সেতুর টোল চেয়ে গাড়ি থামানোয় আদায়কারীদের ওপর ‘হামলা’র বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করার পরামর্শ দিয়েছেন পটুয়াখালীর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী কানিজ সুলতানার ছেলে।
তিনি জানান, সবাইকে নিয়ে ‘বিষয়টা’ ক্লোজ করা হবে।
বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা সেতুর (লেবুখালী) টোলপ্লাজায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টোল আদায়কারী এবং এমপির ছেলে ও তার বন্ধুদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারিতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে।
একই দিন রাতে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অপরাধে তিন যাত্রীকে জরিমানা করে বরখাস্ত হয়েছেন এক টিটিই। মন্ত্রী অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, ট্রেনের ওই তিন যাত্রীর সঙ্গে তার আত্মীয়তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আলোচিত তিন যাত্রীই রেলমন্ত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, সবখানেই একটা গা জোয়ারি মনোভাব। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা, কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় তারা (মন্ত্রী-এমপি ও তাদের স্বজনরা) কোনো আইনের তোয়াক্কা করছেন না।
কী ঘটেছিল টোলপ্লাজায়
পায়রা সেতুর টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কাজী কানিজ সুলতানা হেলেনকে বহনকারী সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত গাড়িটিসহ তাদের বহরে থাকা পাঁচটি গাড়ি এবং অনেকগুলো মোটরসাইকেল বৃহস্পতিবার সকালে আমরা টোল আদায় না করেই ছেড়ে দিই। তারা তখন পটুয়াখালী থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় এমপির বড় ছেলে মাহিন হোসেন তালুকদার জয় নববধূকে নিয়ে বরিশাল থেকে পটুয়াখালীর দিকে ফিরছিলেন। এ সময় পায়রা সেতু হয়ে টোল পরিশোধ না করে যেতে চাইলে তারা বাধার মুখে পড়েন।
‘এ সময় আমার স্টাফরা গাড়ির টোল চাইলে ওই গাড়ির লোকজন বলেন, আমাদের গাড়ির ভাড়া পেছনের গাড়ির লোকজন দেবেন। এ সময় স্টাফরা পেছনের চারটি গাড়িতে ভাড়া চান। তবে কেউই ভাড়া না দেয়ায় কাউন্টারের দিকে তারা ফিরে আসেন। তখন এমপির ছোট ছেলে তাজ হোসেন তালুকদার তার মায়ের বরাত দিয়ে টোল পরিশোধে আপত্তি জানান। একপর্যায়ে প্লাজার লোকজনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এমপির ছেলে ও তার বন্ধুরা।
‘এমপির ছেলের বন্ধু আশিকুর রহমান আশিক আচমকা টোলপ্লাজার সুপারভাইজার মো. রাসেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম করেন। পরে কাউন্টারের ভেতর থেকে অন্য স্টাফরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে এমপির ছেলে তাজসহ তার বন্ধুরা মিলে তাদেরও মারধর শুরু করেন। এই ফাঁকে টোল না দিয়েই নববধূকে বহনকারী সাদা রঙের কারটি সামনে চলে যায়। পরে টোলপ্লাজার সব স্টাফ একত্রিত হলে এমপির ছেলের বন্ধুদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।’
টোলপ্লাজার ম্যানেজার বলেন, ‘এরপর পটুয়াখালী থেকে একদল লোক এসে আবারও হামলা চালায় আমাদের স্টাফদের ওপর। তখন কাউন্টারের বাইরে পুলিশও দাঁড়ানো ছিল। তবে লোকজন বেশি হওয়ায় পুলিশ প্রথমে কিছু করতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয় এবং টোল পরিশোধ না করেই পাঁচটি গাড়িসহ অনেকগুলো মোটরসাইকেল সেতু পার হয়ে চলে যায়।
যা বলছেন এমপি ও তার ছেলে
নারী এমপির ছোট ছেলে তাজ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘বড় ভাইয়া যখন আম্মুর পরিচয় দিছে (দিয়েছে) তখন ওনারা (টোল আদায়কারীরা) খুব বাজে কথা বলছে। যেগুলো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। স্বাভাবিক কারণেই পাশের সিটে নববধূ মানে আমার ভাবি বসা থাকায় ভাইয়ার খুব মাইন্ডে বাজছে। যে কারণে ভাইয়া গাড়ি থেকে নেমে তাদের প্রশ্ন করছে যে, তোমরা এ রকম ভাষা ব্যবহার কেন করছ। ব্যস আর কিছু না।
‘ভাইয়া যখন গাড়ি থেকে বের হয়েছে সেটা দেখে আমি আর আমার বন্ধুরা গিয়ে ওদের একই প্রশ্ন করি। তখন ওদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এর মধ্যে ওরা আমার বন্ধু আশিকের ওপর হামলা করে আহত করলে পুলিশ গিয়ে সবাইকে সরিয়ে দেয়।’
এমপিপুত্র তাজ বলেন, ‘আগামীকাল ভাইয়ার বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই বসে এ বিষয়টা নিয়ে ক্লোজ করতে চাই। এটা নিয়ে আর আপনারা ঘাঁটাঘাঁটি কইরেন না।’
তবে হামলা ও মারামারির পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নারী এমপি কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন। তিনি বলেন, ‘আমার গাড়ি ঘটনাস্থলে ১০ মিনিট পরে পৌঁছায়। আমি ঘটনার সময় যেহেতু ছিলাম না, সেহেতু আমার ধারণা টোল পরিশোধের কোনো বিষয় না। আসল ঘটনা হলো যারা টোল আদায় করে তারা সন্ত্রাসীপ্রকৃতির, ডাকাতপ্রকৃতির, তাদের ভাব দেখলেই সেটা বোঝা যায়। তারা আমার নববধূর স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। তার (নববধূর) হাত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
