রাস্তার সেতু নির্মাণ করা হয় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য। কিন্তু নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় একটি সেতুতে যান চলাচল বা পথচারী চলাচল বন্ধ। সেতুর ওপর রীতিমতো টিনের ঘর বানিয়ে বসেছেন স্থানীয় কয়েকজন। আর তা থেকে পরিচালনা করছেন জলমহাল ব্যবসা।
সেতুটির অবস্থান খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে। ছয় বছর আগে এটি নির্মাণ করা হয়।
চাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না।’
খালিয়াজুরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ জানান, লেপশিয়া বাজার থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার ডুবোসড়ক রয়েছে। ওই সড়কের ফরিদপুর এলাকার খালের ওপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাকা সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তদারকিতে ৩৮ ফুট লম্বা সেতুটি নির্মাণ করতে তখন ব্যয় হয় ৩০ লাখ ৮৯ লাখ টাকা।
কিন্তু সেতু নির্মাণের পর এর দুপাশে কোনো সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ রোড) নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি। এলাকাবাসীর যাতায়াত করতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তা দিয়ে।
যানবাহন বা পথচারী চলাচলের অযোগ্য হলেও চার বছর ধরে সেতুটির ভিন্ন রকম ব্যবহার করছেন স্থানীয় একটি জলমহাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কয়েক ব্যক্তি। তারা সেতুর পাটাতনের (মেঝের) দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে রীতিমতো টিনশেড ঘর বানিয়ে বসেছেন। আর তা থেকে পরিচালনা করছেন জলমহাল ব্যবসা।
জলমহালটি ফরিদপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠনের নামে ইজারা বন্দোবস্ত নেয়া। তবে এ সংগঠনের নেপথ্যে কয়েক প্রভাবশালীও জড়িত। ওই জলমহালের শ্রমিকরাই চার বছর ধরে ঘরটিতে অবস্থান করছেন। চৌকি পেতে এখানে তারা রাত্রিযাপন করেন। রান্না বা খাওয়া-দাওয়া করেন। জলমহাল পাহারা দেন। শুষ্ক মৌসুমে শুকনো মাছ রাখেন। আবার ধানের মৌসুমে মজুত করেন ধান। সোমবার ঘরটিতে গিয়ে বেশ কিছু ধানের বস্তা দেখা গেছে।
আর পূর্ব দিকে সেতুর নিচ দিয়ে চলছে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, গরুর গাড়ি ছাড়াও অসংখ্য পথচারী। তাদের মধ্যে ফতুয়া গ্রামের জাকির হোসেন, মাজহারুল ইসলাম ও ফরিদপুরের হানু মিয়া বলেন, ‘এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি রেবেকা মমিন এ সেতুটি বরাদ্দ করেছিলেন। কিন্তু শুধু সংযোগ সড়কের অভাবে জনগণ এর কোনো সুফল পাচ্ছে না।’
আতিক মিয়া নামে অন্য এক ব্যক্তি বলেন, ‘সরকার সেতু নির্মাণের জন্য ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিতে পারলে সংযোগ সড়কের জন্যও ১-২ লাখ বরাদ্দ দিতে পারবে। কিন্তু এখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে। তারা এটি নিয়ে ভাবেনই না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবু সিদ্দিক ও সদস্য মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘এখানে ঘর তোলার মতো উঁচু জায়গা কম। সেতুটি অব্যবহৃত থাকায় এর ওপর ঘর বানিয়ে ব্যবহার করছি। তবে সেতুটি চলাচলের যোগ্য করে তুললে সঙ্গে সঙ্গে ঘর সরিয়ে নেব।’
চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সেতুটির দুপাশে সংযোগ সড়কের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। তারা করবেন বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে এ রাস্তা দিয়ে সহজে ইজিবাইক, সিএনজিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলতে পারবে। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব আহমেদ বলেন, ‘সামনে বর্ষাকাল। তখন রাস্তাটি ডুবে যাবে। তাই আপাতত সেখানে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে আগামী শুষ্ক মৌসুমে অবশ্যই সেখানে সংযোগ সড়ক তৈরি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সেতুটির নিচে দিয়ে একটি বাইপাস সড়ক আছে। তাই পথচারীসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নলেজে আছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোচালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
উপজেলার কয়েন বাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গহরপাড়া গ্রামের আলী আল মাহবুব ও চালক একই উপজেলার তালতলা পশুরহাট এলাকার মনিরুজ্জামান।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এস আই) ফিরোজ হোসেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানান, রাতে কয়েন বাজার এলাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে রাজশাহীগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাাস্থলেই মাইক্রোচালক মনিরুজ্জামান ও যাত্রী মাহবুব মারা যান।
মাইক্রোর অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে বনপাড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মাইক্রোবাসটি রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের উদ্দেশ্য যাচ্ছিল।
এস আই ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘মরদেহ দুটি বনপাড়া হাইওয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মারামারি থামাতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৫৫ বছর বয়সী দুলাল হোসেন দুলুর বাড়ি একই গ্রামে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বিজিবির কাছে হাজিরা দেয়া নিয়ে রাতে নতুনপাড়া গ্রামের মোংলা হোসেনের সঙ্গে বাদশাহ আলী ও রাজা মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এ সময় পাশের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন দুলাল হোসেন।
মারামারি থামাতে তিনি সেখানে এগিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।
