প্রতিবন্ধিতা নিয়ে টিভি নাটক ও আলোচনা অনুষ্ঠানে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার ও ধারণা দেয়ার অভিযোগে করা দুই মামলায় পুলিশের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছেন মামলার বাদী বশির আল হোসাইন।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার বাদীর বক্তব্য শুনে আগামী ৮ জুন তারিখে মামলাটি সরাসরি আমলে নেবেন নাকি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠাবেন, নাকি পুলিশের অপর কোনো সংস্থাকে পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হবে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত বলেন, “গত বছরের ১১ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিকীর আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী বশির আল হোসাইন। আদালত শুনানি শেষে মামলা দুটি পিআইবিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথম মামলাটি করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল।”
মামলার আসামিরা হলেন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী, অভিনেতা আফরান নিশো, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু ও পরিচালক রুবেল হাসান।
দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’-এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে। যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযোজক রাজু আলিম, উপস্থাপক সোমা ইমলাম ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা-মা এবং পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, ওই টকশোতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনার ভক্ত, কিন্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব?’
নারাজি আবেদনে বলা হয়, নাটকের শেষে একটি অডিও বার্তা সংযোজন করা হয়, যেখানে বলা হয়, ‘পাপের ফল মানুষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না, প্রত্যেকেই তার নিজ কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হয়। কখনও কখনও আমাদের কোনো অনৈতিক কাজ বাস্তবজীবনে চরম শাস্তি নিয়ে আসতে পারে, যা হয়তো জীবনব্যাপী ভোগ করতে হয়। আসামিরা এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা প্রচারের ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মুখে পড়ে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে গৃহীত রাষ্ট্রীয় নীতি আইন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয় এড়িয়ে আইন-আদালতের বিচারকের মতো তার মতামত রেখেছেন।
নারাজি আবেদনের দরখাস্তে মামলাটি সরাসরি আমলে নেয়া অথবা অধিকতর তদন্তের পক্ষে আরও যুক্তি তুলে ধরা হয়।
মামলা দুটিতে গত ১৬ মার্চ তারিখে সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে বলে আইনজীবী জয়ন্ত জানান।
বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।
রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনার ‘তেরা হোনে লাগা হু’, ‘দুরি’ ও ‘আদাতের’ মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।
কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন।
এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।
ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।’
২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, ‘জাল’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। ‘জেহের’ সিনেমার ‘ওহ লামহে ওহ বাতে’ গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য ‘পেহলি নাজার ম্যায়’, ‘বাখুদা তুমহি হো’, ‘তু জানে না’, ‘দুরি’, ‘ম্যায় রং শরবতো কা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’ সহ প্রায় শতাধিক গান।
আরও পড়ুন:বিপাকে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। অভিনেত্রী ও তার স্বামী রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ অ্যাক্ট ২০০২-এর অধীনে বৃহস্পতিবার একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের।
সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে পুণেয় রাজ কুন্দ্রার বাংলো, শিল্পার জুহুর ফ্ল্যাট। পাশাপাশি রাজ কুন্দ্রার নামে থাকা ইক্যুইটি শেয়ারও রয়েছে।
২০২১ সালে পর্নোকাণ্ডে নাম জড়ায় অভিনেত্রীর স্বামী রাজের। সেই সময় একটা লম্বা সময়ে হাজতে থাকতে হয় শিল্পার স্বামীকে। জামিনে ছাড়া পেয়ে একটু একটু করে নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।
দিন কয়েক আগে রাজ তার জেলবন্দি জীবনের কাহিনি তুলে ধরেছিলেন বড় পর্দায়। এর মধ্যেই ফের ঝঞ্ঝাটে শিল্পা ও তার স্বামী।
এই ঘটনার পর অনেকেই উদ্বেগে ছিলেন। প্রশ্ন ভাসছিল, কেমন আছেন অভিনেত্রী? অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন শিল্পা। জানালেন নিজের অবস্থানের কথা।
শিল্পা ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘‘অসম্মানের সময় বিচলিত না হয়ে শান্ত হতে শেখো।’’ তার পরই অন্য একটি পোস্টে সাঁইবাবার ছবি দিয়ে লেখেন, ‘‘শরণাপন্ন করে দাও।’’
