লালমনিরহাটে সময়মতো মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় কয়েকটি কেন্দ্রে তিন শতাধিক প্রার্থী যথাসময়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি। এ জন্য জেলা প্রশাসকের অবহেলাকে দায়ী করে কেন্দ্রগুলোয় বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা।
শুক্রবার লালমনিরহাট জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকায় তাদের অনেককেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
জানা যায়, এবার লালমনিরহাটে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার ৬০০ জন। নিয়োগ পরীক্ষাটি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা- এই চার সেটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এর মধ্যে জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। ওই তিন কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর কারণেই এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোয় মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে।
পরে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের নির্দেশনায় ওই কেন্দ্রগুলোয় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত মেঘনা সেটের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মেঘনা সেটের অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে যান।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসককে দায়ী করে শামসুর রহমান নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি আমার মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র এখনও আসেনি। পরে কেন্দ্রপ্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় আমরা বিক্ষোভ করি। বিক্ষোভের একপর্যায়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পর আমাদের পরীক্ষা নেয়া হয়।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রপ্রধান মাহবুবুল আলম মিঠু বলেন, ‘মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেরিতে আসায় আমরা দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের পরীক্ষাটি নিয়েছি।’
লালমনিরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউসুব আলী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার্থীদের ১০টার সময় কেন্দ্রে প্রবেশ করাই এবং বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু করি। কিন্তু হঠাৎ পরীক্ষার কক্ষগুলোয় প্রশ্ন দিতে গিয়ে ধরা পড়ে মেঘনা সেটের প্রশ্ন নেই। পরে তাদের রুমের মধ্যেই অপেক্ষা করাই এবং দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ওই সেটের পরীক্ষা গ্রহণ করি।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র সময়মতো না আসায় এই সেটের পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে যেসব কেন্দ্রে এই সমস্যা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের কিছু পর মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।’
এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না আনার কারণে অনেকে পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রবেশপত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনার বিষয়ে বলা আছে। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনেনি তাদের তো পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেই।’
এদিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে লালমনিরহাটে দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুবেল রানা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলার সময় অসদুপায়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার দায়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়া মহিদুল ইসলাম পাটগ্রাম পোস্ট অফিসপাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে এবং পীযূষ কান্তি রায় সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকার সন্তোষ কুমার রায়ের ছেলে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানান, আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন:নাটোরের বড়াইগ্রামে পৃথক অভিযানে পর্নো ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় জব্দ করা হয় ৪টি কম্পিউটার ও ১০টি হার্ডডিস্ক।
উপজেলার বাগডোব এবং জোনাইল বাজারে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, একই উপজেলার পাড় বাগডোব গ্রামের সিডি ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন ও বাগডোব গ্রামের আল আমিন ও শামছুল হক এবং চাঁদপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বুধবার সকাল ৯টার দিকে এসব জানান।
তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পর্নো ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রির অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। এরপর রাতেই বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দকৃত আলামত পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং টাকার বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে অনেকদিন ধরে হস্তান্তর করে আসছে তারা।
তারা মূলত কম্পিউটারের দোকানে গান, সফটওয়ার লোড,মোবাইল মেকানিক্সের ব্যবসার আড়ালে পর্নোগ্রাফী সংরক্ষণ ও বিক্রি করত।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ তে বলা হয়েছে, পর্নোগ্রাফি বিক্রয়, ভাড়া, বিতরণ, সরবরাহ, প্রকাশ্যে প্রদর্শন বা যেকোনো প্রকারে প্রচার করিলে অথবা উক্ত সকল বা যেকোনো উদ্দেশ্যে প্রস্তত, উৎপাদন, পরিবহন বা সংরক্ষণ করিলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ (দুই) বৎসর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।
