× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP leaders and activists accused of clashes in New Market are in hiding
google_news print-icon

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে আসামি বিএনপি নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে

নিউ-মার্কেটে-সংঘর্ষে-আসামি-বিএনপি-নেতা-কর্মীরা-আত্মগোপনে
গত ১৯ এপ্রিল নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ছবি: নিউজবাংলা
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২০ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করা হয়। এই ২৪ জনের সবাই বিএনপি নেতা-কর্মী। বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের প্রায় সবাই আছেন আত্মগোপনে।

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে কেবল একটিতে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি চারটিতেই আসামিদের সবাই অজ্ঞাতপরিচয়।

একটি মামলায় যে ২৪ আসামির নাম উল্লেখ করেছে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ, তাদের সবাই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে এই আসামিদের অভিযোগ, রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে পুলিশ তাদের নাম এজাহারে দিয়েছে। অবশ্য পুলিশের দাবি, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই আসামি করা হয়েছে সবাইকে।

নিউ মার্কেটের দুটি ফাস্টফুডের দোকানে গত ১৮ এপ্রিল ইফতারের আগে টেবিল পাতা নিয়ে দুই কর্মচারীর বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে এক কর্মচারীর ডাকে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের তিন কর্মীর নেতৃত্বে কিছু ছাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে তারা মারধরের শিকার হয়ে কলেজে খবর দিলে ছাত্ররা মার্কেটে হামলা চালান।

এ ঘটনার পরে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় দুই দিনের সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুজন, সাংবাদিকসহ আহত হন অর্ধশতাধিক।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২০ এপ্রিল নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবীর। ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ে থাকা ঢাকা কলেজের ৬০০ থেকে ৭০০ ছাত্র এবং নিউ মার্কেট এলাকার ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকেও আসামি করা হয়েছে।

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে আসামি বিএনপি নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে
আদালত প্রাঙ্গণে শনিবার বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

এ ছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ ২০ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। একই দিন বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান।

চতুর্থ মামলাটি হয় ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। নিহত দোকান কর্মচারী মোরসালিনের বড় ভাই নুর মোহাম্মদের করা হত্যা মামলাটিতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সবশেষ মামলাটি করেছেন সংঘর্ষের সময় ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স মালিক মো, সুজন। গত ২৩ এপ্রিল তার করা মামলাতেও আসামিদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় যে ২৪ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মকবুল হোসেন, আমীর হোসেন, মিজান, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, টিপু, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহীদুল ইসলাম শহীদ, জাপানি ফারুক, মিজান ব্যাপারী ও আসিফের নাম এসেছে উসকানিদাতা হিসেবে। আর রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল সরাসরি ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার ১ নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। নিউ মার্কেটের ক্যাপিটাল ফাস্টফুড ও ওয়েলকাম ফাস্টফুড নামের দোকান দুটির মালিকও তিনি। এই দুই দোকান কর্মচারীদের বিরোধ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

ওয়েলকাম নামের দোকানটি সরাসরি পরিচালনা করেন মকবুলের ছোট ভাই রফিক হোসেন সরদার, আর ক্যাপিটাল দোকানটি পরিচালনা করেন মকবুলের চাচাতো ভাই শহিদুল হোসেন সরদার।

বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মকবুল হোসেনকে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তবে এর আগে মকবুল নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসাতে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দোষীদের চেহারা স্পষ্ট থাকার পরও জড়িত ছাত্রদের নাম বাদ দিয়ে শুধু স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মীদের বাঁচাতে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে বিএনপিকে জড়াচ্ছে প্রশাসন।’

মামলার এজাহারে আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ না থাকলেও মকবুল দাবি করেন ২৪ জনই নিউ মার্কেট এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি জানান, দুই নম্বর আসামি আমীর হোসেন আলমগীর নিউ মার্কেট থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক, মিজান ওই থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন টিপু ছাত্রদলের সাবেক নেতা, জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী নিউ মার্কেট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, হারুন হাওলাদার নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা, শন্টু ওরফে নান্টু সাবেক সহসভাপতি।

