× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Playground police station Case filed against protester Ratna
google_news print-icon

মা-ছেলে মুক্ত, মামলা নিয়ে পুলিশের গোলকধাঁধা

মা-ছেলে-মুক্ত-মামলা-নিয়ে-পুলিশের-গোলকধাঁধা
সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
এসি শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলা হয় নাই। সিদ্ধান্তটা হচ্ছে এ রকম, যেহেতু তিনি একটা মুচলেকা দিছেন, তিনি ভুল বুঝতে পারছেন। তিনি সরকারি কাজে আর বাধা দিবেন না। এ কারণে মা ও ছেলেকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

রোববার রাত ১২টার দিকে এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।

এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া নিয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ নানা তথ্য দেয়। ছেড়ে দেয়ার অল্প সময় আগেও পুলিশ জানায়, শুধু রত্নার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তার ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এর পর পরই তারা এই বক্তব্য থেকে সরে আসেন।

এ বিষয়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে জানতে চাইলে এসি শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলা হয় নাই। সিদ্ধান্তটা হচ্ছে এ রকম, যেহেতু তিনি একটা মুচলেকা দিছেন, তিনি ভুল বুঝতে পারছেন। তিনি সরকারি কাজে আর বাধা দিবেন না। এ কারণে মা ও ছেলেকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

একটু আগে বললেন যে মামলা হয়েছে। এমন তথ্য কেন দিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাই এইটা আসলে কী করার। আপনি তো বুঝেন সব কিছু। সিচুয়েশনেগুলো সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় পর্যন্ত তিনি অনমনীয় ছিলেন। পরে তিনি তার অথরিটির সঙ্গে কথা বলে একটা নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মামলা গ্রহণ করি নাই।’

তিনি বলেন, ‘ওই সময় পর্যন্ত আমি আপনাকে যে আপডেট দিয়েছি সেটা ছিল রিয়েল। এখন আপডেট দিয়েছি, তাদের অলরেডি ছেড়ে দিয়েছি।’

এর আগে রোববার সকালে কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনে থাকা সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। এই মাঠে কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে।

সকালে তেঁতুলতলা মাঠ থেকে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকালে সৈয়দা রত্না ফেসবুকে মাঠে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে লাইভ করছিলেন। লাইভ দেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

সকালে পুলিশ জানায়, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

কলাবাগানের বাসিন্দারা জানান, তেঁতুলতলা মাঠের এক বিঘা জমি এক জন বিহারির মালিকানায় ছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি আর দেশে ফেরেননি। সেই জায়গাটিতে স্থানীয় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করত।

সরকারি খাস জমি হিসেবে নথিভুক্ত এই ফাঁকা জায়গাটিতে থানা করতে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আর এর পর থেকেই সেই জায়গাটি খেলাধুলার জন্য ফাঁকা রাখার দাবি উঠেছে।

কলাবাগানে সিটি করপোরেশনের একটিমাত্র খেলার মাঠ আছে। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের পাশেই সেই মাঠ।

এর আগে ঘটনার বিবরণ দিয়ে সৈয়দা রত্নার মেয়ে শেউতি শাহগুফতা নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘গতকাল রাত একটার দিকে মাঠে ট্রাক নিয়ে আসে ইট, সুড়কি ফেলার জন্য। সকাল থেকে মাঠে ইট, সুড়কি ফেলা শুরু হয়। আম্মু সকাল ১০টার দিকে বের হয়ে মাঠের এখান থেকে একটা লাইভ করেন। তখন এক কথা দুই কথায় পুলিশ মাকে ধরে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়।

‘বেলা ১০টা ৫৩ মিনিটে আমার ছোট ভাই ঈসা আব্দুল্লাহ আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, বুবু আম্মুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এ কথা বলে সে ফোন কেটে দিল। আমি তাকে ফোন ব্যাক করতে করতে তখন ও বলল বুবু আমাকেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এর পর দুইবার ফোন দিলাম ফোন কেটে দিল। এর পর থেকে আমার ভাইয়ের ফোন বন্ধ।’

তিনি আরও বলেছিলেন, “আম্মুকে নিচতলায় একটা রুমে আটকে রেখেছে পুলিশ। থানায় কথা বলতে গেলে কলাবাগান থানার ডিউটি অফিসার বলেছেন, ‘ম্যাডাম আমার কোনো দোষ নাই। ওপর থেকে তাদের দুইজনকে আটকে রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে হলে ওপরের কারও সঙ্গে কথা বলুন।’ তবে থানায় কথা বলার মতো ওসি, পরিদর্শক কেউই নাই।

‘আমি তাদের অনুরোধ করেছি, আমার ভাই ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। তার বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাকে গারদে না রেখে বাইরে বসান। সে রোজা আছে। এই গরমে অসুস্থ হয়ে যাবে। এ ছাড়া তার ওপর একটা বাজে প্রভাব পড়বে। তারা (পুলিশ) বলে আমাদের কিছু করার নাই। সে ভেতরেই থাকবে। পরে একটা স্ট্যান্ড ফ্যান দেয়া হয়েছে। ওসি সাহেবকে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মাঠ, থানা কোথাও পেলাম না তাকে।’

সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে বেলা সাড়ে ৩টায় গিয়ে দায়িত্বরত কাউকেই পাওয়া যায় না। ওসির রুম বন্ধ পাওয়া যায়। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে থানা থেকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

আটকের বিষয় নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মো. ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কলাবাগান থানার জায়গাটা সরকারের পক্ষে ঢাকার ডিসি এটা অধিগ্রহণ করে পুলিশের নামে বরাদ্দ দিয়েছে। এই জায়গার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ২৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যে সরকার নিয়েছে। এই জায়গা বাংলাদেশ পুলিশের বরাদ্দ হওয়ার পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে দেয়া হয়েছে কলাবাগান থানা করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘জায়গা যেহেতু ফাঁকা পড়ে রয়েছে, বাচ্চাদের খেলার কথা অমুক তমুক বলে একটা গ্রুপ আছে যারা মামলা করে দেয়। এদিকে ফাইন্যান্স আসছে, কিন্তু কাজ শুরু করতে পারে না। যারা থানা করার জন্য সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছে, তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’

আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলা হতেও পারে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করেও ছেড়ে দিতে পারে।’

দীর্ঘদিন জায়গাটির মালিক না থাকায় দফায় দফায় দখলের চেষ্টা হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও সংস্কৃতিকর্মী সৈয়দা রত্না।

রত্না আটকের আগে বলেন, ‘প্রভাবশালীরা এ মাঠটি বারবার দখলের চেষ্টা করেছে। স্থানীয়রা সেটা প্রতিহত করেছে। এখন পুলিশ দখল নিয়েছে। আমরা বিচারের জন্য যাদের কাছে আশ্রয় নিতাম, তারাই দখল নিয়েছে।’

সৈয়দা রত্না বলেন, ‘আমাদের এই এলাকায় আর কোনো মাঠ নেই। আমি, আমার পূর্ব প্রজন্ম ও পরের প্রজন্ম সবাই এই মাঠে খেলাধুলা করে বড় হয়েছে। শিশুরা খেলার মাঠ না পেলে কোথায় যাবে?’

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় মেয়র প্রতিটি এলাকায় মাঠ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন দেখছি, যেটা আগে থেকেই মাঠ ছিল সেটা এখন দখল করা হচ্ছে সরকারিভাবে। যদিও সিটি করপোরেশন বলছে এই মাঠটি তাদের নয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশকে থানার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

কোনো পরিস্থিতিতেই এ মাঠটি দখল হতে না দেয়ার কথা জানান সৈয়দা রত্না। তিনি বলেন, ‘এই মাঠ দখল হয়ে গেলে এলাকায় শিশু-কিশোররা খেলবে এমন কোনো আর মাঠ থাকবে না। আমাদের সন্তানরা কোথায় খেলতে যাবে? তাদের বিকাশের জন্য এই খেলার মাঠটি প্রয়োজন। মাঠ বন্ধ করে কেন স্থাপনা করতে হবে? আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তেঁতুলতলা মাঠটি রক্ষা করা প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন:
‘তেঁতুলতলা মাঠে তিন মাস খেলতে পারছি না’
জবির মাঠ রক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী সংহতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে