সাতক্ষীরা শহরে চেতনানাশক স্প্রে ও দুটি টিপ ছুরিসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকা থেকে রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলা শহরের কোটালিপাড়ার কান্দিআম্বর এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে বাবু ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাদোঘাটা এলাকার হিমালয় মণ্ডল।
সোমবার সকালে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার বলেন, ‘সকালে ওই দুজনকে আদালতে তোলা হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টির কয়েকজন সদস্য শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকায় অবস্থান করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে এসআই শিমুল হালদার ও এএসআই মাজেদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স সেখানে অভিযান চালায়।
সেখান থেকে পার্টির ওই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক স্প্রে ও দুটি টিপ ছুরি জব্দ করা হয়।
সাম্প্রতিক অভিযোগটি হলো, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এক ঠিকাদারের কাছে ভাড়া দিয়ে নানা ধরনের নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। আর সেই টাকা গ্রহণ করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
এবার সেই প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে স্কুলের অর্থ আত্মসাতের আরেকটি মামলায় বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ ওই স্কুলের ছাত্র অভিভাবক মো. সিরাজুল ইসলাম গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ১৩ জুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও সভাপতি হান্নান মোল্লা ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংক, কোটালীপাড়া শাখার সঞ্চয়ী হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
অর্থ আত্মসাতের সেই মামলাটিতে জামিনে ছিলেন বান্ধাবাড়ী জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হান্নান মোল্লা। বুধবার তারা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে কোটালীপাড়া আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুশ্রী রায় তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ওই স্কুলের মাঠ অবৈধভাবে ভাড়া দেয়ার সত্যতা যাচাই করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদাউস ওয়াহিদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ মাঠটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী চড়ক মেলারও আয়োজন করা হতো। মাঠটি দখলমুক্ত করতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে মাঠ দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চাঁদপাড়া গ্রাম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শতাধিক শিশু-কিশোরসহ স্থানীয় অনেক নারী-পুরুষ।
মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন করেন প্রতিবাদকারীরা। মানববন্ধন শেষে খেলার মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে ইউএনও এর কাছে গণস্বাক্ষর করা একটি লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, উপজেলার চাঁদপাড়া এলাকায় ছোট যমুনা নদীর তীরসংলগ্ন সুজাপুর মৌজার ১৮১৫ দাগের সম্পত্তিটি সরকারি এবং এসএ খতিয়ানে তা জনসাধারণের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জায়গাটিকে বছরের পর বছর ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয়রা। এ ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলাও অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠে। কিন্তু ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর প্রভাব খাটিয়ে নিজের সম্পত্তি দাবি করে মাঠটি দখল করে নিয়েছেন।
এর আগে মাঠটি উদ্ধারে চাঁদপাড়া এলাকাবাসী পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। তাই বাধ্য হয়ে মাঠ উদ্ধারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে নেমেছেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় সুমন, লুৎফর, মৃদুলসহ এলাকাবাসী জানান, তারা অনেক বছর ধরে ওই মাঠটিতে খেলাধুলা করে আসছেন। এ ছাড়া তাদের আর কোনো মাঠ নেই। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুর হঠাৎ করেই মাঠটি দখলে নিয়ে খেলার পরিবেশ নষ্ট করেছেন। তাই খেলার মাঠটি উদ্ধারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।
এদিকে পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান বলেন, ‘দখল নেয়া জায়গাটি আমার বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি; যার দাগ নম্বর ১৮১৬। আমি কারও জায়গা দখল করিনি। এলাকাবাসীর দাবি করা জমিটি ১৮১৫ দাগের। সেই অনুযায়ী তাদের জমি আলাদা।’
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলহাজ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, ‘এলাকাবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
অভিযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও।
আরও পড়ুন:নওগাঁয় চলতি মৌসুমে গুটিজাতের আম নামানো শুরু হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে বুধবার জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো আম কেনাবেচার ‘উৎসব’।
বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ব আম সরবরাহ নিশ্চিতে আগে থেকেই এই সূচি ঠিক করেছিল জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় জাতভেদে আম নামানোর সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়। সভায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও আমচাষি, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় গুটিজাতের আম নামানোর তারিখ ঠিক করা হয় ২৫ মে।
এ ছাড়া গোপালভোগ ৩০ মে ও ক্ষীরসাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাগানমালিক, ব্যবসায়ী, জেলা প্রশাসন সবার সঙ্গে আলোচনা করে আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তারিখ অনুযায়ী আম সংগ্রহ করতে জেলাজুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। পরিপক্ব ও ক্ষতিকারক কেমিক্যালমুক্ত আম খাওয়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে চাষিরা গুটি আম নামাতে শুরু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে জেলায় আম নামানোর উৎসব শুরু হলো।’
উন্নত জাতের আমগুলো নামানোর জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করলে ভালো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে যদি কোনো বাগানের আম পেকে যায়, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে নওগাঁর আমের খুব সুনাম রয়েছে। এ জন্য কয়েক বছর থেকে আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আম পাকানো, সংরক্ষণ বা বাজারজাতে কেমিক্যালের ব্যবহার ঠেকাতে নজরদারি রয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ টন। আশা করা হচ্ছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন আম উৎপাদন হবে। যার বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এর মধ্যে বিদেশে আম রপ্তানির জন্য কয়েকজন আমচাষিকে প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ আম প্রস্তুতের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। তাদের বাগান থেকেই আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, দুবাই, কাতার, সুইডেন ও ওমানে রপ্তানি করা হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাচাই করে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আসতে হবে। সেখানেই ইভিএম কাস্টমাইজেশন করে দেখানো হবে।
কুমিল্লা সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লায় ভোট পুরোপুরি ইভিএমে নেয়া হবে। এই যন্ত্র ব্যবহারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আপত্তি না থাকলেও স্বতন্ত্র পরিচয়ে দাঁড়ানো বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা ব্যালটে ভোট নেয়ার দাবি করছেন। তাদের দাবি, ইভিএমে কারচুপি করা যায়।
এই পরিস্থিতিতে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ইভিএম কাস্টমাইজেশন কার্যক্রম আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে করা হবে। সেখানে কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তার মনোনীত কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
যারা এখানে আসতে চান, তাদের ২৬ মে বিকেল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে বা প্রতিনিধির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ মের মধ্যে আবেদন না করলে ধরে নেয়া হবে যে ওই প্রার্থী ইভিএম কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া দেখতে আগ্রহী নন।
২৬ মে নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ মে।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। পরের বছর হয় প্রথম নির্বাচন হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটিতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিন গুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। বর্তমানে এই সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।
দুটি নির্বাচনেই কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ভোটেই জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। তার দল এবার ভোট বর্জন করায় গত দুবারের মেয়র এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
আওয়ামী লীগ এখানে পরপর তিনটি নির্বাচনে নতুন মুখ দিয়ে জয়ের চেষ্টায় আছে। প্রথম নির্বাচনে কুমিল্লা আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে নেতা আফজল খানকে দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরের বার তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাও পেরে ওঠেননি।
এবার নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে।
দুই দলেই আছে কোন্দল। সাক্কুর বিরোধিতা করে মাঠে আছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার। অন্যদিকে প্রয়াত আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
আরও পড়ুন:নাটোরের বড়াইগ্রামে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে এক চালক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের নুরে আলম ফিলিং স্টেশনের কাছে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৬০ বছর বয়সী বারিক সরদারের বাড়ি পাবনার বাহিরচর গ্রামে। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস রাজশাহী থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের নুরে আলম ফিলিং স্টেশনের কাছে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়।
এতে ট্রাকের চালক বারিকসহ অন্তত ১১ জন আহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে বারিকের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘণ্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।’
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে দোকান থেকে সোনা লুটের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৮৮ ভরি ৫ আনা সোনা।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সাহাপাড়া এলাকার রাজিব কর্মকার মিঠু ও নোয়াখালী জেলার উত্তর হাজিপুর গ্রামের তপু কর্মকার।
পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, নোয়াখালী থেকে গলিত সোনা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঢাকার দিকে রওনা দেন নোয়াখালীর নরোত্তম পুর গ্রামের অভিজিৎ কুড়ি নামে এক ব্যক্তি। পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অভিজিৎ কুড়িকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সোনা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হাত-পা বেঁধে দাউদকান্দির পুটিয়া এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ সেখান থেকে অভিজিৎকে উদ্ধার করে।
অভিজিতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবারই অভিযান চালিয়ে দাউদকান্দির সাহাপাড়া থেকে রাজিব কর্মকার ও চাঁদপুরের উত্তর মতলবের বাগান বাড়ি থেকে তপু কর্মকারকে আটক করা হয়। তপুর কাছে পাওয়া যায় লুট করা সোনা।
ওই সোনা সত্য নারায়ণ জুয়েলার্সের মালিক দেব রাজের বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর।
দেব রাজ জানান, আটক রাজিব কর্মকার ও তিনি সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। তার দোকানে বসতেন রাজিব। তবে অপরাধমূলক নানা কাজ করায় তাকে বের করে দেয়া হয়। এ কারণে ক্ষোভে তার সোনা লুট করেন বলে ধারণা দেবের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দাউদাকান্দি সার্কেল) ফয়েজ ইকবাল জানান, লুটের ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের নামে মামলা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য