নিউ মার্কেট ও আশপাশের কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষের দিন থেকেই তুমুল আলোচনা দোকানিদের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে। সামাজিক মাধ্যমের এ শোরগোলের বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কানেও গিয়েছে। এতদিন পাত্তা না দিলেও তাদের এখন ভাবতেই হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে।
মঙ্গলবার দুই পক্ষ যখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দিন পার করছিল, তখন ভুক্তভোগী নারীরা ফেসবুকে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরছিলেন। পরে ছেলেরাও লিখতে থাকে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো।
ক্রেতারা যে ক্ষিপ্ত, সেটি এখনও স্পষ্ট। আর এতদিন পর হুঁশ ফিরেছে ব্যবসায়ী নেতাদের। এখন ক্রেতাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে বলছেন তারা। ঈদের পর বিষয়টি নিয়ে কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলছে দোকান মালিক সমিতি।
তবে ব্যবসায়ী নেতাদের এসব কথাবার্তায় ক্রেতাদের যে আস্থা নেই, সেটি সামাজিক মাধ্যমের লেখনীতেই স্পষ্ট।
কটূক্তির কারণে মামলা করেও লাভ হয়নি
গণমাধ্যমকর্মী মারুফা রহমান নিউ মার্কেট লাগোয়া ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের নন্দিতা ফ্যাশনে প্যান্ট কিনতে গিয়ে কটূক্তি ও অপমানজনক কথাবার্তা শোনার পর মামলা করেছিলেন। সেই মামলা তুলে নিতে আবার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে হুমকিও এসেছিল।
কয়েক বছর আগের ঘটনাটি নিয়ে ওঠা অভিযোগটির শুনানিও হয়েছিল আদালতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে কিছুই জানেন না মারুফা।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, ছোট বোনকে নিয়ে প্যান্ট কিনতে গিয়ে পছন্দ হলেও কোমরের সাইজ না হওয়ায় নেবেন না জানালে দোকানি বাজে ব্যবহার করেন। দোকান থেকে বের হয়ে আসার সময় বাজে ভাষায় গালি দেন।
মারুফার ভাষ্য, তখন ফিরে গিয়ে ‘গালি কেন দিচ্ছেন’- এটা বললে দোকানি বলেন, ‘গালি দিছি, ঠিক করছি। তুই চলে যা। না হলে চোর সাজাইয়া মার্কেটের লোক দিয়া পিটামু।’
তখন আশপাশের দোকানিদের কাছে অভিযোগ জানান মারুফা। তারা উল্টো তাকে ধমক দিয়ে বলে, ‘মেয়ে মানুষ এত কথা না বলে মাথা নিচু করে চলে যান। আপনি আবার ফিরে আসছেন ক্যান? এতগুলো মাল দেখছেন নিবেন না কেন?’
তখন সবাই এক হয়ে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করে।
বাইরে বের হয়ে টহলরত এসআইকে বিষয়টি জানালে তিনি থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন মারুফাকে। থানায় গিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর বিকেলে একজন এসআই তার সঙ্গে মার্কেটে যান। কিন্তু যারা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল, তারা সে সময় ছিল না।
এরপর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মারুফা। সেখান থেকে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার কিছুদিন পর জানাবেন।
এরপর দোকানের মালিক সমিতি থেকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ফোন আসে মারুফার কাছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য চাপ দেয়া হয়।
মামলার দুই বছর পর বিচারিক আদালত থেকে শুনানির জন্য ডাকা হয়। কিন্তু এরপর মার্কেটে গিয়ে একাধিকবার নন্দিতা ফ্যাশনে সেই কর্মচারীকে দেখেছেন তিনি।
মারামারির তিন দিন আগেও নিউমার্কেটে গিয়ে কটূক্তির শিকার হন মারুফার পরিচিত একজন। সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এই গণমাধ্যমকর্মী লেখেন, “নিউ মার্কেট থেকে একজন নারী প্যান্ট কিনতে গেলে দামাদামির একপর্যায়ে মেয়েটা দাম কম বললে দোকানদার উত্তর দেয়, ‘প্যান্ট নাকি পেন্টি- কোনটা কিনতে আসছেন?’