টোলপ্লাজায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এভাবে লোকজন রাখা হয়েছে সেটা ঠিক না। কিছুদিন আগে ওরা ছাত্রলীগের এক নেতাকেও মারধর করেছে। ওদের আমার মনে হয় সরিয়ে দেয়া উচিত, কারণ ওদের ব্যবহার একদমই ভালো না। স্থানীয়রা ওদের ব্যপারে অনেক ক্ষুব্ধ।’
তার ছেলে ও নববধূর ওপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত দাবি করে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় দুই থেকে আড়াই মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না। ঠিক তখনই ওরা আমার ছেলের বউয়ের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। তখন আমার ছেলে ও তার বন্ধুরা সেটিকে প্রতিহত করেছে। মূলত ওরা পরিকল্পিতভাবেই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য। বিষয়টি সবার ভাবা উচিত।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে টোলপ্লাজার ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মাত্র ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য বিদ্যুৎবিহীন ছিল এটি সত্যি। তবে ততক্ষণে আমাদের জেনারেটর চালু হয়ে গেছে। ওই সময় সিসিটিভির ভিডিওটা একটু অন্ধকার আসছে। আর যখন নববধূর গাড়িটি টোলপ্লাজা অতিক্রম করে, তখনই দেখতে পারবেন এমপির ছেলেসহ তার বন্ধুরা মিলে আমাদের স্টাফদের কীভাবে মারধর করেছে।
এমপির বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একজন মাননীয় সংসদ সদস্যের বেলায় এসব ঘটনায় আরও সতর্কভাবে কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ বললে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু প্রমাণ কী করবেন? যেখানে প্রায় ১৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা চলমান। সেখানে এ রকম উল্টাপাল্টা কথা বলে নিজেকে ছোট করার শামিল।
তিনি বলেন, ‘ছেলের জন্য এত বড় বিয়ের আয়োজন করতে পারলেন অথচ টোলপ্লাজার টোল দিতে পারেন না? এই টোল তো কারও পকেটে যাবে না, এটি তো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পায়রা সেতু এলাকা দুমকী থানার আওতায়। তাই বিষয়টা দুমকীর পুলিশ দেখবে। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলে আসি।’
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার পর সেখান থেকে দুই ব্যক্তিকে এনে পুলিশ হেফাজতে রেখে পরদিন দুপুরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তার পরও পুরো বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবখানেই একটা গা জোয়ারি মনোভাব দেখছি। শক্তিমান-ক্ষমতাবানদের জন্যই সবকিছু।
‘মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়রা অনৈতিক-বেআইনি সুবিধা পেতে পেতে এমন অবস্থা হয়েছে যে এখন বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়া, টোল না দিয়েই সেতু পার হওয়াকে তারা তাদের অধিকার মনে করেন। কেউ এতে বাধা দিলেই তার ওপর খড়গহস্ত হন। এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা তাদের এই অপকর্মে ব্যবহার করছেন।’
সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা, কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় তারা আর কোনো আইনের তোয়াক্কা করছেন না।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা বেআইনি কাজ আগেও করছেন। কিন্তু ধরা পড়ে গেলে তারা তা লুকানোর চেষ্টা করতেন না। লজ্জিত হতেন। কিন্তু এখন আমরা কী দেখছি, টিকিট ছাড়া মন্ত্রীর এক আত্মীয়কে ধরার কারণে রেলের এক কর্মকর্তাকেই শাস্তি দেয়া হয়েছে। দেশের আইনকানুনকে এভাবে প্রকাশ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর ঘটনা এ দেশে খুব কমই ঘটেছে।’
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর নিরাপত্তাহীনতায় পুনরায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় গারো পাহাড় সীমান্তে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌণে সাতটার দিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার নকশি সীমান্ত পথে নকশি ক্যাম্পের টহলরত বজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিষয়টি ২৬ আগষ্ট সকালে বিজিবি পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
আটককৃতরা হলো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রমজান আলী (২৪) ও আসমত আলীর ছেলে রাসেল (১৬)। আটক অনুপ্রবেশকারীরা হলো, নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বোমবাঘ গ্রামের শামীম শেখ (২৩), আফসানা খানম (২২), রুমা বেগম (৩২), মিলিনা বিশ্বাস (২৮) ও তিন বছর বয়সী শিশু কাশেম বিশ্বাস।
