প্রতিবন্ধিতা নিয়ে টিভি নাটক ও আলোচনা অনুষ্ঠানে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার ও ধারণা দেয়ার অভিযোগে করা দুই মামলায় পুলিশের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছেন মামলার বাদী বশির আল হোসাইন।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার বাদীর বক্তব্য শুনে আগামী ৮ জুন তারিখে মামলাটি সরাসরি আমলে নেবেন নাকি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠাবেন, নাকি পুলিশের অপর কোনো সংস্থাকে পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হবে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জীবনান্দ চন্দ জয়ন্ত বলেন, “গত বছরের ১১ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিকীর আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী বশির আল হোসাইন। আদালত শুনানি শেষে মামলা দুটি পিআইবিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথম মামলাটি করা হয় ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক নিয়ে, যা চ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে ২৩ জুলাই প্রচার করা হয়েছিল।”
মামলার আসামিরা হলেন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী, অভিনেতা আফরান নিশো, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু ও পরিচালক রুবেল হাসান।
দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্ট’-এর ১১ জুলাইয়ের পর্ব নিয়ে। যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযোজক রাজু আলিম, উপস্থাপক সোমা ইমলাম ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা-মা এবং পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় বাদীর অভিযোগ ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, ওই টকশোতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনার ভক্ত, কিন্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাব?’
নারাজি আবেদনে বলা হয়, নাটকের শেষে একটি অডিও বার্তা সংযোজন করা হয়, যেখানে বলা হয়, ‘পাপের ফল মানুষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না, প্রত্যেকেই তার নিজ কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হয়। কখনও কখনও আমাদের কোনো অনৈতিক কাজ বাস্তবজীবনে চরম শাস্তি নিয়ে আসতে পারে, যা হয়তো জীবনব্যাপী ভোগ করতে হয়। আসামিরা এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা প্রচারের ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মুখে পড়ে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে গৃহীত রাষ্ট্রীয় নীতি আইন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয় এড়িয়ে আইন-আদালতের বিচারকের মতো তার মতামত রেখেছেন।
নারাজি আবেদনের দরখাস্তে মামলাটি সরাসরি আমলে নেয়া অথবা অধিকতর তদন্তের পক্ষে আরও যুক্তি তুলে ধরা হয়।
মামলা দুটিতে গত ১৬ মার্চ তারিখে সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে বলে আইনজীবী জয়ন্ত জানান।
প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণে হল মালিকদের স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেবে সরকার। কিন্তু ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতি শিথিল করার আবেদন জানিয়েছেন হল মালিকেরা।
অভিসার সিনেমা হলের মালিক স্বপন আলী ভুইয়া সিনেমা হলের জমির নথিপত্র কড়া করে পর্যবেক্ষণ না করার অনুরোধ জানান ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
তিনি বলেন, ‘আগেকার যেসব সিনেমা হল রয়েছে, সেসব সিনেমা হলের জমির কাগজে অনেকেরই ঝামেলা আছে। ব্যাংকের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা যখন ঋণ দেয়ার সময় জমির কাগজ বন্ধক হিসেবে রাখবেন তখন খুব কড়াকড়ি যেন না করেন। এমন হলে অনেকেই সমস্যায় পড়বেন।’
প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন, পুর্বাশা সিনেমা হলের মালিক খোরশেদ আলম গ্রেস ইয়ার (ঋণ নেয়ার পর নির্দিষ্ট একটি সময়, যে সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি দিতে হয় না, তবে সুদ যুক্ত হতে থাকে) বৃদ্ধির দাবি জানান।
দুই ভাবে ঋণ দেয়া হবে হল মালিকদের। কেউ যদি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চান, তিনি ঋণ পাবেন সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা। আর যারা প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার করতে চান, তারা পাবেন ৫ কোটি টাকা সর্বোচ্চ।