এ ছাড়া শহীদুল হক শহীদ ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি, জাপানি ফারুক সাবেক প্রচার সম্পাদক, মিজান ব্যাপারী যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্যসচিব এবং নিউ মার্কেট ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, রহমত ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সুমন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য, জসিম থানা কমিটির সাবেক সদস্য।

মকবুল হোসেনের তথ্য অনুযায়ী, বিল্লাল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, হারুন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা, তোহা নিউ মার্কেট থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক, মনির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি, বাচ্চু ও জুলহাস ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং মিঠু, মিন্টু ও বাবুল ওয়ার্ড যুবদলের নেতা।

মকবুল হোসেন দাবি করেন, মামলার আসামিদের মধ্যে টিপু দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে আছেন। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে একজন ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাঁচজন ছাড়া বাকি সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

মামলায় নিউ মার্কেট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীকে সংঘর্ষের উসকানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারকেন্দ্রিক এই বিএনপি নেতার নিউ মার্কেটে বরাদ্দ পাওয়া একটি দোকান আছে, যেটি তিনি ভাড়া দিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের বাসা ধানমন্ডির রায়ের বাজার এলাকায়।

বিএনপির এই নেতার দাবি, যে রাতে নিউ মার্কেটের দুই ফাস্টফুডের দোকানে ঝামেলা তৈরি হয়, সেদিন তিনি নিজের বাসায় ছিলেন না, আগের দিন থেকেই কামরাঙ্গীর চরে বোনের বাসায় অবস্থান করছিলেন। আর ১৯ এপ্রিল তিনি ব্যক্তিগত কাজে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে চলে যান।

জাহাঙ্গীরের দাবি, টেলিভিশন, ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি সংঘর্ষের খবর জানতে পারেন। ঘটনা সূত্রপাতের আগের দিন বোনের বাসায় অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মামলার জন্য বিএনপির কেউই নিজ বাসায় থাকতে পারেন না।’

মামলায় তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর।

মামলার আরেক আসামি মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা হাসান জাহাঙ্গীর মিঠুও দাবি করছেন, তিনি ঘটনার সূত্রপাতের সময় বাসায় ছিলেন না।

মোবাইল ফোনে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, 'আমি ঘটনার সময় ঢাকাতেই ছিলাম না। আমার বাসা ধানমন্ডির জিগাতলায়। ওই দিন সন্ধ্যায় আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়েছিলাম, সেখানে সেহরি খেয়েছি। এর পরদিন বিকেলে ঢাকায় ফিরছিলাম, কিন্তু মামলা হওয়ার পর কুমিল্লায় চলে এসেছি।‘

মামলার অন্য আসামিদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলার পর তারা সবাই ফোন নম্বর পরিবর্তন করেছেন।’

এই মামলার আরেক আসামি মো. আনোয়ার হোসেন টিপুর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা গেছে। টিপু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা। উসকানিদাতা হিসেবে তার নাম এসেছে এজাহারে।

হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে যুক্ত হলে দেখা যায়, টিপুর অবস্থান লন্ডনে। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখতেই তো পারছেন, আমি এখন লন্ডনে। আমি ২০১৫ সালের ১ মার্চ থেকে লন্ডনে আছি। আমার বিরুদ্ধে ১৩ মামলা চলমান, মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছি।

‘মামলার কারণে আমার দেশে ফেরার সুযোগ নেই। না বুঝেই পুলিশ এ মামলায় আমার নাম যুক্ত করেছে। এখন বুঝতে পারছে কাঁচা কাজ করে ফেলেছে।‘

লন্ডন থেকেও তো উসকানি দেয়া সম্ভব, এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে উসকানি দিয়েছি সেটা তারা প্রমাণ করুক।’

সংঘর্ষে সরাসরি যুক্ত হিসেবে মামলায় হারুন নামে বিএনপির এক নেতার নাম রয়েছে। মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘তিনি মামলার আসামি নন, অন্য কোনো হারুনের কথা বলা হয়েছে।’

রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করে ফোন কেটে দেন, পরে আর ফোন ধরেননি।

রহমত নামের একজনকে সেদিনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার কথা অভিযোগে উল্লেখ করেছে পুলিশ। তার পুরো নাম রহমত উল্লাহ। তিনি নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক।

