মাথায় টুপি, লম্বা দাড়ি আর সুন্নতি পাঞ্জাবি- এই লেবাসের নিচেই লুকিয়ে ছিলেন দুর্ধর্ষ অপরাধী মুফতি মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুন। এই বেশ একদিকে যেমন তাকে নিরাপদে অপরাধ সংগঠনের সুযোগ করে দিয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের অর্থ আত্মসাতেও কাজে লেগেছে। লেবাসধারী মামুন সখ্য গড়ে তুলেছিলেন মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে পুলিশ পর্যন্ত।
মাথায় টুপি আর দাড়ি থাকলেও মাদক ব্যবসায় নিজস্ব সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন মামুন। ছিলেন মাদকসেবীও। তবে অপরাধ জগতে তার হাতেখড়ি হয়েছিল বড় ভাই মিজানের হাত ধরে। সাত বছর আগের চাঞ্চল্যকর আরেকটি অপহরণের ঘটনায় মিজানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কিন্তু জামিনে বের হয়ে এখন আত্মগোপনে আছেন তিনি।
মামুনের আত্মীয়স্বজন, পুলিশ, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০ কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী শিবু দাসকে অপরহরণের ঘটনায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ল্যাংড়া মামুন ও তার ভাই মিজানের চাঞ্চল্যকর সব কাহিনি।
জানা গেছে, কৃত্রিম ডান পায়ের ভেতরে করে অনায়াসে লাখ লাখ টাকার ইয়াবা পাচার করা ছিল মামুনের অন্যতম অপরাধগুলোর একটি। এ ছাড়া পটুয়াখালী শহরের সদর রোডে থাকা মাতৃছায়া দোকানে বসেও অনেক পরিচিতজনকে ইয়াবা সেবনে আকৃষ্ট করতেন তিনি। আর শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে গাজীপুরা বাজারসংলগ্ন রাস্তার উত্তর পাশের চিহ্নিত এক বাড়িতে ছিল মামুনের নারী ও মাদকের আসর। দামি গাড়িতে চড়ে ওই বাসায় তাকে প্রায়ই যাতায়াত করতে দেখেছে আশপাশের মানুষ।
বরগুনার এক জনপ্রতিনিধির সঙ্গেও মামুনের ঘনিষ্ঠতার ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ওই জনপ্রতিনিধির মোটরসাইকেলের শোরুমটি মামুন আর তার ভাই মিজানই করে দিয়েছেন। ওই জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ব্যবহার করে মামুন আসলে নিজের আখের গুছিয়েছেন।
অভিযোগ আছে, হুজুরি লেবাসের কারণে পটুয়াখালী শহরের অনেকেই লাভের আশায় নিশ্চিন্তে মামুনকে টাকা ধার দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মামুনের কাছে আমি ৩৫ লাখ টাকা পাব। ব্যবসায়ে তিন ভাগ লাভ দেবে- এই শর্তে প্রথমে তাকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছি। দেখছি- হুজুর মানুষ। সারা দিন হুজুরগো সাথে থাকে।
‘প্রথম ছয় মাস লাভের তিন ভাগ মামুন নিজে বাসায় এসে দিয়ে যেত। ধীরে ধীরে টাকার পরিমাণ বাড়াতে বাড়াতে ছয় মাস আগে আমি তাকে ৩০ লাখ টাকা দিই। কিন্তু এখন তো আমার সব শেষ।’
যে বাসায় মামুন তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন সেই বাসার মালিক পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকার মদিনা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু ইউসুফ। তিনি জানান, দুই বছর আগে মাসে ১০ হাজার টাকায় তার বাড়ির তৃতীয় তলার একটি বাসা ভাড়া দেন মামুনের কাছে। ওই বাসায় স্ত্রী, তিন সন্তান ছাড়াও বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে বাস করতেন মামুন। পুরো পরিবারটিকে পরহেজগার হিসেবেই জানতেন বাড়ির মালিক ইউসুফ।
ইউসুফের ছোট ভাই শহরের বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু সাইদের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিয়ে সেখানে মাতৃছায়া দোকানের মালামাল রাখতেন মামুন।
ইউসুফ জানান, মামুন সব সময় লম্বা দাড়ি, মাথায় টুপি ও পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে থাকতেন। প্রতি শুক্রবার মদিনা মসজিদে তার পেছনে জুমার নামাজ আদায় করতেন। তার স্ত্রী সব সময় বোরকা পরতেন। বয়স্ক এবং বৃদ্ধ হওয়ায় মামুনের বাবা-মা তৃতীয় তলা থেকে নিচতলায় সচরাচর নামেন না।
ইউসুফ আরও জানান, মামুনের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ছেলেটি বড়। সে শহরের কেজি স্কুল সড়কে দারুল কোরান মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ওই প্রতিষ্ঠানেই পড়াশোনা করছে মামুনের বড় ভাই মিজানের দুই মেয়েও। মিজানের খোঁজ নেই অনেক দিন ধরেই।
মামুনের অপরাধের কথা জেনে আবু ইউসুফ বলেন, ‘এ রকম একটা মানুষ আমার বাসায় ছিল বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। মানুষ কত রঙের হতে পারে তা মামুনকে দিয়েই জানা গেল। সে লেবাসধারী এক অপরাধী। আগে জানলে তাকে বাসা ভাড়া দিতাম না। বর্তমানে তার পরিবারকে বাসা ছাড়ার জন্য বলেছি।
‘তবে এই মুহূর্তে মানবিক কারণেই তাদের বাসা থেকে বের করে দিতে পারছি না। কারণ মামুনের একটি নবজাতক রয়েছে; যার বয়স মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন। তার বাবা-মা বৃদ্ধ। একজন মুসলমান হিসেবে এই অবস্থায় তাদের আমার বাসা থেকে বের করে দেয়া সঠিক হবে না। যদি মামুন জেল থেকে বের হয় কিংবা মামুনের কোনো অভিভাবক পাওয়া যায়, তবে তাদের জিম্মায় দিয়ে বাসা খালি করা হবে।’
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মামুন গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিনই তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে অটোরিকশায় চড়ে লঞ্চঘাটে যান। সেখান থেকে যাত্রীবাহী একটি ডাবল ডেকার লঞ্চে চড়ে ঢাকায় চলে গেছেন। বর্তমানে পটুয়াখালীর ওই বাসায় মামুনের বাবা আর মা ছাড়া একজন কাজের মহিলা অবস্থান করছেন।
শহরের আদালতপাড়ায় বসবাসরত ব্যবসায়ী বিএনপির সাবেক নেতা গাজী মিজানুর রহমান সাইদ বলেন, ‘তিন বছরের চুক্তিতে হোটেল হিল্টনের পূর্ব পাশে একটি দোকান মাতৃছায়া বুটিকসের জন্য মামুনের কাছে ভাড়া দিয়েছিলাম। মাসিক ভাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে তিন বছরের জন্য অগ্রিম নেয়া হয়েছিল। পরে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে হিসাব নিয়ে ঝামেলা করায় বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগেই ফেব্রুয়ারিতে মামুন আমার দোকান থেকে নেমে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘লম্বা দাড়ি, মাথায় টুপি, পায়জামা-পাঞ্জাবি দেখে সন্দেহ করার কোনো উপায় ছিল না। তার পায়ে সমস্যা ছিল। তবে তার একটি পা যে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন তা আমরা জানতাম না। তা ছাড়া তার হাঁটাচলায় বোঝার উপায় ছিল না যে, এটি তার কৃত্রিম পা। মূলত লেবাস দেখে আর কথাবার্তায় রাজি হওয়ায় আমি দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলাম। তবে সন্দেহ হয়েছিল কয়েক মাস আগের একটি ঘটনা শুনে।
‘আমার বিল্ডিংয়ের পশ্চিম পাশে লোটো কোম্পানির জুতার শোরুমের মালিক আবদুর রহমানকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মারধর করে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল মামুন। তখন বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয় এবং মামলাও হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু পরের দিনই দেখি সে জামিনে বের হয়ে এসেছে। বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। শিবু লাল দাস অপহরণে মামুনের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় এ ঘটনাটি নিয়েও এখন আলোচনা হচ্ছে।’
এদিকে শহরের সবুজবাগ এলাকার এসপি কমপ্লেক্সের মালিক ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী গোলাম সরোয়ার বাদল বলেন, “আমার ভবনের দোতলার একটি রুম ‘বাংলাদেশ রং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিই। মাসিক ৪০ হাজার টাকা ভাড়া হিসাবে ঈদের পর তাদের দোকানে ওঠার কথা। সেই হিসাবেই তাদের সঙ্গে আমার ডিড হয়েছে। কিন্তু শিবু দাস অপহরণের ১৫-১৬ দিন আগে মামুন এসে আমাকে বলে, ভাইয়া ওই দোকানটা আমার লাগবে। আমি ভাড়া নেব।
‘এই বলে আমাকে অনেক অনুরোধ করে। তখন ওর সঙ্গে পটুয়াখালীরই কয়েকটা ছেলে ছিল। আমি বলছি, দোকান তো ভাড়া হয়ে গেছে।
‘এমন কথা বলতেই মামুন বলে, যাদের সঙ্গে ভাড়া হয়েছে তাদের ভাড়াটারা আমি বুজবোআনে।
‘এই কথা বলেই মামুন চলে যায়। সাত-আট দিন পর কোনো কথাবার্তা ছাড়াই তার আগের দোকান বা অন্য কোথাও থেকে কাপড় রাখার কিছু র্যাক আমার দোকানে রেখে গেছে। কোনো ডিড ছাড়াই র্যাক পাঠানোর পর আমি ওকে কয়েকবার ফোনও দিয়েছি। কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি।’
মামুনের ভাই মিজানের কাহিনি
২০১২ সালের কোনো একদিন শহরের চৌরাস্তা এলাকার মধ্যবিত্ত মালেক মিয়ার কন্যা সুমা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক ও সামাজিকভাবেই বিয়ে হয় মামুনের ভাই মিজানুর রহমান ওরফে রং মিজানের। বিয়ের পর তাদের দুই কন্যার জন্ম হয়। আর দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের কয়েক দিনের মাথায় মুক্তিপণের টাকা আনতে গিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মিজান।
সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২ মে রাজধানীর বনানী থেকে টিএনজেড গ্রুপের মালিক মো. শাহাদাত হোসেনের আট বছরের সন্তান আবিরকে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন ল্যাংড়া মামুনের বড় ভাই মিজান ও তার সঙ্গীরা।
ঘটনার চার দিন পর ৬ মে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে মুক্তিপণের ৭৩ লাখ টাকা অপহরণকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়। ওই দিনই ঢাকার র্যাডিসন হোটেলের সামনে নগদ আরও ২৭ লাখ টাকা নিয়ে আবিরকে ফিরিয়ে দেয় মিজানসহ অন্যরা। পরে ১৭ মে পটুয়াখালী শহরের সদর রোডের মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে মুক্তিপণের টাকা তুলতে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা র্যাবের একটি বিশেষ দল মিজানকে আটক করে।
পরের দিন ১৮ মে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় অপহরণের ঘটনায় একটি মামলা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৯ সালের ১৬ মে ল্যাংড়া মামুনের ভাই মিজানসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৭ নম্বর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস। কিন্তু তার পরও ভুয়া জামিনানামা দেখিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান মিজান।
এ ব্যপারে কথা হয় মিজানের শ্বশুর মালেক মিয়ার সঙ্গে। লজ্জা ক্ষোভ আর হতাশাগ্রস্ত মালেক মিয়া বলেন, ‘সাত বছর ধরে কোনো যোগাযোগ নাই জামাইসহ তার পরিবারের কারও সঙ্গে। আমরা বিষয়টা ভুলে গেছি। ভুলে থাকতেই চাই। আমার আর মেয়ের কপাল খারাপ ছিল। তাই আজ এ অবস্থা। সাত বছর ধরে মেয়ে আর দুটি নাতি লালন-পালন করে যাচ্ছি।’
জানা যায়, অভাবের তাড়নায় গ্রাম ছেড়ে পটুয়াখালী শহরে এসে মামুন ও মিজান পরিবারের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। একপর্যায়ে পটুয়াখালীতে অবস্থান করে বড় চৌরাস্তায় ডেন্টিং-পেইন্টিংয়ের দোকান দিয়ে চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা শুরু করেন মিজান।
এ ছাড়া ঢাকা-পটুয়াখালী লঞ্চরুটে কেবিন বয়ের সুবাদে মাদক বহন, যানবাহনের জাল রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে মিজান পারদর্শী ছিলেন। মিজানের হাত ধরেই অপরাধ জগতে পা দেন মুফতি মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুন।
শিবু অপহরণ মামলার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পটুয়াখালী, আমতলী ও ঢাকা থেকে পটুয়াখালী পুলিশ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে বিআরটিসির চালক জসিম মৃধা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ায় তাকে ছাড়া বাকি ছয়জনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
কিন্তু এখনও রিমান্ড শুনানি হয়নি। কারণ ঢাকার ডিবি পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মামুনসহ তার তিন সঙ্গীকে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছে। তাই ওই মামলায় আসামিরা এখনও ঢাকায় রিমান্ডে আছে।
আরও পড়ুন:কুড়িগ্রামে শতাধিক দুস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
ভ্রাম্যমাণ এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং দুই টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয়।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার দুপুরে এসব শাড়ি, লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে।
আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।’
লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, ‘৬৫ বছর বয়সে কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান (একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি কিনলাম। খুব খুশি নাগছে।’
ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “‘ফুল’ দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মাকে নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।
‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র আট টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন:অতি তীব্র দাবদাহের মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
সীমান্তবর্তী জেলাটিতে শুক্রবার বেলা তিনটায় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জেলায় অতি তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।
তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগী। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।
পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। তা ছাড়া অতি গরমে নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষিকাজ করা যাচ্ছে না।
‘ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানে বেশি সেচ লাগছে, কিন্তু সেচ পাম্পে ঠিকমতো পানিও উঠছে না।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’
দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।
তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্জন বাঁশবাগানের ভেতর থেকে এক নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার বাঁশবাগান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।
পুলিশের ভাষ্য, বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাকশ্রমিকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ওই নারীর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায়, তিনি হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর।
হা-মীম গ্রুপের টিআইএসডব্লিএল-১ কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আনজু খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পরে কারখানা থেকে বাসায় যায়, কিন্তু আজ সকালে তিনি আর কারখানায় আসেননি।
‘পরে লাইনের সুপারভাইজার আনজুকে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কেউ তাকে (পোশাকশ্রমিক) হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিন চাকার ভ্যানের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো আবদুস সালাম (৫০) ও ছানোয়ার হোসেন (৪৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় কাটিগ্রাম বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর বন্দর আড়ত থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন, কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই আবদুস সালাম নিহত হন এবং গুরুত্ব অবস্থায় ছানোয়ার হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, নিহতদের একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এবং অপরজনের মরদেহ গোলড়া থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় গোলড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।
কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।
১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।
১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।
আরও পড়ুন:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৬০ বছর বয়সী হাজী উমর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।
একপর্যায়ে বন্যহাতির পালটি একটু পিছিয়ে যায়। পরে বাড়িতে যাওয়া সময় পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা হাতির পালটি উমর আলিকে ঘিরে ফেলে ও পা দিয়ে পিষ্ট করে।
বন বিভাগের ময়মনসিংহ মধুটিলা ফরেস্টের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত উমর আলির পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য