× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Terrible terrorists from the cabinboy of the launch
google_news print-icon

লঞ্চের কেবিনবয় থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী

সন্ত্রাসী মামুন
মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুন। ছবি: নিউজবাংলা
স্বজনরা জানান, মামুনের বাবা প্রায় ৩০ বছর আগে ভিটেবাড়ি বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে পটুয়াখালী শহরে চলে যান। এরপর ওই বাড়িতে মামুন ছাড়া পরিবারের আর কেউ আসা-যাওয়া করেনি। মামুন টুপি পরে একটি সাদা প্রাইভেট কারে আবার কখনও পাজেরো জিপে গ্রামে এসে ঘুরে বেড়াতো। ওই গাড়ির সামনে বড় করে লেখা থাকতো- পুলিশ।

প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরুনো হয়নি মো. মামুন মাদবর ওরফে ল্যাংড়া মামুনের। অভাবের তাড়নায় মা-বাবা গ্রাম ছাড়েন। তাদের সঙ্গে পটুয়াখালী শহরে এসে বসবাস শুরু করে মামুন। এক পর্যায়ে সংসারের হাল ধরতে ছোট্ট ছেলেটি বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ-রুটের লঞ্চে কেবিন বয়ের কাজ শুরু করে।

বড় ভাই মিজান মাদবর ওরফে রং মিজানের সহায়তায় মামুনের ঢাকায় আসা। এখানে ছোটখাটো বিভিন্ন বাহিনীর সংস্পর্শে আসে সে। শুরু হয় অপরাধ কর্মকাণ্ড। প্রথমেই সে রাজধানীর এক সময়ের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের সঙ্গ পায় সে। পরবর্তীতে ভিড়ে যায় লেদার লিটনের দলে। নিজেই হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।

পটুয়াখালীর হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে মামুন এবার জড়িয়ে পড়েন মাদকের কারবার, অপহরণ ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঘটনায়। রাজধানীতে এমনই এক অপকর্ম চালাতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে আহত হন তিনি। গুলি লাগা তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। পরবর্তীতে সার্জারি করে কৃত্রিম পা লাগানো হয়। একইসঙ্গে পরিচিতি মেলে ল্যাংড়া মামুন নামে।

পটুয়াখালীর বড় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শিবু লাল দাসকে অপহরণের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে এই সন্ত্রাসীর নাম। ওই ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ল্যাংড়া মামুন ওরফে মুফতি মামুনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

লঞ্চের কেবিনবয় থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের এই মাদবর বাড়িতে মামুনের জন্ম। ছবি: নিউজবাংলা

এক পা হারিয়ে শারীরিক সক্ষমতা কমলেও অপরাধ কর্মকাণ্ড থেমে থাকেনি ল্যাংড়া মামুনের। বরং অপরাধ জগতে নতুন করে বিচরণ শুরু হয় তার। পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে। কৃত্রিম পায়ের ভেতরের ফাঁপা অংশে ইয়াবা বহন করে ইয়াবা বেচাকেনা চালাতে থাকেন।

পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণে পটুয়াখালী-বরগুনার সীমান্তবর্তী এলাকায় মামুনের গ্রামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার দিনভর খোঁজখবর নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালি ইউনিয়নের পরই বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন। হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপুরা গ্রামের মাদবর বাড়িতে মামুনের জন্ম।

আত্মীয়-স্বজনরা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে মামুনের বয়স আনুমানিক যখন ছয় থেকে সাত বছর তখনই অভাবের তাড়নায় ভাগের সব জমি এমনকি ভিটেবাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে পটুয়াখালী শহরে চলে যায় ওর মা-বাবা। এরপর ওই বাড়িতে মামুন ছাড়া তার পরিবারের আর কেউ কখনও আসা-যাওয়া করেনি। মামুন টুপি পরে একটি সাদা প্রাইভেট কারে আবার কখনও পাজেরো গাড়িতে করে গ্রামে এসে ঘুরে বেড়াতো। তখন ওই গাড়ির সামনে বড় অক্ষরে পুলিশ লেখা থাকত।

মামুনের বড় ভাই মিজানেরও গত দশ বছর ধরে কোনো খোঁজ নেই। একটি অপহরণ মামলায় জেলে যাওয়ার পর জামিনে বের হওয়ার পর পিস্তল ঠেকিয়ে ছোট ভাই মামুনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেয়ার পর থেকে মিজানের আর দেখা মেলেনি। মামুন ছাড়া আর কেউ মিজানের খবর জানে না- এমনটা দাবি আত্মীয়-স্বজনদের।

মাদবর বাড়ির পূর্ব ভিটায় মামুনের আপন চাচা আলতাফ মাদবর ওরফে কালু মাদবরের ঘরে বসে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

কালু মাদবর জানান, তারা সাত ভাই। বাবার মৃত্যুর পর তারা একেক ভাই প্রায় দুই কানি জমি ভাগে পান। কিন্তু ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহজ সরল ছিলেন আবদুল হাই মাদবর (মামুনের বাবা)। সহজ সরল হওয়ায় অনেক দেনা ছিল তার। এক পর্যায়ে মামুনের মা মমতাজ বেগমের পরামর্শে বাড়ির জায়গাজমি সব বিক্রি করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শহরে চলে যান তিনি।

কালু মাদবর জানান, ছোট বেলা থেকেই ছেলেরা কেউ কোনো অপকর্ম করলে ওদের মা মমতাজ বেগম সন্তানের পক্ষ নিতেন। সন্তানদের এমন অধঃপতনের জন্য তিনি মমতাজ বেগমকেই দায়ী করেন তিনি।

কালু মাদবর বলেন, ‘মামুন মাঝেমধ্যেই গাড়ি হাঁকিয়ে এলাকায় আসতো। ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলে বলতো যে এটি সার্কেল এসপির গাড়ি। এছাড়া ওই পরিবারের আর কেউ গত ত্রিশ বছরে এই বাড়িতে আসেনি।

‘যতদূর জানি বাড়ি থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পর মিজান আর মামুন লঞ্চে কেবিনে কাজ করত। এরপর মিজান মোটরসাইকেলের ব্যবসা আর মামুন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে পত্রিকায় দেখলাম যে, মামুনের পা প্রশাসনের সঙ্গে গোলাগুলিতে কাটা পড়েছে। আর এখন শুনছি পটুয়াখালীর একজনকে অপহরণ করে ধরা খেয়েছে।’

লঞ্চের কেবিনবয় থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী
১৯ এপ্রিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামুন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি আরও বলেন, ‘মিজানের অপকর্মের ঘটনাও পত্রিকায় দেখেছি। কয়েক বছর আগে পত্রিকায় খবর বের হয় যে, ঢাকার কোনো এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণ করে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের সময় গ্রেপ্তারের পর মিজান জেলে যায়। পরে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে জেল থেকে বের হওয়ার পর আর তার দেখা নেই। কোথায় আছে কেউ বলতে পারে না।’

মামুনের চাচী রাসিদা বেগম বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও ঢাকা থেকে পুলিশ আইছিল মিজানের খোঁজে। তহন মামুনেরও খোঁজ করছিল পুলিশ। ওর বোনাইর টাহা দিয়া মাতৃছায়া দোহান ফুডাইছে। হেরপর আজ শরমে মুখ দেহাইতে পারি না। হক্কুরডি খামার দেয় ডাহাইতের বংশ কইয়া। এর চেয়ে ঝোলায় ন্যালেও ভাল অইতো। ওই বেডা (মামুনের বাপ) কী সুন্দর ভাল মানুষ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। আর হের যন্নাডা কি অইলো। আর হের জন্য অই বেডার পোলা কয়ডা শ্যাষ।’

মামুনের চাচাত ভাই ওয়াসিম মাদবর বলেন, ছোটবেলায় বাড়ি ছাড়ার পর প্রায় দুই বছর আগে কয়েকবার গ্রামে এসেছে মামুন। ওই সময় অফিস বাজার এলাকার মহিউদ্দিন নামের একজনকে গাঁজা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিল সে। তখন আমতলী থানার ওসির সাথে মামুনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। ওই সুবাদে ওয়াসিমকেও সেই মামলায়ে জড়িয়ে দেয় মামুন।’

কারণ জানতে চাইলে ওয়াসিম বলেন, ‘মামুন এলাকার কারও ভাল চাইতো না। যেই একটু ভাল অবস্থানে থাকার চেষ্টা করতো তাকেই পুলিশ দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো। কারণ পুলিশের সাথে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই পুলিশ লেখা গাড়িতে এলাকায় এসে প্রভাব দেখাত।’

অপরাধ জগতে মামুন কিভাবে এলো- এমন প্রশ্নে ওয়াসিম মাদবর বলেন, ‘মূলত বড় ভাই মিজানই মামুনকে এই জগতে এনেছে। কারণ ওরা দুই ভেইয়ের মধ্যে খুব মিল ছিল। একে অপরকে ছাড়া কোন কাজ করতো না।’

মিজান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপহরণ মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে শুনেছি। তারপর মিজানের কী হয়েছে জানি না। মামুন ছাড়া এ প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু একটি মানুষ জীবিত থাকলে তার দেখা কেউ না কেউ তো পাবে।’

মামুনের আরেক ভাই নিজাম বর্তমানে সৌদি আরবে আছে বলেও ওয়াসিম জানান।

ওয়াসিম জানান, মামুনের পরিবার গ্রাম থেকে পটুয়াখালী শহরে এসে হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকার পূর্ব পাশে বায়তুল ইমান জামে মসজিদে (উকিল বাড়ির মসজিদ) বেশ কিছুদিন ইমামতি করেছেন মামুনের বাবা আবদুল হাই মাদবর। এরপর তিনি কী করতেন যোগাযোগ না থাকায় তা বলতে পারছেন না।

মামুনের অন্য চাচারাও বলতে পারেন না তার বাবা-মা বর্তমানে কোথায় আছেন। তবে কয়েক বছর আগে লোকমুখে তারা শুনেছেন যে, পটুয়াখালী শহরের গার্লস স্কুলের পশ্চিম পাশে পুলিশ সদর সাকের্লের বাসার পাশেই নাকি মামুন তার বাবা-মাকে নিয়ে থাকেন।

আত্মীয়-স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন বাবলু মিয়ার সঙ্গে মামুনের ছোট বোন তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বাবলুর কাপড়ের ব্যবসা ছিল। সেই সুবাদে তানিয়ার বিয়ের পর মামুন কৌশলে ভগ্নিপতির সঙ্গে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার ভগ্নিপতির ঢাকার মাতৃছায়া বুটিকসের শাখা হিসেবে পটুয়াখালী শহরেও একটি দোকান চালু করেন মামুন ও তার বোন জামাই। তখন তারা সবাই পটুয়াখালী শহরে থাকতেন। কয়েক বছর আগে তানিয়ার স্বামী বাবলু স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মাতৃছায়া বুটিকসের ব্যবসার হাল ধরেন মামুন।

লঞ্চের কেবিনবয় থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী
নিজের বিলাসবহুল বাসায় কৃত্রিম পা হাতে দাঁড়িয়ে মামুন। ছবি: নিউজবাংলা

চাচাতো ভাই ওয়াসিম জানান, ভগ্নিপতির ব্যবসা থেকে মামুন মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন বলে শুনেছেন তারা। এরপর মামুন নিজে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে বরগুনা জেলা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আরো দুটি বড় শো-রুম খোলেন তিনি। এর মধ্যে কলাপাড়া উপজেলা সদরে মাতৃছায়ার ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র চাচাত ভাই অলিউল্লাহ মাদবরকে।

ওই ব্যবসার আড়ালেই মূলত ইয়াবার কারবার চালাতেন মামুন। ঢাকা ডিবি পুলিশের দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।

মামুনদের গ্রামের বাড়ি থেকে কোয়ার্টার কিলোমিটার দক্ষিণে কানাই মৃধা বাজার। ছোট্ট এই বাজার হয়েই নরমহাট থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ। কথা হয় ওই বাজারের একাধিক লোকের সঙ্গে। কিন্তু মামুনের প্রসঙ্গে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সবাই চুপ। এই সন্ত্রাসীর বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাননি।

এক পর্যায়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকানদার বলেন, ‘হের (মামুন) হাত অনেক লম্বা। প্রায়ই এইহানে আইতো গাড়িতে করে। গাড়ির সামনে লেখা থাকতো পুলিশ। ড্রাইভারকে জিঙ্গাসা করলে বলতো- সার্কেল স্যারের গাড়ি। এত খারাপ কাম কইরাও যদি পুলিশের গাড়িতে ঘোরাফেরা করে তাইলে আমরা হের সম্পর্কে কী কমু।

‘তবে এইহানের কোনো দোকানদারের সাথে হে কখনও খারাপ আচরণ করে নাই। খাইয়া লইয়া টাহা পয়সা ঠিকঠাকভাবেই দিয়া গেছে। তাছাড়া হেরা গ্রাম ছাড়ছে ছোটবেলায়। যে কারণে অনেকের কাছেই হে অপরিচিত ছিল। আমরা লোকমুখে হুনছি- হে অনেক বড় বড় কাম করে। ওই কাম করতে গিয়াই নাকি হের নাকি পা কাটা লাগজে।’

ওই বাজারেই মামুনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘লঞ্চে কেবিন বয়ের চাকরির পর এক সময়ে মিজান ব্যবসা শুরু করে। পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তা এলাকায় রংয়ের দোকান থেকে মোটরসাইকেল বেচাকেনা করতো সে। যশোর থেকে চোরাইপথে মোটরসাইকেল এনে পটুয়াখালীতে বিক্রি করত। মূলত তখনই মিজান অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় মিজানের সঙ্গে থাকা ছোট ভাই মামুন ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপে প্রবেশ করে। তাদের দুই ভাইয়ের নামে ঢাকায় একাধিক ব্যংক ডাকাতি আর অপহরণের মামলা রয়েছে বলে শুনেছি।

আরও পড়ুন:
ব্যবসায়ী শিবু অপহরণ যেন এক ‘দুর্ধর্ষ সিনেমা’
ব্যবসায়ী অপহরণ, জসিমের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি
অপহরণ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দাবিতে অপহরণ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দাবিতে অপহরণ: সন্দেহ যাদের দিকে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Raksu Chaksu elections will be held well and beautifully Home Advisor

রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: বাসস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, এসব নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই, ভালোভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। এজন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রাকসু ও চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা দেশের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, শুধু দেশেই না বিদেশেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত । যারা ভোট দেবে তারাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।

তিনি বলেন, ‘তাদের অভিজ্ঞতা আজ শেয়ার করলাম। যেহেতু আমাদের একটা জাতীয় নির্বাচন আছে ফেব্রুয়ারিতে, এই নির্বাচনগুলো দেখে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সেটা আমরা জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে প্রয়োগ করতে পারবো সেজন্য আজকে বসেছিলাম।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা আজ ভালো ভালো সাজেশন দিয়ে গেছে। সেই সাজেশন আমরা ভবিষ্যতে কাজে লাগাবো। একইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় তাদেরও উপকার হয়েছে। যেহেতু দুইটা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে নির্বাচনে কী করতে হবে, ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভায় তারা কোনো ধরনের শঙ্কার কথা জানায়নি।

আজকের সভায় কি ধরনের সাজেশন এসেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তারা বলেছে- কতগুলো সেন্টার হওয়া দরকার, ভোট গণনা কীভাবে হবে, কালি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত ফল ঘোষণার জন্যও কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, আলোচনা হয়েছে। ভোটারদের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা যেন স্বচ্ছ থাকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শনাক্ত হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে বা কোন বিষয়গুলো কাজ করেনি, তার একটি ধারণা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আজকের সভায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। ভালো নির্বাচন হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ জবানবন্দি পেশ শেষ করেন নাহিদ। তিনি গতকাল জবানবন্দি পেশ শুরু করেন।

আজ বিকেলে তাকে জেরা করবেন এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। সেই সাথে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে এ মামলার ৩৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Female fishermen should also have cards with men in the family Fisheries and Livestock Advisor

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া জেলে কার্ডে পুরুষ জেলেদের নামই আসে, মাত্র ৪ শতাংশ সেখানে নারী। পরিবারে একজন চাকরি করলে তিনিই চাকরিজীবী হোন কিন্তু যারা মাছ ধরে তার পুরো পরিবার এ কাজে যুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময় নারীদের বেশি কাজ করতে হয়। তাই পুরুষ জেলেদের সঙ্গে নারীদেরও কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) আয়োজিত “টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ”-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ সেমিনার এসে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমাদের জেলেদের বিশেষ করে নারী জেলেদের নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত নারীদেরকে কৃষকের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আর নারী জেলেদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ নারী জেলেরা তার পরিবার পরিজনের জন্য নদীতে মাছ ধরে। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালায়।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, "এ পেশায় পুরো পরিবারকে নিয়ে কাজ করতে হয়। মান্তা সম্প্রদায়ের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম।" জেলে সম্প্রদায়ের আইনগত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড় তুফানে অনেক জেলে মারা যায়, কেউ হারিয়ে যায়, সেসব পুরুষের হদিস না থাকায় ব্যাংকের টাকাও তুলতে পারে না তাদের স্ত্রীরা। তা ছাড়া নারীকে বিধবা ভাতাও দেওয়া যায় না। এসব আইনি জটিলতা দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, "আমাদের আইনগুলো পুরুষদের কথা চিন্তা করে করা। সেখানে নারীদের স্থান খুব কম। আর আগের মৎস্য আইনও একই ধরনের। তাই মৎস্য আইনের খসড়া ২০২৫ -এ আমরা এসকল সমস্যার সমাধানে দৃষ্টি দিয়েছি। আর নারীদের স্বীকৃতি দিলে হলে সংখ্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের তালিকায় নারীজেলের সংখ্যা খুবই নগন্য, মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু সমাজে অসংখ্য নারী জেলে রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি। "

অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখেছি অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে। এখন সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই যেন প্রকৃত জেলেরা কার্ড পেতে পারে। সেইসঙ্গে যে পরিবারে পুরুষ জেলের কার্ড থাকবে সেখানে নারীদেরও থাকতে হবে।

কাঁকড়া ও ঝিনুক মানুষের খাদ্যের অংশ এটিকে বন অধিদপ্তরের সংজ্ঞা থেকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া যারা কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলমহাল ইজারা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জলমহালের কাছের মানুষের নামে অন্যরা জলমহাল ইজারা নেয়। এক্ষেত্রে জৈবভিত্তিক ইজারা দিতে হবে, অর্থাৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে। বাওড়ে ইজারা জেলেদের দেওয়ার কথা নিশ্চিত হচ্ছে, তবে হাওর নিয়েও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে। যাতে প্রকৃত জেলেরা তা পায়।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সময়ে যতজনকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া দরকার তা দেওয়া সম্ভব হয় না। এর পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে চাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম মজুরি পায়। তা ছাড়া আমাদের জলমহাল ইজারা রাজস্বভিত্তিক দেওয়া হয়। এটি বাতিল করে জাল যার জলা তার নীতিতে নিতে হবে। জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড নিশ্চিত করে জেলে কার্ড দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের নিবন্ধনে ১৭ লাখ জেলের মধ্যে ৪৪ হাজার রয়েছে নারী। এ সংখ্যা আমরা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএনআরএস এর পরিচালক মি. এম. আনিসুল ইসলাম। এমপাওয়ারিং উমেন থ্রু সিভিল সোসাইটি অ্যাক্টর্স ইন বাংলাদেশ (ইডাব্লিউসিএসএ) প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শাহজাদী বেগম।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএনআরএস-এর পরিচালক ড. এম. আমিনুল ইসলাম এবং জাগো নারী টিম লিডার রিসার্চ আহমেদ আবিদুর রেজা খান।

সংলাপ শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নারী মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়ন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপিত হয়।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government is committed to make worship a peaceful and festive atmosphere Home Advisor

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে হামলার কোনো হুমকি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায়সহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হবে। সে কারণে একটি নতুন অ্যাপ খোলা হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিকে নজরদারি করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে কারণে ধর্মীয় নিয়ম মেনে সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের সময় ২ কোটি টাকা পূজা উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হতো। বর্তমান সরকার তা থেকে বাড়িয়ে গত বছর এ লক্ষ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল; এবার সেটি থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য

কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শিশুদের স্মৃতি নিয়ে লেখা প্রকাশে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান
কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, যেসব শিশু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছে, তাদের লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে 'নবারুণ' পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপদেষ্টা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত কিশোর মাসিক পত্রিক 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি ও লেখা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করতে হবে। 'নবারুণ' পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের লেখা ও ছবি বেশি পরিমাণে প্রকাশিত হলে তারা অনুপ্রাণিত হবে। এতে তাদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, "যে সরকারই দায়িত্বে আসুক না কেন, শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা উচিত।" তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-সহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালিখি করার জন্য লেখকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রকাশনার শুরু থেকে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এ পর্যন্ত 'নবারুণ' পত্রিকার সকল সংখ্যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এতে পাঠক অনলাইনে পুরাতন সংখ্যা পড়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।

'নবারুণ' পত্রিকার কলেবর বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'নবারুণ' পত্রিকায় নতুন লেখকদের জন্য আলাদা বিভাগ চালু করা উচিত। পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে পাঁচ জন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। তিনি শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যেসব লেখক ৪০-৫০ বছর ধরে লিখছেন, তাঁদের লেখা 'নবারুণ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। এতে পত্রিকা আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি 'নবারুণ' পত্রিকার লেখক-সম্মানি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।

সভায় 'নবারুণ' পত্রিকার লেখকরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা 'নবারুণ'-কে একটি অসাধারণ ও সাহসী পত্রিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা পত্রিকাটির মানোন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম। সভার শুরুতে 'নবারুণ' পত্রিকা বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন পত্রিকার সম্পাদক ইসরাত জাহান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালন করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক শাহিদা সুলতানা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।’

তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর—কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর—ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।’ তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা।’

এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।

বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Participation at the GICC Conference of the Secretary of the Bridge Division

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।

এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

মন্তব্য

p
উপরে