× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Watermelon of despair
google_news print-icon

হতাশার তরমুজ!

হতাশার-তরমুজ
শিবগঞ্জের কৃষক ফয়জুল হক বলেন, ‘বর্গা নিয়ে ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। শিলাবৃষ্টির আঘাতে তরমুজ ফেটে গেছে। এ বছর এত পরিমাণে শিলাবৃষ্টি হয়েছে যে আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের কাছে লাভজনক ফসল তরমুজ এখন হতাশার নাম। প্রতি বছর এ অঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত তরমুজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। তবে এ বছর দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির আঘাতে তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় তরমুজ চাষ হয়েছিল ১০৩ হেক্টর জমিতে। শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমির তরমুজ।

পীরগঞ্জের কৃষক সরিফ উদ্দীন একজন বর্গাচাষি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকল কর্তৃপক্ষ থেকে ৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে প্রথমবারের মতো তরমুজ চাষ করি। ঋণের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তরমুজ চাষে।

‘সব মিলে তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় দ্বিগুণ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। তবে ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব না এবার। শিলায় আমার সব তরমুজ নষ্ট হয়েছে।’

শিবগঞ্জের কৃষক ফয়জুল হক বলেন, ‘বর্গা নিয়ে ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। শিলাবৃষ্টির আঘাতে তরমুজ ফেটে গেছে। এ বছর এত পরিমাণে শিলাবৃষ্টি হয়েছে যে আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি।’

রাণীশংকৈল বাঁচোরের কৃষক হবিবর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর আমার ক্ষেত থেকে ট্রাকে ট্রাকে তরমুজ ঢাকায় নিয়ে যায় অনেক ব্যবসায়ী। তবে এ বছর তরমুজ আমাদের কাছে শুধুই হতাশা। খুব খারাপ একটা পরিস্থিতি পার করছি। লোকসানের পরিমাণ এত বেশি কখনও হয়নি। এবারে ফলন ভালো ছিল। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরে আমরা সর্বস্বান্ত।’

মাঠের ফসলহানি নিরাশা করেছে ভোক্তাদেরও। তারা বলছেন, জেলায় উৎপাদিত তরমুজ বাজারে এলে কম দামে পাওয়া যায়। তবে এবার আর সেই সম্ভবনা নেই। যারা একটু সাশ্রয়ী দামে তরমুজ কিনবেন বলে ভেবেছিলেন, তাদের সেই আশা অপূর্ণই থেকে যাবে।

ভোক্তা সবুজ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মৌসুমের শুরুর দিকে আমাদের অনেক চড়া দামে তরমুজ কিনে খেতে হয়। অনেক মানুষ আছে যারা জেলায় উৎপাদিত তরমুজের জন্য অপেক্ষা করে। কারণ বর্তমানে একেকটা তরমুজের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এ দামে অনেকে কিনতে আগ্রহ দেখায় না।

হতাশার তরমুজ!
ঠাকুরগাঁওয়ে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫ হেক্টর জমির তরমুজ। ছবি: নিউজবাংলা

‘তবে জেলার উৎপাদিত তরমুজ বাজারে এলে ৪০-৫০ টাকায় তরমুজ পাওয়া যায়। এ বছর জেলার প্রত্যেক উপজেলায় প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। জানি না তরমুজ আমি কম দামে পাব কি না।’

রোড বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আইনুল হক বলেন, ‘বরিশাল, যশোরসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা থেকে তরমুজ আমদানি করছি আমরা। অনেক চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে। জেলার তরমুজ বাজারে এলে কম দাম থাকে। তখন বিক্রিও ভালো হয়।’

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিলাবৃষ্টির কারণে তরমুজ ক্ষতি হয়েছে। তবে আশা করা যায়, আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা কমে আসবে। তবে এ বছর তরমুজচাষিরা হতাশাগ্রস্ত।’

আরও পড়ুন:
প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, জানে না প্রশাসন
বেশি দামে তরমুজ ও খেজুর বিক্রির দায়ে জরিমানা
লোকে কেন আছাড় মেরে তরমুজ ভাঙছে
কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় জরিমানা
কেজি দরে বিক্রি, তাহলে এক বা দুই কেজি নয় কেন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sweet mango cultivation is increasing in Lalmai hills

লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে মিষ্টি আমের চাষ

লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে মিষ্টি আমের চাষ লালমাই পাহাড়ের বারপাড়া এলাকায় আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত এক বাগানমালিক। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাগানটি পরিদর্শন করেছি। এই আম সবার শেষে বাজারে আসে। স্বাদ অসাধারণ। রসালো। বাজারে এই আমের চাহিদা ভালো। তাই বারি-৪ চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবেন।’

আমের ভারে ডালগুলো নুইয়ে পড়ছে। রং, আকার, আকৃতি প্রায় এক। কোনো কোনো গাছ থেকে ভেসে আসছে পাকা আমের সুমিষ্ট ঘ্রাণ। এমন দৃশ্য এখন কুমিল্লা লালমাই পাহাড়ের চূড়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে মিষ্টি আমের চাষ।

পাহাড়ের বড় ধর্মপুর, বারপাড়া, রতনপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে নানা জাতের আম। শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা।

পাহাড়ের বারপাড়া এলাকার একটি বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় ও ঢালুতে এই বাগানের অবস্থান। বাগানের পরিমাণ দুই একর। চার থেকে পাঁচ হাত উঁচু আম গাছ। প্রতি গাছে কয়েকশো আম ঝুলছে। গাছে গাছে আম দেখে মনে হবে আমের মেলা বসেছে কিংবা কোনো শিল্পী তার পটে ছবি এঁকে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আসছেন বাগানের আম দেখতে। এই বাগানে হালকা বাতাসে দুলছে বারি-৪ আম।

বাগানের মালিক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা এআরএম হারিছুর রহমান ও তার স্ত্রী জোহরা নাছরিন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। তারা গাছের মরা ডাল ভেঙ্গে দিচ্ছেন। গাছে পানি দিচ্ছেন। আগাছা পরিষ্কার করছেন।

এআরএম হারিছুর রহমান বলেন, ‘এটা আমার গ্রামের বাড়ি। জায়গাটি খালি পড়ে ছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লোকজনের পরামর্শে বাগানটি করেছি। এই শুকনো মাটিতে এই আম হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করেছি। এই বাগান থেকে সাত বছর ফল সংগ্রহ করছি। আমার বাগান দেখে আরও কয়েকজন উদ্বুদ্ধ হয়েছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আশাবাদ আগামী কয়েক বছরে পাহাড়ে আমের চাষ আরও বাড়বে।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘বারি-৪ ওজনে ৫০০ থেকে ৯০০ গ্রাম হয়ে থাকে। স্বাদ ভালো। কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় এটি মিষ্টি। আমাদের পরামর্শ মোতাবেক পরিচর্যা করায় তার বাগানের ফলন ভালো হয়েছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাগানটি পরিদর্শন করেছি। এই আম সবার শেষে বাজারে আসে। স্বাদ অসাধারণ। রসালো। বাজারে এই আমের চাহিদা ভালো। তাই বারি-৪ চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
আমিরাতে আগুনে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!
গুটি দিয়ে নওগাঁয় আম পাড়া শুরু
৯২৬ বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
নাটোরে আম পাড়া শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
16 Mocha per banana tree

এক কলাগাছে ১৬ মোচা, চাঞ্চল্য

এক কলাগাছে ১৬ মোচা, চাঞ্চল্য নাটোরের নাওদাঁড়া গ্রামের মওলা বক্সের কলাগাছে এসেছে ১৬টি মোচা। ছবি: নিউজবাংলা
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গাছটিতে অনেক বেশি পরাগায়ন হয়েছে। এ জন্য একাধিক মোচা হয়েছে। এটা খুবই বিরল।

নাটোরে একটি কলাগাছে ঝুলছে ১৬টি মোচা। বিরল ওই দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের মানুষ। গ্রামে এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কলাগাছটি লালপুর উপজেলার নাওদাঁড়া গ্রামের মওলা বক্সের। তিনি জানান, সাধারণত কলাগাছে একটিই মোচা আসে। তার বাড়ির পেছনে লাগানো গাছটিতে এসেছে ১৬ মোচা। এতে তিনি নিজেও অবাক হয়েছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় বিস্মিত। গাছটি না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। গাছটি এক নজর দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসছেন।’

লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গাছটিতে অনেক বেশি পরাগায়ন হয়েছে। এ জন্য একাধিক মোচা হয়েছে। এটা খুবই বিরল।

আরও পড়ুন:
পতিত দিগন্তে সরিষার হাসি
তিস্তার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে সিপিডি: কৃষিমন্ত্রী
আমবাগানের ফাঁকে সরিষা
কৃষিতে অর্থায়নে চুক্তি সই

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Safeda is hanging in bunches of mango trees

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা! ছত্রাকের আক্রমণে আমগুলো দেখতে সফেদার মতো হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আম গাছে কখনো সফেদা হয় না। দেখতে অবিকল সফেদা ফলের মতো হলেও আসলে এগুলো আম।’

দূর থেকে দেখলে মনে হবে আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা ফল। কিন্তু কাছে গিয়ে ধরে না দেখা পর্যন্ত বোঝার কোন উপায় নেই যে, এগুলো সফেদা ফল নয় আম।

এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা, ধানসাগর ইউনিয়নের সিংবাড়ি ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের বেশ কয়েটি বাড়ির আম গাছে।

হঠাৎ সবুজ আমের গায়ে এমন ধূসর বর্ণ দেখে কেউ বুঝতেই পারছেন না ওগুলো সফেদা না কি আম।

বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। আম গাছে সফেদা ফল দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন বাড়িগুলোতে। ভয়ে ওই আম খাচ্ছে না কেউ।

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!

তবে দেখতে সুন্দর হলেও সফেদার মতো এসব আম পোকায় ভরা বলে জনিয়েছেন আম বাগান মালিকরা।

শরণখোলা রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা গ্রামের আম বাগান মালিক শাহজাহান আকন বলেন, ‘আমার ৭৫ বছরের জীবনে কখনও আম গাছে সফেদার মত ফল হতে দেখিনি।’

উপজেলার সিংবাড়ি গ্রামের সুমন সরদার বলেন, ‘এ বছর আমাদের অনেক আম গাছে সফেদার মতো দেখতে আম হয়েছে যা বিক্রিও করা যায় না; ভয়ে কেউ খেতেও চায় না।

‘আমাদের গ্রামে বানিজ্যিকভাবে আমের চাষাবাদ না হলেও প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি আম গাছ রয়েছে। এ বছর গাছে আমও ধরেছে বেশ। তবে কিছু গাছের আম সফেদা ফলের মতো ধূসর রঙের হওয়ায় তা খাওয়া নিয়ে আমার পরিবারসহ এলাকাবাসির মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে।’

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আম গাছে কখনো সফেদা হয় না। দেখতে অবিকল সফেদা ফলের মতো হলেও আসলে এগুলো আম।

‘এগুলো আমের এক ধরনের রোগ, যা প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার আম গছে দেখা দেয়। এটা এখন বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলের আম গাছে দেখা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই রোগাক্রান্ত আমের গায়ে ছত্রাকের আবরণ পড়ে দেখতে সফেদা ফলের মতো হয়েছে। তবে এতে ভয়ের কিছু নাই। ছত্রাকের কারণে পোকা হলেও যে কোনো সময় ওই আম খাওয়া যাবে।

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!

‘বাগেরহাটে গত এক মাস ধরে চলা তাপদাহে বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে আমে ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হয়েছে।’

যাদের গাছে এমন আম হচ্ছে, তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করলে আমের এই ছত্রাকজনিত সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
গুটি দিয়ে নওগাঁয় আম পাড়া শুরু
নাটোরে আম পাড়া শুরু
তাপদাহে স্বাদ কমেছে মেহেরপুরের আমের, দাম নিয়ে শঙ্কা   

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Onion import not harming farmers Agriculture Minister

কৃষকের ক্ষতি করে পেঁয়াজ আমদানি নয়: কৃষিমন্ত্রী

কৃষকের ক্ষতি করে পেঁয়াজ আমদানি নয়: কৃষিমন্ত্রী মঙ্গলবার পাবনার সুজানগর উপজেলায় বাজার ও কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ মজুদের প্রকৃত অবস্থা পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। এ জন্য আমরা এর মধ্যে আধুনিক সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছি। যদি সফল হই, তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাই ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব।'