ব্যক্তিগত জীবনে এমন ওঠাপড়ার মাঝেও বৃহস্পতিবার রাতে সালমান খানের ফ্ল্যাটে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে যান শিল্পা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু ধরতে পারব না তোমায়’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান।
সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।
পাগল হাসান অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্তার নামের একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
প্রাণ হারানো পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে।
পুলিশের ভাষ্য, দোয়ারবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। খালি বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশায় ধাক্কা দেয় বাসটি। ওই সময় পাগল হাসান ও ছাত্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্য তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
ছাতক থানার ওসি শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই পাগল হাসানসহ আরেকজন মারা যান। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি।
‘আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
দীপিকা কি সত্য়িই অন্তঃসত্ত্বা? নাকি সারোগেসির সাহায্য নিচ্ছেন? বলিপাড়ায় এখন একটাই গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, দীপিকা পাড়ুকোনের বেবি বাম্প একেবারেই নজরে আসছে না। এমনকি, দীপিকার বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার ভিডিওতেও তার বেবিবাম্প দেখা যাচ্ছে না।
এর পর থেকেই দীপিকা আর রণবীর সারোগেসির সাহায্য নিয়েছেন বলে গুজব রটেছে। তবে এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি বলে সংবাদ প্রতিদিনে প্রতিবদনে বলছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকার মাতৃত্ব নিয়ে মুখ খুললেন রণবীর সিং। তবে সারোগেসির প্রসঙ্গকে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে উত্তর দিলেন পুত্র সন্তান চাইছেন নাকি কন্যা সন্তান চাইছেন, সেই প্রশ্নের।
রণবীর বলেন, ”মন্দিরে গিয়ে প্রসাদ নিয়ে বাছ-বিচার কি করি আমরা? না। তাই ঈশ্বর যা দেবেন তাতেই আমি খুশি। এবং তাই সেটাই মাথা পেতে নেব। ভালোবাসব নিজের জীবনের থেকেও বেশি।”
সারোগেসি হলো সহায়ক প্রজনন-ভিত্তিক পদ্ধতি। কাঙ্খিত বাবা-মা অন্য নারীর গর্ভ ভাড়া করেন। ওই গর্ভধারিণী মাকে বলা হয় সারোগেট। অর্থের বিনিময়ে অন্যের শিশু গর্ভে ধারণ করেন তিনি। বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস দম্পতি, অভিনেতা তুষার কাপুর, পরিচালক করণ জোহর, একতা কাপুর এমনকি শাহরুখ খান তার ছোট ছেলের জন্মও এভাবেই দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদন বলছে, বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর মা হচ্ছেন দীপিকা। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই জল্পনাতে নিজেরাই সিলমোহর বসান রণবীর ও দীপিকা। জানান, সেপ্টেম্বর মাসে আসছে তাদের সন্তান।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই আম্বানিদের জামনগরের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন দীপিকা। তবে এখন বিশ্রামেই রয়েছেন নায়িকা। অভিনেত্রীর ‘কাল্কি ২৯৮৯ এডি’ রিলিজের অপেক্ষায়। অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘দ্য ইন্টার্ন’ শুটিং শুরুর অপেক্ষায়।
সূত্রের খবর, মুম্বাইয়ে সন্তানের জন্ম দেবেন না বলিউড ‘মস্তানি’। তাহলে কি অনুষ্কা শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো দীপবীরও বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন? না, তেমনটা নয়। জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা দীপিকা মুম্োই ছেড়ে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন। সেখানে মা-বাবার কাছেই থাকবেন এই সময়টা। আর বেঙ্গালুরুতেই ভূমিষ্ঠ হবে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রথম সন্তান।
সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ‘গোলিও কি রাসলীলা- রামলীলা’র সেটে দীপিকা ও রণবীরের প্রেম শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৪ ও ১৫ নভেম্বর ইতালির লেক কোমোতে গিয়ে বিয়ে করেন তারকা যুগল। কোঙ্কনি ও সিন্ধ্রি, দুই মতেই বিয়ে করেন দীপিকা-রণবীর। এর পর ক্যারিয়ারেই মন দেন দুই তারকা।
তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ মারা গেছেন। গত বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ সিনেমা নির্মাণ করে পরিচিতি পান তিনি।
রাজধানীর রমনার নিজ বাসা থেকে সোমবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৭ বছর বয়সী হিরণ ‘ইএইচআর মিডিয়া হাউজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদুরী শিবপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন এর ছেলে। বর্তমানে রমনার ৩০ নম্বর নিউ ইস্কাটন রোডের একটি চতুর্থ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্লাটে একাই বসবাস করতেন তিনি। ওই ভবনেই তার মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান।
ওই ভবনের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৬টার দিকে হিরণ বাড়ির দারোয়ানকে ফোন করে বলেন, তিনি স্ট্রোক করেছেন। দারোয়ানকে রুমে আসতে বলেন তিনি। দারোয়ান গিয়ে দরজায় নক করলেও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তিনি ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তারা দেখতে পান, প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় তিনি উপুড় হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ইএইচআর মিডিয়া হাউজের ক্রিয়েটিভ পরিচালক ওমর ফারুক নয়ন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খবর শুনে আমরা বাসায় গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, “তাওহিদ ভাই ভালো মানুষ ছিলেন। আদম-এর পর ‘রং রোড’ নামে তার আরেকটি ছবির কাজ শেষে হয়েছে। ছবিটি বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।’
শেষ মুহূর্তে এসে ঈদে মুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালো আহমেদ হুমায়ুন নির্মিত ‘পটু’ ও মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ সিনেমা দুটি। দুই সিনেমার পক্ষ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দুটি ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে।
‘পটু’ প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, তাদের ছবিটির পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই ঘোষণা দিয়েও সরে দাঁড়িয়েছেন তারা।
তবে এই ঈদে প্রতিষ্ঠানটির ‘মোনা: জ্বীন ২’ প্রেক্ষাগৃহে চলবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ‘ডেডবডি’ নিয়ে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনন্ত জলিলের পরামর্শ শুনেছেন পরিচালক-প্রযোজক ইকবাল।
জলিলকে উদ্দেশ করে ইকবাল বলেছেন, ‘ব্রাদার (অনন্ত জলিল) আপনাকে আমি ভালোবাসি। আপনি বলার সঙ্গে সঙ্গে (সিনেমাটি) আমি ঈদে রিলিজ না করে দুই সপ্তাহ পিছিয়েছি এবং হল মালিকদের চিঠি দিয়ে দুই সপ্তাহ পর প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছি।’
ইকবাল জানান, ঈদের পরিবর্তে ৩ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তার ছবিটি। ভৌতিক ধাঁচের গল্পে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, রোশান, শ্যামল মাওলা, অন্বেষা রায় প্রমুখ।
২০২৩ সালের শেষ থেকে টলিপাড়া একের পর এক তারকা-বিয়ের সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু তারকাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যাদের সম্পর্ক বা বিয়ে নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। যেমন অভিনেত্রী পায়েল সরকার।
এখনও তিনি কেন সাত পাকে বাঁধা পড়েননি? সম্প্রতি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তার কারণ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজর পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
পায়েল বলেন, ‘‘অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আমি সিঙ্গল কেন? যে কেনো বাঙালি পরিবারে মেয়ের বাবারা আসলে এতটাই পজেসিভ...।’’
অভিনেত্রীকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘তা হলে আপনি বাবা-মায়ের জন্য সিঙ্গেল?’’ পায়েল বলেন, ‘‘একদমই তাই। আমার নিজের জন্য যোগ্য সঙ্গী ছেড়েই দাও, ওদের জন্যও সঠিক ব্যক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।’’
বাবা-মায়ের চাপেই কি জীবনসঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না পায়েল? অভিনেত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি বলেন, ‘‘আগেই বলে রাখি, পুরো বিষয়টাই মজার ছলে বলেছি। কথা প্রসঙ্গে এসেছে।’’
তবে তিনি সম্পর্কে রয়েছেন কি না, তা তার অভিভাবকের ভাবনা ছাড়া অন্য কারও চিন্তার বিষয় নয় বলেই তিনি মনে করেন।
সম্পর্কে না থাকা এবং থাকার মধ্যে কী কী সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে? পায়েলের কথায়, ‘‘সিঙ্গেল থাকলে জীবনটা নিজের সুবিধা মতো কাটানো যায়।’’
একই সঙ্গে পায়েল বিশ্বাস করেন, কারও সঙ্গে থাকতে শুরু করলে তখন মানুষ উপলব্ধি করতে পারে একা থাকার সুবিধা বা অসুবিধা। পুরো বিষয়টাই ব্যক্তির মানসিকতার ওপর নির্ভর করে।
পায়েল বললেন, ‘‘অন্যদিকে, সম্পর্কে থাকলে তখন দায়িত্বটা দুজনের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু তা তখন আবার সবার পছন্দ হবে কি না, সেটাও দেখতে হবে।’’
পায়েল কি এখন সম্পর্কে রয়েছেন, নাকি তিনি একা? হেসে বললেন, ‘‘আমি কেন বলব? সম্পর্কে আছি কি নেই, তা আবার আমাকেই বলতে হবে কেন, সেটাই বুঝতে পারি না!’’
সম্প্রতি ‘আবার অরণ্যে দিন রাত্রি’ সিনেমায় পায়েলকে দেখেছেন দর্শক। তার অভিনীত বাংলাদেশি ‘দরদ’ সিনেমাও মুক্তির অপেক্ষায়। এ ছাড়াও, খুব দ্রুত নতুন ছবির কাজ শুরু করবেন পায়েল।
মন্তব্য