× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Nahid murder Police wants remand of 5 students of Dhaka College
google_news print-icon

নাহিদ হত্যা: ঢাকা কলেজের ৫ ছাত্রের রিমান্ড চায় পুলিশ

নাহিদ,হত্যা,ঢাকা কলেজ,মামলা,পুলিশ,গ্রেপ্তার,রিমান্ড
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে রাস্তায় নাহিদের অবস্থান এবং ইনসেটে আহত নাহিদ। ছবি: নিউজবাংলা
নাহিদ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। ঢাকার  মহানগর হাকিম শান্তা আক্তারের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি হবে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষে নাহিদ হাসান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাত দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিতে আবেদন করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

নাহিদ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গ্রেপ্তার প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। ঢাকার মহানগর হাকিম শান্তা আক্তারের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি হবে।

রিামান্ডের আবেদন করা গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন, ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল কাইয়ূম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ ও ইরফান, বাংলা বিভাগের ফয়সাল, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদ।

এর আগে দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। ওই দুটি মামলার তদন্ত করছিলাম আমরা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশ নেয় এবং সশস্ত্রভাবে হামলার অগ্রভাবে অংশ নেয়।’

গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ হাসান ও মুরসালিন মারা যান।

এরপর গত ২০ এপ্রিল নিহত নাহিদের বাবা নাদিম হোসেন নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করেন।

নাহিদ হত্যার বিষয়ে কী জানতে পেরেছিল নিউজবাংলা

নাহিদকে হেলমেটধারী তরুণেরা আঘাত করছেন, এমন ছবি ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই যুবক কারা, সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, নাহিদকে সরাসরি ছোরা দিয়ে আঘাত করা কালো হেলমেট ও ধূসর টি-শার্ট পরা তরুণের নাম ইমন বাসার। এ ছাড়া আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেন।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে অংশ নেন নাহিদ।

এর আগে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিপরীত দিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা একদল হেলমেটধারী তরুণ নাহিদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেন।

ঢাকা কলেজের ফটকের বিপরীত পাশের নূরজাহান মার্কেটের সামনে আহত হন নাহিদ। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সেদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংঘর্ষে জড়ান নাহিদ

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নাহিদের মাথায় চারটি আঘাতের চিহ্নের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।

নাহিদের পরিবার নিউ মার্কেট থানায় হত্যা মামলা করার পর এর তদন্ত শুরু করে ডিবির রমনা বিভাগ।

নাহিদ হত্যায় জড়িতদের পরিচয় শনাক্তে টানা অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা। এতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেদিন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ মাঠে নেমেছিল। তাদের অনেকের কাছেই ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও রড। পরিচয় আড়াল করতে অধিকাংশের মাথায় ছিল হেলমেট।

সংঘর্ষের সময়ের বিভিন্ন আলোকচিত্র ও ভিডিও পর্যালোচনা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণের ভিত্তিতে নিউজবাংলা নিশ্চিত হয়েছে, নাহিদ হত্যায় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ কয়েকটি গ্রুপের একাধিক কর্মী জড়িত।

এর মধ্যে একটি গ্রুপের অনুসারী বাংলা বিভাগের ছাত্র ইমন ছোরা দিয়ে নাহিদ মিয়াকে একাধিক আঘাত করেন। ইমনের মাথায় ছিল কালো হেলমেট, পরনে ছিল ধূসর টি-শার্ট।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ইমন ছোরা দিয়ে আঘাত করলেও নাহিদকে প্রথম মারধর শুরু করেন কাইয়্যুম ও সুজন ইসলাম নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ১৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ধাওয়া দেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে সামনে থেকে অবস্থান নেয়া নাহিদও সামনের দিকে এগিয়ে যান।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এরপর ছাত্ররা পাল্টা ধাওয়া দিলে পিছিয়ে আসার সময় নূরজাহান মার্কেটের গেটের সামনে পা পিছলে পড়ে যান নাহিদ। তখনই ছাত্রদের মাঝে কয়েকজন ছুটে এসে হাতের রড, লাঠি, ইট দিয়ে নাহিদকে বেধড়ক আঘাত করতে শুরু করেন।

দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে নাহিদ নিস্তেজ হয়ে যান। তাকে পিটিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় ছোরা হাতে কালো হেলমেট পরা একজন নাহিদকে কোপাতে থাকেন। পরে হলুদ হেলমেট ও লাল রঙের গেঞ্জি পরা আরেক ছাত্র এসে ওই তরুণকে চড় মেরে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন।

