× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP leaders and activists accused of clashes in New Market are in hiding
google_news print-icon

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে আসামি বিএনপি নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে

নিউ-মার্কেটে-সংঘর্ষে-আসামি-বিএনপি-নেতা-কর্মীরা-আত্মগোপনে
গত ১৯ এপ্রিল নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ছবি: নিউজবাংলা
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২০ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করা হয়। এই ২৪ জনের সবাই বিএনপি নেতা-কর্মী। বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের প্রায় সবাই আছেন আত্মগোপনে।

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে কেবল একটিতে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি চারটিতেই আসামিদের সবাই অজ্ঞাতপরিচয়।

একটি মামলায় যে ২৪ আসামির নাম উল্লেখ করেছে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ, তাদের সবাই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে এই আসামিদের অভিযোগ, রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে পুলিশ তাদের নাম এজাহারে দিয়েছে। অবশ্য পুলিশের দাবি, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই আসামি করা হয়েছে সবাইকে।

নিউ মার্কেটের দুটি ফাস্টফুডের দোকানে গত ১৮ এপ্রিল ইফতারের আগে টেবিল পাতা নিয়ে দুই কর্মচারীর বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে এক কর্মচারীর ডাকে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের তিন কর্মীর নেতৃত্বে কিছু ছাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে তারা মারধরের শিকার হয়ে কলেজে খবর দিলে ছাত্ররা মার্কেটে হামলা চালান।

এ ঘটনার পরে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় দুই দিনের সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুজন, সাংবাদিকসহ আহত হন অর্ধশতাধিক।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২০ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবীর। ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ে থাকা ঢাকা কলেজের ৬০০ থেকে ৭০০ ছাত্র এবং নিউ মার্কেট এলাকার ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকেও আসামি করা হয়েছে।

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে আসামি বিএনপি নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে
আদালত প্রাঙ্গণে শনিবার বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

এ ছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ ২০ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। একই দিন বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান।

চতুর্থ মামলাটি হয় ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। নিহত দোকান কর্মচারী মোরসালিনের বড় ভাই নুর মোহাম্মদের করা হত্যা মামলাটিতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সবশেষ মামলাটি করেছেন সংঘর্ষের সময় ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স মালিক মো, সুজন। গত ২৩ এপ্রিল তার করা মামলাতেও আসামিদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় যে ২৪ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মকবুল হোসেন, আমীর হোসেন, মিজান, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, টিপু, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহীদুল ইসলাম শহীদ, জাপানি ফারুক, মিজান ব্যাপারী ও আসিফের নাম এসেছে উসকানিদাতা হিসেবে। আর রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল সরাসরি ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার ১ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। নিউ মার্কেটের ক্যাপিটাল ফাস্টফুড ও ওয়েলকাম ফাস্টফুড নামের দোকান দুটির মালিকও তিনি। এই দুই দোকান কর্মচারীদের বিরোধ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

ওয়েলকাম নামের দোকানটি সরাসরি পরিচালনা করেন মকবুলের ছোট ভাই রফিক হোসেন সরদার, আর ক্যাপিটাল দোকানটি পরিচালনা করেন মকবুলের চাচাতো ভাই শহিদুল হোসেন সরদার।

বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মকবুল হোসেনকে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে এর আগে মকবুল নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসাতে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দোষীদের চেহারা স্পষ্ট থাকার পরও জড়িত ছাত্রদের নাম বাদ দিয়ে শুধু স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মীদের বাঁচাতে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে বিএনপিকে জড়াচ্ছে প্রশাসন।’

মামলার এজাহারে আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ না থাকলেও মকবুল দাবি করেন ২৪ জনই নিউ মার্কেট এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি জানান, দুই নম্বর আসামি আমীর হোসেন আলমগীর নিউ মার্কেট থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক, মিজান ওই থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন টিপু ছাত্রদলের সাবেক নেতা, জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী নিউ মার্কেট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, হারুন হাওলাদার নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা, শন্টু ওরফে নান্টু সাবেক সহসভাপতি।

এ ছাড়া শহীদুল হক শহীদ ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি, জাপানি ফারুক সাবেক প্রচার সম্পাদক, মিজান ব্যাপারী যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্যসচিব এবং নিউ মার্কেট ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, রহমত ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সুমন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য, জসিম থানা কমিটির সাবেক সদস্য।