দেশে পেঁয়াজের সংকট নেই জানিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার পাবনার সুজানগর উপজেলায় বাজার ও কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ মজুদের প্রকৃত অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, কেন এই আশ্বিন-কার্তিক মাস আসলেই পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়? পেঁয়াজ নিয়ে কেন নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়? ঈদ এলেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানা ষড়যন্ত্র করে, সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন।’

এসময় কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। এ জন্য আমরা এর মধ্যে আধুনিক সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছি। যদি সফল হই, তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাই ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারব।

‘গত বছর আমাদের কৃষক ভাইয়েরা পেঁয়াজের উপযুক্ত দাম পাননি। অনেক পেঁয়াজ নষ্টও হয়েছে। এ জন্য অনেকেই এবার পেঁয়াজ চাষ করেননি। এতে এ বছর ২ থেকে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে দেখেছেন, এখনও পেঁয়াজের ভালো মজুদ আছে, তাই দাম বাড়ার কথা নয়। ক্রেতারা যেন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বিভ্রান্ত না হয়। আশা করছি সরকারের পদক্ষেপে শিগগিরই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

এর আগে কৃষিমন্ত্রী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও উন্নয়ন সংস্থা আশার কারিগরি সহায়তায় স্থাপিত এয়ার ফ্লো চেম্বার সিস্টেমে আধুনিক পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার এবং সনাতন পদ্ধতির পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজ আমদানির জন্য চিঠি, দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কৃষি মন্ত্রণালয়
বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
বেশি সময় সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ-রসুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rice collection is hampered by lack of warehouse space

গুদামে জায়গার অভাবে চাল সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত

গুদামে জায়গার অভাবে চাল সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত চাল নিয়ে গুদামের সামনে অপেক্ষা করছে একাধিক ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
গুদামে চাল ঢোকাতে না পারায় চালকলর মালিকেরা হাটবাজার থেকে ধান কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ধানের বাজারদরের ওপর। ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরাও পড়েছেন বিপাকে।

সরকারি খাদ্যগুদামে জায়গার অভাবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বোরো চাল সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গুদামে চাল সরবরাহ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকরা।

গুদামে চাল ঢোকাতে না পারায় চালকলর মালিকেরা হাটবাজার থেকে ধান কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ধানের বাজারদরের ওপর। ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরাও বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলার চান্দাইকোনা সরকারি খাদ্যগুদাম সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন। চাল সরবরাহ করার জন্য সরকারের সাথে ১১০টি মিল ও চাতাল মালিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ৮ মে চাল সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মণ্ডল।

চান্দাইকোনার শহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষক বলেন, ‘মিল মালিকরা ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কারণে বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে। এতে আমার মতো শত শত কৃষক ধানের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

রায়গঞ্জ উপজেলা মিল-চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘খাদ্য গুদামে দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে চালভর্তি অর্ধশত ট্রাক। অথচ চাল আনলোড হচ্ছে না। এতে মিল মালিকরা চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।’

তার দাবি, দ্রুত গুদাম থেকে চাল অন্যত্র সরিয়ে নতুন চাল আনলোড করা হোক। অন্যথায় চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

চান্দাইকোনা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গুদামের সাধারণ ধারণক্ষমতা আড়াই হাজার মেট্রিক টন। গুদাম থেকে অন্য কোনো খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। এ কারণে গুদামে জায়গা না থাকায় চালকলের মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও চলতি মৌসুমে ১৯ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।’

সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।

রায়গঞ্জের ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য কমিটির সভাপতি তৃপ্তি কণা মণ্ডল বলেন, ‘গুদামে জায়গা খালি করে চাল তোলা হবে। এছাড়া আপাতত কোন উপায় নেই।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mango laying started in Naogaon with Guti

গুটি দিয়ে নওগাঁয় আম পাড়া শুরু

গুটি দিয়ে নওগাঁয় আম পাড়া শুরু নওগাঁর সাপাহার উপজেলার একটি বাগানে গাছ থেকে আম পাড়ছেন চাষিরা। ছবি: নিউজবাংলা
গুটি আমের পর গোপালভোগ ৩০ মে, ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে গাছ থেকে নামানো যাবে। সবশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম।