রহমত নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, ব্যাবসায়িক কারণে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত। তবে মিটিং মিছিলে অংশ নেয়া ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক তৎপরতায় কখনও অংশ নেননি। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো মামলা বা জিডিও হয়নি।

রহমত বলেন, ‘নিউ সুপার মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আমি কাপড়ের ব্যবসা করছি। গণ্ডগোল শুরুর পরপরই দোকান বন্ধ করে পল্টনের বাসায় চলে যাই। পরদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় আমি আর বাসা থেকে বের হইনি।’

তিনি অভিযোগ করেন, মামলার অন্যতম আসামি ও নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীর অনুসারী হওয়ায় তাকেও মামলায় জড়ানো হয়েছে।

মামলার বাকি সব আসামির মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি নিউজবাংলা।

মামলায় আসামি হিসেবে শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখের কারণ জানতে চাইলে পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে তো কারও রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এত বড় সংঘর্ষের পর গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্ত করে উসকানিদাতা ও সরাসরি সম্পৃক্তদের নাম পেয়েছেন। সেই তালিকা ধরেই মামলা হয়েছে।

‘এখন আমরা বিশদ তদন্ত করে দেখব। যারা নিরপরাধ তাদের নাম পরে বাদ যাবে, আর জড়িতদের শাস্তি হবে।’

ঘটনার শুরুতে সিসিটিভি ফুটেজে ছাত্রদের অনেককেই চিহ্নিত করা গেলেও তাদের নাম কেন মামলায় নেই, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিলাম। আর ঘটনার ছায়া তদন্ত করে গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন। সেখানে আাসামিদের যার যার নাম এসেছে আমরা মামলায় শুধু তাদের নামই দিয়েছি। মামলায় ছাত্রদের অজ্ঞাতপরিচয় বলা হয়েছে, তাই জড়িত ছাত্রদেরও ছাড় দেয়া হবে না।’

মাঠপর্যায়ের প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শুধু ঘটনাটি কীভাবে শুরু হলো তা তদন্ত করেছি। টানা সংঘর্ষ চলার কারণে প্রথমেই ঘটনা সম্পর্কে আমরা কোনো স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছিলাম না। তাই শুরুতেই দুই দোকানের যারা ঝামেলা পাকিয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে চাচ্ছিলাম।‘

মকবুল হোসেনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুই দোকানের মালিক হওয়ায় এবং কর্মচারীদের বিরোধ মীমাংসা না করে ঘটনাকে বড় হতে দেয়ার দায় তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। তবে সেখানে আমরা পলিটিক্যাল কোনো ইস্যু বা ইন্ধন পাইনি, তাই মকবুলের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।’

নিউ মার্কেটে বাইরে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকে আলাদা ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। একটি সংস্থার এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরুর দিকে অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা এই ২৪ আসামির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মচারীরা নিজেদের বিবাদে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ডেকে আনে। তবে ছাত্ররাই উল্টো মার খান। এর জেরে উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে যায়।’

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আদালতে সব তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরব। আসামিরা যদি পারেন, সেখানে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগ কর্মী ইমনের বাবা জামায়াত সমর্থক, ভাই বিএনপির নেতা
‘সংঘর্ষের ভয়ে’ ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগে কমিটি নেই?
ঢাকা কলেজে ডিবি-র‍্যাবের অভিযান
নাহিদকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা তরুণ ছাত্রলীগের ইমন
সংঘাত ভুলে বেচাকেনায় নিউ মার্কেটের দোকানিরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

বাংলাদেশ
Former MP Tuhin and Shah Alam Murad Remand

সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর তুহিনের সাত দিন ও শাহে আলম মুরাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

এ সময় তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।

গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

তুহিনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারীরা শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে।

পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।

এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The formal charges of Abu Saeed murder case filed in the tribunal

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর আজ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার জন্য উপস্থাপন করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত সংস্থা আবু সাঈদ হত্যার যে তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছে, সেখানে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনাল-২ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।

এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামির মধ্যে পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আগামী ১৮ জুন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল-১।

