বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে তড়িঘড়ি বরিশাল নদীবন্দর ছেড়েছে বিলাসবহুল ১২ লঞ্চ।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে বরিশাল ছেড়ে যায় সব লঞ্চ।
তিনি জানান, ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা এসব লঞ্চ হচ্ছে কুয়াকাটা-২, কীর্তণখোলা-২, কীর্তণখোলা-১০, সুরভী-৮, সুরভী-৯, সুন্দরবন-১০, সুরভী-৮, পারাবাত-৯, পারাবাত-১৮, মানামী, এডভেঞ্চার-১ ও পারাবাত-১০।
এ ছাড়া ভায়া রুটের পাঁচটি লঞ্চও বরিশাল ছেড়েছে।
সকালে এডভেঞ্চার-৬, দুপুরে গ্রিন লাইন-৩ ও রাজারহাট সি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। যে লঞ্চগুলো রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা, সেগুলো সন্ধ্যা ৭টা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
প্রথমে সুরভী-৮ ৭টায় ও সোয়া ৭টায় সুন্দরবন-১০, সাড়ে ৭টায় মানামী ও এডভেঞ্চার-১ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়। এরপর একে একে সব লঞ্চ বরিশাল ছেড়ে যায়। রাত ৮টার মধ্যে বন্দর ত্যাগ করে সব লঞ্চ।
সরকারি জাহাজ এমভি বাঙালী বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল স্টিমার ঘাট ছেড়ে যায়।
বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা লঞ্চগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঢাকামুখী লঞ্চগুলোর প্রবেশপথেও যাত্রীরা চাদর বিছিয়ে বসেছেন। ডেকে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কেবিনের সামনে, এমনকি ছাদেও যাত্রীরা বসেছেন। মানামী ও এডভেঞ্চার-১ লঞ্চের ছাদে যাত্রী ছিল চোখে পড়ার মতো।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চে ছাদে বিছানা নিয়ে বসা যাত্রী আসমা আক্তার বলেন, ‘পুরো লঞ্চে কোনো জায়গা পাই নাই। তাই লঞ্চের সাইলেন্সার পাইপের কাছে বিছানা বিছিয়ে বসেছি। যেভাবেই হোক ঢাকা যেতেই হবে।’
এডভেঞ্চার-১ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সেলিম বলেন, ‘যাত্রীর অনেক চাপ। কোনো কেবিনই খালি নেই। ডেকও পরিপূর্ণ। তবে আমরা অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছি না।’
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল নদীবন্দরে থাকা লঞ্চগুলো তদারক করেন।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রী নামিয়ে শুধু কেবিনের যাত্রী নিয়ে দ্রুত ঘাট ত্যাগের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় পারাবত-৯, পারাবাত-১৮ ও সুরভী-৯ লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান ও তরিকুল ইসলাম জানান, সব লঞ্চকে সতর্ক করা হয়েছে যেন অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করে। অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চ থেকে নামিয়ে তাদের ঘাট ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তিনটি লঞ্চকে জরিমানাও করা হয়েছে।
নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। সব লঞ্চের মাস্টারকে নিরাপদে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।
বরিশাল নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করেছে। লঞ্চগুলোতেও বারবার টহল দেয়া হচ্ছে।
টিকিটের অনেক যাত্রী ওঠার আগেই ছেড়েছে লঞ্চ
নির্ধারিত সময়ের আগে ঢাকাগামী বিলাসবহুল সব লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ায় বরিশাল নদীবন্দরে এসে অনেক যাত্রী বিপাকে পড়েন। ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের বেশির ভাগ প্রথম শ্রেণির টিকিটের। কেবিনের টিকিট পেয়েও লঞ্চে উঠতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকে।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘আমাকে রাত ৮টায় বরিশাল নদীবন্দরে আসতে বলা হয় কাউন্টার থেকে। পৌনে ৮টায় এসেও লঞ্চ পাইনি। তিনতলায় কেবিনের টিকিট ছিল, পরিবার নিয়ে যাওয়ার কথা। এখন ফিরে যাচ্ছি। লঞ্চ যখন আগেই ছাড়বে, তখন সেভাবে আমাদের বলা উচিত ছিল।’
সুরভী-৮ লঞ্চের যাত্রী আব্দুস সোবাহান বলেন, ‘এসেছি সাড়ে ৭টায়। লঞ্চ ছেড়ে গেছে ৭টায়। আমাদের বলা হয়েছিল সাড়ে ৮টার আগে লঞ্চ ছাড়বে না।’
নির্ধারিত লঞ্চ না পেয়ে অন্য লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হাজারো মানুষকে। পরে সুন্দরবন-১২ ও পূবালী-২ নামের দুটি ভায়া লঞ্চে কিছু যাত্রী নেয়া হয়। যারা লঞ্চে উঠতে পারেননি তারা ফিরে গেছেন। অনেকে বাস টার্মিনালের উদ্দেশে রওনা হন।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মো. জাকির বলেন, কেবিনের অনেক যাত্রী নিতে পারিনি। ম্যাজিস্ট্রেট এসে দ্রুত ঘাট ত্যাগ করতে বলেছিলেন, তাই নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চ ছাড়তে হয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চগুলো যাত্রী পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দুর্ঘটনা এড়াতে সব লঞ্চকে ঘাট ত্যাগে বাধ্য করান।লঞ্চগুলো ঘাট ত্যাগ করানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’
আরও পড়ুন:স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ্যে দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন এ সংসদ সদস্য।
তার বক্তব্যের অংশবিশেষের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রকাশিত ওই ভিডিওতে আবুল কালাম আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচটা বছর (২০১৪-২০১৮) বেতন ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না; আগামীতেও থাকবে না। এবার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলব। যেভাবেই হোক তুলবই। এতটুক অনিয়ম আমি করবই। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’
