সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার চার বছর পর ‘আংশিক কমিটি’ ঘোষণার আরও দুই বছর পর এবার ৩৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করল বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল।
২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর।
২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে নতুন নেতাদের হাতে কমিটির দায়িত্ব দেয়ার কথা। অথচ এর প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয় সংগঠনের ১৮৬ সদস্যের ‘আংশিক’ কমিটি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এর আগে ২৮ জুলাই মারা যান সভাপতি শফিউল বারী বাবু।
বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তথ্য জানানো হয়।
এই কমিটি কেবল ঢাউস এমন নয়, আরও কিছু নজিরবিহীন ঘটনাও দেখা গেছে। কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে ২৯ জনকে। আর সদস্য করা হয়েছে এমন দুই জনকেও মর্যাদা দেয়া হয়েছে সহসভাপতির।
সহ সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ৩৪ জনকে। আরও ৬ জন সদস্যকে দেয়া হয়েছে একই মর্যাদা।
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ৬৩ জনকে। আবার একই মর্যাদার সদস্য করা হয়েছে ১৪ জনকে।
বাবুর মৃত্যুর পর তার নেতৃত্বে থাকা কমিটির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন ২৯ জন। এদের মধ্যে আবার বিভাগভিত্তিক সহসভাপতি করা হয়েছে ১০ জনকে।
বিভাগভিত্তিক বাদে সহসভাপতিরা হলেন: গোলাম সরোয়ার, আসাদুজ্জামান নেসার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, আজহারুল হক মুকুল, এ বি এম পারভেজ রেজা, শাহাবুদ্দিন মুন্না, ইকবাল আনসারী টিপু, চৌধুরী ওয়াহিদুর রহমান চয়ন, সুলতান মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ওয়াহিদ ইমতিয়াজ বকুল, আসফ কবির চৌধুরী শ্বাশত, শরিফুল ইসলাম দুলু, জামাল হোসাইন তালুকদার, রফিক হাওলাদার, জামির হোসেন, এমদাদুল হক এমদাদ, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল এবং এ কে এম আবুল কালাম আজাদ।
বিভাগভিত্তিক সহসভাপতি হয়েছেন: আরিফ হোসেন হাওলাদার (ঢাকা বিভাগ), শওকত আজম খাজা (চট্টগ্রাম বিভাগ), নুসরাত এলাহী রিজভী (রাজশাহী বিভাগ), তৈয়বুর রহমান (খুলনা বিভাগ), ফরহাদ চৌধুরী শামীম (সিলেট বিভাগ), ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ (বরিশাল বিভাগ), রাশেদ উন নবী খান বিপ্লব (রংপুর বিভাগ), শহিদুল আমিন খসরু (ময়মনসিংহ বিভাগ), সাহাবুদ্দিন ফারুক (কুমিল্লা বিভাগ) এবং হাফিজুর রহমান (ফরিদপুর বিভাগ)।
প্রথম যে কমিটি ঘোষণা করা হয়, তাতে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয় আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলকে। তিনিই আছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে।
যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন মোট ২১ জনকে। এরা হলেন: সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, কাদের হালিমী, ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল আলম, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, মোস্তাফিজুর রহমান মনির, আরিফুর রহমান আরিফ, আজগর হায়াত লিমন, মোখলেছুর রহমান, তকদির হোসেন স্বপন, আশ্রাফ উদ্দিন রুবেল, আব্দুল কুদ্দুস, তারিক আহম্মেদ তারেক, মাহাবুব রশিদ মাহবুব, এস এম জাহাঙ্গীর, আহসান হাবিব প্রান্ত, জাকারিয়া আল মামুন, সিরাজুস সালেকিন লিমন, সাইদ উদ্দিন সুমন, সওগাতুল ইসলাম সগীর ও ডি জেড এম হাসান বিন সোহাগ।
কমিটিতে সহ সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মোট ৩৪ জনকে। এরা হলেন: মহিউদ্দিন মনির, জুলফিকার হোসেন জনি, ফজলুল কবির জুয়েল, সালাউদ্দিন শাহীন, মোকসেদ আলম, রাসেল মাহমুদ, মহিউদ্দিন লোবান, এম জি মাসুম রাসেল, মাহমুদুল বারী, ফরহাদ উদ্দিন, কাজী ইফতেখারুজ্জামান শিমুল, সফিউদ্দিন সেন্টু, রেজাউর রহমান বাবু, মফিদুল ইসলাম, ওয়াহিদুর রহমান বানী, শহীদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, সরদার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাইদুর রহমান মামুন, আবু জাফর বাদল, যোনাইদ উল্লাহ শোয়েব, আকরাম হোসেন, সেকান্দার আলী ব্যাপারী, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ভূইয়া রুবেল, ইমরান হোসেন ভূইয়া, সালমা সুলতানা সোমা, জাবেদ জাহাঙ্গীর মুকুল, এ বি এম মুকুল, ইমরুল কায়েস প্রেম, জেড আই কামাল, ফয়সাল আহমেদ খাঁন, এইচ এম জাফর আলি, হাজী নূরুল আলম মোল্লা।
সাংগঠনিক সম্পাদক করা ইয়াসিন আলীকে।