বিজিবি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৩ আগস্ট রাতের আধারে নালিতাবাড়ীর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে নারী এবং শিশুসহ ৫ বাংলাদেশীকে ভারতে পাঠায় মানব পাচারকারী রমজান আলী ও রাসেল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশের তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এ পাঁচ বাংলাদেশী। এ কারণে ২৫ আগষ্ট সোমবার সকাল পৌণে সাতটার দিকে ঝিনাইগাতির নকশি সীমান্তের কালিমন্দির এলাকা দিয়ে পুনরায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে সবাইকে আটক করে। পরে মানব পাচারে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সবাইকে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ময়মনসিংহ বিজিবি’র ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
ঝালকাঠিতে গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এনে ব্রান্ডশপ লোটো ও লি কুপার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৩২তম ফ্লাগশিপ আউটলেট উদ্বোধন করেছে।
এক্সপ্রেস লেদার প্রোডাক্ট লিঃ এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী জাভেদ ইসলাম সহ কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে ফিতা কেটে আউটলেটটি উদ্বোধন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।
পৌর শহরের সাধনার মোড়ে মঙ্গলবার ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টায় লোটো ও লি কুপারের ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটদ্বয়ের শুভ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে কোম্পানীর এ যাত্রার প্রথম দিনে স্থানীয় ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণীরা তাদের পছন্দের পন্য কালেকশন বেছে নিতে ভীর জমায়।
কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথম তিনদিনের প্রতিদিন প্রথম ৩০ জন পাবেন ৫০% ছাড়, ২য় ৩০ জন পাবেন ৪০% ছাড়, ৩য় ৩০ জন পাবেন ৩০% ছাড়, ৪র্থ ৩০ জন পাবেন ২০% ছাড় এবং তৎপরবর্তী সকল কাস্টমার পাবেন ১০% ছাড়। এই বিশেষ ছাড় ২৬শে আগষ্ট থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে
নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ: সালাম (৩৮) নামে এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আ: সালাম সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামী আ: সালামও পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আ: সালাম বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামী আ: সালাম ওই ভিকটিমের পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতো। এরই একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে আসামী আ: সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামী আ: সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আ: সালামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় তাকে বিয়ে করায় এক দম্পতিকে দেড় বছর ধরে 'সমাজচ্যুত' করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার জের ধরে পেটানো হয় দিনমজুর আব্দুল জলিল প্রামানিককে। প্রতিপক্ষের লোকজনের মারধরে এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে।
এঘটনায় তিনি একটি থানায় অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে সেটি মামলাটি হিসেবে রের্কড করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
সরেজমিনে বালুকাপাড়া গ্রামে গিয়ে আব্দুল জলিলকে ১৮ মাস ধরে সমাজচ্যুত করে রাখার তথ্য জানা গেছে। আব্দুল জলিলের সমাজচ্যুত করার ঘটনাটি স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশীদ মন্ডলও অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকেও সমাজচ্যুত করে রাখার বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আব্দুল জলিল প্রামানিক রাগের মাথায় তার স্ত্রীকে তালাক দেন। এঘটনার ২৯ দিন পর তিনি আবারও স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতব্বরেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল জলিল প্রামানিকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখেন। সেই সময় জলিল প্রামানিক বিষয়টি আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জানান। ইউএনও রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মণ্ডলকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তবে কার্যত কোন কোনো সমাধান করতে পারেননি। এতে গ্রাম্য মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলের ওপর আরও ক্ষুব্ধ হন। সমাজচ্যুত করে রাখা আব্দুল জলিল গত ১৫ আগস্ট রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদের দিকে রওনা হন। এসময় মাতব্বরেরা তাকে দুই দফায় প্রচন্ড মারধর করেন। এতে তার বাম হাতের হাঁড় ভেঙে যায়। তিনি চিকিৎসা নিয়ে থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বালুকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেড় বছর আগে আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার সংসার শুরু করেন। এনিয়ে গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিল প্রামানিককে সমাজচ্যুত করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বৃদ্ধা লুৎফন নেছা বলেন, আমি কাজ করতে পারিনি। আব্দুল জলিলের বউ আমার বাড়িতে এসে জবাই করা মুরগির তরকারি রান্না করে দিয়েছিল। আমি জলিলের বাড়িতে গিয়ে এক বাটি মুরগির মাংসের তরকারি দিয়ে এসেছি। এতে আমাকেও সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