“দোকানদারের উপর চিল্লায়ে উঠলে আশপাশের দোকানদার মিলে মেয়েটাকেই দোষারোপ করে কম দাম বলার জন্য। এখন বলেন কী বলবেন এদের নিয়ে?”
না কিনলেই আজেবাজে মন্তব্য
আরেক গণমাধ্যমকর্মী মরিয়ম সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দোকান কর্মচারীদের এমন অবস্থা যে, কোনো দোকানে জিনিস দেখলেই কিনতে হবে। না নিলে আজেবাজে মন্তব্য করে।
‘এত বছরেও নিউ মার্কেটের আকার বড় হলো না। গলি, ওভারব্রিজসহ আশপাশে এত সংকীর্ণ (কনজাস্টেড) যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়।’
তিনি মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ফেসবুকে লেখেন, ‘নিউ মার্কেট একটা সার্কাসের ময়দান, কারণ এখানে গেলে মাথায় রাখতে হয়- ব্যাগ সামনে নিয়ে হাঁটতে হবে। ভিড়ের মধ্যে অ্যাঙ্গেল করে হাঁটতে হবে। ১ হাজার টাকা দাম চাইলে ৫০০ টাকা, পারলে তারও কম বলতে হবে। জিন্স-টিন্স না পরে ঢিলেঢালা সালোয়ার-কামিজ পরতে হবে (সালোয়ার-কামিজ পরে ভিড়-ভাট্টা, যানবাহনে চলাচল রিস্কি হওয়া সত্ত্বেও), বাজে মন্তব্যের প্রতিবাদ করার শক্তি না থাকলে ওড়না ঠিকঠাক রাখতে হবে, অরিজিনাল লেদার আর আর্টিফিশিয়াল লেদারের পার্থক্য গুগল-টুগল করে আগে-ভাগে নিজে জেনে যেতে হবে, ইত্যাদি।’
এক দোকানি কটূক্তি শুরু করলে যোগ দেয় অন্যরাও
আরেক ভুক্তভোগী নুসরাত জাহান বলেন, ‘মার্কেটে গিয়েছি প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনতে৷ দাম শুনে বেশি মনে হওয়ায় বন্ধুকে বললাম- থাক দরকার নেই৷ দোকান থেকে বের হওয়ার সময় দোকানি বললেন, কিনবেন না তো এখানে আসছেন ক্যান? শুধু শুধু সময় নষ্ট করলেন।’
কটূক্তি করেই থাকেননি সেই দোকানি, পাশের দোকানিকেও বলেন সে কথা।
নুসরাত বলেন, ‘একদম বেরিয়ে যাচ্ছি; দেখি দোকানি ভদ্রলোক পাশের দোকানের লোকের দিকে তাকিয়ে বলছে, ‘কিনতে আসছে নাকি ঘুরতে আসছে৷ ভাব কত।’
তখন নুসরাত প্রতিবাদ জানান। বলেন, ‘আপনি এমন আচরণ করছেন কেন? আমি তো আপনার সঙ্গে একটা বাক্যও ব্যয় করিনি।’
এমন কথা শুনে সেই দোকানি ও আশপাশের অন্যরা একজোট হয়ে পড়ে। একজন বলেন, ‘আরে যান যান। এত কথা বাড়াচ্ছেন কেন?
নুসরাত বলেন, ‘এখানে এক দোকান কর্মচারী বাজে কথা বললে, পাশের হাজারো দোকানি একসঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলে। তখন সবাই এক! অথচ ভালো কাজের জন্য দুটো মানুষও খুঁজে পাওয়া যায় না।’
আরেক ক্রেতা দৌলত আকতার তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই মার্কেটগুলোর বেশির ভাগ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলতে হয় সাবধানে। উচ্চমূল্য দাবি করলেও রেগে যাওয়া যাবে না। ঠান্ডা মাথায় দরদাম করতে হবে নতুবা এরা একজোট হয়ে কথার বাক্যবানে জর্জরিত করবে আপনাকে। যাদের বাজারমূল্য সম্পর্কে ধারণা নেই, তাদের ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমিও ঠকে ঠকেই শিখেছি কী করে দামদর করতে হয়। এখনো যে ঠকি না তা নয়।’
পণ্য কিনলেও বাদ যাবে না দুর্ব্যবহার
এ তো গেল কাপড়ের দোকানের কাহিনি। রুম্পা রায় দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন খাবারের দোকানে গিয়ে।
তিনি বলেন, ‘খাবারের দোকানের সামনে দিয়ে কর্মচারীদের ডাকাডাকি চলতেই থাকে। ছোট বোনকে নিয়ে নিউ মার্কেটের নিচে খাবারের দোকানে জুস অর্ডার করে অপেক্ষা করছি। দোকানটি ছিল পরিপূর্ণ। কিছুক্ষণ পর চার-পাঁচজন এলে বসার জায়গা না পেয়ে বেরিয়ে যায়।
“মাত্র খাওয়া শুরু করেছি এমন সময় কর্মচারী বলেন, ‘আপনাদের জন্য অন্য কাস্টমার এসে চলে গেছে। দুজন মেয়ে এমনভাবে বসছেন পাশে কাউকে বসানো যাচ্ছে না। খাবার অর্ডার করছেন কম, কিন্তু বসবেন বেশি সময়’।”
রুম্পা প্রতিবাদ করলে অন্য কর্মচারীরা তাকে গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে দোকানের অন্য ক্রেতারা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করলে দোকানিরা চুপ হয়।’
নিউ মার্কেট বর্জনের ডাক
সংঘর্ষের মধ্যে নিউ মার্কেট বর্জনের ঘোষণাও এসেছে ফেসবুকে।
একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি নিউ মার্কেটে আর কেনাটাকা করবেন না। ফেসবুকেই তিনি লেখেন, ‘নিউ মার্কেট আর এর ফুটপাত থেকে আর কখনো কিছু কিনবো না। শত কম দাম হলেও।’
সালেহ আখন্দ লিখেছেন, ‘আসুন কেনাকাটায় নিউ মার্কেট ও এর আশপাশের মার্কেটগুলো বর্জন করি।’
এতদিনে ফিরেছে হুঁশ
সোমবার রাতে শুরু হওয়া মারামারির জেরে ঈদ মৌসুমেও পরের দুদিন নিউ মার্কেট ছিল কার্যত বন্ধ। বুধবার রাতে সাদা পতাকা ওড়ানোর পরদিন বৃহস্পতিবার খোলে মার্কেট।
সেদিন ব্যবসায়ী, কর্মচারী, দোকান মালিকদের উদ্দেশে মাইকিং করা হয় নিউ মার্কেটে। তাতে বলা হয়, ‘খারাপ আচরণ করবেন না। কাউকে দোকানে নেয়ার জন্য বাধ্য করবেন না। হাতে ধরবেন না। পণ্যের মূল্য বলার পরেও ক্রেতাসাধারণ যদি তা নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে, সে ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সেই অধিকার প্রদানের জন্য দোকানিদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।‘
মাইকিংয়ে আরও বলা হয়, ‘কেউ কোনো প্রকার অসদাচরণ করবেন না। ক্রেতাসাধারণ অসন্তুষ্ট হয়, এমন আচরণ কেউ করবেন না। আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, ক্রেতাসাধারণের সঙ্গে যদি কোনো দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, কর্মচারী এ ধরনের কোনো আচরণ করেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তবে সমিতি কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’
বুধবার ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলনে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে। ঈদের পর দোকানিদের এ বিষয়ে কাউন্সেলিং করানোর ঘোষণাও দেয়।
সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কর্মচারীরা খুব বেশি শিক্ষিত না। তাদের বোঝাতে হবে। কাস্টমারের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় সে বিষয়ে শেখাতে হবে।’
কোথাও দুর্ব্যবহারের শিকার হলে অভিযোগ করার পরামর্শও দেন হেলাল উদ্দিন। বলেন, ‘কোনো কাস্টমারের সঙ্গে তারা খারাপ ব্যবহার বা বেয়াদবি করলে সমিতির অফিসে অভিযোগ জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।
আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে ০৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কর্পোরেশনের সভার কার্য বিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দা.) জনাব আলী মনসুর। পরবর্তীতে, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রদান করেন।
বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অনুমোদন প্রদান করায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কেবল গাণিতিক সংখ্যা নয়। এই বাজেট আমাদের কাছে সম্মানীত করদাতাদের আমানত। এই বাজেট সফলভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের সবার প্রিয় এই নগরীর ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দৈনন্দিন নাগরিক সমস্যার সমাধান।”
সভায় ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প-২ পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যমান প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারী এনজিওসমূহের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তীতে, অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬০০/- (ছয় শত) টাকা হতে ৮০০/- (আট শত) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত অস্থায়ী মসজিদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি তিনতলাবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদে রূপান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র মতিঝিল থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৭-২৯ জুন ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় শামিমের হেফাজতে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি’র মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাজধানীর ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া (২৬) ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত (২৪) নামের দুই ব্যক্তি নগদ ৩০ লক্ষ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য একটি স্কুটিতে করে রওয়ানা দেন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছা মাত্রই ৬/৭ জনের একটি দল নিজেদের ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ডিবি লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।
পরে দুজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানায় আরো দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও লুন্ঠন হওয়া অন্যান্য টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসায় পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
আহতরা হলেন- মো. জিয়াউর রহমান (৪৫) ও তার দুই মেয়ে ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪) এবং ট্যাংক পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক বেলাল হোসেন (২৮)।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শাহপরান জানান, চাচার বাসায় বেলাল হোসেন নামের এক শ্রমিক ট্যাংক পরিষ্কার করছিলেন, এ সময় চাচা জিয়াউর রহমান ট্যাংকে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব চালু করার পরই এ বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এমনটা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘বেলাল হোসেনের শরীরের ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং রাইফার ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত (২৩), তার আত্মীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নাইমুল হক (৩২) এবং জাবেদ আলম খান (৫৫)।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন বলে জানান তিনি। ওসি বলেন, অপরজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যান।
তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
নিহতরা কাছাকাছি একটি হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং এর চালক রাকিবুল ইসলামকে (৪২) আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
রাজধানীর উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে ‘হোটেল মিলিনা’ নামের একটি আবাসিক হোটেল দখলের চেষ্টা করা হয়। এমন অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
রোববার র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার দুপুরে শফিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে হোটেল মিলিনিার মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পূর্বের ব্যবসায়িক সূত্র ধরে ‘মব’ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। সেসময় ১০টি মোটরসাইকেলে করে কমপক্ষে ২৪ জন জোরপূর্বক হোটেলটি দখল করতে যায়।
এ সময় দূর থেকে ওই ঘটনার কিছু ছবি ধারণ করেন র্যাব-১ এর এক গোয়েন্দা সদস্য। ছবি ধারণের সময় ‘মব’ সৃষ্টিকারীরা র্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে এবং ছবি তুলতে বাধা দেয়। এ ঘটনার পর র্যাব-১ এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া এবং ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে মোট ৯ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৮), মো. শফিক মোল্লা (৩০), মো. আরিফুল ইসলাম (৩০), মো. তন্ময় হোসেন শাওন (২৭), মো. রবিউল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন আশিক (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম সাগর (২৭), মো. জালাল খান (৩০) ও মো. আমির (২১)।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’
শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’
রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’
বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
মন্তব্য