প্রতি বছরের মতো এবারও নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী জেলায় সোমবার গুটি আম দিয়ে শুরু হয়েছে আম পাড়া। এরপর পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, আম্রপালি, নাগ ফজলি, ল্যাংড়া, বারী-৪ ও গৌরমতিসহ অন্যান্য আম।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) খালিদ মেহেদী হাসান জাতভেদে আম পাড়ার সময়সইচ নির্ধারণ করে দেন। সভায় আমচাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গুটি দিয়ে নওগাঁয় আম পাড়া শুরু
নওগাঁয় এবার বিভিন্ন জাতের আমের ভালো ফলন হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

সভায় জানানো হয়, এ বছর আম পাড়া শুরু হবে ২২ মে (সোমবার)। এদিন থেকে গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ। গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ৩০ মে।

এছাড়াও ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সবশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম।

মূলত অপরিপক্ব অবস্থায় আম পেড়ে তা রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে সেজন্যই কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

গুটি দিয়ে নওগাঁয় আম পাড়া শুরু

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এটা ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন:
মোখার শঙ্কায় অপরিপক্ব আম পেড়ে ক্ষতির মুখে চাষিরা
নাটোরে আম ১৫ ও লিচু ৯ মে সংগ্রহ শুরু
নওগাঁয় আম পাড়া শুরু ২২ মে
বাঘার গুটি আমের ইতালিযাত্রা বৃহস্পতিবার
রাজশাহীর আম বাজারে আসছে বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The owner wants to enter the goats weight of 89 kg in the record book

ছাগলের ওজন ৮৯ কেজি, রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে চান মালিক

ছাগলের ওজন ৮৯ কেজি, রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে চান মালিক কাঞ্চির ওজন ৮৯ কেজির বেশি। ছবি: নিউজবাংলা
নির্মূলেন্দু জানান, কাঞ্চি ১৪ মাসে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিবার দুই-তিনটি বাচ্চা হয়। বর্তমানে খামারে সাতটি ছাগী, দুটি বাচ্চা এবং তোতা, বিটল ও ক্রস জাতের তিনটি পাঁঠা আছে।

নাম তার ‘কাঞ্চি’। ডাকলেই চলে আসে মালিকের কাছে। ক্রস বিট জাতের এ মাদি ছাগলের ওজন ৮৯ কেজির বেশি। তার নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠাতে চান মালিক জর্জ নির্মূলেন্দু মণ্ডল।

নওগাঁ শহরের চকরামপুর এলাকায় রোববার দুপুরে খামারে গিয়ে দেখা মেলে ছাগলটির। এর মালিক উদ্যোক্তা নির্মূলেন্দু শহরের চকরামপুর খ্রিষ্টান মিশনের বাসিন্দা। তিনি ২০১০ সালে রবি আজিয়াটা লিমিটেডে চাকরি করতেন, কিন্তু তিন বছর পর ২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি ও ক্রিকেট খেলে দিন কাটাতেন। একদিন শহরে এক ভ্যানচালককে দেখেন, এক হাত না থাকার পরও রডের বোঝা বহন করে চলছেন। ভ্যানচালককে দেখে মনে সাহস সঞ্চার হয় নির্মূলেন্দুর। তিনি চাকরি না করে উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

যেভাবে এলো কাঞ্চি

নির্মূলেন্দু জানান, ১০ বছর আগে শহরের পাটালির মোড় এলাকার মোশারফ হোসেন নামের খামারি তার কাছে থাকা সব ছাগল বিক্রি করে দেন। সেখান থেকে এক মাসের বাচ্চাসহ ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগী কিনে বাড়ি নিয়ে আসেন নির্মূলেন্দু। পরামর্শমতো নিয়মিত খাবার, যত্ন ও চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন তিনি। এর পর থেকেই খামারে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। সেগুলোরই একটি আজকের কাঞ্চি। তিন বছর বয়সী ছাগীটির দৈর্ঘ্য ৪৮ ইঞ্চি (লেজের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত) এবং উচ্চতা ৩২ ইঞ্চি (মাটি থেকে কোমর পর্যন্ত)।

ছাগলের ওজন ৮৯ কেজি, রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে চান মালিক
মালিকের সঙ্গে কাঞ্চি। ছবি: নিউজবাংলা

