সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশে সব নৌবন্দর ও লঞ্চঘাট এবং খেয়া পারাপারের চার শতাধিক ঘাট পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদাররা টোল আদায় করে। ঈদ সামনে রেখে এসব ঘাটে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০ থেকে ১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর নিয়োজিত ইজারাদার।
অথচ এ ঘাটে ইজারাদারের নৌকায় পারাপারের যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের চুক্তি রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের নৌপথের যাত্রী পারাপারে এহেন লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডব্লিউটিএ ইজারা দেয়া সারা দেশের চার শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে।
সাধারণ যাত্রীরা এই অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদাররা এলাকার ‘মাস্তান’প্রকৃতির উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেয়ার ফলে যাত্রীরা তাদের চাহিদামতো অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন।
সমিতি দাবি করে, এসব চাঁদা না দিলে যাত্রীদের মালামাল পানিতে ফেলা দেয়া হয়, মারধর করা হয়।
এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন দুই ব্যক্তি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্টমাক পরিষ্কার করার পর তাদেরকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গেন্ডারিয়ার কাঠেরপুল এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। তিনি নওগাঁর পোরশা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিকেল ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর স্টমাক ওয়াশ করে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
সহকর্মী ইলিয়াস বলেন, ‘মিজানুর রহমান নওগাঁর পোরশা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুর থেকে একটি বাসে করে দরকারি কাজের জন্য বের হন। পরে ওই বাসে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে সুকৌশলে অজ্ঞান করে তার কাছে থাকা একটি স্মার্টফোন ও একটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাকে নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়।’
অপর ঘটনায় যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন এক ব্যবসায়ী। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর স্টমাক ওয়াশ করে ভর্তি করে নেয়া হয়।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও কন্ডাক্টর ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চলে যান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্ত্রী হালিমা বেগম ঢাকা মেডিকেলে এসে স্বামীকে শনাক্ত করেন।
হালিমা বেগম জানান, তার স্বামীর নাম জাহিদ হোসেন। তিনি গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ব্যবসা করেন। আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের বাসা থেকে বের হন।
তিনি বলেন, ‘তিনি আমার থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসেন। তার কাছে আরও ৩৫ হাজার টাকা ছিল। এই টাকা সাভারের নবীনগরে এক ব্যবসায়ীকে দেয়ার কথা। তিনি সকাল ১১টায় আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজার থেকে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন নবীনগর যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পথে বাসে তিনি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েন।
‘আমাদের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। বর্তমানে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নতুন নগর এলাকায় বসবাস করি।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন বাতিল হওয়ায় আবারও কারাগারে যেতে হয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ওই মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করে তাকে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দিয়েছিল আদালত। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানিতে সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে তার জামিন চান।
শুনানিতে আইনজীবী সমাজী বলেন, ‘এর আগে ১১ মে আদালত থেকে তিনটি শর্তে সম্রাট জামিন পেয়েছিলেন। তা হলো- দেশত্যাগ করতে পারবেন না, পাসপোর্ট জমা দেবেন, চিকিৎসার বিবরণ ও চিকিৎসা সনদ জমা দেবেন।’
সম্রাটের আইনজীবী বলেন, ‘তিনি (সম্রাট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের সিসিইউ থেকে উচ্চ আদালতের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি মুক্ত বাতাসে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ছিলেন না। তার চিকিৎসায় ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তিনি ওখানকার চিকিৎসকদের মুচলেকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে এসেছেন।
‘চিকিৎসকরা তাকে বলেছেন যে শরীরের এ অবস্থায় তার ছোটাছুটি করা উচিত নয়। জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। তার জন্য চিকিৎসকরা দায়ী থাকবেন না। মুচলেকা নিয়ে তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এমন ঘটনা এই প্রথম। দুদক এই জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করে। হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করলে আমরা আপিল বিভাগে চেম্বার জজের কাছে যাই। ৩০ মে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
‘আমরা যেন প্রেজুডিস না হই আবার উচ্চ আদালতের আদেশেরও যেন বরখেলাপ না হয়- এ রকম একটি আদেশ এই বিচারিক আদালত থেকে চাই।’
এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দীর্ঘমেয়াদি বক্তব্য শুনলাম। আমরা জামিন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গেলে হাইকোর্ট বলেন যে রং কনসেপশন অফ ল’। নিম্ন আদালতে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছিল তা ফ্রেশ নয়, অনেক আগের।’
দুদক আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সমাজী বলেন, ‘জাজমেন্টের বাইরে কোনো কিছু বলা সমীচীন নয়।’
এই পর্যায়ে কাজল হাইকোর্টের আদেশ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ‘জামিনের বিষয়টি আপিল বিভাগে পেন্ডিং। সুতরাং এ মুহূর্তে জামিন নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। জামিনের বিষয়ে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চ সিদ্ধান্ত দেবে, এই আদালত নয়।’
এ সময় বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষের (দুদক) কাছে জানতে চান- তাহলে বর্তমানে আসামির স্ট্যাটাস কি? উত্তরে কাজল বলেন, ‘এখানে আমাদের আর কিছু করার নেই। আসামি জেলহাজতে যাবে।’
এ সময় সমাজী বলেন, ‘তাহলে যে হাসপাতাল থেকে সম্রাট আদালতে এসেছেন সেখানে ডাইরেকশন দেয়া হোক।’
এই পর্যায়ে ১৫ মিনিট পর আদেশ দেয়া হবে জানিয়ে আদালত মুলতবি করেন বিচারক।
১৫ মিনিট পর বিচারক খাস কামরা থেকে এজলাসে আসন নিয়ে হাজতি পরোয়ানামূলে সম্রাটকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিচারক আদেশে বলেন, মামলার ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নেই। এ মামলায় পরবর্তী তারিখ ৯ জুন জামিন ও অন্যান্য শুনানি হবে।
একই আদালত এর আগে ১১ মে তিন শর্তে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করে। ১৬ মে দুদক সম্রাটের জামিন বাতিলের আবেদন করে উচ্চ আদালতে। ১৮ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিল করে। একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি বিচারককেও সতর্ক করে হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শাসমুর রহমান মঙ্গলবার বিকেলে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামি ২৬ বছরের রাজা মিয়ার বাড়ি চাঁদপুরের মোহনপুর গ্রামে। ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই শিশুটির পরিবার ও আসামি রাজা একই বাড়িতে ভাড়া থাকে। সে সুবাধে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালো সম্পর্কে গড়ে ওঠে। ‘ভুক্তভোগী’ শিশুটি রাজাকে মামা বলে ডাকত।
এরই মধ্যে রোববার রাত ১০টার দিকে ভিডিও গেমের কথা বলে রাজা ভাড়াটিয়া বাসার ছাদে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশুটির বাবা থানায় এসে ঘটনাটি জানালে মামলা রুজু করা হয়। মামলার পর পর অভিযান চালিয়ে আসামি রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে তোলা হয়।’
পরির্দশক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মামলার পর গ্রেপ্তার করে আসামিকে আদালতে তুলে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:যশোরের শার্শায় স্ত্রীকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে আসামি খলিলুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় খলিলুর পলাতক ছিলেন। তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
যশোরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সামছুল হক মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহ আলম।
আসামি খলিলুরের বাড়ি শার্শা উপজেলার বেনাপোল পুটখালী গ্রামে। আর তার স্ত্রী নিহত রেহেনা খাতুনের বাবার বাড়ি শার্শার ইছাপুর গ্রামে।
রেহেনা ও খলিলুরের বিয়ে হয় ১৯৯৯ সালে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শ্যালিক মিনা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন খলিলুর। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়।
কিছুদিন পর মিনাকে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয় পরিবার। এতে ক্ষেপে গিয়ে রেহেনার উপর নির্যাতন শুরু করেন খলিলুর। রেহানা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। সে বছরের ১৪ জুন দুপুরে ওই বাড়ি গিয়ে সিনেমা দেখতে নেয়ার কথা বলে রেহেনাকে নিয়ে যান খলিলুর। এরপর থেকে রেহেনা নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন সকাল ৭টায় ইছাপুরের একটি মাঠ থেকে রেহেনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যা সন্দেহে পরদিন তার মা আবেদা খাতুন শার্শা থানায় খলিলুরের নামে মামলা করেন। খলিলুর তখন থেকেই পলাতক।
তদন্তে উঠে রেহেনাকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন খলিলুর।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বাসের চাপায় সচিবসহ দুইজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় এক বাস চালকের ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য মঙ্গলবার বেলা ৪টার দিকে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী (এপিপি) মথুরনাথ সরকার জানান, আসামিকে একই সঙ্গে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিত ৩৫ বছরের চালক আনোয়ার হোসেনের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলা এলাকায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে ৩১ জুলাই প্রাইভেটকারে করে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজিয়া বেগম ও বিসিকের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ চারজন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয়ের উথুলী সংযোগ মোড়ে এলে একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক রাজিয়া ও সিদ্দিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিসিকের এজিএম শামসুল হক শিবালয় থানায় মামলা করেন। মামলার পর চাপা দেয়া বাসের চালক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ভূইয়া ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১০ জনের স্বাক্ষ গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
এপিপি মথুরনাথ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনটি ধারায় আসামিকে ৯ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিচারক জরিমানার টাকা দুই নিহতের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্রে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে তাকে দিয়ে করানো হয় যৌন ব্যবসা।
কিছুদিন পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন দুজন। পরে আবারও তরুণীকে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেয়া হয়। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পর দেশে পালিয়ে এসে পাঁচ যুবকের নামে মামলা করেন তরুণী।
হবিগঞ্জে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট নাহিদ হাসান।
তিনি জানান, মামলার পর পুলিশ লালমনিরহাট থেকে তিনজনকে এবং র্যাব হবিগঞ্জ থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে প্রধান আসামি সোহেল মিয়াকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। সোহেলের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বেতাপুর গ্রামে।
লেফটেন্যান্ট নাহিদ হাসান জানান, সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ৩ বছর আগে ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের এক তরুণীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমিক সোহেল গত বছরের মার্চ মাসে সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যান ওই তরুণীকে। এ সময় সেখানে তাকে আটকে রেখে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে সোহেল ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। পরে তরুণীকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেন সোহেল। পাচারের আগে তাকে ধর্ষণ করেন সোহেল ও চার সহযোগী।
ভারতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ মে দেশে পালিয়ে আসেন তরুণী।
২১ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় পাঁচ যুবকের নামে পাচার, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন তরুণী।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় তেলের লরি বিকল হয়ে পড়লে তা সারানোর কাজ করছিলেন মোহাম্মদ হৃদয় নামের ১৮ বছরের এক তরুণ। তিনি লরির নিচে, চাকার পাশে কাজ করার সময় হঠাৎই লরি গড়িয়ে তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাত ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রামপুরা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) ফারুক হোসেন জানান, তারা খবর পেয়ে বনশ্রী এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের দাদা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হৃদয় মোটর মেকানিকের কাজ করত, রাতে রামপুরা বনশ্রী এলাকায় একটি তেলের লরির নিচে কাজ করার সময় ওই তেলের লরিতে চাপা পড়ে। ওইখানেই ও মারা গেছে বলে আমরা জানতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলার তজুমুদ্দিন থানার গোশকপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নীরব।
হৃদয় নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানার পাগলা ট্রাকস্ট্যান্ডে থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় হৃদয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য