প্রেক্ষাগৃহ যদি মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হয় অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হয়, তাহলে ঋণের সুদের হার হবে ৫ শতাংশ এবং জেলা পর্যায়ে সাড়ে ৪ শতাংশ।
বগুড়ার মধুবন সিনেমার হলের মালিক আর এস ইউনুসের দাবি, ঋণের সুদের হার দুই রকম না করে তিন রকম করা হলে ভালো হয়। মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের সঙ্গে ইউনুস উপজেলাও যোগ করার দাবি করেন এবং সেখানে সাড়ে ৪ শতাংশেরও কম সুদের হার ধার্য করার অনুরোধ জানান।
এর সঙ্গে ইউনুস আরও বলেন, ‘জেলা বা উপজেলা থেকে ঋণ পেতে অনেক সময় লাগে। যেমন আমি যদি বগুড়া থেকে ঋণ নিতে চাই, তাহলে আমার আবেদন প্রথমে বগুড়ার কোনো ব্যাংকে করতে হবে। সেই আবেদন যাবে রাজশাহীতে। সেখান থেকে কাগজ যাবে ঢাকাতে। আবার একইভাবে ঢাকা-রাজশাহী-বগুড়া হয়ে আমার কাছে আসবে। এতে অনেক সময় নষ্ট হবে। তার চেয়ে আমরা ঢাকায় এসে ঋণের আবেদন করব।’
প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘এরই মধ্যে ৫৩ জন হল মালিক ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২৩টি নতুন মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব এবং বাকিগুলো সংস্কারের। এসব কাজে আমাদের অনেক সাহায্য করছে রুপালি ব্যাংক।’
হল মালিকদের সবাই চান যেন ঋণ পেতে অসুবিধা বা সময়ক্ষেপন না হয়। কিন্তু বিষয়টা যে এত সহজ হবে না, তার কিছু আঁচ পাওয়া যায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের কথায়।
ঋণ আবেদনে যদি কোনো হল মালিক তার প্রেক্ষাগৃহের ঝামেলাযুক্ত জমির কাগজ জমা দেন, তাহলে ব্যাংক কীভাবে তা গ্রহণ করবে, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
একই সঙ্গে রুপালী, অগ্রণী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঋণ পেতে চাইলে অবশ্যই প্রজেক্ট পেপার (প্রজেক্টের বর্ণনা ও আর্থিক মূল্যমানের বিবরণ) জমা দিতে হবে।
রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যারা লোন নিতে চান, তারা দর্শক নিয়ে একটি জরিপ জমা দেবেন। সেই জরিপ নিয়ে আমরা ভ্যালুয়েশন করব। সেটা আমাদের ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে।’
এসব তথ্য সংগ্রহের কৌশল এখনও ভালো করে জানেন না হল মালিকরা। এ ছাড়া বাংলা সিনেমার এখন দর্শকের যে ক্ষীণ স্রোত, তা দিয়ে ঋণের উপযোগী প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা কিনা এ নিয়েও সন্দিহান হল মালিকরা।
হল সংস্কার ও নির্মাণের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে প্রেক্ষাগৃহে প্রয়োজন দর্শক। আর দর্শক বাড়াতে ভারতসহ উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির দাবি হল মালিকদের।
সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে একটি ঘটনা উল্লেখ করেন বৃহস্পতিবার সকালে। সেখানে তারা লেখেন: ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত একজন নায়কের সুঅভিনয় চেষ্টার একটি চলচ্চিত্র; যেটি তার সকল প্রকৃত ভক্তদের অবশ্যই দেখা উচিত বলেই মনে করেছি আমরা। পোস্টার লাগানো হয়েছে ৪০০, মাইকিং করা হয়েছে ২ দিন; ফেসবুক পোস্ট বুষ্ট করা হয়েছে লোকেশন ট্যাগ করে। এতে প্রায় ৫০ হাজার পোস্ট রিচ হয়েছে; ২৩০০ লাইক পেয়েছি; ২৫০+ কমেন্ট হয়েছে, ৩৪ জন পোস্টটি শেয়ার করেছেন। ফলাফল, রুটস সিনেক্লাবের সাত দিনের বিদ্যুৎ খরচও ওঠেনি। এখনও যদি ভাবেন শুধুমাত্র বাংলাদেশি বাংলা সিনেমায় সিনেমা হলগুলো বেঁচে থাকবে, আপনি তবে বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।’
উপমহাদেশের সিনেমা বা বিদেশি সিনেমা ছাড়াও হল মাালিকরা ঋণ পরিশোধের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিন ভেঙে সিনেপ্লেক্স বা সিঙ্গেল স্ক্রিনের পাশাপাশি দোকান, ফুড কোর্ট, রেস্টুরেন্ট, বেবি কর্নার রাখার পরিকল্পনা করছেন। যেন সিনেমা ছাড়াও ইনকামের আরও কিছু উৎস থাকে।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে, তবে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
হানিফ সংকেতের দীর্ঘদিনের সহযোগী মিঠু কিবরিয়া জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সুস্থ আছেন আলোচিত টিভি ব্যক্তিত্ব।
মিঠু নিউজবাংলাকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বলেন, ‘হানিফ সংকেত সুস্থ আছেন। তিনি বাসা থেকে কর্মস্থলে আসছেন। এখানে তার একটি মিটিং রয়েছে।’