মকবুল হোসেনের তথ্য অনুযায়ী, বিল্লাল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, হারুন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা, তোহা নিউ মার্কেট থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক, মনির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি, বাচ্চু ও জুলহাস ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং মিঠু, মিন্টু ও বাবুল ওয়ার্ড যুবদলের নেতা।

মকবুল হোসেন দাবি করেন, মামলার আসামিদের মধ্যে টিপু দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে আছেন। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে একজন ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাঁচজন ছাড়া বাকি সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

মামলায় নিউ মার্কেট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীকে সংঘর্ষের উসকানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারকেন্দ্রিক এই বিএনপি নেতার নিউ মার্কেটে বরাদ্দ পাওয়া একটি দোকান আছে, যেটি তিনি ভাড়া দিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের বাসা ধানমন্ডির রায়ের বাজার এলাকায়।

বিএনপির এই নেতার দাবি, যে রাতে নিউ মার্কেটের দুই ফাস্টফুডের দোকানে ঝামেলা তৈরি হয়, সেদিন তিনি নিজের বাসায় ছিলেন না, আগের দিন থেকেই কামরাঙ্গীর চরে বোনের বাসায় অবস্থান করছিলেন। আর ১৯ এপ্রিল তিনি ব্যক্তিগত কাজে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে চলে যান।

জাহাঙ্গীরের দাবি, টেলিভিশন, ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি সংঘর্ষের খবর জানতে পারেন। ঘটনা সূত্রপাতের আগের দিন বোনের বাসায় অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মামলার জন্য বিএনপির কেউই নিজ বাসায় থাকতে পারেন না।’

মামলায় তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর।

মামলার আরেক আসামি মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা হাসান জাহাঙ্গীর মিঠুও দাবি করছেন, তিনি ঘটনার সূত্রপাতের সময় বাসায় ছিলেন না।

মোবাইল ফোনে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, 'আমি ঘটনার সময় ঢাকাতেই ছিলাম না। আমার বাসা ধানমন্ডির জিগাতলায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়েছিলাম, সেখানে সেহরি খেয়েছি। এর পরদিন বিকেলে ঢাকায় ফিরছিলাম, কিন্তু মামলা হওয়ার পর কুমিল্লায় চলে এসেছি।‘

মামলার অন্য আসামিদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলার পর তারা সবাই ফোন নম্বর পরিবর্তন করেছেন।’

এই মামলার আরেক আসামি মো. আনোয়ার হোসেন টিপুর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা গেছে। টিপু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা। উসকানিদাতা হিসেবে তার নাম এসেছে এজাহারে।

হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে যুক্ত হলে দেখা যায়, টিপুর অবস্থান লন্ডনে। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখতেই তো পারছেন, আমি এখন লন্ডনে। আমি ২০১৫ সালের ১ মার্চ থেকে লন্ডনে আছি। আমার বিরুদ্ধে ১৩ মামলা চলমান, মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছি।

‘মামলার কারণে আমার দেশে ফেরার সুযোগ নেই। না বুঝেই পুলিশ এ মামলায় আমার নাম যুক্ত করেছে। এখন বুঝতে পারছে কাঁচা কাজ করে ফেলেছে।‘

লন্ডন থেকেও তো উসকানি দেয়া সম্ভব, এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে উসকানি দিয়েছি সেটা তারা প্রমাণ করুক।’

সংঘর্ষে সরাসরি যুক্ত হিসেবে মামলায় হারুন নামে বিএনপির এক নেতার নাম রয়েছে। মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘তিনি মামলার আসামি নন, অন্য কোনো হারুনের কথা বলা হয়েছে।’

রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করে ফোন কেটে দেন, পরে আর ফোন ধরেননি।

রহমত নামের একজনকে সেদিনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার কথা অভিযোগে উল্লেখ করেছে পুলিশ। তার পুরো নাম রহমত উল্লাহ। তিনি নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক।

রহমত নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, ব্যাবসায়িক কারণে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত। তবে মিটিং মিছিলে অংশ নেয়া ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক তৎপরতায় কখনও অংশ নেননি। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো মামলা বা জিডিও হয়নি।

রহমত বলেন, ‘নিউ সুপার মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আমি কাপড়ের ব্যবসা করছি। গণ্ডগোল শুরুর পরপরই দোকান বন্ধ করে পল্টনের বাসায় চলে যাই। পরদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় আমি আর বাসা থেকে বের হইনি।’

