‘প্রায় দুই বছর আগে রুটিরুজির একমাত্র অবলম্বন পাটকল বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রতিটি দিন আমার কাছে অন্ধকার মনে হয়। এখন দিনের শুরুতে আমার চিন্তা হয়, আজ দুপুরে কী রান্না করব। খাবার জোগাড় করতে পারব কি না।’
কথাগুলো বলছিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক নাজমা বেগম ওরফে নাজু।
খুলনার খালিশপুরে ক্রিসেন্ট জুট মিলের প্রধান ফটকের সামনে দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-খুলনা রেললাইন। ওই রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠেছে পাটকল শ্রমিকদের বসতি। অস্থায়ী বস্তিতে স্বামী আব্দুর রহিম, দুই মেয়ে পরিমনি ও রহিমা আক্তারকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস নাজমার।
নাজমা বেগম বলেন, ‘মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পরে গর্ভবতী হই। সরকার ঘোষণা দিয়েছিল তিন মাসের মধ্যে আমাদের সব বকেয়া পরিশোধ করে দেবে। একই সঙ্গে দ্রুত মিলগুলো চালু করা হবে। তবে মিল বন্ধের দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সরকার আমাদের টাকা দেয়নি। তখন শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। তাদের সঙ্গে আমি অংশ নেই।
‘একবার শ্রমিক আন্দোলনের সময়ে পুলিশ আমাকে লাথি মারলে ড্রেনের কাছে গিয়ে ছিটকে পড়ি। তখন আমি তিন মাসের গর্ভবতী ছিলাম। এখন আমার সেই সন্তান জন্ম নিয়েছে। তার বয়স বর্তমানে ৮ মাস। কিছুদিন আগেও একবার শ্রমিকদের আন্দোলনে এই সন্তানকে নিয়ে অংশ নিয়েছি। তখন আবারও পুলিশের মার খেয়েছি।
‘গত দুই বছরে বন্ধ মিল চালু ও বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে যে কতবার আন্দোলন করেছি, তার হিসাব নেই। তবে সেই বকেয়া এখনও পাইনি। আমার প্রায় ৪ লাখ টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে। আর মিল যে কবে চালু হবে, তা বলতে পারব না। তবে আশাই থাকি আবারও আমরা মিলে কাজ করব।’
নাজমা বেগম কাজ করতেন খুলনার খালিশপুর জুট মিলে। খুলনা-যশোর অঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকলের মধ্যে ছিল তার মিলের নামও। মিল বন্ধের পর বেকার হন প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক। তাদের দাবি, এখনও বিকল্প কোনো কর্মসংস্থান পাননি তারা।
তবে পাটকল বন্ধ ঘোষণার সময়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছিলেন, ‘আমরা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত বুঝিয়ে দেব। এ ছাড়া মিলগুলো দ্রুত সংস্কার লিজে মালিকানা হস্তান্তর করে এসব শ্রমিকদের আবারও কাজের সুযোগ করে দেব।’
খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম ও খালিশপুর জুট মিলে শনিবার ঘুরেছেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক। ওই মিলগুলোর আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকরা বলছেন, একসময় ঈদের আগে তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকত। তবে এখন তাদের উৎসবের রং ছোঁয় না। নতুন করে আবার কবে পাটকল চালু হবে তারা সেই অপেক্ষায় আছেন। আবার অনেক শ্রমিক ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৭টি পাটকল ছাড়াও সারা দেশে আরও ১৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ রয়েছে। ২০২০ সালের ১ জুলাই এসব মিল বন্ধ করার সময় প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়।
সোনালি আঁশে সমৃদ্ধ অর্থনীতির স্বপ্নে স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রতিষ্ঠাকালে বিজেএমসির আওতায় ৭৭টি পাটকল ছিল। বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার পরামর্শে সরকার ধীরে ধীরে পাটকলগুলোকে বেসরকারি মালিকায় হস্তান্তর করে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় মাত্র ২৫টি পাটকল রয়েছে।
তবে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি প্রচারে পাটকলগুলোকে পুনরায় রাষ্ট্রীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে কয়েকটি মিল চালু করেছিল এই রাজনৈতিক দলটি।
২০২০ সালে পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়ার সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসানে ছিল বিজেএমসি। ওই সময়ে সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সবশেষ বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওপেন বিডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বন্ধ মিলগুলোকে পাঁচ থেকে ২০ বছরের জন্য লিজ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলের জিএম মো. মুরাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের স্থায়ী শ্রমিকদের প্রায় সব বকেয়া পরিশোধ করেছি। যাদের বকেয়া এখনও পরিশোধ করা হয়নি, তাদের অফিশিয়াল নথিতে নামের বানানে অসংগতি ছিল, যে কারণে মন্ত্রণালয় থেকে একটু দেরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। হয়তো ঈদের পরে তারা বকেয়া পাবেন।’
তবে কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের নেতা রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা ১৫-২০ বছর ধরে এই মিলগুলোতে কাজ করেছেন, তাদের নামের বানান ভুল দেখিয়ে টাকা আটকে রাখা অন্যায়। নিজেদের দোষে নয়, মিল প্রশাসন ও ইউনিয়ন নেতাদের ভুলের কারণে শ্রমিকরা এই দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। আমরা চাই দ্রুত শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করে, আবারও পাটকলগুলো চালু করা হোক।’
আরও পড়ুন:জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক যোদ্ধা শাহ আলী। তিনি একজন দিনমজুর। দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন একটি হাত। পুরো পরিবার এখন নির্ভরশীল তার এক হাতের ওপর।
ঘরে চার মেয়ে ও স্ত্রী আকলিমা বেগমকে নিয়ে আলীর সংসার। তার আয়ে কোনোরকম চলছে পরিবারটি।
এলাকায় কাজ না থাকলে ছুটতেন ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কৃষিকাজ করে যে টাকা উপার্জন করতেন, তা দিয়ে ভালোই চলছিল পরিবারটি।
দুই বছর আগে বগুড়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহ আলী হারিয়ে ফেলেন তার বাম হাতটি। একই বছর একমাত্র সম্বল বসতভিটা তলিয়ে যায় নদীতে, তবে এমন বাস্তবতায় তিনি থেমে থাকেননি। এক হাত নিয়েই ধরেন সংসারের হাল।
যদিও আগের চেয়ে তার উপার্জন কমেছে, তবুও পরিবারকে বাঁচাতে দিন রাত পরিশ্রম করে চলছেন শাহ আলী।
আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের গতিয়াশাম গ্রামে। বর্তমানে চরখিতাব গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
শাহ আলী বলেন, ‘আমার জায়গা জমি বলতে ১৬ শতক ভিটেমাটি ছাড়া কিছু ছিল না। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলতো। এলাকায় কাজ না থাকলে জেলার বাইরে ধান কাটতে যেতাম।
‘২০২১ সালে বগুড়ায় ধান কাটতে যাই সিএনজিতে করে। পথে ট্রাক আর সিএনজির ধাক্কায় আমার বাম হাতটি রাস্তায় পড়ে যায়। আমি তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয়রা আমাকে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এক মাস চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে আসি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষত না শুকাতেই শুরু হয় নদী ভাঙন। এক রাতেই তিস্তা নদী আমার ভিটেমাটি কেড়ে নেয়। এরপর চলে যাই দ্বীপ চরে।
‘বছরে পাঁচহাজার টাকা ভাড়ায় ১০ শতক জমিতে এখন পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।’
কৃষিকাজের বিষয়ে আলী বলেন, ‘আমি এই এক হাত দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই, মাটি কাটা, ইট ভাঙাসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকি। তবে আমার এক হাত নেই বলে আগের মতো কেউ আর কাজে নিতে চায় না। তাই এ চরের মধ্যেই কাজ করে খেয়ে না খেয়ে দিন চলছে।
‘শরীরে যতক্ষণ দম আছে এক হাতেই কাজ করে যাব, তবুও ভিক্ষার মতো নিচু কাজ করব না।’
শাহ আলীর স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, ‘আগে মোটামুটি ভালো ছিলাম। স্বামীর হাত হারানোর পর প্রায় তিন বছর ধরে আমরা কষ্টে আছি। সরকার তিন মাস পর দুই হাজার দুই শ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়। আর এলাকায় কৃষিকাজ করে চলছে সংসার।
‘কষ্ট হলেও ওই মানুষটার এক হাতের ওপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নাই। সংসারের খরচ বাড়ছে। আল্লাহ জানেন ভবিষ্যতে আমাদের ভাগ্যে কী আছে?’
প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শাহ আলী ও তার পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এক হাতের ওপর চলছে পুরো সংসার। মেয়ের লেখাপড়া খরচ ও পরিবারের খরচ যোগান দিতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।’
এ বিষয়ে ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বলেন, ‘দুর্ঘটনায় এক হাত হারিয়ে শাহ আলী পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। সরকারি-বেসরকারি ভাবে পরিবার চলার মতো সাহায্য পেলে হয়তো তাদের কষ্ট কিছুটা কমবে।’
জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আরও খোঁজখবর নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তাসহ তাকে কীভাবে স্বাবলম্বী করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সদর, রামু ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের কক্সবাজার-৩ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে ইতোমধ্যে মাঠে প্রচারে নেমে পড়েছেন। দলের মনোনয়ন পেতে দলের একাধিক নেতা মাঠে রয়েছেন।
কক্সবাজার-৩ আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন নিতে চান তিনি, তবে এ আসনে তার বড় ভাই সোহেল সরওয়ার কাজল ও ছোট বোন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী হাল ছাড়ছেন না। নৌকা প্রতীকের মনোয়ন পাওয়ার জন্য তারাও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজারের এ আসনে পারিবারিক রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। দলীয় কোন্দলও রয়েছে।
আওয়ামী লীগ থেকে সাইমুম সরওয়ার কমল ছাড়াও মনোনয়ন পেতে মাঠে তৎপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ, কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক এমপি মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।
১৯৯১ সাল থেকে (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছাড়া) এ আসনে তিনবার আওয়ামী লীগ ও তিনবার বিএনপির প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে মোস্তাক আহমদ চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির খালেকুজ্জামান। ২০০১ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে খালেকুজ্জামান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তার ভাই প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান এমপি নির্বাচিত হন মোস্তাক চৌধুরীকে হারিয়ে।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলকে হারিয়ে বিএনপির লুৎফুর রহমান কাজল এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালে বিএনপির কাজলকে হারিয়ে পরপর দুইবার এমপি নির্বাচিত হন সাইমুম সরওয়ার কমল। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তিনি হ্যাটট্রিক করতে চান।
এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেলের কাজ সম্পন্ন, বেতার, টেলিভিশন, মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকখালী নদীর ওপরে বড় বড় চারটি সেতু নির্মাণসহ সব কিছু মিলিয়ে আমাদের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে এবং শহর আধুনিক হয়েছে।
‘এইসব কিছু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও আমার প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমি মানুষের সেবা করেছি, বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ছিলাম। এ ছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। এ সমস্ত কারণে মনোনয়ন বাছাই কমিটির কাছে আমার নাম এগিয়ে থাকবে।’
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো মানুষের সেবা করা, নিজেদের কথা আমরা কোনোদিনই ভাবি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। মনোনয়ন পেলেও মানুষের পাশে থাকব, না পেলেও থাকব, তবে মনে করি, সদর-রামু আসনের জন্য আমার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী যোগ্য।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। দুঃসময়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বুকে আগলে রেখেছি। তাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় আমি নেত্রীর কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইব।
‘তা ছাড়াও মেয়র থাকাকালীন ৫ বছরে রেকর্ড উন্নয়ন করেছি আমি। সেই কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব বলে শতভাগ আশাবাদী।’
কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০ বছর ধরে আমি কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে আমার নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি আশাবাদী।
‘এ ছাড়াও আমি যেহেতু কৃষক লীগ করি সে হিসেবে প্রান্তিক কৃষকের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। যদি আমি মনোনয়ন বা নির্বাচিত হই তাহলে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করব।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বাড়ি থেকে চুরি হওয়ার পাঁচ দিন পর দুই মাসের শিশু আযানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেশীর বাড়ির পেছন থেকে সোমবার সকাল ৬টার দিকে ডোবার মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশু আযান মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভার গোপালনগর এলাকায় মো. শরীফ মিয়ার ছেলে।
আযানের মামা মো. মোক্তার জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির কিছু অংশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ টেনে তোলেন তারা এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহটি হেফাজতে নেয়।
এদিকে শিশু আযানের মামা ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, পাশের বাড়ির ফারুক এবং তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। সকাল থেকে ঘরে তালা দিয়ে পলাতক রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনার জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দুই মাসের শিশু আযানকে ঘরে রেখে টয়লেটে যান তার মা শ্রাবণী বেগম। সে সুযোগে কে বা কারা ঘর থেকে চুরি করে আযানকে। পরে অনেক খোঁজখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে শিশু আযানের মামা মোক্তার হোসেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন:গাজীপুরের গাছার কলম্বিয়া রোডে ইউনি ম্যাক্স টেক্সটাইল নামের কারখানার টিনশেড গুদামে ধরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীটি রোববার রাত ৩টা ২৯ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায়। রাত পৌনে ৪টার দিকে প্রথম ইউনিট যায় আগুন নেভাতে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানায়, আগুন গুদাম থেকে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের টিনশেড বাসাবাড়িতে। গাজীপুর ও টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ছয়টি ইউনিট এ আগুন নেভাতে কাজ করে।
মিডিয়া সেল জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ভোররাত চারটা ৫৫ মিনিটে, যা সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয় ভোর ছয়টা ৪০ মিনিটে।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনের কারণ, ক্ষতি ও উদ্ধারের পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে স্বামীর কর্মস্থল মাদ্রায় অবস্থান নিয়েছেন এক গৃহবধু।
রোববার দুপুরে উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদ্রাসায় অবস্থান নেন ওই গৃহবধু। মাদ্রাসা অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় ওই প্রভাষক এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।
স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই গৃহবধু। বিচারের দাবিতে এখন বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
ভূক্তভোগী দাবি করা ওই নারীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিক্রিরচর ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে অনার্স পড়াকালিন ওই নারীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাদে প্রায় সাত বছর আগে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে কাবিননামা তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ওই শিক্ষক তার (ভুক্তভোগী) খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেন। পরে তার (শিক্ষক) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধু। অভিযোগ পেয়ে প্রভাষকের বেতন বন্ধ করে তাকে পুনরায় ভুক্তভোগী নারীকে কাবিন করে বিয়ে করার জন্য নির্দেশনা দেয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি ওই প্রভাষক। এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী।
তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় থেকে ওই প্রভাষক অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভূক্তভোগী দাবি করা ওই নারী বলেন, ‘সরলতার সুযোগ নিয়ে মোস্তাফিজ আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। আমি তার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাই। এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছে মোস্তাফিজ।’
একাধিক বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওর যা মন চায় করুক। আমি কাউকে ভয় পাই না।’
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফজুলর রহমান বলেন, ‘আমরা ওই শিক্ষককের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে বসে সমাধানের জন্য সভাপতি নির্দেশনা প্রদান করেছেন।’
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এনামুল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েকবার বসেছিলাম। কিন্তু এখনও কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারিনি।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম বলেন, ‘এতবড় অপরাধ করে শিক্ষক কী করে পার পাওয়ার চিন্তা করেন? এটা সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিংকি সাহা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতির সঙ্গে আমি কথা বলব।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জে দেড় কোটি টাকার মালামালসহ একটি বাল্কহেড ডাকাতি করে পালানোর সময় ছয় ডাকাতকে আটক করেছে স্থানীয় জেলেরা। আটকদের কাছ থেকে তিনটি রামদা এবং লুট করা নগদ তিন হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের বঘুরচর এলাকায় রোববার ওই ডাকাতদের আটক করা হয়। এসময় আরও তিন ডাকাত কৌশলে পালিয়ে গেছে।
আটক ছয়জন হলেন- আব্দুল কাদির, সুজন, সাদ্দাম হোসেন ওরফে সবুজ, নান্নু মিয়া, শাহীন হাওলাদার ও রুবেল মোল্লা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলে আলী মিয়া জানান, ভোরে মাছ ধরার সময় তাদের জালের ওপর দিয়ে একটি বাল্কহেড দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় কয়েকজন জেলে তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা না থেমে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জাল ছেড়ার ক্ষতিপূরণ আদায় করার জন্য কয়েকজন জেলে তাদের ট্রলার নিয়ে বাল্কহেডটিকে পেছন থেকে ধাওয়া করে। জেলেদের ধাওয়া খেয়ে দিক পরিবর্তন করে চালক বাল্কহেডটি হোসেন্দী বড় ব্রিজ এলাকার দিকে নিয়ে যেতে থাকে। সেখানে পানির গভীরতা কম থাকায় বাল্কহেডটি মাটিতে আটকে গেলে কয়েকজন জেলে বাল্কহেডের উপরে উঠে দেখতে পান ভেতরের কেবিন চেম্বারে তিনজন লোককে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
এ সময় তারা আশপাশের লোকজনকে খবর দিলে তারা ছয় ডাকাতকে আটক করে তিন বাল্কহেড শ্রমিককে উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে নৌ পুলিশ সদস্যরা এসে ৬ ডাকাত ও বাল্কহেড তাদের হেফাজতে নেয়।
বাল্কহেড মালিক হযরত আলী ফকির বলেন, ‘মালগুলো বরগুনার জেলার কয়েকজন ব্যবসায়ীর। তার দায়িত্ব মালগুলো নির্ধারিত স্থান থেকে সংগ্রহ করে তার বাল্কহেডের মাধ্যমে বরগুনাতে মালিকদের কাছে পৌঁছে দেয়া। নারায়ণগঞ্জ থেকে দেড় কোটি টাকার (তেল, আটা ও চিনি) মালামাল বাল্কহেডে লোড করা হয়েছিল আরও প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মালামাল নেয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেয়ায় তারা মাল নিতে পারছিলেন না। সেজন্য গত দুইদিন যাবত মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বাল্কহেড নোঙ্গর করে তারা টাকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।’
তিনি জানান, রোববার সকালে তারা খবর পান বাল্কহেডের স্টাফদের জিম্মি করে ডাকাত চক্র সেটি ছিনতাই করে নেয়ার পথে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে। মালামাল অক্ষত রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাশেদুল হক বলেন, ‘ডাকাত দল মালভর্তি একটি বাল্কহেডে নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জেলেরা তাদের আটক করে। খবর পাওয়ার পর আমরা সেখানে ছুটে যাই। বাল্কহেড বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি, তবে গজারিয়া নৌ পুলিশ থেকে একটি ডাকাতির তথ্য পেয়েছি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনেছি সেখানে দেড় কোটি টাকার মতো মালামাল ছিল তবে তারা কোন চালানের কপি দেখাতে পারেননি।’
আরও পড়ুন:‘খবরের সব দিক, সব দিকের খবর’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপতি হয়েছে। ১ অক্টোবর অগ্রযাত্রার তৃতীয় বর্ষ শেষ করে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করেছে দেশের স্বনামধন্য এ নিউজ পোর্টালটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসময় কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান।
নিউজবাংলার ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি হাসনাইন তালুকদার দিবসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমীর হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি শফিউল আজম টুটুল, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জলিল, বিজয় টিভির মো. মাসুম খান, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম সৈকত, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার কামরুজ্জামান সুইট এবং ডিএনএন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম।
শুভেচ্ছা বক্তেব্যে বক্তারা বলেন, “‘খবরের সব দিক, সব দিকের খবর’ স্লোগানকে ধারণ করে নিউজবাংলার যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তা থেকে কখনোই বিচ্যুত হয়নি পোর্টালটি। হাজারো খবরের ভেতর থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদটি বের করে সবার আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটি অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে করে চলেছেন প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীরা।’
মন্তব্য