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ৬৩ জনকে। এদের মধ্যে বিভাগওয়ারি আছেন একজন করে। বাকি ৫৩ জন হলেন: বাহারুল ইসলাম, বারেক ইকবাল, সারোয়ার হোসেন সারু, আকরামুজ্জামান টোকন, বাবুল সারেং, ইফতেখার সেলিম অগ্নি, বেলাল হোসেন, বেলাল উদ্দিন আহম্মেদ, জসিম উদ্দিন, মোকসেদুর রহমান আবির, বশির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান খোকন, রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ, ফরিদ মিয়া আরমান, আশ্রাফ উদ্দিন জনি, রবিউল ইসলাম পলাশ, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম মিজান, এইচ এন আশিকুর রহমান, সালেহ আহাম্মদ কাঞ্চন, মাহমুদুল হাসান খোকন, সাজেদুর রহমান পপ্পু, হাসিবুর রহমান মুন্না, একরামুল হক হেলাল, মাহবুবুর রহমান পিন্টু, এইচ এম রাশেদ খান, নাসিমা আক্তার সিমু, মাহাবুবুল হক হেলাল, ফয়েজ আহমেদ সাকিল, সাইফুল সিকদার, ইকবাল হোসেন বাদল, আল ইসলাম ব্যাপারী, মহসিন চৌধুরী রানা, মাসুম ভূইয়া, বদিউল আলম বিপু, রবিউল ইসলাম, খোরশেদ আলম পাটোয়ারী, আনিসুর রহমান, উজ্জ্বল হোসেন, ইকবাল কবির চাকলাদার, আতিকুর রহমান, নাসির উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন সিকদার ডালিম, মো: মামুন, রফিকুল ইসলাম, জাকারিয়া লিটন, আরিফ মেহেদি, মোর্শেদ আলম, নূরে আলম জাবেদ, মজিবুর রহমান, আবু সাঈদ ও আলমগীর হোসেন শাহীন।
বিভাগওয়ারী সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন শরিফ ফেরদৌস (ঢাকা বিভাগ), বেলায়েত হোসেন বুলু (চট্টগ্রাম বিভাগ), জাকির হোসেন রিমন (রাজশাহী বিভাগ), জি এম গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ (খুলনা বিভাগ), স্বাগত কিশোর দাস (সিলেট বিভাগ), আমিনুল ইসলাম লিপন (বরিশাল বিভাগ), নুরুজ্জামান নুরু (রংপুর বিভাগ), রফিকুল ইসলাম শামীম (ময়মনসিংহ বিভাগ), নিজাম উদ্দিন কায়সার (কুমিল্লা বিভাগ) ও রুহুল আমিন মুন্সি (ফরিদপুর বিভাগ)।
কমিটির প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আনিসুর রহমান সুজনকে আর সহ প্রচার সম্পাদক হয়েছেন গোলাম মোর্শেদ রাসেল।
দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে। সহ দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে নাজমুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে।
প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন হুমায়ুন কবির। সহ প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন গাজী সুলতান জুয়েল ও মনিরুজ্জামান মনির।
কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন কামরুজ্জামান জাপান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জাহিদুল কবির।
আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইলতুতমিস সওদাগর, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মমিনুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান রুমী ও গাজী মাসকুরুল আলম চৌধূরী সৌরভ।
সাহিত্য সম্পাদক নিয়াজ হয়েছেন মাখদুম মাসুম বিল্লাহ। সহ সাহিত্য সম্পাদক হয়েছেন হারুনুর রশিদ হারুন।
ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইউসুফ হোসেন পাটোয়ারী, সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সালাউদ্দিন মোল্লা।
সহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন তুহিন।
তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মনিরুল ইসলাম। সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাজিবুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আলাউদ্দিন জুয়েল। সহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোখলেসুর রহমান।
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহীনুর নার্গিস। সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহিনুল ওয়াহিদ বাবু ও কামাল হাসান জুয়েল।
সমাজকল্যাণ সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল হান্নান মিয়া। সহ সমাজকল্যাণ সম্পাদক হয়েছেন মাঈন উদ্দিন ইমন।
যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মঞ্জুর মোর্শেদ পলাশ। সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জাকির হোসেন জুয়েল।
মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন তানভির আলম রিমন। সহ মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আকিল মাহামুদ বাবু।
স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মাসুদুর রহমান মাসুদ। সহ স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সামসুজ্জামান সামসু।
বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী রহিম। সহ বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান মিঠু।
আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন নাসির উদ্দিন শাহীন (যুক্তরাজ্য)। অমি ফেরদৌস (অস্ট্রেলিয়া), সেলিম হোসেন (ইউরোপ), মাকসুদুল হক চৌধুরী (আমেরিকা), আসলাম ফকির লিটন (ফিনল্যান্ড), হাবিবুর রহমান রতন (মালয়েশিয়া), এরশাদ আহমেদ (মধ্যপ্রাচ্য) ও আসাদ মুরাদ তালুকদার (আমেরিকা)।
সহ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাইফুল ইসলাম জুয়েল (সাউথ আফ্রিকা)।