তিনি অভিযোগ করেন, মামলার অন্যতম আসামি ও নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীর অনুসারী হওয়ায় তাকেও মামলায় জড়ানো হয়েছে।

মামলার বাকি সব আসামির মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি নিউজবাংলা।

মামলায় আসামি হিসেবে শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখের কারণ জানতে চাইলে পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে তো কারও রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এত বড় সংঘর্ষের পর গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্ত করে উসকানিদাতা ও সরাসরি সম্পৃক্তদের নাম পেয়েছেন। সেই তালিকা ধরেই মামলা হয়েছে।

‘এখন আমরা বিশদ তদন্ত করে দেখব। যারা নিরপরাধ তাদের নাম পরে বাদ যাবে, আর জড়িতদের শাস্তি হবে।’

ঘটনার শুরুতে সিসিটিভি ফুটেজে ছাত্রদের অনেককেই চিহ্নিত করা গেলেও তাদের নাম কেন মামলায় নেই, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলাম। আর ঘটনার ছায়া তদন্ত করে গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন। সেখানে আাসামিদের যার যার নাম এসেছে আমরা মামলায় শুধু তাদের নামই দিয়েছি। মামলায় ছাত্রদের অজ্ঞাতপরিচয় বলা হয়েছে, তাই জড়িত ছাত্রদেরও ছাড় দেয়া হবে না।’

মাঠপর্যায়ের প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শুধু ঘটনাটি কীভাবে শুরু হলো তা তদন্ত করেছি। টানা সংঘর্ষ চলার কারণে প্রথমেই ঘটনা সম্পর্কে আমরা কোনো স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছিলাম না। তাই শুরুতেই দুই দোকানের যারা ঝামেলা পাকিয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে চাচ্ছিলাম।‘

মকবুল হোসেনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুই দোকানের মালিক হওয়ায় এবং কর্মচারীদের বিরোধ মীমাংসা না করে ঘটনাকে বড় হতে দেয়ার দায় তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। তবে সেখানে আমরা পলিটিক্যাল কোনো ইস্যু বা ইন্ধন পাইনি, তাই মকবুলের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।’

নিউ মার্কেটে বাইরে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকে আলাদা ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। একটি সংস্থার এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরুর দিকে অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা এই ২৪ আসামির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মচারীরা নিজেদের বিবাদে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ডেকে আনে। তবে ছাত্ররাই উল্টো মার খান। এর জেরে উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে যায়।’

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আদালতে সব তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরব। আসামিরা যদি পারেন, সেখানে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগ কর্মী ইমনের বাবা জামায়াত সমর্থক, ভাই বিএনপির নেতা
‘সংঘর্ষের ভয়ে’ ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগে কমিটি নেই?
ঢাকা কলেজে ডিবি-র‍্যাবের অভিযান
নাহিদকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা তরুণ ছাত্রলীগের ইমন
সংঘাত ভুলে বেচাকেনায় নিউ মার্কেটের দোকানিরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
It is alleged that Teknaf entered the house and beat up the mother and daughter

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে অভিযুক্ত আয়ুব খান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আইয়ুব ও তার লোকজন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷

এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’

থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্ত করে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’

অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা
দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 new judges of the Appellate Division took oath

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারক। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারক শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথ পাঠ করান। খবর বাসসের

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী পরিচালনায় শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, শপথ পাঠকারী তিন বিচারপতির পরিবারের সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারক ১) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ২) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ৩) বিচারপতি কাশেফা হোসেনকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two dredgers seized in Padma illegally extracting sand in the dark of night

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বুধবার গভীর রাতে দুটি ড্রেজার জব্দ করে নৌ-পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল তুলেছে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে ৮ ঘণ্টায় পৌনে দুই কোটি টাকা টোল আদায়
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের আরও এক ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Accused of killing niece for greed of property

সম্পত্তির লোভে ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ

সম্পত্তির লোভে ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শারমিনকে মৃত বলে জানান। হাসপাতাল এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সে রাখা তার মরদেহ। ছবি: নিউজবাংলা
পলাশবাড়ী থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গলাতে কোনো দাগ চোখে পড়েনি, তবে শ্বাসরোধের বিষয়টি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’ 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সম্পত্তির লোভে মারধর করে আপন ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমুদপুর গ্রামে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ তিনজনকে আট করেছে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ।