বালুকাপাড়া গ্রামের মোড়ের দোকানি হাফিজার রহমান বলেন, বউকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় আব্দুল জলিল প্রামানিককে গ্রামের মাতব্বরেরা সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল গ্রামের সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেয় না।
আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, আমি রাগের মাথায় স্ত্রী তালাক দিয়েছিলাম। ২৯ দিন পর আবার বিয়ে পড়ে নিয়েছি। একারণে গ্রামের মাতব্বর রকি খান, মিল্টন খাঁ, আবু সুফিয়ানসহ আরও ১০-১২ জন আমাকে সমাজচ্যুত করেছেন। রাগের মাথায় স্ত্রীক। তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করা যাবে ঢাকার একজন মুফতির মতামত নিয়ে আসার পরও তারা মানেনি। তারা বলছে হিল্লা বিয়ে ছাড়া আমার বিয়ে বৈধ হবে না। তারা আমাকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায়ে করতে ও জানাজায় শরিক হতে বা দেননি। মিলাদ মাহফিল দাওয়াত দেওয়ার মাতব্বরদের চাপে পর ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি গ্রামের কারও জমিতে দিনমজুরি কাজও করতে পারব না বলে লোকজন জানিয়ে দেন। একারণে কেউ আমাকে কাজে নেয় না। সমাজচ্যুত করার জের ধরে মসজিদে যাওয়ার সময় মাতব্বরদের একাংশের লোকজন আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছেন।
গ্রামের মাতব্বদের একজন মো. মিল্টন খাঁ। তিনি আব্দুল জলিলের দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি। তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কাজ করেছেন। একারণে গ্রামের লোকজন তাকে সমাজচ্যুত করেছেন। আব্দুল জলিল সমাজ বিরোধী কি কাজ করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আব্দুল জলিল তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার স্ত্রীকে নিয়েছেন। এটা সমাজ বিরোধী কাজ।
আক্কেলপুর রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মন্ডল বলেন, আব্দুল জলিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি রাগের মাথায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এঘটনায় গ্রামের মাতব্বরেরা আব্দুল জলিলকে সমাজচ্যুত করেন। আব্দুল জলিল ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ইউএনও স্যার আমাকে ঘটনাটি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছি। আব্দুল জলিল যেন সামাজিকভাবে মিশতে পারে সেটি বলেছি। সমাজচ্যুতের ঘটনার জের ধরে আব্দুল জলিলকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার বাম হাত ভেঙেছে বলে জেনেছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আব্দুল জলিল প্রামানিক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেটি মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়েছে। আসামি আট জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালত থেকে পাঁচজন আসামি জামিন নিয়েছেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৭,২৪৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১,৯১৬ কোটি টাকা। জুলাই-২০২৫ মাসে বিগত জুলাই-২০২৪ মাসের তুলনায় ৫,৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই ২০২৫ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৩৩%।
জুলাই’২৫ মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক থেকে। এ খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১,৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমান ছিল ৮,৫৭১ কোটি টাকা। জুলাই ২০২৫ মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২.৪৫%।
আয়কর ও ভ্রমন কর খাতে জুলাই’২৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬,২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই’২০২৪ মাসের একই খাতে আদায়কৃত ৫,১৭৫ কোটি টাকার চাইতে ১,১২০ কোটি টাকা বেশি। আয়কর ও ভ্রমন করের ক্ষেত্রে জুলাই ২০২৫ মাসের আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫%।
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯,৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই’২৪ মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮,১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৭.৫২%।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সম্মানিত করদাতাগণ আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমান কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন
র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।
ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”
স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য