দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে অগ্নি নির্বাপণকারী কর্মীদের কাজের সুবিধা নিশ্চিত করে দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি ভবনের নকশা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে অগ্নি নির্বাপণকারী যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা এসব যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে দেয় বা নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ঢাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নকারী, প্রকৌশলী এবং স্থপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই কোনো প্ল্যান করবেন, প্রজেক্ট প্রস্তুত করবেন, যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রজেক্ট তৈরি করেন তাদের প্রতিও আমার এই অনুরোধ থাকবে এই সময়ে ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ সুবিধা যাতে থাকে সে বিষয়টা দেখতে হবে। অর্থাৎ তাদের গাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা, পানি পাওয়ার ব্যবস্থা। পানির প্রাপ্যতা যেন নিশ্চিত হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
ফায়ার সার্ভিসের জন্য কেনা আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারে সবাইকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, স্থানীয় জনগণেরও এই সম্পদ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারি সম্পদ মানে তা জনগণের সম্পদ।
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগল। সেখানে গেল ফায়ার ফাইটাররা গাড়ি নিয়ে। অমনি গাড়ির ওপর আক্রমণ, গাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দিল- এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। যারা এরকম করবে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা উদ্ধার কাজে যাবে, তাদের আক্রমণ যারা করতে আসে, তারা তো আসলে মানুষের শত্রু হয়ে যায়। কাজেই সেদিকটাও বিশেষভাবে দেখতে হবে, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গ
২০১৬ সালে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ওঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। পুরো বক্তব্য জুড়ে ঘুরে ফিরে আসে সেই অগ্নিকাণ্ডের কথা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন আগুন নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা তেমন ছিলই না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বসুন্ধরা এই সিটিটা, যেখানে আমাদের পান্থপথ, সেখানে হয়েছে। আসলে ওখানে ছিল খাল। নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। ওখানে নৌকাও আসত। আর ওই এলাকাটা ছিল বিশাল বিল এলাকা।
‘সেই বিল এলাকাটা ভরাট করে আর খালে বক্স কালভার্ট করার ফলে বসুন্ধরায় যখন আগুন লাগল, যে বিল্ডিং গড়ে ওঠেছে একটি বিলের ভেতরে সেই বিল্ডিংয়ে আগুন নেভাবার, পানি দেবার ব্যবস্থা নেই। পানি আনতে হয়েছিল হোটেল সোনারগাঁও থেকে, সোনাগাঁওয়ের সুইমিংপুল থেকে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়।’
ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের চার তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর সক্ষমতা ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরপর আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। (ফায়ার সার্ভিস) এই প্রতিষ্ঠান যাতে আরও সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে, আধুনিক হয়।’
বসুন্ধরা সিটির আগুন লাগার অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে, আমাদের আর্কিটেক্ট যারা, ইঞ্জিনিয়ার যারা, যারা ডিজাইন করেন বা সবকিছু করেন, প্রত্যেককে একটা কথা মনে রাখতে হবে।
‘যে কোনো একটা প্রজেক্ট যদি আপনারা তৈরি করেন, তাহলে সেই জায়গায় সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নি নির্বাপণের আধুনিক ব্যবস্থা আছে কিনা তা যেমন নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি যদি কখনও আগুন লাগে সেটা নেভাবার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় কিনা সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। জলাধারগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। বক্স কালভার্ট বা জলাধার ভরাট করে কিছু করা ঠিক না।’
জলাধার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার বক্তব্যে আবারও ফিরে আসে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গটি।
তিনি বলেন, ‘যেখানে শুধু জল ছিল, যেখানে শুধু বিল ছিল সেখানে একটা বিল্ডিংয়ে অগ্নি নির্বাপণে পানি পাওয়া যায় না, একটা হোটেলের সুইমিং পুল থেকে পানি আনতে হয়। ঢাকা শহরের যেখানে অজস্র খাল, বিল, পুকুরের জায়গা, বাংলাদেশটাই তো এরকম।
‘ভরাট করার আগে তো এই কথাটা মাথায় রাখা উচিত ছিল। অনেক সময় আগুন লাগলে কাছাকাছি পানি পাওয়া যায় না। সময় মতো পানি দিতে পারে না বলে তো আগুন বসে থাকে না। আগুনের গতি তো তীব্র।’
প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন
দেশে ৪৫৬টি ফায়ার স্টেশন আছে জানিয়ে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে ফায়ার স্টেশনগুলো উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, সেখানে ৫টি বিভাগে ২৫টি জেলায় ৩৯টি উপজেলায় ৪০টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কার্যক্রম আমরা চালু করতে যাচ্ছি। আগামী জুনের মধ্যে আরও ৫৫টি তৈরি হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অবশ্যই হতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।’
অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাপণে দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফায়ার ফাইটাররা যাতে আধুনিক, প্রশিক্ষিত হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।
‘ইতিমধ্যে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছু ফায়ার ফাইটারদের বিদেশেও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’
দেশের প্রতিটি ভবনে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা দেখাটাও আমাদের দায়িত্ব।’
টাকার মোহ জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে
দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ভবনের প্রতিটি তলায় টানা বারান্দা, বেলকনি রাখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থের মোহে ভবনগুলোতে টানা বারান্দা বা বেলকনি রাখা হয় না বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই কোনো প্রজেক্ট আসে আমি এই কথা বলি। কিন্তু সবসময় সেটা যে রক্ষা করা হয়, তা নয়। এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ ছাড়তে চায় না। ওইটুকু স্কয়ার ফিট ভাড়া দিলেই তো টাকা।
‘টাকার জন্য এই মোহ, অন্ধত্বটাও মানুষের জীবনকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে। কাজেই সেই বিষয়টা সবার মাথায় রাখতে হবে। অন্তত ফায়ার ফাইটাররা যাতে দাঁড়াতে পারে সেই জায়গাটা রাখতে হবে।’
দেশে ২০ তলা উচ্চতার ভবন পর্যন্ত ফায়ার ফাইটিংয়ের সক্ষমতা আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমি দেখতে পাই কেউ ১৭ তলা, কেউ ৩০ তলা, ৪০ তলা এরকম প্ল্যান করে বসে আছেন। তার আগে চিন্তা করতে হবে, এখানে কোনো দুর্ঘটনা দেখা দিলে সেখান থেকে উদ্ধার কাজ করবার মতো সক্ষমতা আমাদের কতদূর আছে। আমাদের সেই চিন্তাটা করে পরিকল্পনা নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
জলযানে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টিও ওঠে আসে সরকারপ্রধানের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘এত বড় বড় বিশাল জলযান। সেখানেও তাদের অগ্নি নির্বাপণের তেমন কোনো সুযোগ থাকে না। এ বিষয়টা দেখা উচিত।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিল্প-কলকারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণ দেয়া ও নিয়মিত বিরতিতে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে গোয়ালখালি এলাকায় বিসিকের অধিগ্রহণকৃত ৪০ একর জমির উপর নির্মিত হবে 'ভ্যাকসিন প্লান্ট'। যেখানে ঔষধের পাশাপাশি তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম।
প্রকল্পটি গোপালগঞ্জে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এসময় তিনি জমি রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্লান্ট একদম একপাশে হয়ে গেছে। ভ্যাকসিনটা যখন তৈরি হবে তখন এটা ফ্রিজিং করে সারা বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। সেজন্য আমার এমন একটা জায়গা দরকার যেখান থেকে সহজে যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে আমরা পাঠাতে পারবো। সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জটা সেজন্য আমাদের জন্য উপযুক্ত হয় না।
আর এখানে যে সমস্ত টেকনোলজিস্ট, বিশেষজ্ঞ লাগবে এটা সবসময় সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই এটা আমরা এখানে করার চেষ্টা করছি। এবং এখানে ৪০ একর জমি বিসিকের কাছ থেকে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের একটা প্ল্যান্ট- এটা এখানেই হবে যাতে করে আমাদের সমস্ত ঔষধ তৈরি করতে পারি, ভ্যাকসিন আমরা এখানে তৈরি করতে পারি এবং একইসাথে আমরা চিন্তা করছি- অ্যান্টিভেনম যেটা হয়, যেটা আমাদেরকে পাশের দেশগুলো থেকে আনতে হয়। অনেক সময় সাপের ভ্যারাইটি একরকম না, কোন কোন সময় সাপের কারণে যে ভ্যাকসিনটা দেয়া হয় ওটা কখনো কাজ করে, কখনো করে না। কাজেই আমরা এখন চেষ্টা করছি- আমাদের যেহেতু অনেক সাপ আছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপের বিষ এনে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এন্টিভেনম তৈরি করা হবে। আমাদের দেশের সাপ দিয়ে দেশেই ভ্যাকসিন-অ্যান্টিভেনম তৈরি হবে।
ভ্যাকসিন প্লান্ট নির্মাণে সময় প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা সিস্টেমের ব্যাপার। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে দেশের মধ্যে উৎপাদিত প্রায় ৭০ শতাংশ ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। কোয়ালিটিতে দেশের বাইরের তুলনায় এটি কোন অংশেই কম না। এটাকে ১০০ শতাংশে উন্নিত করতে হলে আমাদের আরও কিছু মেশিনারিজ আনতে হবে। মেশিনারিজগুলো আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত আনা যায়। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আনতে প্রায় ৬ মাসের মত লেগে যাবে।
তিনি বলেন, জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হবে, পাশের নদী শাসন করতে হবে। এরপরে মেশিনারিজ, প্ল্যান এগুলো পাশ করাতে হবে। ধরে নেন আগামী আড়াই থেকে তিন বছর লাগতে পারে। পরে উপদেষ্টা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইডিসিল এর গোপালগঞ্জ প্লান্টের ভ্যাকসিন ইউনিট এবং মানিকগঞ্জ প্ল্যান্ট স্থানান্তর করে এখানে আনা হবে। এজন্য ৪০ একর জায়গার সংস্থান করা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রামে প্রক্রিয়াধীন এন্টি ভেনম প্ল্যান্টও এখানে স্থানান্তরের নির্দেশনা প্রদান করেন। এটি সামগ্রিক বিবেচনায় লাভজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এসময় ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সামাদ মৃধাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন প্লান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্লান্টটিতে ২০২৮ সালের মধ্যে ছয় ধরনের ও ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০৩০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্যে উৎসবে আমন্ত্রণের জন্য সেনাপ্রধান আয়োজনকারীদের ধন্যবাদ জানান।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। শত বছর ধরে এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, বাঙালি, উপজাতি সবাই মিলে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এই দেশ সবার। আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। এখানে কোনো ধর্ম, জাতি বা গোত্রের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশের প্রতিটি বিষয়ে আমাদের সমান অধিকার। সেইভাবেই আমরা সামনের সোনালি দিনগুলো দেখতে চাই।’
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে— আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখব এবং সবাই মিলে শান্তিতে বসবাস করব। সারা বাংলাদেশে স্বশস্ত্র বাহিনী মোতায়েত রয়েছে। আমরা সব সময় জনগণের পাশে থাকব এবং এক হয়ে আপনাদের সাথে কাজ করে যাব।’
তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন এবং আপনারা আপনারা ধর্মীয় উৎসব আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করবেন। আমরা একসঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করব।’
সেনাপ্রধান আশাপ্রকাশ করেন, ‘জন্মাষ্টমীর এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এই আদর্শের ভিত্তিতেই আমরা একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব।’
প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনাদের মতে চিকিৎসা খাতে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটা বাজার আছে। এই বাজার আপনারা নিতে পারেন না? কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনও ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। তাদের যাওয়া বন্ধ করেন। এখানে সেবা দিলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না। যাওয়ার কোনও কারণই নাই। এই বাজার দখল করলে আপনাদের লাভ, দেশেরও লাভ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। আমার বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, গরিব ছেলে, ঢাকার একটি হাসপাতালে ১৪টি টেস্ট দিয়েছে। সে রাগ করে বাড়ি চলে গেছে। সেখান থেকে টেস্ট ছাড়া ভালো হয়ে ফেরত এসেছে। ওখানে তার পরিচিত ডাক্তার ছিল। এই অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টা টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। আরেকটা বিষয় হলো, নির্দিষ্ট ওষুধ কিনতে হবে, কেন? পৃথিবীতে কোন জায়গায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে ডাক্তারের। আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, এ দেশের বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যসত্ত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের!
আইন উপদেষ্টা বলেন, আরেকটা অভিযোগ করা হয়, টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অনেক জায়গায় অনেক ভালো রেজাল্ট হয়, আমি খারাপ জায়গার কথা বলছি। একটা জেনারেল কমপ্লেইন যেটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক লাগে, নার্সদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের মন খারাপ থাকে, হাসপাতালের কর্মচারীদের মন খারাপ থাকে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, ভালো সেবা দিতে চায় না। কেন চায় না– নার্সদের বেতন ১২ হাজার টাকা, আপনারা কি কম টাকা লাভ করেন? আপনারা যারা অনেকে হাসপাতালের মালিক আছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, আপনাদের কোটি টাকার বাগানবাড়ি থাকতে পারে, নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারেন না? নার্স যদি ১২ হাজার টাকা বেতন পায়, তাহলে কি ভালো সেবা দেবে? সে তো বিরক্ত হয়ে থাকবে। আপনারা লাভ করেন কিন্তু ন্যায্যভাবে করেন।
তিনি বলেন, আজ মানুষ ভারত-থাইল্যান্ড যেতে চায় না। আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আপনারা করোনাকালে প্রমাণ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেবা দিয়েছেন। কর্মীর যদি বেতন বাড়িয়ে দেন সামান্য লাভ থেকে কতো টাকা চলে যাবে? যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন, তাহলে ১০ শতাংশ কম লাভ হয়। ১০ শতাংশ কম লাভের বিনিময় সেই কর্মী যে সেবা দেবে সেটা দিয়ে পূরণ হয়ে যায়। আপনারা এদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।
বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।
ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।
মন্তব্য