প্রাণ হারানো তরুণীর নাম শারমিন আক্তার (২২), যিনি প্রয়াত শুক্কুর উদ্দিনের মেয়ে। বিয়ে বিচ্ছেদের পর শারমিন বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

শারমিনের অভিযুক্ত চাচার নাম আবদুল খালেক।

তরুণীর পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে পিতৃহারা শারমিনকে কৌশলে বিয়ে দেন তার চাচারা। বিয়ের পর তালাক হলে সমঝোতায় দেনমোহরের টাকা শারমিনকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তার বড় চাচা আবদুল খালেক। সেই টাকা ও শারমিনের নামে থাকা জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

তারা আরও জানান, সম্পত্তি নিয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শারমিনের সঙ্গে তার চাচাদের বিরোধ বাধে। ওই সময় অভিযুক্তদের মারধরে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে আহত শারমিনকে অভিযুক্তরাই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

শারমিনের দুলাভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘শারমিন ও শাম্মী আপন দুই বোন। আমার শ্বশুর (শারমিনের বাবা) মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর শারমিন আমার বাড়িতেই থাকত। পরে শারমিনের বাবলু নামের এক ফুফা ও তার জ্যাঠারা মিলে কৌশলে শারমিনকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিয়ে দেন।

‘বিয়ের তিন-চার মাস পরই তালাক হয় শারমিনের। তখন থেকেই শারমিন আমার শাশুড়ির সাথে তার বাবার বাড়িতেই থাকত।’

শারমিনের মা এবং এ তরুণীর দুলাভাই রুহুল আমিনের অভিযোগ, শাম্মী ও শারমিনের নামে ৩২ শতাংশ জমি আছে। সেই জমি নেয়ার লোভে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া-বিবাদ, গালিগালাজসহ শারমিনকে মারধর করতেন তার চাচা আবদুল খালেক। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার শারমিনের কাছে জমি চেয়ে মারধর শুরু করেন তিনি। পরে আবদুল খালেকের ভাই আবদুল বারী, ভাতিজা রহমান ও ছকু নামের একজন মারধর করতে থাকেন। ওই সময় তাদের মারধরে শারমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া গলাতে কোনো দাগ চোখে পড়েনি, তবে শ্বাসরোধের বিষয়টি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন:
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’
কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, দুই ছেলে পলাতক
অনলাইন জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধুর প্রাণ কাড়ল কিশোর
টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবার প্রাণ নিল ছেলে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Naogaon madrasa girl teacher in jail in attempted rape case

নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে

নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
এদিন আসামির উপস্থিতিতে তাকে দেয়া সাজার রায় পড়ে শোনানো হয় এবং শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।

নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার বুধবার এ রায় দেন। জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক।

দণ্ডাদেশ পাওয়া ওই শিক্ষকের নাম আবুল হাসান। ২৫ বছর বয়সী আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের বাসিন্দা ও একটি মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের শিক্ষক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ছয়টার সময় নয় বছর বয়সী ওই মেয়েটি একই গ্রামের আরবি শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা না আসায় তাকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর মা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা মেলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিন আসামির উপস্থিতিতে তাকে দেয়া সাজার রায় পড়ে শোনানো হয় এবং শেষে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে এবং আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain in front of FDC to protest the attack on journalists

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবিতে বুধবার এফডিসির সামনে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
মানববন্ধনে বক্তারা এফডিসিতে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ এতে জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।

টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।

তদন্ত কমিটি

এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed 4 injured in truck trolley collision in Panchgarh

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পঞ্চগড়ের বোদা-দেবীগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও ট্রলির (ট্রাক্টর) মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পথচারী নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার জন।

বুধবার সকালে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কলাপাড়া নামক স্থানে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- বোদা পৌরসভার সদ্দারপাড়া গ্রামের সাফিরের স্ত্রী ৬০ বছর বয়সী নুরজাহান ও একই উপজেলার মাজগ্রাম এলাকার মানিক ইসলামের ছেলে ২৫ বছর বয়সী জাহিদ ইসলাম।

বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক দুজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেবীগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়গামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীতমুখী একটি ট্রলির সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এক পথচারী নারীকে গাড়িদুটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। দুর্ঘটনায় ট্রলির চালক জাহিদও ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়া স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে