রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার পরে ওই নারীকে গলা টিপে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
মেয়েটি যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি পোশাকের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। ছেলেটি ওই পোশাক কারখানারই লাইন চিফের দায়িত্ব পালন করতেন।
দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটি যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল পার ডগাইর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক আইয়ান মাহমুদ দ্বীপ জানান, দুপুরের পর মেয়েটিকে নিয়ে তার কক্ষে যান ছেলেটি। একপর্যায়ে ছেলেটির পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন মেয়েটি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলা টিপে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে জাহাঙ্গীরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। মুসকানের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।’
জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে, দেখা দিয়েছে মন্দা। এমন প্রেক্ষাপটে সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে সরকারের সহায়ক হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও রিজার্ভের ওপর সৃষ্ট চাপ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির ওপর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
সংকট মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন পরিস্থিতিতে অহেতুক ব্যয় কমিয়ে সবাইকে সাশ্রয়ী ও যৌক্তিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় টিআইবি।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিপুল আমদানি ব্যয়, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা, রিজার্ভের ওপর তৈরি হওয়া চাপ মোকাবিলায় ব্যয় হ্রাস করতে হবে। জনকল্যাণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুচিন্তিত অর্থনৈতিক কর্মকৌশল নেওয়া এবং সাহসের সঙ্গে তা বাস্তবায়ন জরুরি।’
তাই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি অর্থনৈতিক কৌশলবিষয়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানান ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশকেও সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতিসহ বহুমুখী সংকটের মুখোমুখি হতে হবে বলে উদ্বেগ বাড়ছে। সংকটে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যেকোনো দেশেই সুশাসন অধিকতর ব্যাহত হয়। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারসহ আর্থিক খাতের বহুমুখী অনিয়ম গভীর ও ব্যাপক হয়। আর্থসামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য ও প্রান্তিকতার বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।’
সংকট মোকাবিলায় কৌশল প্রণয়নে বস্তুনিষ্ঠ, পেশাগত উৎকর্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক এবং নিরপেক্ষ দিকনির্দেশনা সরকারের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এই কমিটি ২০২১-৪১ এর টার্গেট অনুযায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ২০৩১ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য দূর এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য শূন্যে নিয়ে আসার জন্য নির্দিষ্ট কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই পরিস্থিতিতে জোর দিচ্ছে কৃচ্ছ্রসাধনে। বিলাসপণ্য আমদানিতেও নিরুৎসাহিত করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর প্রকল্পও বেছে বেছে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে যেসব প্রকল্প অতি প্রয়োজনীয়, সেগুলোই কেবল চালিয়ে যাওয়া হবে। যেসব প্রকল্প এখনই না করলেও চলে, সেগুলো বাস্তবায়নে ধীরে চলার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন:পাইপলাইন সংস্কারের জন্য শনিবার মিরপুরে ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখবে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি।
সেই সঙ্গে মিরপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও এ সময় গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
শুক্রবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি গ্যাস পাইপলাইন সংস্কার কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা রাজধানীর মিরপুর ১, ২, ৬, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩, ইস্টার্ন হাউজিং (পল্লবী), রূপনগর, আরামবাগ, আলুবদি, মিরপুর ডিওএসএইচ পর্যন্ত এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সে সঙ্গে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।
গ্রাহকের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। তার নাম আলিফা আক্তার।
বৃহস্পতিবার রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার নন্দিরবাজার গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচরের মধ্য ইসলামনগর মজিবর ঘাট এলাকার একটি বাসায় স্বামী আব্দুর রহিমকে নিয়ে থাকতেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর মধ্য ইসলামনগর মজিবর ঘাট এলাকার ৭ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জেরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
আলিফার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
‘কয়েক দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আমার বাসায় চলে আসে। পরে বুঝিয়ে তাকে আবার স্বামীর সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গত রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে অভিমান করে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
আরও পড়ুন:নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া বিএনপির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সমাবেশের আয়োজন করে মহিলা আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন ছাড়া বিএনপির সব পথ বন্ধ উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘গত রমজান থেকেই বিএনপির প্রার্থীরা তাদের এলাকায় নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আসলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া তাদের কোনো পথ খোলা নেই। এখন হয়তো পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি অহেতুক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ড মানুষ ভুলে নাই। তাদের নেতা নাই। নেতৃত্বশূন্য দল বিএনপি। তাই এখন পানি ঘোলা করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কোনো লাভ হবে না, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।’
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিসহ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
দেশের এক হাজার মাদ্রাসা ও শতাধিক ইসলামি বক্তার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের’ দুর্নীতির তদন্তের আহ্বান জানানো গণকমিশনের আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার দুপুরে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণকমিশনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। তারা একটি বই প্রকাশ করেছে ২ হাজার দিন সন্ত্রাস নামে। বইয়ের ভেতরে কী লিখেছে, তা আমি জানি না। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।
‘তারা কাদের নামে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায় দিয়েছেন এগুলো আমরা কেউই কোনো তদন্ত করিনি। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তারা দিয়েছেন। আমরা না দেখে বলতে পারব না। দেখে বলতে হবে।’
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজত আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। তারা আন্দোলনে নামলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন কেউ হাতে নিলে আমাদের যা করণীয়, সেটাই করব। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি।
‘আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই, সে অভিযোগ আমরা আমলে নিই না।’
প্রেক্ষাপট
গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্যসচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ তালিকা হস্তান্তর করে।
গণকমিশনের তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১৬ জনের নাম রয়েছে। শ্বেতপত্র ও তালিকাটি একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও দেয়া হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘুবিষয়ক ককাসের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় গণকমিশন।
এর আগে ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক শ্বেতপত্রটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় ১২ মার্চ।
আরও পড়ুন:রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীকে ১.২৫৮ কিলোগ্রাম স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করেছে কাস্টম হাউসের ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিম।
গ্রেপ্তার যাত্রীর নাম ওমর ফারুক। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার সময় এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫১৮ ফ্লাইটে বিমানবন্দরে নামার পর লাগেজ স্ক্যানের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এয়ারপোর্ট কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রী ওমর ফারুক গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তার লাগেজ স্ক্যান করা হয় এবং তাকেও আর্চওয়ে দিয়ে পার করানো হয়। স্ক্যানের সময় ফারুকের লাগেজ ও প্যান্টের পকেটের ভেতর স্বর্ণের ইমেজ পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে কাস্টম ব্যাগেজ কাউন্টারে ফারুকের লাগেজ খুলে ৮টি, প্যান্টের পকেট থেকে ২টি স্বর্ণের বারসহ ৯৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। যার ওজন ১.২৫৮ কেজি এবং বাজারমূল্য প্রায় ৯৩ লাখ টাকা।’
এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলাসহ ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে কাস্টম আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে দরপত্র জমা দেয়ার সময় আটক করা হয়েছে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই)। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তরের পাশাপাশি অভিযোগ দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে।
অভিযুক্ত পুলিশের নাম কামরুল হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।
নগর ভবনের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, ব্লক-এ, ব্লক-বি, ব্লক-সি এর বেইজমেন্টগুলোতে কার পার্কিংয়ের দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল।
এএসআই কামরুল এ সময় দরপত্র জমা দিতে যান। উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনার পর তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ। কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘টেন্ডার ফেলে’ আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই দীপক বালা নিউজবাংলাকে বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে দুপুরের পরে আমাদের কাছে কামরুলক হাসানকে হস্তান্তর করা হয়। সিনিয়র স্যাররা বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শুনেছি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে আমি জানি না।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য