ঘরে সাপ প্রবেশ করেছে! চারপাশে তুমুল হইচই। লাঠি নিয়ে সাপ মারতে প্রস্তুত সবাই। শহরে তেমন না দেখা গেলেও গ্রামে প্রায়ই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।
তবে স্রোতের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন কয়েকজন তরুণ। যারা সাপ মারতে নয়, উদ্ধারে নিয়োজিত। উদ্ধারের পর সেই সাপ বনে ছেড়ে দেন।
সাপ রক্ষায় কাজ করছে তরুণদের সংগঠন ‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’ (এসআরটিবিডি)।
তাদের কেউই সাপুড়ে কিংবা ওঝা নন। এরপরও কোথাও সাপ দেখার খবর পেলেই ছুটে যান তারা। হাতে থাকা টুকটাক সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধার করেন বিভিন্ন প্রজাতির সাপ।
চট্টগ্রামে সাপের ত্রাণকর্তা বনে যাওয়া এসব তরুণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।
বিষধর এ প্রাণী উদ্ধার নিয়ে কথা হয় স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফরহাদুল ইসলামের সঙ্গে। তাদের আলাপে উঠে আসে সংগঠনটির আদ্যোপান্ত।
কেন সাপ বাঁচানোর চেষ্টা
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রাম অঞ্চলে এমনকি শহরেও সাধারণ মানুষের কাছে সাপ আতঙ্কের নাম। অথচ আমাদের দেশে যেসব সাপ সাধারণত দেখা যায় তার অধিকাংশই বিষহীন। সাপভীতির কারণে এটি দেখলেই মেরে ফেলাকে প্রথম কাজ মনে করে সাধারণ মানুষ।
‘সাপ যেসব প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে, সেসব প্রাণীর অধিকাংশই ফসলের ক্ষতি করে। সাপের সংখ্যা কমে গেলে ওই প্রাণীগুলোর সংখ্যা বেড়ে যাবে, যেটা বাস্তুতন্ত্রেরই নিয়ম। এতে কৃষকের ফসল আরও বেশি নষ্ট হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ইঁদুরের কথা বলা হলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী ইঁদুর বছরে দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকার ফসল নষ্ট করে। আর একটি দাঁড়াশ সাপ অনায়াসে তিন একর জমির ইঁদুর মারতে পারে। আর প্রকৃতিতে শুধু তিনটি প্রাণী ইঁদুর মারে। সাপ ছাড়া অন্য দুটি হলো বেজি ও পেঁচা।
‘এর মধ্যে বেজির প্রধান ফোকাস মাছে, আর পেঁচার জন্য ইঁদুর ধরা সাপের চেয়ে অনেক কঠিন। তাই ইঁদুর মারতে হলে সাপ বাঁচানোর কোনো বিকল্প নেই।
‘এ ছাড়া শুধু বিষধর সাপের কথা যদি বলা হয়, সাপ থেকে পেইন কিলার, বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে বিষধর সাপ যদি হারিয়ে যায়, তাহলে ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই সাপকে সংরক্ষণ করতে হবে।
‘সংরক্ষণ বলতে বাড়িতে পোষা না, দেশের প্রাকৃতিক বনাঞ্চলেই সংরক্ষণ করতে হবে। তাই আমরা মানুষের হাত থেকে সাপ উদ্ধার করে বনাঞ্চলে অবমুক্ত করি।’
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘সাপ সংরক্ষণে ২০১৫ থেকে আমি একাই কাজ করতাম। একটা সময় মনে হলো, শুধু সাপ সংরক্ষণ করলে হবে না, মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ানো দরকার। তাই টিম করার কথা মাথায় আসে।’
১৫ থেকে আড়াই শ জনের পরিবার
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারিতে যখন এসআরটিবিডির যাত্রা হয় তখন সব মিলিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ জনের মতো। এর পর গত তিন বছরে সংগঠনটির সদস্য হয়েছে আড়াই শ জনের বেশি। তবে সরাসরি সাপ রেসকিউ করেন ২০ জনের মতো।
‘বাকিরা এখনও প্রোপার ট্রেইনড না। তাদের কাজ হলো কোথাও সাপ দেখা গেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল উদ্ধারকারীদের জানানো আর মানুষ ও সাপকে নিরাপদ রাখা।’
সাপ উদ্ধার করতে গিয়ে বিপদে
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় সাপ উদ্ধার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিপদে পড়তে হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের। এখন পর্যন্ত এই সংগঠনের দুই সদস্য বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েছেন। এর মধ্যে আমি নিজেই দুই বার পদ্ম গোখরার কামড় খেয়েছি। একবার ২০১৫ সালে, তখন অবশ্য টিম ছিল না। আমি একাই কাজ করতাম।
‘ওই সময় একটি পদ্ম গোখরা সাপ উদ্ধারের পর বনে অবমুক্ত করার আগে অসাবধানতাবশত হাতে কামড়িয়ে ছিল। সৌভাগ্যক্রমে বিষ পুশ হয়নি শরীরে। হাসপাতালে এক দিন অভজারবেশনে ছিলাম। জ্বর ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ওই সময় অনেকটা অনভিজ্ঞ আর অসচেতন ছিলাম।
