আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে বিএনপি আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে ভালো হবে। কারণ এই দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরুই হয়েছে বিএনপির হাত দিয়ে।
সোমবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, ‘হত্যা আর রক্তের মধ্য দিয়েই বিএনপির সৃষ্টি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই বিএনপির উথান হয়েছে। এদের নেতাকর্মীদের মাথায় শুধু গুম-খুন।’
হানিফ দাবি করেন, ক্ষমতায় থাকতে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৪-১৫ সালে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এ দেশে যত হত্যা খুনের অপকর্ম সবই বিএনপির দ্বারা। তারা কোন মুখে গুম-খুন নিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়।’
এ সময় ঈদযাত্রার বিষয়ে হানিফ বলেন, সড়কগুলো চার লেন করাসহ যোগাযোগ খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই আগের মতো এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমেছে। তারা নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছে।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:২০১৩ সালে ৬৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় চট্টগ্রামে দুই আসামির ৫ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি ৩৫ বছরের মোহাম্মদ শফি ও ৩৩ বছরের আবছার উদ্দিন জামিনে আছেন। তাদের দুইজনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের কুতুবুনিয়া এলাকায়।
মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোতোয়ালি থানায় মাদক মামলায় পলাতক দুই আসামিকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।
তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন আসামিরা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানাধীন স্টেশন রোডের ঢাকা হোটেল থেকে ৬৯৫ পিস ইয়াবাসহ শফি ও আবছারকে আটক করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি করে পুলিশ।
ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মো. হানিফ নামে এক ব্যক্তির ওই ভবন থেকে মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সেগুলো উদ্ধার করা হয় বলে ঘটনাস্থল থেকে জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ভবনের নির্মাণকাজের সময় শ্রমিকরা মাটি খুঁড়লে অস্ত্র দেখতে পান। তারাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র পায়। আরও অস্ত্র আছে কি না তা বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
এসপি বলেন, ‘ভবনের মালিককে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি পঞ্চগড়ে থাকায় আসতে দেরি হচ্ছে। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি।
‘অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল।’
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বহু বছরের পুরোনো ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। নাজির হাওলাদার নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ছিল সেটি। তার উত্তরসূরিদের কাছ থেকে পুরোনো ভবন কিনে সেখানে নতুন করে বাড়ি বানাচ্ছেন হানিফ।
আরও পড়ুন:সিলেট সদরে ঝড়ের কবলে পড়ে বিলে ডু্বে যাওয়া নৌকার আরেক আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জালালাবাদ থানার লালপুর গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মরদেহ দেখে জানালে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
মৃত ব্যক্তির নাম রেজাখ আলী, তার বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার রায়েরগাঁও গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ আছকন্দর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আছকন্দরের বাড়ি একই উপজেলার পুটামারা গ্রামে।
জালালাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাকের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বন্যায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে নৌকায় করে খারইল বিলের ওপর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আছকন্দর, রেজাখসহ কয়েকজন। ঝড়ের কবলে পড়ে বিলের মাঝামাঝি জায়গায় নৌকাটি ডুবে যায়। অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ওই দুজন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গা বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তারা মারা যান।
তারা হলেন ৫৯ বছরের নুরুল আলম ও তার ছেলে ১২ বছরের আনোয়ার কামাল।
বিকেলে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
তিনি জানান, গেল ১২মে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকে নুরুল আলমের ঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। তার স্ত্রী চুলায় রান্না বসাতে গেলে চুলার পাইপে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তাতে ঘরে ও আশপাশে থাকা ছয়জন দগ্ধ হন।
তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাটক্ষেত থেকে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের পাটক্ষেত থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি একটি বস্তায় পাওয়া যায়।
বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে কৃষকরা পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বস্তায় মরদেহটি দেখে পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে দেখে, মরদেহটির মাথা নেই। খোঁজাখুজি করে পাশের আরেক পাটক্ষেতে পাওয়া যায় মাথা।
তিনি আরও জানান, মরদেহটি নারীর বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তার পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ দিন আগে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রাইভেটকার চালক জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী রঞ্জন বসাক নিউজবাংলাকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ঘোষেবের এলাকার মুকলেসুর রহমানের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, ওমর হোসেন সাইফুল, আরিফুজ্জামান সজীব; যাবজ্জীবন পেয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী সীমান্ত ও আজিম খান। এর মধ্যে সাইফুল, সজীব, সীমান্ত পলাতক। আসামিদের সবার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুসন্ডা এলাকায় চালক জাহাঙ্গীর আলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে প্রাইভেটকার নিয়ে পালিয়ে যান আসামিরা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিন রাতেই ঘিওর থানার এসআই লুৎফর রহমান অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেপ্তার করা হয় ছয় আসামিকে। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযগপত্র দেয়া হয়।
১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী রঞ্জন বসাক রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবী বুলবুল আহমেদ গোলাপ ও আহসান হাবীব উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:নাটোরের লালপুরে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন, লালপুরের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সজিব হোসেন, রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলার কাফুরিয়া এলাকার মেহেদী হাসান ও দস্তানাবাদ গ্রামের সাগর আলী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের বড় হরিশপুর এলাকার পুলিশ লাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলম মিলন ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে মিলন বাড়ি না ফেরায় ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে।
পরে মিলনের পরিবার বিষয়টি বড়াইগ্রাম থানার পুলিশকে অবহিত করে। পর দিন সন্ধ্যায় পাশের লালপুর উপজেলার ঘাটচিলান এলাকায় সড়কের পাশে আখের ক্ষেত থেকে মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা ফখরুল ইসলাম লালপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনার অনুসন্ধানে নামে জেলা পুলিশের ৬টি টিম।
পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে সজিব, মেহেদী, রবিউল ও সাগরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা মিলনকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা জানান, ১৪ মে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনপাড়া বাজার থেকে লালপুরের ঘাটচিলানে যাওয়ার কথা বলে তারা মিলনের নতুন ইজিবাইকটি ২৫০ টাকায় ভাড়া করে।
ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কৌশলে ইজিবাইকটি ভাড়া করেন সজিব, মেহেদী, রবিউল ও আরেকজন। ঘাটচিলান এলাকায় পৌঁছালে তারা চালক মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ আখক্ষেতে ফেলে চলে যায়। পরে ইজিবাইকটি মেহেদীর বাড়িতে রেখে আসে।
এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিকেলে আসামিদের আদালতে তোলা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য