× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Comilla BNP independent candidate?
google_news print-icon

কুমিল্লাতেও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী?

কুমিল্লাতেও-বিএনপির-স্বতন্ত্র-প্রার্থী?
সড়ক সংস্কারের কাজ পরিদর্শনে কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: নিউজবাংলা
গত দুটি সিটি নির্বাচনে জয়ী বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও মেয়র। দিন-রাত নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছুটছি। দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইব। দল নির্বাচনে না গেলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

বর্তমান সরকারের আমলে আর নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না আসার ঘোষণা থাকায় বিএনপির একাধিক নেতা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

দেশের যে দুটি সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি বিএনপির দখলে আছে তার একটি কুমিল্লা। করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর দুটি নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সহজ জয় পান বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। এবার তার চোখ হ্যাটট্রিকে।

সেখানে ভোটের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী কে হবেন, এ নিয়ে আলোচনা যেমন আছে, তেমনি বিএনপি কি সাক্কুকে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ দিয়ে তার হাতে মার্কা তুলে দেবে কি না- এই প্রশ্নও বড় হয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ভোটের তারিখ ঠিক করা হয় ১৫ জুন। যারা প্রার্থী হতে চান তাদেরকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ১৭ মের মধ্যে। সেই হিসাবে প্রার্থীরা এবার তিন সপ্তাহের মতো সময় পাবেন।

ফেব্রুয়ারির শেষে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা হবে চট্টগ্রাম বিভাগের এই নগরীতে।

বিএনপি সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করবে কি না- এ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দলের অন্তত তিন জন নেতা নানাভাবে ভোটারদের কাছে তাদের আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন।

এদের মধ্যে বর্তমান মেয়র সাক্কু এরই মধ্যে আভাস দিয়েছেন, বিএনপি মার্কা না দিলে তিনি স্বতন্ত্র পরিচয়েই প্রার্থী হতে পারেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও মেয়র। দিন রাত নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছুটছি। দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইব। দল নির্বাচনে না গেলে সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে সাক্কুকে ভোটে জেতাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মরিয়া চেষ্টা থাকলেও তার সঙ্গে দলের এখন দূরত্বের বিষয়টি স্পষ্ট। তাকে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায় গত ডিসেম্বরে।

এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো কারণ উল্লেখ না করলেও সাক্কু সে সময় গণমাধ্যমকে জানান, দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে দল থেকে চিঠি পেয়েছিলেন তিনি।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কুমিল্লা বিভাগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়ও অনুপস্থিত ছিলেন সাক্কু।

গত জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি কোনো প্রার্থী না দিলেও দলটির নেতা তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রার্থী হন। দলীয় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় তার সব পদ কেড়ে নেয় দল। তবে ভোটের ময়দানে বিএনপির সব নেতা-কর্মীই তার পাশে ছিলেন। এই ভোটে আসলে দলটির নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বহু নেতা-কর্মীকে আবার সক্রিয় হতে দেখা যায়।

সাক্কু ছাড়াও ভোটে আগ্রহী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য কাউসার জামান বাপ্পি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মাঠ গোছানো রয়েছে। দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইবো। আশা করি দল অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবে।’

বিএনপি কী করবে না করবে- সেই ভাবনা শিকেয় তুলে রেখে ভোটের প্রস্তুতিতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজামউদ্দিন কায়সার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল নির্বাচনে আসবে কি না সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এই সিটি নির্বাচনে আমি কুমিল্লায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পরিস্থিতি অনুধাবন করেই প্রার্থী হওয়ার চিন্তা করেছি।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর কুমিল্লা সিটির প্রথম নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আফজাল খানকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে হারিয়ে নিজের জনপ্রিয়তার জানান দেন।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও পরের বছর সরকার পতন আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ফেরা বিএনপি একে একে সিলেট ছাড়া সবগুলো সিটি করপোরেশন হারিয়ে ফেললেও সাক্কু তার অবস্থান ধরে রাখেন।

২০১৭ সালের নির্বাচনে ব্যবধান কমলেও সেবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে সাক্কু হারান ১১ হাজার ৮৫ ভোটে।