আরও পড়ুন:যশোরে ১৬টি সোনার বারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শার্শার গোগা সীমান্ত থেকে বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
৪০ বছর বয়সী জনি বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনা বিজিবি-২১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান (পিএসসি) নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শার্শার গোগা সীমান্ত দিয়ে বৃহৎ একটি স্বর্ণের চালান পাচার হবে- এমন খবর পেয়ে গোগা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ওই এলাকার ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেন। পরে তার শরীরে লুকিয়ে রাখা ১৬টি সোনার বার জব্দ করা হয়।
‘এ বারগুলোর ওজন এক কেজি ৮৪৬ গ্রাম। আটক সোনার বারের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা।’
সোনার বারসহ আটক আসামি জনিকে শার্শা থানায় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মনোরঞ্জন দাশ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, তার ভাই আবদুল গাফফার, বলকিপার রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনি।
পিপি জানান, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটি এলাকায় অবস্থিত দুটি মসজিদে জুমার নামাজের পর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে করা এই মামলায় আসামি করা হয় ৪ জনকে। পরে পুলিশের তদন্তে আসামি আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
মনোরঞ্জন বলেন, ‘মামলার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। বিচার শুরুর পর চলতি বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।’
আসামিদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান পিপি।
আরও পড়ুন:নিরাপদ হলের দাবিতে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে আলাদা ছয়টি হল রয়েছে; যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। প্রায় প্রতিনিয়তই হলগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে অনেক সময় অনেক শিক্ষার্থী আহত হচ্ছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিগগির তারা সংস্কারকাজ শুরু করবে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লিসা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় আমাদের। এখন নিরাপদ হল আমাদের দাবি।’
শিক্ষার্থী এহসান উল্লাহ বলেন, ‘ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। গত রাতেও আমাদের এক সহপাঠীর রুমের পলেস্তারা খসে পড়ে, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় সে। আমাদের একটাই দাবি, আমরা নিরাপদ হল চাই।’
তাহসিন আহম্মেদ বলেন, ‘হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। দ্রুত এই ছাত্রদের পুনঃ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
আবাসনসংকট নিরসনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, কিন্তু হল নির্মাণ করা হয়নি। আবাসনসংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
হুঁশিয়ারি দিয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে হল নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি জানাই। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সচিব মহোদয় কিছুক্ষণ আগে ফোন করে হোস্টেল সংস্কারের কথা বলেছেন। আমরা অতি দ্রুত কাজ শুরু করব। এ ছাড়া কলেজে দুটি হোস্টেল নির্মাণকাজ শিগগির শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় মঙ্গলবার রাতে এ সংঘর্ষ হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সীতারামপুর গ্রামের রিয়াজুদ্দিন গোষ্ঠীর রাজুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। রাতে ছিল গায়ে হলদু। তবে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানের ডেকোরেশনের কাজ পেল দৌলতপুর গ্রামের হাসান আলী বাড়ির এক ছেলে।
ডেকোরেশনের মধ্যে ছিল বিয়ের গেট ও মঞ্চ আলোকসজ্জা করা। ডেকোরেশনের এ কাজ সিতারামপুর গ্রামের লোকজনের ভালো লাগেনি দেখে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ানোর কারণে টানা আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে মামলা হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় রুবেল হোসেনের দাফন নিজ বাড়ি মেহেরপুরে হয়েছে।
সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
নিহত এই চারজনের দাফন মঙ্গলবার রাতে জামালপুরে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চারজনের দাফন হয়েছে নিজ বাড়ি জামালপুরে।
মেলান্দহ উপজেলার আগ পয়লা গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝরনা বেগম এবং তার দুই শিশুসন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতের দাফন সম্পন্ন হয়।
ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে কনের মা ফাহিমা বেগমকে নিজ বাড়ির আঙিনায় দাফন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল নীল বাতির সঙ্গে সাইরেন বাজিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে এলে ভিড় জমায় শত শত উৎসুক জনতা। আর অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্বজনদের চিৎকার। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। হঠাৎ এমন মৃত্যুতে হতবাক নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসীও।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য