৮৮তম বারের মতো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল। আগামী ৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
পরে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন ।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রেমিকের ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে ৮ জনকে।
রায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাউদ হাসান বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৩ বছর বয়সী দণ্ডিত ওই ব্যক্তির নাম মাধব চন্দ্র পাল। তার বাড়ি টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকায়।
এজাহারে বলা হয়, মাধব পালের সঙ্গে প্রতিবেশী সত্যরঞ্জন পালের মেয়ে ও সদর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী বিথী রানী পালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে মাধব তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ১৫ মে বিথী ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে উঠলে এলাকায় সালিশ বৈঠকে মাধবের সঙ্গে তার বিয়ের দিন ঠিক হয়।
তবে ২০১৫ সালের ১৯ মে সকালে মাধব ফোনে বিথীকে জানায় চাপে পড়ে তিনি বিয়েতে রাজি হয়েছেন। বিয়ের পর বিথীকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তিনি বিথীকে আত্মহত্যা করতে বলেন। এই ফোন পাওয়ার পর বিথী কান্নাকাটি শুরু করে এবং নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনার পর বিথীর বাবা বাদী হয়ে ওই দিনই মাধব, তার বাবা সুশীল পাল, মা আলো রানী পালসহ নয়জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ বাদীকে আইনি সহায়তা দেন।
রায় ঘোষণার পর মাধব পালকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতি থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখ করতে অপশন চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী এ নোটিশ পাঠান।
মন্ত্রিপরিষদের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও বাংলাদেশ ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এ জন্য প্রত্যেক নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি না মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী অপশন যুক্ত করার দাবি করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করেন, তাহলে তাদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে একজন সুস্থ মানুষ আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করতে পারবে, কারণ তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা ততটা থাকে না।
এ কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কিনা এ ধরনের অপশন যুক্ত থাকলে তা দেখে সহজেই দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহতের বিয়ে থেকে ঠেকানো সম্ভব।
এ জন্যে বিয়ের আগেই বর এবং কনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককে জানতে হবে তারা থ্যালাসেমিয়া বাহক কিনা। দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী।
আরও পড়ুন:‘নাস্তা’র চাহিদা দিয়ে সকাল ৮টায় খাবার অর্ডার করি। দেড় ঘণ্টা পর সাড়ে ১০টায় জানানো হয়, অনেক চাপ এখন খাবার সরবরাহ করা সম্ভব না।’
পণ্য সরবরাহে নিজের এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
বুধবার বিকেলে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে কুরিয়ার সার্ভিস পরিচালনাকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় তিনি এমন কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অভিযোগ আছে, পণ্য সরবরাহে বেশি অর্থ নেয়া হয়। সহনীয় চার্জ ধার্য করতে হবে। সভায় কুরিয়ার সার্ভিসের সেবার মানের দিকটি আলোচনায় গুরুত্ব পায়।
এ সময় কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক ছাড়াও বেশ কয়েকটি কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কোনো কুরিয়ার সার্ভিসের সেবা নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলে তা ভোক্তা আগে সেই কুরিয়ারে অভিযোগ জানাতে হবে। সাত দিনের মধ্যে যদি প্রতিকার না মেলে তখন ভোক্তা আমাদের কাছে অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কুরিয়ার সেবা নিয়ে অভিযোগ আগের চেয়ে এখন কিছুটা কমেছে জানিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘কুরিয়ারে পণ্য হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয় না। প্রতিশ্রুত সময়ে পণ্য পায় না ভোক্তা। এক্ষেত্রে নানান যুক্তি দেয়া হয়।’
হাফিজুর রহমান পুলক বলেন, ‘সামনে আম-কাঠাল আসবে। কিন্তু যানজটের কারণে প্রতিশ্রুত সময়ে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয় না। ফলে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দায় কার?’
ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘আম যদি পচে যায় সে ক্ষেত্রে যেখান থেকে পাঠানো হবে, সেখান থেকেই যাচাই করতে হবে। ঢাকায় পৌঁছাতে পচে যাবে কিনা সেটা দেখতে হবে।’
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ১৬০ জন হলেও ৭৮ জন লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
ইকুরিয়ারের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল বলেন, ‘ঢাকার বাইরে ক্রেতারা ডেলিভারির ক্ষেত্রে খুব সমস্যায় ফেলে। বলেন, আজ না কাল আসেন। কিছু কাস্টমার প্রতারকও। এতে কুরিয়ার কোম্পানির ডেলিভারিতে ভোগান্তি হয়। ঢাকার বাইরে ১০ দিনের ডেলিভারি দেয়ার নিয়ম আছে।’
সভায় ই-কমার্স পলিসিতে কুরিয়ার কোম্পানিকে বিমার আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু এখনো কোনো বিমা কোম্পানি নেই যারা কুরিয়ারকে সহযোগিতা করবে।
এসএ পরিবহন কুরিয়ারের জেনারেল ম্যানেজার মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আম-লিচুর সময়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিতে চাই। কিন্তু চাপাইনবাবগঞ্জ, খাগড়াছড়ি এলাকায় রেটের বিষয় নিয়ে ভোক্তা আইনের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। দেয়ালে সেবার রেট টানানো থেকে অব্যাহতি চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত অহেতুক জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তরের নামে। এখানে আপিলের সুযোগ নেই। বেসরকারি সার্ভিস ভালো হওয়ার কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় অচল হয়ে গেছে।’
এ জন্য অহেতুক জেল জরিমানা না করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হোক।’
কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভোক্তা অভিযোগ করলে জরিমানার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী। এ জন্য অনেকে এখন এটা পেশা হিসেবে নিয়েছে। বলা হয়, লাইসেন্স নিতে লাখ লাখ টাকা লাগে। অনেকের এই ফি দেয়ার সামথ্য নেই। পোস্ট অফিসের সার্ভিস চার্জ, কুরিয়ার থেকে বেশি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কুরিয়ার সেবা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সমস্যা চিহ্নিত করে সেটা সমাধানে কাজ করতে হবে। একটা অভিযোগ সেল গঠন করা যেতে পারে।’
জানান, যেসব চার্জ নেয়া হয়, তা যৌক্তিক হতে হবে।
ভোক্তার ডিজি জানান, প্রায় অভিযোগ আসে কুরিয়ারে নিষিদ্ধ পণ্য আনা নেয়া করা হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত যেখান থেকে পাঠানো হচ্ছে, ভালোভাবে সেখানে যাচাই করা।
কুরিয়ার সেবাকে একটা কাঠামো দাঁড় করানোর আশ্বাস দিয়ে বলা হয়, এখন ক্যাশ অন ডেলিভারি সেবা চালু হয়েছে। ই-কমার্স একটা বিজনেস আইডি নিয়ে ব্যবসা করছে। একটা অ্যাপ শিগগিরই চালু হবে যার মাধ্যমে কাস্টমার এখানে অভিযোগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন:বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ডিডি) মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহের নামে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী।
তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে নেয়ার পর বিয়ে এড়িয়ে যান ডিডি। এ কারণে গত সোমবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলার আবেদন করেন ওই নারী।
সেদিনই বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলা আমলে নিয়ে বান্দরবানের ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসব তথ্য বুধবার জেলার সংবাদকর্মীরা জানতে পারেন। পরে বাদীর আইনজীবী দিপঙ্কর দাশ গুপ্ত তা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ডিডি নেয়ামতের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (১) ধারা ও দণ্ডবিধির ৫০৬ (২) ধারায় মামলা হয়েছে।
এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, অভিযোগকারী নারী বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইসলামিক মিশনের আওতায় সেলাই প্রশিক্ষক হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে চাকরি করছেন। ২০১৯ সালে ডিডি নেয়ামতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে সময় ডিডি তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত তাদের এই সম্পর্ক চলে। পরে বিয়ের জন্য ওই নারী চাপ দিলে ডিডি অস্বীকৃতি জানান ও বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণনাশ করা হবে বলে হুমকি দেন। নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই নারী মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিডি নেয়ামত বলেন, ‘আমার কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজশে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করতে ওই নারী আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। যেহেতু মামলা হয়েছে, সেহেতু আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি আদালতে নিস্পত্তি করা হবে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার কপি এখনও পাননি। হাতে পেলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ৮ জুন দিন ঠিক করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এই দিন ধার্য করেন।
মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য বুধবার দিন ঠিক ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৮ জুন নতুন দিন ঠিক করেন।
গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৫ মে দিন ঠিক করেন।
যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করা হবে।
২০ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়া। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। আদালত আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১১ মে দিন ঠিক করে। মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা হিসেবে দেখানো হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতিতে তাদের সাহায্য করেছে।
একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
আরও পড়ুন:রাজধানীর রমনার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে সুব্রত সাহা নামে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রমনা পুলিশের ধারণা, ওই প্রকৌশলী হোটেলের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। নিহতের বাড়ি চাঁদপুর সদরে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পাই হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একজনের মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।’
তিনি জানান, হোটেলের দ্বিতীয়তলার ছাদে পড়ে ছিল মরদেহ। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহে কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিট। মরদেহের সুরতহাল শেষে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সুব্রত সাহা নামে নিহত ওই প্রকৌশলী হোটেলেই চাকরি করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, টপ ফ্লোর থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে অন্যান্য কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:দিনাজপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘুষের ৮০ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়েছে।
শহরের বালুয়াডাঙ্গার অফিসে বুধবার বিকেল ৪টার পর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বিত জেলা দুদকের উপপরিচালক আহসানুল কবির পলাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘চিরিরবন্দর উপজেলার আমবাড়ীতে অবস্থিত ইশান এগ্রো অ্যান্ড ফুডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. রাশেদুজ্জামান রাসেল গত ২৫ এপ্রিল দিনাজপুর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে লাইসেন্স নবায়ন করতে যান। তখন উপমহাপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান লাইসেন্স নবায়নের জন্য তার কাছে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। রাসেলকে ২৭ এপ্রিল টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন তিনি।
‘এ সময়ের মধ্যে টাকা না দেয়ায় রাসেলকে ফোন করে উপমহাপরিদর্শক জানান, কারখানার কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ ও ম্যানেজার আশরাফুলের নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা থেকে রেহাই পেতে হলে ২৩ মে টাকাসহ অফিসে আসতে হবে। এদিন সকালে কাগজপত্র নিয়ে গেলে রাসেলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর।’
দুদক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় এদিন রাসেল দিনাজপুর সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। বুধবার তিনি ৮০ হাজার ঘুষের টাকাসহ কাগজপত্র মোস্তাফিজুরকে দেন। দুপুরে অভিযান চালিয়ে টাকাসহ আমরা তাকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য