‘পরে কামড়িয়ে ছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে। ওই সময় চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে একটি পদ্ম গোখরার বাচ্চা উদ্ধার করে বাড়িতে আনার পর অবমুক্ত করার আগের রাতে ব্যাগ পরিবর্তন করছিলাম। ওই সময় সাপটি কামড় দিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাসার কাছে হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে চলে গিয়েছিলাম। সে সময় তিন দিন থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে।
‘এ ছাড়া গ্রামে সাপ উদ্ধার করতে গেলে সাধারণ মানুষ আমাদের হাতে কোনো বীণ না দেখলে মনে করে আমরা উদ্ধার করতে পারি না। বিভিন্ন সময় তাদের তোপের মুখে পড়তে হয়।’
দুই বছরে দুই হাজারের বেশি সাপ উদ্ধার
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে কাজ করছে এসআরটিবিডি। এই দুই বছরে বিষাক্ত আর নির্বিষ মিলে দুই হাজারের বেশি সাপ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করেছে সংগঠনটি।
ফরহাদুল বলেন, ‘আমাদের প্রথম এক বছর সাপ উদ্ধারের কোনো হিসাব রাখা হয়নি। তবে ২০২১ সালের শেষের দিকে আমরা হিসাব করে দেখলাম শুধু চার মাসে সাত শর বেশি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই হিসাবে দুই বছরে আমাদের উদ্ধার করা সাপের পরিমাণ দুই হাজারের কাছাকাছি। তবে এটা কোনোভাবেই দুই হাজারের কম নয়। কারণ উদ্ধার করা সাপের সংখ্যার হিসাব না থাকলেও সাপগুলো বনে অবমুক্ত করার ছবি সংক্ষিত আছে আমাদের কাছে। সব মিলিয়ে আমাদের কাছে ছবি আছে ৬ হাজার। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় একাধিক ছবিও তোলা হয়েছিল।’
সাপ-মানুষের বিরোধ কবে দূর হবে
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সাপ যে পরিবেশ ও কৃষকের ফসল রক্ষার জন্য উপকারী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দেশে সাপ ও মানুষের একটা চিরাচরিত বিরোধ আছে।
‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী দেশে প্রতি বছর সাপে কাটা রোগী মারা যান ছয় হাজার। এর কারণ হলো দেশে সাপে কাটার সুচিকিৎসা নেই। দেশের বিভাগীয় হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও এন্টিভেনম নেই। এ ছাড়া মানুষও অসচেতন, সাপে কাটলে অনেকে ওঝার কাছে যায়। এতেই মৃতের হারটা বাড়ে।
‘এখন প্রশ্ন হলো, সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুহার কমানো যাবে কীভাবে? এর একমাত্র উপায় হলো এন্টিভেনম। এটি সহজলভ্য হলেই মৃত্যুহার কমবে।’
সিদ্দিকুর বলেন, ‘আমরা আগে দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত এন্টিভেনম করতে চাই। এতে সাপের কামড়ে আগের মতো আর মানুষ মারা যাবে না। তখন সাপ আর মানুষের এই কনফ্লিক্ট পুরোপুরি কমে যাবে। আমি উদাহরণ হিসেবে কুকুরের কথা বলতে চাই, একসময় কুকুরের কামড়ে মানুষ মারা যেত, তখন প্রচুর পরিমাণে কুকুর মারা হতো। এখন কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, সহজে মানুষ মারা যায় না। তাই কুকুরের সঙ্গে মানুষের বিরোধ এখন আর নেই।’
আরও পড়ুন:ফেনীতে শরীফ উদ্দিন বাবলু নামের এক পুলিশ সদস্যের নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক তরুণী।
ফেনী মডেল থানায় মঙ্গলবার এ মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শরীফ উদ্দিন বাবলু বর্তমানে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জামতলা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পুলিশ সদস্য বাবলু চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ উপজেলার আজমনগর গ্রামের ওই তরুণীকে ফেনীর মহিপাল এলাকায় একটি হোটেলে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাবলু অস্বীকৃতি জানান। এতে মামলা করেন ওই তরুণী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য বাবলুর বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দেশে আইনের শাসনে চলা উচিত বলে মনে করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেন কারাগারে না হয়। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আইনানুযায়ী একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা যেকোনো একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন।
‘নাহা আইনের আধিকার ঠিকঠাক পাননি। ৩০ বছর তার সাজা হয়েছে, তিনি ২৯ বছর জেলে ছিলেন। এ হাসপাতাল থেকে নাহাকে যেন বাড়ি পাঠানো হয়। তার মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হয় এ আশা করছি।’
মঙ্গলবার দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। যা ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলা। ঘটনার দিন নাহা বাড়ি ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
‘২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করি, তার সাজা মওকুফ করে যাবতজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। রেয়াতসহ নাহার মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। অথচ সে মুক্তি পায়নি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনে বুঝে বলছি নাহার কোনো অপরাধ নেই। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।’
নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি বাঁচবেন না।
‘শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, আর কোনো চাওয়া নাই।’
১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী ধীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে ধীনেশ চন্দ্রের পরিবার।
নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মারা যান। রাখাল চন্দ্র নাহার সাজা ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩০ বছর পূর্ণ হলে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন:শরীয়তপুরের জাজিরায় গরু চোর শনাক্ত করতে এক কবিরাজের কাছ থেকে রুটি-পড়া এনেছিলেন শওকত বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী। পরে সেই রুটি খেয়ে ৫৫ বছর বয়সী শওকত নিজেই মারা গেছেন। এ ছাড়া ওই রুটি খেয়ে মান্নান হাওলাদার নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধও মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
নিহত শওকত জাজিরার নাওডোবা ইউনিয়নের কালু বেপারী কান্দি গ্রামের মৃত ওহাব বেপারীর ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জাজিরা থানার ওসি মিন্টু মণ্ডল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের ভাই লিয়াকত বেপারী জানান, শওকত বেপারী পেশায় গরু ব্যাবসায়ী ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে তার গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি হয়। চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে স্থানীয় আবু বেপারীর পরামর্শে ফরিদপুরের এক কবিরাজের কাছে যান তিনি।
এ সময় ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে গরু চোর শনাক্ত করতে শওকতকে রুটি ও আয়না-পড়া দেন সেই কবিরাজ। চোর ধরা না পরলে টাকা ফেরত দেয়ারও নিশ্চয়তা দেন তিনি।
শনিবার বিকেলে রুটি ও আয়না-পড়া নিয়ে বাড়িতে আসেন শওকত। রোববার কবিরাজের আয়নায় চোর দেখা না গেলে সন্দেহভাজনদের রুটি-পড়া খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে অন্যদের খাওয়ানোর আগে নিজেও সেই রুটি খান শওকত। এতেই ঘটে বিপত্তি! গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় আরেকটি রুটি খেয়ে মান্নান হওলাদার নামে আরও এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যান। অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে দুজনকেই দ্রুত ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বজনরা। ঢাকায় নেয়ার পথেই মারা যান শওকত। আর মান্নান হাওলাদার বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহতের ছেলে রাজিব হোসেন বলেন, ‘ওই কবিরাজের নাম ইসরাফিল। তার বাড়ি ফরিদপুর। কয়েকটি রুটি সে পড়ে দিয়েছিল। এর মধ্যে আমার বাবার জন্য একটি রুটি আলাদা করে দিয়েছিল। সেই রুটি খেয়েই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ওই কবিরাজের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’
জাজিরা থানার ওসি মিন্টু মণ্ডল জানান, খবরটি জানার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ।
ওসি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত শওকত বেপারীর মরদেহ দাফন করতে চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় আমরা ময়নাতদন্ত করিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।’
আরও পড়ুন:ঘোষণা ছিল নিজস্ব কার্যালয়ে সম্মেলন করার। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে বাগানের ভেতরে লুকিয়ে অতি সংক্ষিপ্ত পরিসরে সম্মেলন করতে হয়েছে রাজাপুর উপেজেলা বিএনপিকে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পুলিশের বাধায় উপজেলা শহরের বাইপাস মোড়ে নিজস্ব কার্যালয় সম্মেলন করতে পারেনি রাজাপুর বিএনপি।
নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর উপজেলা শহরের বাইরে উত্তর বাঘড়ি গ্রামে গিয়ে বাগানের ভেতর গোপনে কাউন্সিল সারতে হয়েছে দলটিকে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সম্মেলন শুরু হয়।
এর আগে দুপুর ৩টার দিকে শহরের বাইপাস মোড়ে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুদলের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
বেলা ২টার দিকে শহরের বাইপাস মোড়ে দুদল মিছিল বের করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা বাঘড়ি বাজার এলাকায় গেলে সেখানেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘাত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের বাইপাস মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এর কাছেই বাইপাস সড়কের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশ ডাকে। এতে সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বেলা ২টার দিকে সেখানে দুদল মিছিল বের করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেলের আঘাতে রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনসহ দুই পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।
এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে সম্মেলন বন্ধ করে দিলে নেতাকর্মীরা বাঘড়ি গ্রামে চলে যান। বাঘড়ি বাজারে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রামে বাগানের ভেতর ঢুকে পড়েন। সেখানেই তড়িঘড়ি সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার লিটন বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ডেকেছি। বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে ওদেরকে সরিয়ে দিয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র জানান, দুই পক্ষকে সরাতে গিয়ে ইটের আঘাতে এস আই মামুন আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, বাগানের ভেতরে সম্মেলনে ওড়ানো হয়নি পায়রা, উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা, এমনকি বাজানো হয়নি জাতীয় ও দলীয় সংগীত। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আর কমিটি ঘোষণা দিয়েই শেষ করতে হয়েছে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন।
মৌখিক ঘোষণায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তালুকদার আবুল কালাম আজাদ। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব নাসিম উদ্দিন আকন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝালকাঠি শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু, মিজানুর রহমান মুবিন, জাকারিয়া সুমন, আল ইমরান কিরন।
কাউন্সিলে তালুকদার আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও নাসিম উদ্দিন আকনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘দফায় দফায় হামলা করে ওরা (আওয়ামী লীগ) প্রমাণ করেছে দেশে গণতন্ত্র নেই। আগামীতে পাল্টা হামলা করা হবে, আর সহ্য করা হবে না।’
রাজাপুর থানার ওসি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। দুপক্ষকে সড়ক থেকে সরাতে দিতে গিয়ে ইটের আঘাতে এসআই মামুন মাথায় চোট পেয়েছেন। বিএনপি বিকেলে কোথায় প্রোগ্রাম করেছে তা আমার জানা নেই।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলির প্রস্তাব করেছেন মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার।
নিজ বাসভবনে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কায়সার এ আবেদন জানান।
নির্বাচন সংক্রান্তে সাত দফা প্রস্তাব কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান এই মেয়র প্রার্থী।
লিখিত প্রস্তাব পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নাবী চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে কায়সার বলেন, ‘আমি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে একজন প্রার্থী। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনের মাঠে পদচারণা করে আমি সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিবেচনা ও কার্যকর করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পেশ করছি।’
প্রস্তাবগুলো হলো
১. ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ইউপি ও পৌর নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। দিনের ভোট রাতে, কেন্দ্রদখল ও ভোটারশূন্য কেন্দ্র ছিল। যা ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করলেও বুঝা যায়।
জনগণের মধ্যে এখনও সেই ভয়, আতঙ্ক ও সন্দেহ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে কিছু মোটরসাইকেল আটক ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে ভোটারদের ভয় ও শঙ্কামুক্ত পরিবেশে ভোটারদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
২. ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের আপত্তি রয়েছে। সাধারণ ভোটাররাও এ বিষয়ে আপত্তি তোলার পাশাপাশি ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে দেয়া হবে বলে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রার্থীদের নিয়ে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা, ব্রিফিং কিংবা বিস্তারিত কিছুই তুলে ধরেনি। তাই আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানি না। যেহেতু বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ, তাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সে ভোট নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
৩. নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার কোনো কর্মকর্তাকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। সেই একই কারণে সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক, পরিদর্শক, সহকারী পুলিশ সুপার ও মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্বাচনকালীন (প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই) বদলির দাবি জানাচ্ছি।
৪. নির্বাচন কমিশন প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগকেও আমি স্বাগত জানাই। সিসি ক্যামেরার সুবিধা যাতে আগ্রহী প্রার্থীরা পায়, অর্থ্যাৎ প্রার্থীরা তাদের স্বঅবস্থানে থেকে সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করতে পারে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
৫. নির্বাচনের সময় পর্যন্ত আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
৬. প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের দুজন সদস্যের নেতৃত্বে কয়েকটি দল কুমিল্লায় অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. প্রার্থীদের অভিযোগ হোয়াটস আ্যাপ, টেলিগ্রাম, ম্যাসেঞ্জারসহ অন্যান্য অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাচনের আগেই ইভিএমের কথা উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাহলে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর বাতিল কেন চাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কায়সার বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। ইনপুট যা দেন আউটপুট সঠিক নাও আসতে পারে। এ ছাড়া ভোটার ও সুশীল সমাজ ইভিএমের ওপর এখনো আস্থা আনতে পারেনি। আমিও না। তাই ইভিএম বাতিল চেয়েছি।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পাগলা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কানসাট ইউনিয়নের কাঠগড় এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো মো. মোমিন ও আবু তাহের। তাদের বয়স ১২, বাড়ি কাঠগড়েই।
শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ জাকির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রামের চার শিশু মিলে বিকেলে নদীতে গোসল করতে নামে। সে সময় মোমিন ও তাহের কোনো কারণে ডুবে যায়। অন্য দুই শিশুর চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বাঁশবাগান থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সলঙ্গার ইসলা দিঘর গ্রামের একটি বাঁশ বাগান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।
রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ১২ বছরের রাশিদুল ইসলাম রায়গঞ্জ থানার ধামাইনগর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
নিহতের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে রাশিদুল ভাত খেয়ে বড় ভাইয়ের অটোভ্যান নিয়ে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে শুক্রবার রায়গঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান রহমান বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য