নিউজবাংলার অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা তথ্য বলছে, সোমবার রাতভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার সকালে নাশকতার প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ। নেতাদের নির্দেশে কর্মীরা নিজেদের সঙ্গে রেখেছিলেন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, রড ও লাঠি। একই সঙ্গে ঢাকা কলেজের বিপরীত দিকের নিউওয়ে পেট্রল পাম্প ও নিজেদের মোটরসাইকেল থেকে পেট্রল সংগ্রহ করেন ছাত্রলীগকর্মীরা। তা দিয়ে পেট্রলবোমা বানিয়ে বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। এই গ্রুপগুলোর সঙ্গে সাধারণ ছাত্ররাও যোগ দেন সংঘর্ষে।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমানে কোনো কমিটি না থাকায় সেখানে ছাত্রলীগ কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত।

গোয়েন্দা সূত্র নিউজবাংলাকে জানায়, সেদিন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের চার নেতার অনুসারীদের গ্রুপগুলো মাঠে সহিংসতা করে। এর মধ্যে তিনটি গ্রুপ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে নিউজবাংলা। ছাত্রলীগ নেতা সামাদ আজাদ জুলফিকার, জসিমউদ্দীন ও ফিরোজ হোসেন রাব্বীর অনুসারীদের নিয়ে চলছে এই তিনটি গ্রুপ।

নাহিদের ওপর হামলায় চারটি গ্রুপের অনেকেই অংশ নেন। তাদের মধ্যে ইমন দীর্ঘদিন ধরে জুলফিকারের অনুসারী।

ঢাকা কলেজের একাধিক ছাত্র ইমনের বিষয়ে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের নাম প্রকাশ করছে না নিউজবাংলা।

এক ছাত্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন ইমন তার বাম হাতের ওপরের অংশে ও পায়ে ইটের আঘাত পান। এ কারণে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে তার বাম হাতে কাপড় বেঁধে রাখতে দেখা যায়। ইমনকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতেও দেখা গেছে।’

নিউজবাংলার হাতে আসা ইমনের ছবির সঙ্গেও নাহিদকে অস্ত্রের আঘাত করা তরুণের চেহারার মিল পাওয়া গেছে। মামলা হওয়ার পর থেকে ইমনকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি।

নাহিদকে প্রথম মারধর শুরু করার সময়ের দুজনকেও শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন কাইয়্যুম ও সুজন ইসলাম।

একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নীল রঙের মাঝে সাদা চেকের টি-শার্ট পরে সংঘর্ষে অংশ নেন কাইয়্যুম। তিনি নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করেন। মাথায় হেলমেট না থাকায় কাইয়্যুমকে সহজেই শনাক্ত করা গেছে।

আর হলুদ হেলমেট ও লাল গেঞ্জি পরা সুজন ইসলাম নাহিদকে ইটের আঘাত ও লাথি মেরে আহত করেন। পরে ইমন নাহিদকে কোপানো শুরু করলে এই সুজনই তাকে চড় মেরে সরিয়ে দেন। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় চড় মেরে শাসন করতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের কয়েক ছাত্র।

সুজন ঢাকা কলেজের ২০১৩ -২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে।

দেশীয় অস্ত্র হাতে সেদিন সংঘর্ষে অংশ নেয়া ছাত্রলীগের চারটি গ্রুপের আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করেছেন গোয়েন্দারা। একটি গ্রুপের প্রধান নেতাকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে দাবি করেছেন তাদের অনুসারীরা। তবে এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পায়নি নিউজবাংলা।

আরও পড়ুন:
নাহিদ হত্যায় ঢাকা কলেজের ৫ ছাত্র গ্রেপ্তার
আধিপত্যের সংঘর্ষে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
নিউ মার্কেটে মোরসালিন হত্যা ক্লুলেস: ডিবি
আদালত চত্বরেই সংঘর্ষে জড়ালেন বিচারপ্রার্থীরা
নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ: রিমান্ড শেষে বিএনপি নেতা মকবুল কারাগারে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Decision on appeal against verdict in grenade attack case Attorney General
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেখে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে রোববার গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপিল করা উচিত বলে মনে করি।’

গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কারণ দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপিল করা উচিত বলে মনে করি।’

রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এমন মন্তব্য করেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রোববার রায় দেয় হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়া হয়। ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষ করে। সেদিন আদালত মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। রোববার তা ঘোষণা করা হয়।

রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ বলা হয়েছে। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছিল। কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন- এ মর্মে কোনো প্রমাণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে। মুফতি হান্নান দুটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চারশ’ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়ার নজির নেই।’

আরও পড়ুন:
সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ
দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়া নজিরবিহীন
গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two cases against Tariq Rahman dismissed in Sylhet

সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ

সিলেটে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলা খারিজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে হাসিনা সরকারের আমলে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সিলেটে দায়ের করা দুটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছগির আহমেদ মামলা দুটি খারিজ করে তারেক রহমানকে খালাসের রায় দেন।

এর আগে ২০১৪ সালে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা দুটি দায়ের করেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।

মামলা খারিজের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে হাসিনা সরকারের আমলে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছিল। আজ আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দেন।’

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর একটি করেছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান আহমদ চৌধুরী এবং অপরটি করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সে সময়ের সভাপতি শামীম মোল্লা।

আদালতের তৎকালীন বিচারক আনোয়ারুল হক মামলা দুটি গ্রহণ করে সরকারের অনুমোদনক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সিলেটের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

মামলা দুটিতে অভিযোগ করা হয়- ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বিরোধিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কট‍ূক্তি করেন।

আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়া নজিরবিহীন
গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ex Railway Minister Sujans bail denied in murder case

হত্যা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের জামিন না-মঞ্জুর

হত্যা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের জামিন না-মঞ্জুর
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া যুবক আল আমিনকে হত্যার পর মরদেহ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া এক যুবককে হত্যার পর মরদেহ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশরাফুজ্জামান জামিন না-মঞ্জুর করে সুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের মহাজনপাড়ার মৃত ইমাজ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা সদরের উত্তর দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনু মিয়া নামে এক ব্যক্তি নূরুল ইসলাম সুজনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী মো. মনুর ছেলে আল আমিন পেশায় রিকশাচালক। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। এজন্য তাকে শুরু থেকেই বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়া হতো।

এরই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আলামিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব প্লাবন পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনকে জখম করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে আলামিন সড়কে লুটিয়ে পড়লে তার নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় আসামিরা। তখন থেকে আল আমিনের সন্ধান নেই।

মামলার বাদী মো. মনু বলেন, ‘আল আমিনের সঙ্গে সেদিন যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেই মামলা করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণমতে, আমি ধারণা করছি আমার ছেলেকে হত্যার পর তার মরদেহ গুম করে রাখা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।’

আরও পড়ুন:
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বরখাস্তকৃত ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের পিস্তল উদ্ধার
রানা প্লাজার রানার জামিন স্থগিতই থাকছে
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
আইনজীবী জেড আই খান পান্নার আগাম জামিন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two Awami League leaders arrested in Manikganj in sabotage case

নাশকতা মামলায় মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

নাশকতা মামলায় মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম আমান উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিকেলে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নাশকতা মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া ও সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের সলন্ডী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং পৌর আওয়ামী লীগের নেতা শরিফুল ইসলাম নান্টু।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯১ নেতাকমীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস.এম আমান উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রোববার বিকেলে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বিজি প্রেসের এক কর্মচারী রিমান্ডে, অপরজন কারাগারে
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার ৬
সনাতন মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ ডিবি হেফাজতে 
ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা ইমন গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাই ২৮টি গুলি ছোড়েন তৌহিদুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Immigration detained 54 ISKCON devotees in Benapole

ইসকনের ৫৪ ভক্তকে বেনাপোলে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন

ইসকনের ৫৪ ভক্তকে বেনাপোলে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন বেনাপোল স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো যাত্রীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, ‘ভারতে ভ্রমণ সন্দেহজনক মনে করে ৫৪ বাংলাদেশি যাত্রীকে সে দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।’

যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের ৫৪ ইসকন ভক্তকে আটকে দিয়েছে বেনাপোল বন্দর ইমিগ্রেশন।

শনিবার সন্ধ্যায ও আজ রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইসকন ভক্তরা ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল স্থলবন্দরে আসেন। শনিবার দিনভর ও আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষার পর ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।

ইসকন সদস্য সৌরভ তপন্দার চেলী বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। ভারতে যাওয়ার অনুমতি নেই জানিয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।’