১৪ মাসে দুবার বাচ্চা

মালিক নির্মূলেন্দু জানান, কাঞ্চি ১৪ মাসে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিবার দুই-তিনটি বাচ্চা হয়। বর্তমানে খামারে সাতটি ছাগী, দুটি বাচ্চা এবং তোতা, বিটল ও ক্রস জাতের তিনটি পাঁঠা আছে। প্রজননের জন্য এসব পাঁঠা ব্যবহার করা হয়। এ খামার থেকে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

খামারের উদ্যোক্তা জানান, প্রতিদিন দুটি বাচ্চা দুধ খাওয়ার পরও প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম দুধ পাওয়া যায়। দুধ দোহন না করে বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়। যাদের খুবই প্রয়োজন, তাদের কাছে বিক্রি করেন। সে ক্ষেত্রে দুধের কেজি ১২০ টাকা।

ছাগলের ওজন ৮৯ কেজি, রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে চান মালিক
খামারের ছাগলের সঙ্গে নির্মূলেন্দু। ছবি: নিউজবাংলা

নাম ওঠাতে চান গিনেস বুকে

উদ্যোক্তা জর্জ নির্মূলেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘কাঞ্চি ক্রস জাতের মাদি ছাগল। বর্তমানে বয়স প্রায় তিন বছর। আমার খামারের সবচেয়ে বড় ছাগল এটি। প্রতি বছর দুবার কাঞ্চি থেকে দুটি বাচ্চা পাওয়া যায়।

‘আমার জানা মতে, ওজনের দিক দিয়ে দেশে এ মাদি ছাগলের মতো দ্বিতীয় আর নেই। দেশে এর চাইতে ভালো মানের ছাগল আছে, কিন্তু ক্রস জাতের এই মাদি ছাগলের মতো হয়তো ওজন নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে কাঞ্চির দাম প্রায় ৮০ হাজার টাকা হবে। যদিও বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই। ওজনের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে মাদি ছাগলটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে পারে। তাই গিনেস বুকে নাম ওঠাতে আবেদন করার ইচ্ছা আছে। কেউ যদি এতে সহযোগিতা করেন তাহলে হয়তো আবেদন করতে পারব।’

কী ধরনের খাবার দেয়া হয়

কাঞ্চির খাবারের তালিকায় রয়েছে সবুজ লতাপাতা, ঘাস ও দানাদার খাবার। দিনে সময়মতো দুই বেলা (সকাল ১০টা ও বিকেল ৪টা) খাবার দেয়া হয়। গরমের সময় স্যালাইন পানি দেয়া হয়। যারা ছাগলের বাচ্চা কিনতে চান, তারা আগে থেকে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেন।

নির্মূলেন্দু বলেন, ‘যত্নের দিক থেকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। জ্বর ছাড়া এখন পর্যন্ত ছাগলগুলোর অন্য কোনো সমস্যা আমি দেখিনি। সবুজ ঘাসের চাহিদা মেটাতে খামারের পাশে নেপিয়ার ঘাস লাগানো হয়েছে।

‘এ ছাড়া দেশি জাতের কয়েক ধরনের ঘাসও আছে। কাঞ্চিসহ সব ছাগলকে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে থাকি। দানাদার খাবারের দাম বেশি। এ জন্য স্বল্প পরিমাণ দানাদার খাবার দেওয়া হয়।’

যা বললেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘লালুগুড়ি, লালি, কালী, লালচি, ইতুয়া, বিনতি, কাঞ্চি নামে তার (নির্মূলেন্দু) খামারে স্বল্প পরিমাণ ছাগল থাকলেও খামারটি উন্নত মানের। ওই খামারটি নিয়মিত পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে আমাদের অফিসের লোকজন গিয়ে চিকিৎসাসেবাসহ পরামর্শ দিয়ে আসে।’

তিনি আরও বলেন, “তিনি (নির্মূলেন্দু) নওগাঁয় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮ ও ২০২৩ সালে উন্নত জাতের ‘ছাগল’ প্রদর্শন করে জেলায় প্রথম স্থান লাভ করেন।”

আরও পড়ুন:
রেকর্ড উৎপাদনে চা রপ্তানি বাড়ার আশা
ছাগলের পা ভাঙায় জিডি
বেলার লেখা বই
এবার তৃতীয় বিশ্বরেকর্ড অন্তুর
অদ্ভুত গড়নে ছাগলছানার জন্ম

মন্তব্য

p
উপরে