২০২৪ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আবু সাঈদ (২৫)। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন ছাত্র-জনতা। এতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The lower court judges suspended previous orders of discipline

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির আগের আদেশ স্থগিত

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির আগের আদেশ স্থগিত

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি অনুমোদন ও গ্রহণ করে ২০১৮ সালের আপিল বিভাগের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে যে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ, সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।

রবিবার (২৯ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

এই আদেশের ফলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টে যে রিট শুনানি চলছে, তা নিষ্পত্তি করতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে, গত ২৬ জুন নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির বহুল আলোচিত গেজেট গ্রহণ করে ২০১৮ সালে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে সেদিন রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

রিভিউ শুনানির পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আজ শুনানিকালে বলেছি যে বিচার বিভাগকে ‘অ্যাসল্ট করে’ এই শৃঙ্খলাবিধি গ্রহণ করা হয়েছিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। কারণ, তার আগে নয়জন বিচারপতি এ বিষয়ে ভিন্ন আদেশ দিয়েছিলেন। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তৎকালীন সরকার বাধ্য করেছিল নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের গেজেট-সংক্রান্ত আদেশ দিতে। এটি দ্রুত রিভিউ করা প্রয়োজন বলেই আদালতের অনুমতি নিয়ে রিভিউটি করা হয়।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে ছিল

১. সংবিধানের ১৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সব বিভাগের কাজ সার্ভিস অব রিপাবলিকের ভেতরে পড়বে। তবে বিচার বিভাগের কাজ ও অবকাঠামোর সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সিভিল সার্ভিসের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। বিচার বিভাগকে অন্যান্য সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে একত্রিত করা যাবে না।

২. বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা এবং নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারিক কাজ করতে পারবেন না।

৩. সিভিল সার্ভিস অর্ডার ১৯৮০ অনুযায়ী সব ম্যাজিস্ট্রেটকে পিএসসির অধীনে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়। একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া সংবিধান পরিপন্থি।

৪. এই রায় পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা এবং কমিশন গঠন করতে হবে।

৫. সংবিধানের ১১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়ারির সবার চাকরির বিধিমালা (নিয়োগ, পদায়ন, বদলি পদোন্নতি ও ছুটিসহ অন্যান্য) প্রণয়ন করবেন।

৬. রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশন বিধিমালা প্রণয়ন করবে।

৭. সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে।

৮. বিচার বিভাগ জাতীয় সংসদ বা নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকবে না এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব বিচারক স্বাধীনভাবে কাজ করবেন।

৯. জুডিশিয়ারির (নিম্ন আদালত) বার্ষিক বাজেট প্রণয়নের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো হাত থাকবে না। এই বাজেট সুপ্রিম কোর্ট প্রণয়ন এবং বরাদ্দ করবে।

১০. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা প্রশাসনিক আদালতের আওতাভুক্ত থাকবেন।

১১. এই রায় অনুযায়ী বিচার বিভাগ পৃথককরণের জন্য সংবিধানে কোনো সংশোধন করার প্রয়োজন নেই। তবে পৃথককরণ আরও অর্থবহ করতে যদি সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তবে তা করা যাবে।

১২. জুডিশিয়াল পে-কমিশন জুডিশিয়ারির সদস্যদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত বর্তমান অবকাঠামো অনুযায়ী তার সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।

২০০৫ সালে এই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal assistance in 1 lakh 20 thousand 5 cases at government costs

সরকারি খরচায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০১ মামলায় আইনি সহায়তা

সরকারি খরচায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০১ মামলায় আইনি সহায়তা

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড)-এর মাধ্যমে সরকারি খরচায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০১ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত লিগ্যাল এইড-এর মাধ্যমে আইনি সহায়তার বিস্তারিত তথ্য এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ্যাল এইড-এ মে-২০২৫ পর্যন্ত ১২ লাখ ২৬ হাজার ১৯ জনকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্থাটির অধীনে সরকারি খরচায় এই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৯ হাজার ১৬৮ জন, দেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসের ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯২ জন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৯ হাজার ৩৩১ জনকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টারের (টোল ফ্রি- ১৬৪৩০) মাধ্যমে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৮ জনকে সেবা দেয়া হয়।

দেশে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের’ অধীনে সরকারি খরচায় এ সেবা দেওয়া হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MPs Sabina Tuhin and Faisal Biplob arrested

সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা তুহিন ও ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার

সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা তুহিন ও ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সাবিনা আক্তার তুহিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতায় উসকানি ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অন্যতম। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই নবাবগঞ্জের ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল (রবিবার) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটের মনিপুরীপাড়ার একটি আবাসিক ভবন থেকে ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে ডিবির আরেকটি দল।

তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট একটি হত্যা মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যার ঘটনায় তুহিন ও বিপ্লব—উভয়েই গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। বিশেষ করে, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় ফয়সাল বিপ্লবের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল বলে দাবি পুলিশের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির জন্য নয়, যথাযথ প্রমাণ ও মামলার ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুজনেরই রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে এবং তদন্তে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিবির কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

তদন্ত কমিশনের সংবাদ সম্মেলন

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই গুম করা হতো বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি এসব তথ্য জানান। কমিশনে দাখিল করা অভিযোগ বিশ্লেষণে এসব তথ্য দেন তিনি।

তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য যে ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে, তা হলো: ১. গুমের শিকার ব্যক্তিকে হত্যা করা। ২. বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো।৩. তাকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা। ৪. ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, অল্পসংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া।

গুম কমিশনের ২য় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়ার পর আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

গুম কমিশনের সভাপতি বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও বহু অপরাধী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকায় অনেক জোরালো প্রমাণ ও নিদর্শন ধ্বংস, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানারকম ভীতিকর ও আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তবুও বহু ভুক্তভোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সে কাহিনি তুলে ধরেছেন।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সভাপতি আরো বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে গুম একটি সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের ছায়াতলে ইসলামি উগ্রবাদের হুমকিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন ও শাসন দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশে পরিচালিত হয়েছিল। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছিলেন- মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক থেকে সাধারণ জনগণ।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ প্রক্রিয়ায় তারা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করে এবং নির্যাতন ও গোপন আটকের সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করেছিল। এমনকি সাধারণ নাগরিকদের বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছিল।

কমিশন অফ ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ১০ এ(১) ও (২) অনুযায়ী কমিশনে দাখিলকৃত ১৩১টি অভিযোগের বিষয়ে আইন মোতাবেক জিডি রেকর্ডপূর্বক ভিকটিমদের সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব এখন আর অস্বীকার করা যায় না। সকল ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা প্রায় একই ধরনের প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। পদ্ধতিগত নির্যাতন, সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার, একই ধরনের আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের ও একই ধরনের ভাষায় বর্ণনা। বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার এই সামঞ্জস্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ১৯ শতাংশ ফেরত না আসা ১২ জন ভিকটিমের বিষয়ে অগ্রগতি তুলে ধরেছি, যাদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। তাদের গুমের জন্য কারা দায়ী, তা প্রাথমিকভাবে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফিরে না আসা ভিকটিমদের বিষয়ে অপরাধী ও গুমের অপরাধ সংঘটনের স্থানসহ নানাবিধ বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি বা পুরোনো কললিস্ট না পাওয়াসহ নানারকম বিলম্বঘটিত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও কমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে কমিশন সন্ত্রাসবিরোধী যে সব মামলায় অপব্যবহার হয়েছে, তা ন্যায় বিচারের মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার মতো উপযুক্ত কাউন্টার টেরোরিজম মেথড বের করার জন্য দুটি সুপারিশ করা হয়।

এ সময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The accused in the murder case

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছেন হত্যা মামলার এক আসামি।

আসামি শরিফুল ইসলাম (২২) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদের ছেলে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানার জিসান হোসেন (১৪) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার পর সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে মারধর করে ছুটে পালিয়ে যান আসামি শরিফুল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন।

তিনি বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশকে আঘাত করে তিনি পালিয়ে যায় আসামি শহিদুল।

ডিএমপির প্রসিকিশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া ঢিলা করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।

মন্তব্য

p
উপরে