোকজন। শহরের বিভিন্ন সড়কে থাকা যানবাহনের চালক, যাত্রী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন তারা।
এই আনন্দ উৎসবের উদ্যোগ নেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু।
তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে দুরত্ব মাত্র কয়েকটা দিন। ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্ন পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রের জবাব এই পদ্মা সেতু... শরীয়তপুরের সব জনগণের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
স্বপ্নের এই সেতুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ। শরীয়তপুরে চায়ের দোকান থেকে অফিস পাড়া, সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন পদ্মা সেতু। উদ্বোধনের আগেই স্বপ্নের সেতু দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাজিরা প্রান্তে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
জেলা শহরের কম্পিউটার ব্যবসায়ী ফুয়াদ হাসান বলেন, ‘পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে। জন্মের পর থেকে অপেক্ষা করেছি এই মূহুর্তটির জন্য। সরকারের ঘোষণার পর গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। আমাদের সারা জীবনের ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে।’
সাংস্কৃতিক কর্মী ও নারী নেত্রী সামিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এই সেতুর জন্য অপেক্ষার সময়টা জন্ম থেকে। নিজ চোখে দেখেছি কত অসুস্থ রোগী ফেরির জন্য অপেক্ষায় থেকে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। কত মা-বোনদের রাস্তায় বা ফেরিতে বাচ্চা জন্ম দিতে হয়েছে। নদী পার হতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কত মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। সেই সব ভোগন্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে। আমরা ভীষন খুশি সরকারের এমন ঘোষণায়।’
শরীয়তপুর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক বলেন, ‘পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে বদলে দেবে। সেতু উদ্বোধনের আগেই বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে সেতু ও সেতুর আশপাশে শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য জমি কিনছেন। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের ফলে হাজারও মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এই পদ্মা সেতু।’
আরও পড়ুন:শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যেন দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সেদিকে নজর দিতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন তিনি।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) মঙ্গলবার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বাংলাদেশ। বর্তমান প্রজন্মের মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন।
‘বিকল্প সুযোগের স্বল্পতা থাকায় বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী। তবে বিপুল শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে শিক্ষকদের সেদিকে মনোযোগী হতে হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষকতা একজন মানুষকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, যা অন্য পেশায় সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা বুঝে পাঠদান করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য