ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সড়কের পাশের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী এক কিশোর নিহত হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
১৪ বছর বয়সী নিহত রিফাত মিয়ার বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার ৮ নম্বর গফরগাঁও ইউনিয়নের উত্তর ছিপান এলাকায়।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রিফাত মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি থেকে গফরগাঁও পৌর শহরে যাচ্ছিল। সকাল ১০টার দিকে গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কের উথুরী শিববাড়ী বাজারে রাস্তার পাশের খুঁটির সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে রিফাত ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাকে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নেয়া হয়। রাতে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়েছে।
জুলহাস বলেন, ‘পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে অলিভিয়া বন্দরে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের নিহত হবার পর কেটে গেছে দুই মাস।
তার মরদেহ দেশে আনার পর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) থেকে বলা হয়েছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে দেয়া হবে ক্ষতিপূরণের অর্থ। এরপর ১০ সপ্তাহ পার হলেও এখনও মেলেনি ওই অর্থ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
মৃত্যুর ১২ দিন পর সোমবার দুপুর সোয়া ১২টা ২০ তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। রাত ১০টায় হাদিসুরের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়।
ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষোভ জানান নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী। লিখিত বক্তব্য পড়েন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন।
নেতারা বলেন, বিএসসির সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অদক্ষতার কারণে ক্ষতিপূরণের টাকা যথাসময়ে পায়নি। অথচ তারা বলেছিল, এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দেবে।
সংগঠনের সভাপতি আনাম চৌধুরী বলেন, ‘তদন্ত কমিটিতে আমাদের দুজন প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে দাবি জানালেও তা মানা হয়নি। বিএসসিতে মেরিনারদের বিষয়ে বোঝেন এমন লোক এখন নেই। প্রতিষ্ঠানটিতে অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে মেরিনার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব প্রতীয়মান। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাদিসুর রহমানসহ বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের সকল নাবিক-ক্রুদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও আমরা এখনও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাইনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেশের সংবাদ মাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হাদিসুরের পরিবারকে ১০ লাখ ২৭ হাজার ১৭৭ টাকা তুলে দেয়া হয়। বিএমএমওএ সদস্য ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (আইটিএফ) এই অর্থ সহায়তা করে। চেক গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স।
আরও পড়ুন:বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনায় বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেছেন, ‘একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের পূর্বশর্ত।’
খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে শুক্রবার দুপুরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনসহ যেকোনো নাগরিক সেবায় জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যক। তাই সঠিকভাবে তথ্য নিতে হবে।’
তথ্য সংগ্রহকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে তথ্য নিতে প্রমাণক হিসেবে পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন অথবা এসএসসি সনদের সাহায্যে ব্যক্তির নামের বানান ও আনুষঙ্গিক তথ্য যাচাই করা যেতে পারে।’
ইভিএমকে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইভিএমের ব্যবহার যেকোনো পর্যায়ে দলমত নির্বিশেষে সব দলের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে।’
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি ড. মহিদ উদ্দিন, খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি ও তার নাতি নিহত হয়েছেন।
ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল সড়কের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ৭৩ বছরের আব্দুল মান্নান ও তার ৮ বছরের নাতি জুনায়েদ হোসেন। তাদের বাড়ি উপজেলার কাজীপুরা গ্রামে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, কামারখন্দ উপজেলার দশসিকা গ্রামে এক আত্মীয়র কুলখানিতে যাওয়ার জন্য নাতি জুনায়েদকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল মান্নান। ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন পারাপার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা আরেকজন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়ার ছিলাশাহ মার্কেট এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়নাল আবেদীনের বাড়ি হাটহাজারীর পশ্চিম দেওয়াননগর এলাকায়। একই এলাকায় থাকেন আহত মো. নাঈমও।
পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে পটিয়ায় কক্সবাজারমুখী লেনের পেছন থেকে একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান জয়নাল। আহত নাঈমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, বাইকচালক সামনের একটি বাসকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিলেন। সে সময় পেছন থেকে আরেক বাস বাইককে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইটভাটার শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামগতি আমলি আদালতের বিচারক নুসরাত জামান শুক্রবার সকালে আসামি খবির মাঝিকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খবির মাঝি ও তার ভাই ইটভাটার মালিক খলিল মাঝিকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর খলিলকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওসি জানান, নিহত শ্রমিক আনোয়ার হোসেনের বাবা আবদুস শহীদ শুক্রবার সকালে রামগতি থানায় তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে আটক খবিরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, খবির মাঝির ছেলে রিয়াজ হোসেন ও প্রতিবেশী সফিক উল্ল্যাহর ছেলে মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এদিকে এজাহারে বলা হয়, রামগতির চরআলগীর হাসান-হোসাইন এলাকার আনোয়ার হোসেন খাগড়াছড়ির দিঘীনালার কে বি ব্রিক্সফিল্ডে খলিল মাঝির ভাই খবির মাঝির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন। ছয় মাসের চুক্তি থাকলেও পাঁচ মাস করে বাড়ি চলে আসেন। পরে খবির ও খলিলের চাপে আবার সেখানে যান আনোয়ার। যাওয়ার পর খবির তাকে সেখানে মারধর করলে ৪ দিন কাজ করে গত ১ মে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন খলিলের চরআলগীর ইটভাটার অফিসে তাকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, স্বজনরা আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলেও বাদী জানায়, অর্থ সংকটের কারণে আনোয়ারকে আবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রাতে তিনি মারা যান।
সে সময় বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, আনোয়ারের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
আনোয়ারকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাদী আবদুস শহীদ দাবি করেন, খলিল ও খবিরের হুমকিতে হাসপাতালে ভর্তি না করে আনোয়ারকে তারা বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা করান।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ার খোকসায় ছোট ভাই মারা গেছেন শুনে শেষ বিদায় জানাতে এসেছিলেন ১৫ বছরের বড় ভাই। মৃতদেহ দেখে সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক জানান, তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন খোকসা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ বছরের ছাল্লেক শাহ ও তার বড় ভাই ৭০ বছরের মালেক শাহ। তাদের শুক্রবার দুপুরে একসঙ্গে দাফন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মাহমুদ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ছাল্লেককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। গ্যাস্ট্রিকের কারণে তার ব্যাথা হচ্ছিল বলে জানানো হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোরে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় ছাল্লেকের বড় ভাই মালেককে। তারও মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে।
মালেকের স্ত্রী আকলিমা খাতুন জানান, ছাল্লেকের মৃত্যুর খবর শুনে তারা শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে মালিগ্রাম গোরস্থান পাড়া থেকে ছাল্লেকের বাড়িতে যায়। সেখানে ছোট ভাইয়ের মরদেহ দেখেই অচেতন হয়ে পড়েন মালেক। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আকলিমা আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে দুই ভাইকে এক সঙ্গেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পদ্মা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার একটি ঘাটের পন্টুনও পানিতে ডুবেছে। এতে এসব ঘাট দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এতে যানবাহন পারাপারে ধীরগতি হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে মহাসড়কে। দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে প্রতিটি যানবাহনকে ফেরি পার হতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৬-৭ ঘণ্টা। দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে যাত্রী ও গাড়িচালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
দর্শনা থেকে ছেড়ে আসা দর্শনা ডিলাক্স (ডিডি) পরিবহনের চালক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের গাড়িটি মধ্যরাতে এসে সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। পরে জানতে পারি পন্টুনে পানি ওঠায় দুটি ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। ৭ ঘণ্টা সিরিয়ালে আটকে থেকে ফেরিতে উঠেছি।’
ফেরির অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক হামিদ মিয়া বলেন, ‘খুলনা থেকে ছেড়ে এসে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ঘাট এলাকায় আসছি। এখনও ফেরি পার হতে পারিনি। রাতে বৃষ্টি ও বাতাসের মধ্যে এই ট্রাকেই কাটাইতে হইছে। আমাদের কষ্ট-ভোগান্তির শেষ নাই।’
ঘাট বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তির কথা জানালেন আরেক ট্রাকচালক আকবর হোসেন। বলেন, ‘এই নদী পার হতে গেলে আমাদের সারা বছরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুনি এখানে সাতটি ঘাট, এখন তো তিনটি ঘাট চলতেছে। ঘাট আরও বাড়াইলে কী হয়?’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দৌলতদিয়ায় সাতটি ঘাটের মধ্যে চারটি চালু ছিল। হঠাৎ পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোর থেকে ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুনের ওপর পানি উঠতে থাকে। এ ঘাট দুটি বন্ধ করে দেয়ায় চালু আছে আর দুটি। এদিকে সকাল ১০টার পর বন্ধ থাকা ৬ নম্বর ঘাটটি চালু করা হয়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদ্মার গেজ পাঠক সালমা খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে; যা বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ি বৃষ্টির ফলে উজানে পানি বেড়ে সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। উজানের পানির প্রভাবে পদ্মার পানি গত দুই দিনে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। উজানের পানি পদ্মাসহ কয়েকটি নদী হয়ে সমুদ্রে নামার ফলে এ পানি বৃদ্ধি।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়ার দুটি ও পাটুরিয়ার একটি ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এ নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজট তৈরি হয়েছে।
এই নৌরুটে বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দৌলতদিয়ার ঘাট দুটি দ্রুত সংস্কার করে যানবাহন পারাপারের উপযোগী করা হবে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ৬ নম্বর ফেরিঘাটটি চালু করা হয়েছে। বন্ধ ঘাট দুটি চালু হলে যানবাহনের সিরিয়াল কমে যাবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য