বছর দুয়েক আগেও রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কিংবা এই স্টেশন হয়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ২৪টি ট্রেন বিপুল পরিমাণ যাত্রী আনা-নেয়া করেছে। কিন্তু দিনে দিনে যাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও, বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে ১৪টি ট্রেন। বাকি ১০টি চললেও সংখ্যা কমে যাওয়ায় কোনো ট্রেনই এখন সময়সূচি মেনে চলছে না। এসব কারণে রংপুর বিভাগে ট্রেনযাত্রীদের ভোগান্তি এখন চরমে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর বিষয়ে রংপুর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মোস্তাক আহমেদ জানান, জনবল সংকট এবং লোকসানের কারণে করোনার দুই বছরে বন্ধ হয়েছে ৮টি ট্রেন। এর মধ্যে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ বন্ধ হয়েছে সেভেন-আপ, এইট-ডাউন, ডেমু-আপ ও ডাউন এবং রমনা লোকাল আপ ও ডাউন। এ ছাড়া চলতি বছর ২ মার্চ বন্ধ হয়েছে কমিউটার ৬৩ ও কমিউটার ৬৪। বাকিগুলো বন্ধ হয়েছে করোনারও আগেই।
জানা গেছে, বন্ধ হওয়া ট্রেনের মধ্যে ‘রংপুর কমিউটার’ চলতো লালমনিরহাট-দিনাজপুর লাইনে, ‘উত্তরবঙ্গ মেইল’ বগুড়া-পঞ্চগড়, ‘লোকাল’ ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-দিনাজপুর, ‘পার্বতীপুর কমিউটার’ লালমনিরহাট-দিনাজপুর এবং ‘মিশ্র ট্রেনটি চলতো লালমনিরহাট-দিনাজুর লাইনে। প্রতিটি ট্রেনই যাওয়া-আসার পথে রংপুর স্টেশনে বিরতি দিতো এবং যাত্রী পরিবহন করতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এসব ট্রেন বন্ধ থাকায় চাকরি হারিয়েছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্তত ৫৪ কর্মচারী। আর লোকবলের অভাবে বন্ধ হয়েছে রংপুরের মীরবাগ, অন্নদা নগর, চৌধুরানী, সুন্দরগঞ্জের নলডাঙ্গা, দিনাজপুরের খোলাহাটি সাব রেলওয়ে স্টেশন।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বরত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে রংপুর স্টেশনেই জনবল সংকট রয়েছে। এর মধ্যে দুইজন সহকারী স্টেশন মাস্টার নেই বহু বছর ধরে। এ ছাড়া স্টেশন সুপার, বুকিং ক্লার্ক, টিকেট কালেক্টর, সিগন্যাল মেইনটেইনার এবং খালাসি পদেও লোকবলের অভাব রয়েছে। তারপরও জোড়াতালি দিয়ে চলছে উত্তরবঙ্গের পুরনো এই স্টেশনটি।
রংপুর রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন রুটে ট্রেনের যাত্রীদের ভিড় থাকলেও সবচেয়ে বেশি যাত্রী হচ্ছে ঢাকা রুটে। এই রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সেপ্রেস নামে দুটি ট্রেন রংপুর থেকে সরাসরি ঢাকায় যায়।’
রংপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রংপুর রেলস্টেশন থেকে পূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রেন যায়। অনলাইন কিংবা স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যেন নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়ে ফিরে যান।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রংপুর থেকে রেলে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬১ জন। এতে টিকিট বিক্রি বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৩৯১ টাকা।
এদিকে, ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের বরাদ্দ টিকিট কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রংপুরের যাত্রীরা। বিভাগীয় নগরী হিসেবে রংপুরের জন্য যে টিকিট বরাদ্দ তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে এই অঞ্চলের মানুষের। দ্রুত ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনসহ বিদ্যমান ট্রেনের কোচ বাড়ানো এবং বন্ধ ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
নগরীর সাতমাথা এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক আহমেদ কবীর রাজু বলেন, ‘রংপুরবাসী দীর্ঘদিন ধরে রংপুরে দিবাকালীন ট্রেনের দাবি জানিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। আসন্ন ঈদে বাড়ি ও কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে বাড়তি চাপে পড়তে যাচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষেরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে দুইদিন ধরে কমলাপুর স্টেশনে গিয়েও টিকেট পায়নি। ঢাকাগামী দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেসের বরাদ্দ টিকিট অল্প থাকায় রংপুরের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এটা দূর হওয়া দরকার।’
স্টেশন এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা সরওয়ার বলেন, ‘রংপুরে ট্রেনের যাত্রীদের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে ট্রেনের সংখ্যা। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে রেলের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারকে রেলের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রংপুর বিভাগীয় শহর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গমনেচ্ছুদের সংখ্যা বেড়েছে। এর পরিসংখ্যান তৈরি করে রংপুরে ট্রেন বরাদ্দ করতে হবে।’
রংপুর মেডিক্যাল পর্বগেট এলাকার বাসিন্দা গোলাম রহমান বলেন, ‘আমি নিয়মিত ঢাকা যাতায়াত করি। টিকিট কখনো পাই কখনো পাই না। ট্রেনের টিকিট পেতে ব্যর্থ হলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাসে যাই। আমি মনে করি, ট্রেন বাড়ানো দরকার।’
নগরীর কামালকাচনা (গুঞ্জনমোড়) এলাকার বাসিন্দা সাবিয়া হাসান বলেন, ‘আমি মাসে কমপক্ষে তিনবার ঢাকায় যাই। প্রতিবারই ট্রেনে যাই। ট্রেনে যাওয়াটাই নিরাপদ মনে করি। কিন্তু কখনো সময় মতো যেতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সকাল ৮টার ট্রেন, বেলা ১১টা পার হয়ে গেছে তবু আসেনি। এটা হয়রানি। ট্রেন সময় মতো চললে আমাদের এত হয়রানি হয় না।’
রংপুর বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক ওয়াদুদ আলী বলেন, ‘বহু আন্দোলন করে রংপুর থেকে ঢাকাগামী রংপুর-এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালুর ব্যবস্থা করেছি আমরা। যাত্রীরও অনেক চাপ বেড়েছে। কিন্তু ট্রেন বাড়েনি বরং কমেছে। এ ছাড়াও আমরা রংপুর-ঢাকা দিবাকালীন, রংপুর-চট্রগ্রাম, রংপুর-সিলেট, রংপুর-রাজশাহী দিবা ও রাত্রীকালীন আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবি করে আসছি।’
রংপুর রেলের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেন্ডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, ‘করোনাকালে বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলো ইঞ্জিন সংকট এবং লোকামাস্টারের (চালক) অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। নতুন ট্রেন সংযোজন করা অথবা বিদ্যমান ট্রেনের কোচ সংখ্যা বাড়ানো দরকার। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত আছেন এবং দ্রুত এ সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চলছে।’
এসব বিষয়ে জানতে ফোন করা হয় বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (লালমনিরহাট) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদকে। তিনি বিরক্ত হয়ে দায়সারা ভাবে নিউজবাংলাকে বলেন, ঈদের পরে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবো। হয়তো ঈদের পরে এসব ট্রেন চালু হবে।’
এ নিয়ে রংপুর সদর আসনের সাংসদ সা’দ এরশাদকে কয়েক দফায় ফোন করা হলেও তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ টবগী ও হাসাননগরের পানিবন্দী পরিবারকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানার দিক-নির্দেশনায় শুক্রবার ( ৩০ মে ) বিকেল ৪ টায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাসাননগরের পুরান হাকিমুদ্দিন বাজার ও টবগী ৪নং ওয়ার্ডে পানিবন্দী এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল আলম নাসিম কাজী।
এসময় তারা টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নে নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ একশত পরিবারের মাঝে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মো: শহীদুল আলম নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বোরহানউদ্দিনের মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী শতাধিক বাড়িঘর ডুবে যায়। এছাড়া হাকিমুদ্দিন থেকে কাজীরহাটে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে সে বেড়িবাঁধের দুটি জায়গায় ছিদ্র হয়ে পড়ায় লোকালয়ে পানি ডুকে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্কেকের সৃষ্টি হয়। পরে আমাদের টবগী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেজোয়াল সহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে দুটি পয়েন্টে মাটি দিয়ে ভরাট করে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে একশত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আরো সহায়তা করা হবে। তারা বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই বেড়িবাধটি পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন না করলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের আহ্বান এই বেড়িবাঁধটি অতিদ্রুত পুনঃসংস্কার করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলমগীর মাতাব্বর, হাসাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির পাটোয়ারী, সমাজ সেবক সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার, হাসাননগর যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান সর্দার, টবগী যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেফজল, পৌর যুবদল যুগ্ন আহ্বায়ক সুমন পঞ্চায়েত, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন টিপু প্রমূখ।
সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নচাপটি বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, পাবনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পিরোজপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইনস ড্রিল সেডে জেলা পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, পুলিশ কনস্টবল রিক্রুটমেন্ট-২০২৫ এর ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৫ জন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
এ সময় ফলাফলে নিজেদের নাম শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ঘোষিত ও ভবিষ্যৎ পুলিশ কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকরা। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়াই ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় টাকা-পয়সা ছাড়া যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
পিরোজপুর পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও কনস্টেবল এর নিয়োগপ্রাপ্ত মো: শিহাব উদ্দিন সিকদার বলেন, চাকরির আশায় প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসে যাবতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। শারীরিক, লিখিত, মৌখিক সবগুলো পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি, চাকরিও হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
মোঃ শিহাব উদ্দিনের আম্মা বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে আমার ছেলের চাকরি হয়েছে। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ কিছুই লাগেনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা শতভাগ স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুষমুক্ত পরিবেশে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি।
এ সময় টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বরগুনা সদর সার্কেল মোঃ আবদুল হালিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল(গৌরনদী সার্কেল)মোসাঃ শারমিন সুলতানা রাখী সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বুধবার মধ্যরাত থেকে বওয়া ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির প্রভাবে ভোলা থেকে ঢাকা সহ অভ্যন্তরীন রুটের সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ফেরী চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন বিআইডব্লিউটিসি।
ভোলা নদী বন্দর সূত্রে জানা যায়, সাগরে নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় চরফ্যাশন বেতুয়া-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-আলেকজান্ডার, ভোলা-তজুমদ্দিন-মনপুরা, হাতিয়া মনপুরাসহ সকল রুটের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় বুধবার রাত থেকে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাট ও ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বরিশালের লাহার হাট ঘাটে কোনো ফেরি চলাচল করেনি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দুইটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ভোলার সব রুটে নৌযান ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের।
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় মাছ ধরার কোনো নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের নদীতে যেতে দেখা যায়নি। জেলে ও নৌকার মাঝিদের মাছঘাটে বসে লুডু খেলে ও পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দেখা গেছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় ভোলায় সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আবার কখনো ভাড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জোয়ারে স্বাভাবিক পানির চেয়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার, হাকিমুদ্দিন, খাঁসমহল, কাজীরহাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভোলার ২৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে জোয়ারের পানিতে ভোলার তজুমদ্দিনের নির্মাণাধীন রিং বেড়িবাঁধ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে রাতে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন মোটামুটি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফ মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুর্শিদ মন্ডলের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, আরিফ মন্ডল আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুতগতিতে কুষ্টিয়ার যাওয়ার পথে ডাংমড়কা এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত আরিফ মন্ডলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম জানান, দূর্ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা জানান, মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজন মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে।
লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ খবর জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, লঘুচাপের কারণে আজ (বুধবার) ভোর থেকে পটুয়াখালিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি।
তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর আকাশ আজ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়েছে উঠেছে।
তাছাড়া, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ (বুধবার) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমার আভাস দেওয়া হয়েছে।
পরের তিন দিন একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে পরের দুদিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এছাড়াও পঞ্চম দিন রবিবারও বৃষ্টিপাতের পর এই প্রবণতা কমে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সঠিক নয়।
সোমবার (২৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলা বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই খবরটি বিভ্রান্তিকর ও এটি সত্যনির্ভর নয়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মধুটিলা রেঞ্জে দীর্ঘমেয়াদি বাগান এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন।
‘পরবর্তীতে তিনি মধুটিলাতে একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন এবং হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক বন রক্ষার বিষয়ে মতবিনিময় করেন, যা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।’
এসব অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। ‘এরপরে একটি স্থানে কয়েকজন সাংবাদিক ও কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।’
তবে, এটি উপদেষ্টার সফরের সম্পর্কিত নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্তব্য