এর আগে ফেসবুকে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে হানিফ সংকেতের মৃত্যু নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়। মেহেদি হাসান মাসুম নামের একটি আইডিতে দেয়া পোস্টে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক Hanif Sanket সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ যেন আপনাকে জান্নাত নসিব করেন!’
একই ধরনের পোস্ট করা হয়েছে আরও কয়েকটি আইডি থেকে। কেউ কেউ আবার শুরুতে পোস্ট করে পরে মুছে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে সরব বিশ্ব। প্রতিবাদ হচ্ছে দেশে দেশে। এবার প্রতিবাদের সে ঢেউ ছড়িয়েছে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবে। নগ্ন হয়ে সেখানে এই যুদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক তরুণী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ফ্রান্সের কানে চলা ওই উৎসবের একটি মুহূর্তে তিনি এমন প্রতিবাদ জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মেইল অনলাইন।
নগ্ন হয়ে কানের লাল গালিচায় উপস্থিত হওয়া তরুণীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ইউক্রেনীয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘থ্রি থাউজেন্ড ইয়ার্স অব লংগিং’ এর তারকারা যখন লাল গালিচায় হাঁটছিলেন তখন সেখানে উঠেই শরীরের কাপড় খুলে ফেলেন তরুণী। এরপর হাঁটতে থাকেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক হয়ে যান সবাই।
শরীরের ওপরের অংশে ‘আমাদের ধর্ষণ করা বন্ধ করো’ লেখা ছিল তার। বুকে হলুদ আর নীল রঙে ইউক্রেনের পতাকা আঁকা ছিল। তার পায়ে রক্তের রং দেখা যাচ্ছিল।
ছোটাছুটি করতে থাকলে ওই তরুণীকে ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এরপর তাকে সরিয়ে নেন তারা।
এর আগে কান উৎসবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। এবারের উৎসবে ইউক্রেনে হামলা নিয়ে নির্মিত একাধিক চলচ্চিত্র নিয়েও হাজির হয়েছেন দেশটির নির্মাতারা।
এ ছাড়া ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হামলার প্রতিবাদে কানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:নানা কর্মসূচি আর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে উদযাপন হলো পদ্মা ব্যাংক ফ্যামিলি ডে-২০২২। গাজীপুরের একটি রিসোর্টে শনিবার দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এক হাজার কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।
পদ্মা ব্যাংক ফ্যামিলি ডে-তে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান এবং মিসেস নাসরিন রিয়াজ খান।
আয়োজনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মিস্ট্রি বক্স উন্মোচন। এতে অংশ নেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের খেলা, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে উৎসবমুখর একটি দিন পার করে পদ্মা ব্যাংক পরিবার।
তারেক রিয়াজ খান ও মিসেস নাসরিন রিয়াজ খান বিভিন্ন খেলায় বিজয়ীদের হাতে উপহার তুলে দেন।
একই সঙ্গে প্রতি বছর এমন জমজমাট আয়োজনের ঘোষণা দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এ সময় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আহসান চৌধুরী, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এম আহসান উল্ল্যাহ খান এবং ফ্যামিলি ডের চেয়ারম্যান এসইভিপি ও হেড অফ ব্রাঞ্চ সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে গান শেখানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য সারা দেশে আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো প্রাথমিকে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে সমপরিমাণ।
প্রতি বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩টি সহকারী শিক্ষকের পদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাব এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এই মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। জনবলের বিপরীতে বরাদ্দ নিশ্চিত করে সেখান থেকে অনুমোদিত হয়ে এলে তা যাবে সচিব কমিটিতে। সেখান থেকে প্রাথমিকে আবার যখন সিদ্ধান্তটি আসবে, তখন তা পাঠানো হবে অধিদপ্তরে। তারপর আসবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
সরকার চাইছে, শিশুরা স্কুলে এসে আনন্দের সঙ্গে সময় কাটাবে। পড়াশোনাকে বিশেষ চাপ ভেবে ভীত থাকবে না।
সনাতন ধাঁচের শিক্ষা পদ্ধতির বদলে প্রাথমিক থেকেই শিশুরা যেন আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করে, সে জন্য পাঠক্রম থেকে শুরু করে স্কুলের অবকাঠামোও পরিবর্তন করে ফেলতে চাইছে সরকার। এর অংশ হিসেবে শিক্ষায় সংগীত ও শরীরচর্চা যোগ হচ্ছে।
