ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার একটি বাজারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে পোশাকের দোকান, টেইলার্স ও একটি মসলা ভাঙানোর মিল পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের নলবুনিয়া বাজারে বুধবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি, আগুনে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, মিল মালিক আমির হোসেন মাস্টার এবং কাপড়ের দোকানের মালিক ও টেইলার্সের মালিক মোহাম্মদ ফারুক গাজী।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজ।
রাজাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘মধ্যরাতে খবর পেয়ে আমরা এক ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনি।’
স্থানীয় ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুমা আক্তার বলেন, ‘টেইলার্স থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
দর্জি মোহাম্মদ ফারুক গাজী জানান, ঈদ উপলক্ষে তার দোকানে অনেক পোশাক তৈরির অর্ডার ছিল। তার সব কাপড় পুড়ে গেছে। এই অল্প সময়ে কাস্টমারদের কাপড় কিনে দেয়ার সামর্থ নেই তার।
চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজ বলেন, ‘ঈদের আগ মুহুর্তে এ দুর্ঘটনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব না। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন:সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন মঈন উদ্দিন মঞ্জু নামের এক সাংবাদিক।
সোমবার বিকেলে চৌহাট্টার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, বিকেলে চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল আলাদা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের সময় আলিয়া মাদ্রাসার ভেতরে যান সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জু। এ সময় কে বা কারা তার ওপরে হামলা চালানো হয়। তিনি গুরুতর আহত করেছেন। তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত মঈন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা), সিলেটের সভাপতি।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সমন্বয়ক ডা. কায়সার খোকন জানান, সাংবিদক মঈন হাত ও পিঠে আঘাত পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেয়া তরুণী ওই যুবকের নামে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানায় সোমবার দুপুরে তিনি ওই মামলা করেন বলে জানান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না।
এর আগে শনিবার রাত ৮টা থেকে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে দেলোয়ার হোসেন নামে ওই যুবকের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন ওই তরুণী। দেলোয়ার তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন। তবে বাড়িতে নেই দেলোয়ার।
মামলার বরাত দিয়ে পরিদর্শক জহিরুল জানান, দেলোয়ারের সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে ১৩ বছর ধরে। বিয়ের আশ্বাস দেয়ায় তার সঙ্গে বাদীর একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। হঠাৎ বাদী জানতে পারেন আগামী বৃহস্পতিবার পারিবারের পছন্দে দেলোয়ার অন্য কাউকে বিয়ে করছেন।
এ কারণে তিনি বিয়ের দাবিতে দেলোয়ারের বাড়িতে অবস্থান নেন।
সোমবার সন্ধ্যায় মেয়ের বড় ভাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার পরামর্শে বোন অনশন ভেঙেছে। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে বলে জানিয়েছে। এখন সে ধর্ষণ মামলা করে আইনের আশ্রয় নিয়েছে।’
থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘মামলার পর তরুণীর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামির বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের সাত ঘণ্টার চেষ্টায় গাজীপুরের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দিনমনি শর্মা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কারখানার লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল ইউনিটে আগুন লাগে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, প্রথমে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ও মির্জাপুরের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আগুন বাড়তে থাকলে কালিয়াকৈর থেকে আরও একটি, মির্জাপুর থেকে একটি, টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে দুটি, সাভার ইপিজেড থেকে দুটি, জয়দেবপুরের দুটি ও ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়ার্টার থেকে দুটি ইউনিট এসে যোগ দেয়।
স্টেশন মাস্টার বলেন, ‘কারখানার নিচতলা, দ্বিতীয় তলা, তৃতীয় তলাসহ প্রতিটি ফ্লোরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যে ভবনটিতে আগুন লাগে সেখানে ওষুধ তৈরির নানা কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ রয়েছে। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়।’
এ ঘটনার তথ্য ও ছবি সংগ্রহে কারখানা এলাকায় সংবাদকর্মীদের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চ্যানেল-২৪-এর গাজীপুর প্রতিনিধি রফিক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। তবে কারখানার গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পাশের সিমেন্ট কারখানা থেকে অনেক কষ্টে ফুটজ ও ছবি সংগ্রহ করছি।’
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে কারখানার নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলতে চাননি।
আরও পড়ুন:পায়রা বন্দরের জন্য উচ্চক্ষমতার দুটি টাগবোট নির্মাণ করছে খুলনা শিপইয়ার্ড।
৭০ টন বোলার্ড পুলবিশিষ্ট দুটি টাগবোট তৈরি করা হবে। নির্মাণ শেষ হলে এ দুটি হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বোলার্ড পুল ক্ষমতার টাগবোট।
সোমবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে দুটি টাগবোটের কিল লেয়িং উদ্বোধন করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। অচিরেই এটি দেশের আমদানি-রপ্তানির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে প্রচুর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।
পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, জাহাজ নির্মাণে খুলনা শিপইয়ার্ডের ঐতিহ্য রয়েছে। ভবিষ্যতেও পায়রা বন্দর ও খুলনা শিপইয়ার্ড পারস্পরিক উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ। উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম মামুনুর রশীদসহ শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তারা।
খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টাগ বোট দুটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন হবে। এটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় যাতায়াতে সক্ষম।