বেনাপোলে আসা আরেক ইসকন ভক্ত জানান, ধর্মীয় আচার পালন করতে তারা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কারণ উল্লেখ না করেই তাদেরকে ইমিগ্রেশন থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঞা বলেন, ‘ভারতে ভ্রমণ সন্দেহজনক মনে করে ৫৪ বাংলাদেশি যাত্রীকে সে দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।’

আরও পড়ুন:
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম
ইসকনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
‘ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে’
ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sentencing based on a second confession is unprecedented
একুশে আগস্ট হামলা মামলার আইনজীবী

দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়া নজিরবিহীন

দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়া নজিরবিহীন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ছবি: বাসস
শিশির মনির বলেন, ‘৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় সাবকন্টিনেন্টে (উপমহাদেশ) দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়া হয়েছে, আর কোনো নজির নেই।'

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেয়ার নজির নেই বলে উল্লেখ করেছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

হামলা মামলার হাইকোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রোববার তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।

শিশির মনির বলেন, ‘৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় সাবকন্টিনেন্টে (উপমহাদেশ) দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়া হয়েছে, আর কোনো নজির নেই।'

তিনি বলেন, ‘এ মামলার আসামি মুফতি হান্নান দুবার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। টর্চার করে তার কাছ থেকে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ ছিল। দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।

‘এ স্বীকারোক্তির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই, এ কথা আমরা আদালতে বলেছি।’

মামলার এ আইনজীবী বলেন, ‘বিচারিক আদালত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাজা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্যান্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে রায় দিয়েছিল।

‘বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিলের শুনানি শেষে সকলের আপিল মঞ্জুর (অ্যালাউ) করেছেন উচ্চ আদালত। বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করেন আদালত। সকলকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রায়ে নিম্ন আদালতের ট্রায়ালকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আইনের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতে বিচার (ট্রায়াল) কার্যক্রম হয়নি।

‘বিচারিক আদালতে দেয়া এক সাক্ষীর সাথে অন্য সাক্ষীর সাক্ষ্যে কোনো সামঞ্জস্যতা (কোলাবরেশান) নেই। এ ধরনের কেইসে ঘটনা পরস্পর দেখেছেন, এমন কোনো সাক্ষ্য নেই।’

এর আগে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করে। এর আগে চার দিন আপিলের ওপর শুনানি হয়।

বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।

রায়ে আদালত বলে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালত বিচার করেছিল, তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

এর আগে বেলা ১১টায় রায় ঘোষণা শুরু হয়। ১১টা ৪৫ মিনিটে রায় পড়া শেষ হয়। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তারা এ মামলা শুরু থেকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন।

আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও আমিনুল ইসলাম।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।

পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেলেন

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে ১৯ আসামি খালাস পেলেন

শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর, আবু হোরাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর, মো. ইকবাল, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন্, তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত) কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া দুই মামলার রায়সহ প্রায় ৩৭ হাজার ৩৮৫ পাতার নথি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়।

পরে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য মামলার পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

আসামিদের মধ্যে ২২ জন খালাস চেয়ে আপিল করেন। অন্যদিকে ১২ আসামির জেল আপিল করা হয়।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।

এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বারবার দাবি করে আসছিল দলটি। আজ রায়ে সেটিই প্রমাণ হলো বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। তারা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবির ছাত্রলীগ নেতা ইমন গ্রেপ্তার
ভুয়া মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
নেত্রকোণায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত, একজন আটক
জয়কে হত্যা ষড়যন্ত্রের মামলায় শফিক রেহমানের জামিন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation of arresting the school student while sleeping and implicating him in the weapons case 

স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ 

স্কুলছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ  অস্ত্র মামলার আসামি সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। কোলাজ: নিউজবাংলা
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে বাবাকে না পেয়ে ১৪ বছরের এক ছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসির অস্ত্র উদ্ধারের স্বীকারোক্তি নেওয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় চলছে। কেউ কেউ ‘টেকনাফে প্রদীপ যুগে ফিরছে’ বলে মন্তব্য করেন ফেসবুকে।

এদিকে গত ২৬ নভেম্বর ভোররাতে বাড়ি থেকে নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশ স্কুলছাত্রকে আটক করলে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই পুলিশ শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্কুলছাত্রকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ওই স্কুলছাত্র টেকনাফের হ্নীলার দরগাহপাড়া এলাকায়। সে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য।