প্রকাশ্যে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উনার বক্তব্য উনি বলেছেন, এখানে আমার কোনো কথা নেই।’
বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথের লংঘন, অন্যদিকে নির্বাচনি বিধিরও লংঘন।
‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারকাজে একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না।’
সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসনে ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীর তীর থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো যুবকের মামুন হোসেন, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি রাজাপুরের পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।
ভ্যানচালক মামুন দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন জানিয়ে রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকায় কচা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তে বের হবে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ব পূয়ালী গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে রাব্বি হাওলাদার।
২৫ বছর বয়সী রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাব্বির কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার কৃষক বাবা সাহায্যের জন্য ছুটছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় বিত্তবানদের কাছে। কেন না তার সবকিছুই বিক্রি করে দিলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি জোগাড় করার সামর্থ্য হচ্ছে না।
রাব্বি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থায় কৃষক বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। দেশের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়ত বেঁচে যাবে তার সন্তান।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাওলাদার কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল রাব্বির, কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওপরে শুধু হাসপাতাল ও ওষুধের বিল দিতে হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারটি আত্মীয়স্বজনসহ সবার সহায়তায় ওই বিল দেয়া সম্ভব হয়।
রাব্বির মা রেভা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে আর কয়দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে এসেছে। শুধু টাকার অভাবে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালেও নিতে পারছি না, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপারেশনের ধকল সহ্য করার মতো সুস্থ অবস্থায় আনা খুব জরুরি।’
রাব্বির বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনাদের ভালোবাসা ও সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ শুধু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ছেলে অকালে ঝরে যাবে তা আমার জীবন থাকতে মানতে পারছি না।’
তাকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৯৭-২২৮৯৭৫ ও ০১৯৮৭-৩৬৬৫৬৮ (বিকাশ-পার্সোনাল) নাম্বারে পাঠাতে পারেন ও যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার উজানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মাদানী সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেয়ার সময় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩৩ বছর বয়সী অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম ও অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ত্রিশালের রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মনি আক্তার ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদা আক্তার।
ফরিদপুর সদরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই পল্লির এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) জেলার রথখোলা যৌনপল্লির বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও ববি (৩৮)।
গ্রেপ্তার না হওয়া এ তিনজনের মধ্যে ববি যৌনপল্লির সর্দারনি হিসেবে পরিচিত। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুই দিন সেখানে রেখে তাকে (তরুণী) তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। ওই তিন ব্যক্তি ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তরুণীকে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে তিনি যৌনপল্লির লাইসেন্সধারী সদস্য।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ যৌনপল্লিতে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণীও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান। ওই তরুণী জানান, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান জানান, যৌনপল্লিতে তরুণীকে নেয়ার ঘটনায় তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালীর কবিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছর আলী মাঝি বাড়ির পুকুরে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুই শিশু হলো সাত বছর বয়সী বিবি ফাতেমা বেগম ও তার চার বছরের ভাই আবিদ হোসেন। শিশুদ্বয় ছর আলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের সন্তান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই ভাই-বোন সকালে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে আরেকজন উদ্ধার করতে পানিতে নামে।
‘পরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য