ওসি আরও জানান, দুলাল হোসেন হৃদরোগে ভুগছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোক করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও তিনি একবার স্ট্রোক করেছিলেন।
ওসি আব্দুল খালেক বলেন, ‘ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল ১০টায় তাকে দাফন করা হবে বলে জেনেছি।’
আরও পড়ুন:বগুড়ার গাবতলীতে আম কুড়াতে বেরিয়ে দুই শিশুর পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজন চাচাতো ভাইবোন।
উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের তারাবাইশা গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলো তারাবাইশা গ্রামের মো. মিরাজ ও আয়েশা সিদ্দিকা। দুজনেরই বয়স পাঁচ বছর।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে হালকা ঝোড়ো বাতাস শুরু হলে মিরাজ ও আয়শা বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও শিশু দুটি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে আমগাছের পাশের পুকুরে তাদের ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়।
ওসি বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ।’
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সহপাঠীরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম ধ্রুব চন্দ সাহা। তার বয়স ১৫ বছর।
সে ওই এলাকার মাদব চন্দ্রের ছেলে। ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত সে।
আটক স্কুলছাত্ররা হলো ইয়াসিন, পিয়াস, অজয় দাস ও মো. নিপন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত ধ্রুবর সঙ্গে তার ক্লাসের কয়েকজন সহপাঠীর বিরোধ ছিল। রাতে ধ্রুব এই এলাকায় গেলে তার পাঁচ থেকে সাতজন সহপাঠী স্কুলের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে অন্ধকার স্থানে পেয়ে তারা ধ্রবকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
ধ্রুব চিৎকার করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে পালিয়ে যায় সহপাঠীরা। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধ্রুবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত ধ্রুবর বাবা মাধব চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রকাশ্যে শিয়ালের মাংস বিক্রি ও ভাগবাটোয়ারা হয়েছে।
উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইউনিয়নের ছতুরা শরীফ গ্রামের কয়েকটি পরিবারের লোকজন শিয়ালের মাংস ভাগবাটোয়ারা করে।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ও ধরখার ফাঁড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিয়ালের মাংস নিয়ে পালিয়ে যান লোকজন।
এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে না পারলেও দড়িতে বাঁধা জীবিত একটি শিয়াল উদ্ধার করে জঙ্গলে মুক্ত করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ছতুরা শরীফ গ্রামের একটি বেগুনক্ষেত থেকে দুটি শিয়াল ধরা হয়। ওই সময় কসবা উপজেলার ভাদুইর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আসলাম ও ফোরকান ওই গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে তন্তরবাজার এলাকায় একটি শিয়াল জবাই করেন।
এরপর সেই মাংস ভাগবাটোয়ারা ও বিক্রি করা হয়।
শিয়ালের মাংস কেনা এক ক্রেতা বলেন, ‘বাত, ব্যথা কিংবা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিয়ালের মাংস রান্না করে খাওয়ার বিকল্প নেই। এসব ক্ষেত্রে শিয়ালের মাংস অব্যর্থ ওষুধ। এই কথা বিশ্বাস করে অনেকেই শিয়ালের মাংস কিনে নেন।’
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ তুলেছেন ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই স্কুলছাত্রী।
ভুক্তভোগী জানান, কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর কাছে তিনি প্রাইভেট পড়তেন। সেই সুযোগে প্রথমে ফোন নম্বর নিয়ে পরে তার সঙ্গে ফেসবুকে যুক্ত হন প্রধান শিক্ষক।
এর পর থেকে প্রায়ই ভুক্তভোগীকে ফোন করে লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেন দুখীরাম। একপর্যায়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে উত্তেজক মেসেজ দিতে থাকেন তিনি। এমনকি মেসেজে ও ভিডিও কলে শরীরের গোপন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি দেখতে চাইতেন তিনি।
ওই স্কুলছাত্রী বলেন, ‘যখন আমি একা থাকতাম তখন স্যার আমার ওড়না ধরে টানাটানি করতেন। আমি এগুলো সহ্য করতে পারতাম না। ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু জানাইনি। পরে সহপাঠীদের জানালে তারা এর প্রতিবাদ করতে বলে।’
এ বিষয়ে ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক দুখীরাম দুই বছর আগে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। ছাত্রীর সঙ্গে এই ঘটনা শুনে আমরা সবাই হতভম্ব। ফেসবুকে গোপনে তিনি কখন কী করেছেন তা আমরা জানি না। আমরা স্যারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ফেসবুক হ্যাক করে কেউ এমনটি করেছেন বলে দাবি করেন।’
এদিকে প্রধান শিক্ষকের পাঠানো মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:বাগেরহাটের কচুয়ায় এম এম মনির নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কচুয়া উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রোহান সরকার এই দণ্ডাদেশ দেন।
ওই সময় চিকিৎসকের চেম্বার সিলগালা করে দেয়া হয়।
বাগেরহাট জেলার সহকারী কমিশনার রোহান সরকার বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিয়েই তিনি নিজেকে এমবিবিএস পাস দাবি করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি সাইনবোর্ডে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখেছেন সেটিও ভুয়া।
‘তার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তার চেম্বরটি বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। তিনি কখনও চিকিৎসা সেবা দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।’
মন্তব্য