বোট দুটি বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়াবে। এ ছাড়া পায়রা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বন্দরে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। নববধূর হাতে মেহেদির রং এখনও শুকায়নি। এর মধ্যেই বিষপান করে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী! কিন্তু এ ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলছে তাদের স্বজন ও পরিচিতরা। কারণ মাত্র তিন মাসেই সুখী দম্পতি হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন তারা।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাটি দাপুনিয়া এলাকায় রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নবদম্পতির এমন মৃত্যুকে রহস্যজনক বলছে পুলিশও।
নিহত দম্পতির মধ্যে ২২ বছর বয়সী স্বামী রনি মিয়া ভাটি দাপুনিয়া এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। আর ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী সেতু আক্তার নগরীর বলাশপুর কসাইপাড়া এলাকার তারা মিয়ার মেয়ে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক ফারুক হোসেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তিন মাস আগে রনি ও সেতুর বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিল। রোববার মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে বিষ পান করেন তারা।
বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই নবদম্পতিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সেতু আক্তারের বাবা তারা মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা স্বামী-স্ত্রী সুখেই ছিল। প্রায় দিনই মোবাইলে কথা বলতাম। গত রাত ১২টার দিকেও মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। তখন তারা ভালোই ছিল। কথা বলার আধঘণ্টা পর শুনি মেয়ে অসুস্থ। পরে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি মেয়ে আর জামাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না। কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।’
দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে গেছি। এরা এভাবে মারা যাবে কল্পনাও করিনি। মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ দুইজনের সুখের সংসার ছিল।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যু রহস্যজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:দুই সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের হাওরের জনপদ। টানা ছয় দিন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার রাত থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে সুনামগঞ্জে বাড়ি-ঘর থেকেও বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও হাওরপাড়ের মানুষের বেড়েছে দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সঙ্কটে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ শহরের শান্তিবাগের বাসিন্দা বিমল রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চার দিন আগে ঘরে পানি উঠেছিল। এখন পানি নামা শুরু করেছে, কিন্তু ঘরে পানি আইয়া সব জিনিস নষ্ট করি দিসে। ছেলেটাও অসুস্থ হই গেছে এই পানিতে থেকে।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লালপুর এলাকার শ্রমজীবী রোকন আলী বলেন, ‘পানি কমলেও সারা ঘর জুড়িয়া পানির পচা গন্ধ। আমরা নদী থাকি পানি আনিয়া খাইতাম, এখন এই পানিও ভালা না। অনেক দূর থেকে টিউবওয়েল থেকে পানি আনিয়া খাইরাম।’
শহরের উত্তর আরপিন নগর এলাকা লুকনা বিবি বলেন, ‘দুই মেয়ে স্বামী নিয়া তিনদিন হাঁটু পানিতে থেকেছি। এখন পানি নামছে তো বড় মেয়ের ডায়রিয়া আর ছোট মেয়ের সারা শরীরও চুলকানি। ফার্মেসি থাকি তারার বাবায় ওষুধ আনিয়া দিসোইন এগুলো খাওয়াচ্ছি।’
শহরতলির ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ‘১২ মে সড়ক ভেঙে করচার হাওরের উঁচু এলাকায় পানি ঢুকে ধান ডুবেছিল। পানির নিচ থেকে কেউ কেউ ধান কেটে এনেছিলেন, কিন্তু এই ধান শুকানোর সুযোগ না পাওয়ায় পচে নষ্ট হচ্ছে আবার অনেক ধানে চারা উঠে গিয়েছে।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামছুদ্দোহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার সকালে সুরমা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আবহাওয়া এখন ভালো, ২৪ ও ২৫ মে বৃষ্টি কমবে। এই দুদিন উজানেও (মেঘালয়-চেরাপুঞ্জি) বৃষ্টি কম হবে।’
বানের জলে ভেসে গেছে ১২৫০ পুকুরের মাছ
জেলায় পাহাড়ি ঢলে ধানের পাশাপাশি মাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবে ১ হাজার ২৫০টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
সেরা মৎস্য খামারির পুরস্কার পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রহিম জানান, ব্যাংক থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণ তুলে মাছ চাষ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘রুই, মৃগেলসহ দেশীয় জাতের পোনাও বেশি ছেড়েছিলাম এবার। কিন্তু চাষের বেশির ভাগ মাছই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এখন কী করবেন বুঝতে পারছি না।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সীমা রানী বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলার ২০ হাজার ৪৬৯টি মাছের পুকুরের মধ্যে ১ হাজার ২৫০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ১৬ হাজার ৫০০ খামারির মধ্যে ১ হাজার ১০০ খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
‘প্রায় ৩ কোটি টাকার বড় মাছ, ৩০ লাখ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে। ১২ লাখ টাকার অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৫টি উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বন্যার্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সেখানও ত্রাণসামগ্রী দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সচাপায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো আব্দুল মালিকের বাড়ি মৌলভীবাজারে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের।
ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পার্কিং করার সময় আব্দুল মালিককে চাপা দেয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্স। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সমন্বয়ক কায়সার খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে আনার আগেই আব্দুল মালিক মারা যান। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।’
হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল চত্বরের ভেতর সব সময় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভিড় থাকে। তাদের কারণে রোগীদেরও দুর্ভোগও পোহাতে হয়। এসব অ্যাম্বুলেন্সের অদক্ষ চালকরা হাসপাতাল চত্বরেও বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়।
পুলিশ কর্মকর্তা বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করেছে। তবে চালক সবুজ আহমদ পালিয়ে গেছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য