২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে শুক্রবার। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এবার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রায় ৬০ হাজারের মত আবেদন করা হয়েছে।
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১ ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা হবে। পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ১০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে।
এ দিন সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সরকারি তিতুমীর কলেজে সরেজমিন ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ২০ মার্চ সকাল থেকে ৩০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পান। এবার ডেন্টাল ভর্তির আবেদন ফি ছিল এক হাজার টাকা। এরপর প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় ছিল ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ ধারাবাহিকতায় ২২ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে সব দেশি ও বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান দু’টি পরীক্ষা মিলে মোট জিপিএ শর্ত ছিল ৯। সব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (সমতল ও পার্বত্য জেলা) এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান দু’টি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ছিল ৮।
তবে কোনো একক পরীক্ষায় জিপিএ ৩ দশমিক ৫-এর কম থাকলে আবেদন করা যায়নি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সময়সূচি জানানো হয়।
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুন বেলা ১১টা থেকে ৫ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে (https://www.admission.cu.ac.bd/) আবেদন করা যাবে।
ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষার নির্ধারিত সময়সূচি
‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৬ ও ১৭ আগস্ট, ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৯ আগস্ট, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২০ ও ২১ আগস্ট, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২২ ও ২৩ আগস্ট, ‘বি ১’ উপ ইউনিটের পরীক্ষা ২৪ আগস্ট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট এবং ‘ডি ১’ উপ ইউনিটের পরীক্ষা ২৫ আগস্ট দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘পরীক্ষাগুলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই হবে। কতজন আবেদন করছে তার ওপর ভিত্তি করে একধিক শিফটে পরীক্ষা নেয়া হবে।
‘বিভাগীয় শহরে কোনো পরীক্ষা হবে না। পরীক্ষার মানবণ্টন আগের মতোই থাকছে।’
ভর্তি প্রক্রিয়া ও স্থান
প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে হবে। এ ছাড়া জিপিএ এর ভিত্তিতে ২০ নম্বর থাকবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে এক তরুণের তৎপরতা অনেকের দৃষ্টি কাড়ে। কারণ সংঘর্ষকালে দুই ছাত্র সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর মাঝে কেবল ওই তরুণের হাতে একটি রামদা দেখা গেছে।
সংঘর্ষের সময়ে ছাত্রলীগের পক্ষে থাকা ‘রামদা’ হাতে ওই তরুণের পরিচয় জানা গেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত ডিটু। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের এই শিক্ষার্থী থাকেন শহীদুল্লাহ হলেই।
ডিটু শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ আহমেদ মুনিমের অনুসারী। আর মুনিম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, কমলা রংয়ের শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরিহিত ডিটুর ডান হাতে একটি রামদা ধরা। রামদার কাঠের বাঁটও দৃশ্যমান। শার্টের হাতা ফোল্ডিং করা।
আর ডিটুর ডান পাশে ছিলেন ধূসর রংয়ের টি-শার্ট ও সাদা প্যান্ট পরিহিত শরিফ আহমেদ মুনিম। তিনি শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ইয়াসির আরাফাত ডিটু ও শরিফ আহমেদ মুনিমের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে ছবির সঙ্গে তাদের মিল শনাক্ত করা গেছে।
তবে মুনিমের দাবি- এটি রামদা নয়, পাইপ। আর ডিটুর ভাষ্য, এটি ছিল লোহার রড।
ইয়াসির আরাফাত ডিটু বলেন, ‘এ নিয়ে আসলে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার হাতে আসলে রামদা ছিল না, এটি আসলে রড। এটির মাথায় কাপড় বাঁধা ছিল। আর রডটি কোথাও কোনো কিছুর সঙ্গে লেগে বাঁকা হয়ে গেছে। আর ছবিটা এমন অ্যাঙ্গেলে তোলা যে এই রডকেই রামদা মনে হয়েছে।’
ডিটু আরও বলেন, ‘আমি রামদা হাতে নিয়ে থাকলে যদি কাউকে কোপ দিতাম তখন কেটে যেত। এরকম কিছু তো হয়নি। মূলত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যখন ইট ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে আসছিল তখন মূলত তাদের প্রতিহত করতে আমি রড হাতে নিয়েছিলাম।
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনিম বলেন, ‘ছাত্রদল যেন নৈরাজ্য করতে না পারে সেজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর ছাত্রদল যখন লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে আক্রমণ করতে আসছিল তখনকার পরিস্থিতিতে যে কেউই তাদের প্রতিরোধ করবে। এজন্য আমরা এগুলো হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
‘ছবিতে হয়তো আপনারা ভুল দেখছেন। এটি রামদা নয়, বাঁকা পাইপ ছিল।
আরও পড়ুন:জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। অবসরোত্তর ছুটি ভোগরত অবস্থায় এ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আগামী দুই বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব মোহা. রফিকুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী অবসর-উত্তর ছুটি ভোগ করা অবস্থায় বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামকে তার অবসর-উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে এনসিটিবি চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হলো।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম চলতি বছরই অবসরে যান। তিনি এনসিটিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এনসিটিবির চেয়ারম্যান পদে প্রেষণে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার জন্য তাগাদা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যেন দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সেদিকে নজর দিতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন তিনি।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) মঙ্গলবার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বাংলাদেশ। বর্তমান প্রজন্মের মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন।
‘বিকল্প সুযোগের স্বল্পতা থাকায় বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী। তবে বিপুল শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে শিক্ষকদের সেদিকে মনোযোগী হতে হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষকতা একজন মানুষকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, যা অন্য পেশায় সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা বুঝে পাঠদান করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গলবার। তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিতর্কিত দুই প্রার্থীসহ আওয়ামীপন্থী নীল দলের তিনজন জিততে পারেননি।
মঙ্গলকার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট এক হাজার ৪৭০ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩৪৬ শিক্ষক ভোট দেন।
ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ মঙ্গলবার বিকেলে ভোটের ফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩২ জন। বাকি তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের প্যানেল থেকে।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক এবং বন্ধুত্বসুলভ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।
সাদা দলের প্যানেল থেকে মাত্র তিনজন প্রার্থী ছাড়া বাকিদের হেরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা, শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে জুনিয়র শিক্ষকরা শিক্ষক নেতাদের পেছনে ঝুঁকে থাকা এবং মানসিক চাপের কারণে এই ফল।
এদিকে নির্বাচনে হেরে যাওয়া নীল দলের তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল। তারা হলেন-ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেন।
যৌন হয়রানির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নীল দল থেকে তাদের মনোনয়ন দেয়ায় দলের একটি অংশের মধ্যে শুরু থেকেই চাপা ক্ষোভ ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীল দলের এক শিক্ষক বলেন, এই দুই বিতর্কিত শিক্ষকের পরিবর্তে শক্তিশালী প্রার্থী দিলে নীল দল প্রায় পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হতে পারতো।
নীল দলের প্যানেল থেকে হেরে যাওয়া অন্য প্রার্থী হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
এদিকে সাদা দল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান (৭৭৭ ভোট), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম (৬৩৫ ভোট) এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ (৬২৭ ভোট)।
নীলদলের প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন- পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া (৯১২ ভোট), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ (৮৩১ ভোট); টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া (৮২৫ ভোট), রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল (৮১৩ ভোট), অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান (৮০২ ভোট), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল বাছির (৭৭৭ ভোট), উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিহির লাল সাহা (৭৭৫ ভোট), গণিত বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার (৭৭৪ ভোট), ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবদুস ছামাদ (৭৬৫ ভোট), কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু (৭৫৯ ভোট)।
আরও রয়েছেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা (৭৪১ ভোট), প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান (৭৩৯ ভোট), অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুল মঈন (৭৩৯ ভোট), পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৭১১ ভোট), আইন বিভাগের অধ্যাপক সীমা জামান (৭০৬ ভোট), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন (৬৯৮ ভোট), অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেন (৬৯৮ ভোট), ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ (৬৮৮ ভোট), প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান (৬৮২ ভোট), আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদা রশিদ (৬৭৩ ভোট), অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান (৬৭৩ ভোট), ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এস এম আবদুর রহমান (৬৭২ ভোট), ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান (৬৬৭ ভোট), ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান (৬৬৪ ভোট), মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান (৬৬০ ভোট)।
নীলদল থেকে নির্বাচিত বাকিরা হলেন- ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৬২৭ ভোট), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রহিম (৬৪৬ ভোট), ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজা ইয়াসমীন (৬৪১ ভোট), ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ ওরফে সৌরভ সিকদার (৬২০ ভোট), ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ (৬১৮ ভোট), শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম (৬১৩ ভোট) এবং ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম (৬০৯ ভোট)।
আরও পড়ুন:জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলন করতে আসা সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক অনুপম রায় রূপক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা-প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তারা হামলার প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সমাজের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানায়।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ক্যাম্পাসগুলোকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক চর্চার পথ রুদ্ধ করেছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ও আজ ছাত্রদলের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে ছাত্রলীগ।’
ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসের যে অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে তার বিপরীতে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ছাত্রসমাজের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আমরা ছাত্র সমাজের সেই বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিটিসি, সমতুল্য ও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। যা চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।
সোমবার ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিটিসির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে ২৪ মে, যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে e-SIF ফরম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে হবে।
আরও বলা হয়, এ ছাড়া সমতূল্য ও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ২৩ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বোর্ড রেজিস্ট্রেশন শেষ করবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজ বিটিসির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে না পারলে পরে সৃষ্ট কোনো জটিলতায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না বলেও অফিস আদেশে বলা হয়।
মন্তব্য