পুলিশের দাবি, গত ২৬ নভেম্বর ভোরে টেকনাফেরর হ্নীলার দরগাহপাড়া এলাকার নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে টেকনাফ থানার ওসি গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। ওই সময় পালানোর চেষ্টাকালে স্কুলছাত্রকে আটক করা হয়। সে সময় তার কাছে থাকা নীল রঙের শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে বিদেশি অস্ত্র পাওয়া যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় আবদুল মোমেন বলেন, ‘একজন স্কুলপড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে আমাদের চোখের সামনেই আটকের নাটক মঞ্চস্থ করে পুলিশ। আটককৃত শিশুটির বাড়িতে তল্লাশি করে কিছুই পায়নি, কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ মিনিটের দূরত্বে প্রবাসী নুরুল আমিনের বাড়ি থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

‘তখন আমরা বাকরুদ্ধ এবং ১৪ বছরের শিশুটি পাথরের মতো দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে। এরপর তার বাবার অস্ত্র বলে জোরপূর্বকভাবে স্বীকারোক্তি নেয় পুলিশ। বাবাকে না পাওয়ার কথা বলে তাকে অস্ত্রসহ ধরে নিয়ে যায় ওসি।’

গত ২৬ নভেম্বর ভোররাত তিনটা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে যে, হ্নীলার দরগাহপাড়ার নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর কতিপয় ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য অবস্থান করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে একজনকে তার হাতে থাকা নীল রঙের শপিং ব্যাগসহ আটক করা হয়।

তার শপিং ব্যাগে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যাগে অস্ত্র ও গুলি আছে। সাক্ষীদের সামনে ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় একটি কালো রঙের বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি এবং ৪০ রাউন্ড নীল রঙের কার্তুজ। উক্ত মামলায় তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে, স্থানীয় নারী ও মৌলভী এবং আরেকজন পুলিশ সদস্য।’

মামলার সাক্ষী প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রী সুফাইদা আক্তার বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর ভোর রাতে আমার বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করে। কোনো কথা না বলে ঘরের আলমারি খুলে তল্লাশি করতে থাকে। একপর্যায়ে আলমারি থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।

‘এগুলো উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যান পুলিশ।’

আরেক সাক্ষী মৌলভী জামাল হোসাইন বলেন, ‘ভোরে মসজিদের ফজর নামাজের যাওয়ার সময় নিজেকে ওসি পরিচয় দিয়ে দাঁড় করান। ওই সময় শিশুটিকে তার বাড়ি থেকে নিরস্ত্র অবস্থায় বের করে আনতে দেখি। এ সময় ওসি অস্ত্রসহ শিশুটিকে আটক করার কথা বলে আমাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু আমি না দিতে অপরাগত জানালে ধমক দেন ওসি।

‘এটা যে মামলার সাক্ষী আমি জানি না। আর অস্ত্রগুলো শিশুর কাছ থেকে পেয়েছে, আমি দেখিনি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক সহপাঠী বলে, ‘ক্লাসের মেধাবী ছাত্র কখনও অস্ত্র বহন করতে পারে না। এটা অস্ত্র অভিযানের নামে নাটক।

‘আইনের চোখে অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইনে উপযুক্ত বিচারে আমাদের কারও আপত্তি নেই, কিন্তু পুলিশ জোর করে স্বীকারোক্তির ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে কি অপরাধ করেনি? আমরা সাজানো অস্ত্র উদ্ধার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক এবং নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমাকে না পেয়ে আমার শিশু পুত্রকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমার ছেলে খুবই মেধাবী।

‘সে তিনবার বৃত্তি পেয়েছে। চলমান বার্ষিক পরীক্ষায় আমার ছেলে অংশ নিতে পারল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের কাছ থেকে জোর করে অস্ত্র উদ্ধারের স্বীকারোক্তি নেয় পুলিশ, কিন্তু অপরাধ ঢাকতে পুলিশ আবার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

‘এ ঘটনায় বর্তমান সরকারের কাছে তদন্তপূর্বক মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীটি একজন নিয়মিত ছাত্র। সে খুব মেধাবী।

‘এখন তার পরীক্ষা চলছে। তাই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের দাবি, ঘটনার দিন ভোরে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তার হাতে থাকা একটি নীল রঙের শপিং ব্যাগের ভেতর একটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলি ও ৪০টি নীল রঙের কার্তুজ পাওয়া যায়। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তা জব্দ করা হয়।

পুলিশের স্বীকারোক্তির ভিডিও কীভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি এ কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

p
উপরে