জয়ের আশায় আওয়ামী লীগে বহু প্রার্থী

অর্থাৎ সিটি করপোরেশন হওয়ার পর প্রথম ভোটের তুলনায় দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোটের ব্যবধান কমাতে পারে ২৪ হাজারের বেশি। তৃতীয় নির্বাচনে এসে ব্যবধান ঘুঁচিয়ে জয়ের আশাও করছে ক্ষমতাসীন দল।

কুমিল্লা শহরের এই ভোটে আওয়ামী লীগের টানা পরাজয়ের পরও ভোট এলে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতার অভাব পড়ে না। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

এবার রোজায় প্রতিদিনই এখানে সেখানে হচ্ছে ইফতার পার্টি। সেখানে সম্ভাব্য প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন মূলত ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে।

দোয়া, মোনাজাত আর ইফতার বিতরণে নিজেদের প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন তারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন ভোটারদের। সেমাই-চিনি প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ভোটে আগ্রহী নেতাদের নাম ও তাদের ওয়ার্ড নম্বর। কেবল মেয়র পদে আগ্রহীরাই নন, এভাবে মাঠে থাকছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও।

নগরীর দেয়ালে লাগানো হচ্ছে নতুন নতুন পোস্টার। তাতে রোজা আর ঈদ শুভেচ্ছার আড়ালেও নিজেদের ছবিটিই ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ও সমর্থন প্রত্যাশী।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম সিকদার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু ও পদে না থাকা সৈয়দ সাফিউল হাসান চিশতী এই নেতাদের মধ্যে অন্যতম।

আরও আছেন কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা মেজর মমিন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব কাজী ফারুক আহাম্মেদ।

গতবার নৌকা নিয়ে লড়াই করা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলাতানা সীমার তৎপরতা এবার নেই। তিনি অবশ্য সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। ভোটে দাঁড়াতে হলে তাকে এই পদ ছেড়ে আসতে হবে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সিকদারও ভোটে আগ্রহী বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন। তবে তারও প্রকাশ্য তৎপরতা নেই।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় আমাকে সবাই সমর্থন দিয়েছেন। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলের জন্য আমার অবদানকে মূল্যায়ন করবেন। ’

মহানগর আওয়ামী লীগের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু বলেন, তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে তার চারজন কর্মী দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছে। তিনি ২৩টি মামলায় পড়েছেন। ১৩মাস জেল খেটেছেন। অনেক কর্মী সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছু বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন।

ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির বলেন, ‘নির্বাচনে শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান্ধব প্রার্থী চাই। যিনি কুমিল্লা নগরীকে আগামী ১০০ বছরের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন।’

সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদুরুল হুদা জেনু বলেন, ‘মানুষ একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ চায়। তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়। নাগরিকের এ দাবি নির্বাচন কমিশন কতটুকু পূরণ করতে পারে তা এখন দেখার বিষয়।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমদে বলেন, ‘নগরীর যানজট জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি নগরীর প্রতিটি মানুষের। নগরীর পুরাতন গোমতীকে সাজানো গেলে নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো। আগামী নির্বাচনে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করছি।’

আরও পড়ুন:
ঈদে খালেদার সঙ্গে দেখা করবেন বিএনপি নেতারা
সয়াবিন তেলের সংকট সরকারের কারণে: রিজভী
ঢাকা জেলা বিএনপি: তৃণমূল কাউন্সিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
বিএনপির ইফতারে আমন্ত্রিত হিন্দুদেরও গরুর মাংস পরিবেশন
নাম-ছবি না থাকায় ব্যানার ‘ছিঁড়লেন’ বিএনপি নেতা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chaksu and Hall have ended voting in the parliamentary elections

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats human chain in Sherpur demanding five points including election in PR system 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন 

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রথম গেইটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির মাও: হাফিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি নুরুজ্জামান বাদল, সাবেক নায়েবে আমির মাও: আব্দুল বাতেনসহ আরো অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তারা জামায়াত ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zoom meetings with Hasina are being trapped

হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ফেঁসে যাচ্ছেন ২৮৬ নেতাকর্মী

হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ফেঁসে যাচ্ছেন ২৮৬ নেতাকর্মী

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তবে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মিটিং এ যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে দেখা গেছে হাসিনাকে।

এদিকে ২০২৪ সালের শেষভাগে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত একটি জুম বৈঠককে কেন্দ্র করে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালে ১৯ ডিসেম্বর ওই ভার্চুয়াল সভায় দেশ ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

সিআইডির ফরেনসিক ও গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই সভায় অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন বৈধ সরকার উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ উসকে দেয়ার পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার ঘোষণা দেন।

এই তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে, ২০২৫ সালের ৪ মার্চ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত ও অভিযোগ দায়েরের অনুমতি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ রমনা থানায় সিআর মামলা নং-২২২/২০২৫ দাখিল হয়, যার ধারাগুলো- বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২১, ১২১(ক), ১২৪(ক)।

পাঁচ মাসেই সিআইডির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচার শুরু হচ্ছে। আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত তিনটি প্রধান এজেন্ডা- সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সম্পর্কিত ধারায় (১২১/১২১ক/১২৪ক) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সংস্থাটি। এ মামলার বিচারকার্য শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-১৮, ঢাকায় মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিদের অধিকাংশ অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ প্রদান করেন।

ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দেশে থাকা সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করে বিভিন্ন জেলা কারাগারে থাকা ৯১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক বলে জানা গেছে।

গতকালকের শুনানিতে প্রধান আসামিসহ অধিকাংশ অভিযুক্ত আদালতে অনুপস্থিত থাকায়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য সমন ও গণবিজ্ঞপ্তি’ জারি করার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে আসামিদের হাজির হতে আহ্বান জানানোর নির্দেশ দেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা অনুপস্থিত থাকলে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫১২ ধারার আওতায় অনুপস্থিতিতেই বিচার পরিচালনা করা হবে বলে আদালত উল্লেখ করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন—রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিচার ও দায়বদ্ধতা’ এজেন্ডার বাস্তব প্রতিফলন, তেমনি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার দৃঢ় সঙ্কেতও।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tareq Rahmans public relations with Tareq Munshi

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে তারেক মুন্সীর গণসংযোগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী। এ সময় তিনি খলিলপুর বাজার, নূরপুর, ফতেহাবাদ মোকামবাড়ি ও ফতেহাবাদ বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। এছাড়া খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গঙ্গামন্ডল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণসংযোগকালে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি হলো জাতির পুনর্জাগরণের নকশা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ কেবল একটি প্রতীক নয়, এটি পরিবর্তন ও আশার প্রতীক। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহফুজ, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম পাঠান, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পূর্ব বিএনপির সভাপতি শাকিল মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম শাখার সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন, সদস্য সচিব দৌলত খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইমরান হাসান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ এবং উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কাউছার মোল্লা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NCP Sargis Alam can choose from alliance

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারে এনসিপি: সারজিস আলম

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারে এনসিপি: সারজিস আলম

যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

এ সময় তিনি বলেন, এনসিপির শাপলা প্রতীকে আইনি কোনো বাঁধা নেই। তাই আমরা শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি যেকোনো এলায়েন্সেও যেতে পারে। তবে এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।

গত সোমবার রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতা ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করা। আগামীর রাজনীতির লড়াইয়ের জন্য, গণতান্ত্রিক পথ উত্তরণের জন্য, ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য কিংবা নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সাংগঠনিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় সমন্বয় সভা করছে এনসিপি।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বিএনপি কখনো এককভাবে সরকার গঠন করেনি, আবার জামায়াতও কখনো বড় পরিসরে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। সে জায়গা থেকে আগামী নির্বাচনে কারা সরকার গঠন করবে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকায় থাকবে এনসিপি। এজন্য আমরা সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সারাদেশে সমন্বয় সভা করছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি থাকবে।

শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনসিপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনসিপি নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা ও জুলাই যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে