সাবেক পূর্ত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার। ২০০০ সালের ২ মে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স এবং কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল ছিলেন।
সাবেক এই মন্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে।
তার পরিবারের এক সদস্য জানান, আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী বাংলাদেশ সরকারের পূর্ত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২-৮৩ সালে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়।
একইসঙ্গে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধুনিকায়ন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের কাজ শেষ করেছিলেন তিনি। চাকরি শেষে আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী ফিনিক্স ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
অনিয়মের কারণে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-(টিসিবি) এর ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। হাতে লেখা কার্ডগুলোকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে রূপান্তর করতে গিয়ে এনআইডি যাচাইকালে এসব কার্ড বাদ পড়ে যায়।
তবে নানা জটিলতায় টিসিবির সব কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তাই এখনও আগের হাতের লেখা কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে হচ্ছে।
রাজধানীর তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।
মুখপাত্র বলেন, ‘টিসিবির এক কোটি হাতে লেখা কার্ড এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করতে গিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটি কার্ড করেছে। ফলে যখন আমরা এনআইডি দিয়ে যাচাই করতে গেলাম তখন ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।’
তিনি জানান, ‘এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রনিধিরা না থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে কি না তা-ও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।
হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সেজন্য আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে।
‘বাকি কার্ডগুলো করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চার দফা চিঠি দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো না পাওয়ার কারণে বাকি কার্ডগুলো আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।’
তিনি জানান, রমজানে টিসিবির পাঁচটি পণ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল বিক্রি করা হবে। আর সিটি করপোরেশনের বাইরে খেজুর বাদে চারটি পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। প্রতি ট্রাকে ৩৫০ জনের উপযোগী পণ্য দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী দল’ আখ্যা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দলটিকে বাংলাদেশে কোনো বিক্ষোভের অনুমতি দেয়া হবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে শনিবার দুপুর ১২টা আট মিনিটে ইংরেজিতে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।
স্ট্যাটাসে শফিকুল লিখেন, ‘বর্তমান কাঠামোতে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী দলকে বাংলাদেশে বিক্ষোভের অনুমোদন দেয়া হবে না।
‘নির্বিচার হত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আদেশে যে কেউ সমাবেশ, জমায়েত ও মিছিল আয়োজনের চেষ্টা করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর পূর্ণশক্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা কিংবা দেশের আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো চেষ্টা বরদাশত করবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে রোববার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নামী সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন।
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বেবী নাজীনের সংগীতজীবন।
বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোনো মাধ্যমেই বেবী নাজনীন স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেননি। একপর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন তিনি।
দেশের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেও সমাদৃত হন বেবী নাজনীন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এ শিল্পী।
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি।
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে, বাপ্পি লাহিড়ী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন দেশের চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দেন।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে এর অধীন হয়রানিমূলক সব মামলা রহিত (বাতিল) হবে। তবে কম্পিউটার অফেন্স বা কম্পিউটার হ্যাকিং সম্পর্কিত মামলাগুলোর বিচার অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ডিআরইউ-দেশ টিভি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এর অধীনে যত হয়রানিমূলক মামলা রয়েছে; এই অ্যাক্টটা যখন বাতিল করবো তখন সব মামলা রহিত (বাতিল) হয়ে যাবে।
‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে সাংবাদিকদের কোনো গ্রুপিং নেই। এই ডিআরইউ যেন কখনো দুই গ্রুপে বিভক্ত না হয়। আর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এখানেই বোধহয় একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়েছে।’
প্রধান অতিথি বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক নেতা আছেন যারা সাংবাদিকও না নেতাও না। তারা সাধারণ সাংবাদিকদের জিম্মি করে টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি ও ক্ষমতার মালিক হয়েছেন। এসব মুখচেনা ব্যক্তিকে (সাংবাদিক) কখনও ডিআরইউ’র নেতৃত্বে আসতে দেবেন না। কারণ তারা সাংবাদিকদের দুঃখ-কষ্ট বুঝবে না। তারা সাগর-রুনি হত্যার বিচারের আন্দোলন করতে করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হতেও তাদের লজ্জা করেনি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) পক্ষ থেকে কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার মামলা করেনি।
‘কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন করে আন্দোলনকারীদের শক্তভাবে দমনের কথা বলেছিল, সাধারণ জনগণ বিশেষ করে যারা পরিবার ও সন্তান হারিয়েছে তারা মামলা করেছে। পেশাগত পরিচয়ের বাইরে আমরা যেন অন্য কিছু না হয়ে যাই।’
ফ্যাসিস্ট সরকারকে প্রকাশ্যভাবে সমর্থন করে তাকে কী সাংবাদিক বলা যায়?- এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অবৈধ নির্বাচনকে অব্যাহতভাবে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। তবে বেশিরভাগ সাংবাদিক সত্য ও ন্যায়ের পথে রয়েছেন।’
ডিআরইউ সভাপতি শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য।
‘রাজধানীতে পরিবেশ নিয়ে যত সংবাদ প্রকাশিত হয়, মাঠপর্যায়ের যে সাংবাদিকতা হয়, তা তৃণমূল পর্যায়ের সংবাদে ততটা গুরুত্ব পায় না। নির্ভরযোগ্য সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সাংবাদিকতা যদি নির্ভীক ও নিরপেক্ষ না হয় তাহলে দেশে গণতন্ত্র বলেন আর পরিবেশ রক্ষার সংগ্রামই বলেন, কোনোটিই সফল হবে না।’
এবার প্রিন্ট, অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিও- সবার জন্য উন্মুক্ত মাধ্যমে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ১১ জনকে।
প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান নয়ন, দ্বিতীয় পুরষ্কার আহসান হাবিব রাসেল, তৃতীয় পুরস্কার যুগ্মভাবে জসিম উদ্দিন হারুন ও ফারহান ফেরদৌস। ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন মুহাম্মদ আরাফাত মোমেন আদিত্য, দ্বিতীয় পুরস্কার পান মাসুদ মোস্তাহিদ, তৃতীয় পুরস্কার পান পারভেজ নাদির রেজা।
অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান ইয়াসির আরাফাত রিপন, দ্বিতীয় পুরস্কার পান মো. জোবায়ের হোসেন, তৃতীয় পুরস্কার পান মো. তৌহিদুজ্জামান তন্ময় এবং সবার জন্য উন্মুক্ত ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেন আবু সালেহ রনি।
অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সদস্যরা ছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শফিকুল কবির সাবু, রফিকুল ইসলাম আজাদ, মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখতে চায় এবং যেকোনো হামলার জন্য যেন জড়িতদের দায়বদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশ এবং বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যুক্তরাষ্ট্রের একই অবস্থান।
৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একথা বলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় পরিষ্কারভাবে বলেছি, ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান করা দেখতে চায় ওয়াশিংটন।’
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় যে বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী যেকোনো হামলায় জড়িতদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
এদিকে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ এবং চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সম্প্রতি চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা সম্প্রদায়কে আরও উত্তেজনা তৈরির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নামে-বেনামে বিগত সময়ে ক্রয়কৃত সম্পদের দলিলপত্র অনুসন্ধান করে অনুলিপি দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ তথ্য বৃহস্পতিবার রাতে নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক।
তিনি বলেন, গত ৬ নভেম্বর বিকেলে ডাকযোগে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে পেয়েছেন।
দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা, দুই মেয়ে ইশরাক মারজিয়া ও রাইসা মুমতাহিনা এবং এক ছেলে রাফিদুর রহিমের নামে-বেনামে দিনাজপুর সদর ও জেলার অন্য উপজেলাগুলোতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোনো জমি, অবকাঠামো, মিল, কারখানা বা অন্য কোনো মূল্যবান সম্পদ কেনা হয়ে থাকলে ওই দলিলের অনুলিপি অনুসন্ধান করে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রেনের টিকিটপ্রাপ্তি অধিকতর সহজ, স্বচ্ছ ও যাত্রীবান্ধব করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ছাড়া দেশের রেল রুটে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি আরও সুবিধাজনক করা হবে।
বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইউএনবিকে এসব কথা বলেন রেলপথ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, রেলের টিকিট বিক্রির পদ্ধতি আরও সহজলভ্য করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। টিকিটপ্রাপ্তি ও ভ্রমণে যাত্রীদের সন্তুষ্টি অর্জন করা হবে এবং যাত্রীরা যেন সহজে টিকিট কিনতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে। শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, টিকিটের ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাত্রীরা কতটুকু সন্তুষ্ট হতে পারছে, তা বিবেচ্য। অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা হতাশ হন। সে ক্ষেত্রে নিকটস্থ কোনো স্টেশনের কোনো সময়ের জন্য টিকিট অবশিষ্ট রয়েছে সার্চ অপশনে যাত্রীর নিকট যেন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে উপস্থাপিত হয়, সে ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এ ব্যাপারে প্রয়োজনবোধে রেলওয়ের বাইরের এক্সপার্টদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের নামে টিকিট বরাদ্দ বন্ধ
উপদেষ্টা বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত কোটার টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রেলের সচিব বা কর্মকর্তাদের কাছে অনেক টিকিটের তদবির আসে। সরকারি কর্মকর্তারাও করেন। এ জন্য কিছু টিকিট আগেই বুক করে রাখা হয়। এটা চলবে না।
তিনি বলেন, কোনো সচিব বা কর্মকর্তার কথায় টিকিট রাখা যাবে না। সবার আগে সাধারণ জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
টিকিট কালোবাজারি বন্ধ
উপদেষ্টা বলেন, টিকিট কালোবাজারি ও রুট রেশনালাইজেশনের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) প্রধান করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। যারা কালোবাজারি করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা রেলের লোক তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি মানুষ কীভাবে টিকিট সহজে পেতে পারেন, সেই বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনলাইনে টিকিট
ফাওজুল কবির খান বলেন, অনলাইনে রেলের টিকিট কাটার নানা ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো ঠিক করার জন্য টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি সহজ ডটকমকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না, কিন্তু কালোবাজারে ২০০ বা ৩০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্যার গোড়ায় যেতে চাই। সবাই বলে এই সরকার কিছু করে না, কিন্তু এটা সময় লাগবে। আমরা গত আড়াই মাসে সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে গ্রাহক যাতে সম্ভাব্য বিকল্প কী করণীয় সেই তথ্য অ্যাপ থেকে জানতে পারেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিত সহজ ডটকমকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদারকির জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও করে দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য