এখন সীমিত পরিসরে কিছু স্কুলে ছবি আঁকার যে চর্চা রয়েছে, সেটি সব স্কুলে শুরু করা, পাশাপাশি আলাদা শিক্ষক নিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে।
বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাথমিক থেকেই সংগীত শেখানোর ব্যবস্থা আছে। এই দায়িত্বে আছেন শুক্লা ধর। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই বিষয়ে যখন আমরা ক্লাস নেই, তারা বেশ উপভোগ করে। যেসব পরিবার সংগীতচর্চায় আগ্রহী, সেসব পরিবার স্কুলের বাইরেও বিষয়টি এগিয়ে নেয়।’
শুক্লা পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে। তার মতো যারা এই বিষয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের পক্ষে পেশা হিসেবে সংগীতকে বেছে নেয়াটা কঠিন হয়ে যায় এই কারণে যে খুব বেশি প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে নিয়োগ দেয়া হয় না।
প্রাথমিকে বিষয়টি চালু হলে সংগীতে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
শুক্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ইতিবাচক। ফলে শিক্ষা হবে আনন্দময়। যার ফল আমরা ভবিষ্যতে ভোগ করব। আর যারা এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের জন্যও কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের শিক্ষাকে আনন্দময় করার দাবি করে আসছি। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলে আমাদের দাবি কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন হবে। বর্তমানে প্রাথমিকে অঙ্কন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ বিষয়টি আরও জোরদার করা উচিত।’
শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া উচিত প্রাথমিক শিক্ষায়। এই ধরনের উদ্যোগ এই শিক্ষার মান বাড়াবে।’
ব্যাপক চাকরির সুযোগ
প্রাথমিক ও জনশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ৫ হাজার ১৬৬টি পদ তৈরি করার প্রস্তাব দিলেও এই বিষয়টি যদি স্কুলে স্কুলে চালু হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন হতে পারে।
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। সব স্কুলে একজন করে সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক যদি নিয়োগ দেয়া যায়, তাহলেও নতুন চাকরির সুযোগ হবে ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩২টি।
আবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিষয়ে শিক্ষক থাকলে বেসরকারি স্কুল-কলেজও একই চর্চায় যাবে। সে ক্ষেত্রে আরও নতুন চাকরি তৈরি হবে, দেশে সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়বে।
সারা দেশে কর্মরত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮০ জন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কম নিয়োগ দেয়া হলেও আশা করছি পরে প্রতিটি স্কুলেই এই নিয়োগ দেয়া হবে।’
তিনি শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদও দেন। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর করা ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে শিক্ষায় বাজেটের ৬ থেকে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও আমরা এটি করতে পারলাম না। কেবল ২ শতাংশের ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
কবে আসতে পারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)-এর আওতায় সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদ সৃষ্টিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় ২০২০ সালে।
সেই প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই মন্ত্রণালয় সময় নিয়েছে দুই বছর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মণীষ চাকমা ধারণা দিতে পারেননি কবে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করে তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপাতে পারবেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখন এ পদগুলোর বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতি নিয়ে সচিব কমিটি পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন মিললে এই দুই বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।’
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এই স্থরিবতা নিয়ে হতাশ। তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিতে কেন দুই বছর লাগবে? এখন তা আবার অন্য মন্ত্রণালয় ও কমিটিতে যাবে। এত দীর্ঘসূত্রতা কেন?’