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আতিকুল ইসলাম রিপন। সহ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহাকুল ইসলাম সবুজ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আমিনুল ইসলাম তালুকদার মোহসিন। সহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম তপু।
শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোজ্জাম্মেল হক মৃধা।সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এ এ এম শফি মাহমুদ জুয়েল।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্যোগ বার্তা প্রচার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহজালাল। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মুর্তজা বশির আপেল। সহ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন গাজী শহিদুজ্জামান মিন্টু।
নির্যাতিত নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। সহ নির্যাতিত নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আতিকুর রহমান আতিক।
ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাফায়াত হোসেন রিপন। সহ ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এইচ এম মাসুদ।
কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ। সহ কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো: ইলিয়াস।
আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন গোলাম জিলানী টিপু। সহ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন হারূনুর রশিদ।
অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মুশফিকুর রহমান লেলিন। সহ অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আরজ আলী শান্ত।
সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মির্জা ইয়াছিন। সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এইচ এম ওয়াহিদুজ্জামান রাজন।
সমবায় সম্পাদক হয়েছেন মোশারফ হোসেন মশু। সহ সমবায় সম্পাদক হয়েছেন এম আর গণি মোস্তফা।
নাট্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এস এম সোলায়মান সোহেল। সহ নাট্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মহিরুল ইসলাম টিপু।
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহিনুর সাগর।সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুমি চৌধুরী।
শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মজিবুল্লাহ মজিব। সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন হারুনুর রশিদ হারুন।
পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মাজেদুল হক। সহ পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মাহাবুবুল ইসলাম মিল্টন।
ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মারুফ আহমেদ সিদ্দিকি। সহ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মফিজুল ইসলাম টুকু।
প্রশিক্ষণ ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু সাঈদ। সহ প্রশিক্ষণ ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইসতিয়াক আহমেদ মানিক।
পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। সহ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মুক্তার হোসেন।
কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এম জেড আই জহির। সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জসিম উদ্দিন সরকার।
তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফরিদ হোসেন। সহ তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন হারুনুর রশিদ হিরন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাহাবুদ্দিন সাবু। সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন নূর আমিন লালন।
মৎসজীবী বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন দাউদুল ইসলাম মিশন। সহ মৎসজীবী বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোমিনুর রহমান মালিতা।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মাসুম বিল্লাহ। সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল মান্নান।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন গোলাম কিবরিয়া শিপু। সহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোস্তফা সারোয়ার সোহান।
প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন নোমান হাসনাত। সহ প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রায়হান আহমেদ রাহি।
গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মিজানুর রহমান লিমন। সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু ফয়সাল জেহাদ।
সম্মানিত সদস্য হয়েছেন বীথিকা বিনতে হোসাইন।
বাকি ১০১ জন হয়েছেন সদস্য। এদের মধ্যে সহ সভাপতি পদমর্যাদার আছেন এস এম জিলানী ও ফকরুল ইসলাম রবিন।
যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদার সদস্য আছেন নজরূল ইসলাম, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, হারুনুর রশিদ হারুন।
সহ সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার সদস্য আছেন সাইদুল ইসলাম, সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার, আব্দুল কাদের ঝিলন, আজিজুর রহমান মুসাব্বির, আবদুর রহমান বাবুল ও ইদ্রিস মিয়াজী মোহন।
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদার সদস্য হয়েছেন তালুকদার অমিত হাসান হাফিজ, বাহার মিয়া, তরিকুল ইসলাম ঝলক, আনোয়ার সাদাত সায়েম, নাসির উদ্দিন, আবুল কাউসার আশা, আনোয়ার হোসেন রাজেশ, নাজমুল হাসান অভি, শাহাদাত হোসেন শাহীন, মাহাবুবুর রহমান, নূরুল আলম, শাহরিয়ার শামস কেনেডি, আব্দুল্লাহ আল কায়েস, সিদ্দিক মোল্লা।
বাকিদের মধ্যে সবাই সাধারণ সদস্য। এরা হলেন: আবু হানিফ, হুমায়ুন কবির শিপন, শহিদুর রহমান বাবলু, হোসেন হায়দার (জাপান), জিয়াউল হক মিশন (আমেরিকা), আবুল হোসেন (ইউ কে), নাহিদুল ইসলাম জুয়েল, মাসুদুর রহমান খাদেম, সদস্য আলি হোসেন, দেওয়ান জাকির হোসেন লোবান, শরিফ হোসেন, নূরুল আলম সিদ্দিকী, আবু সাঈদ, মহিউদ্দিন মৃধা, ইফতেখার আলম ফারুক, এজাজুল হক মিরাজ, জহিরুল ইসলাম জহির, তুহিন শাহ, শৈবাল হোসেন, এ কিউ এম বদরুদ্দোজা শওকত, কবির হোসেন, আশ্রাফুর রহমান হিরণ, আব্দুল আলিম, জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়া, নুরুল হক, রাশেদুল কবির রাসেল, শিহাব আহমেদ, আবু সালেহ, মঞ্জুর হোসেন মোল্লা, মির্জা মহসিন, শামীম হোসেন, ইসহাক আহমেদ চৌধূরী মামনুল, ওয়াহেদ উল্লাহ, হেলাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম বাদল, মোস্তাফিজুর রহমান এলবার্ট, মনিরুজ্জামান মুন্না, তোফায়েল আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম টিটু, ফয়সাল মাহমুদ তালুকদার, ওমর ফারুখ, আলমগীর হোসেন, হানিফ তপন, ইলিয়াস হোসেন আরজু, সাইদুজ্জামান লাল্টু, ফয়সাল আহমেদ পলাশ, কে এম রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মজুমদার, সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদ সোহান, আমির খাঁন, নূরে আলম দুলাল
৩২৭. সদস্য লুৎফর রহমান খাঁন, মাসুদুর রহমান, আরিফুর রহমান তুষার, অলিউর রহমান রিয়াজ, এমদাদুল হক মোল্লা, খাঁন রাজিব হোসেন রাজু, সোহরাব হোসেন, ইমামুল ইসলাম ইমাম, তরিকুল ইসলাম তারেক, নাদিম হোসেন, রিপন মিয়া, সালাউদ্দিন কাদের, আলমগীর হোসেন, এম নাহিদ হাসান, মনিরুজ্জামান মনির, বি এম বাদল ব্যাপারী, আব্দুল মালেক, ন্সী আলম তিথি, সরোয়ার হোসেন, নাজমুল হাসান খাঁন রাহাত, সদস্য রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন মারুফ, দেওয়ান মো. সাইফুল আজম বাবু, সদস্য আওলাদ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন পিকু।
আরও পড়ুন:জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়েতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি। বিএনপি ও এনসিপির মাঝে জামায়াতের জন্য সংরক্ষিত আসনটি মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত ছিল ফাঁকা।
জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়ায় নানা রাজনৈতিক দল নানা মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’
জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’
জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।
বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’
‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’
নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘
এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।
এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’
আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’
অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’
ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।
তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’
ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।
ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’
ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।
বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।
শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।
বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’
এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।
এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।
দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।
চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’
বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।
বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।
বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
মন্তব্য