প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে যত সিদ্ধান্ত
প্রাথমিকে শতভাগ ভর্তির লক্ষ্য অর্জনের পর সরকার এখন শিক্ষার গুণগত মানে নজর দিয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারিভাবে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিকে পরীক্ষার সংখ্যা কমবে। বাড়বে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির পরিকল্পনা হলো নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। পুরো মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে।
চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিকবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। আর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্পকলা বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।
আরও পড়ুন:প্লাস্টিক সার্জারির পর ভারতে এক টেলিভিশন অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নিজেকে আরও বেশি সুন্দর করতে শরীরে ছুরি-কাঁচি চালান অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী। এই প্রক্রিয়ার নাম হলো প্লাস্টিক সার্জারি।
বেসরকারি একটি হাসপাতালে ‘ফ্যাট ফ্রি’ সার্জারির জন্য ভর্তি হয়ে মারা যাওয়া ২১ বছর বয়সী কন্নড় ভাষার ওই অভিনেত্রীর নাম চেতানা রাজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা-মাকে না জানিয়ে এক বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চেতানা। সকালে সার্জারির পর সন্ধ্যায় তার শরীরে পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ফুসফুসে পানি জমতে থাকে।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকের অবহেলাকে দায়ী করেছেন চেতানার বাবা-মা।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ ও সত্যম রায় চৌধুরী।
গণভবনে সোমবার বিকেলে সাক্ষাৎকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কলকাতার জীবন নিয়ে নির্মীয়মাণ তথ্যচিত্র ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, গৌতম ঘোষ ও সত্যম রায় চৌধুরীর সামনে তথ্যচিত্রটির রূপরেখা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। কলকাতায় ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও কষ্টের দিনগুলোর কথাও বর্ণনা করেন তারা।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাতে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা পাওয়া জাতির পিতার দুই কন্যার আলোচনায় উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখে জাদুঘরের প্রতিটি কোনায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা দেখেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন গৌতম ঘোষ ও সত্যম রায় চৌধুরী। সেখানে বিভিন্ন নিদর্শন দেখে বঙ্গবন্ধু আজও জীবন্ত বলে তাদের কাছে অনুভূত হয়েছে বলেও জানান তারা।
‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটিকে ‘মহান ইতিহাস’ বলেও তারা উল্লেখ করেন। জানান, বাঙালির মহান নেতার জীবন ও কর্মের ওপর ডকুমেন্টারি তৈরি করে তারা গর্বিত।
গৌতম ঘোষ ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে ৩০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছেন। তাতে কলকাতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ তুলে ধরা হচ্ছে।
৪ এপ্রিল কলকাতার মওলানা আজাদ কলেজের একটি শ্রেণীকক্ষে শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে তথ্যচিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন গৌতম ঘোষ। ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে বঙ্গবন্ধু যখন সেখানে পড়াশোনা করতেন তখন এর নাম ছিল ইসলামিয়া কলেজ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য